Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নতুন সুবিধা দিচ্ছে আমিরাত গোল্ডেন ভিসাধারীদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৯৭জন দেখেছেন

Image

প্রবাস ডেস্ক; সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসাধারীরা তাদের বাবা-মায়ের জন্য ১০ বছর মেয়াদি ভিসার আবেদন করার সুযোগ পাবেন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গোল্ডেন ভিসা প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার পরিধি বাড়াতে নতুন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমিরাত সরকার। গত মাস থেকে নতুন এই নিয়ম চালু করেছে দেশটি।

অ্যারাবিয়ান বিজনেস সেন্টারের অপারেশন ম্যানেজার ফিরোজ খান খালিজ টাইমসকে জানিয়েছেন, গোল্ডেন ভিসাধারী ব্যক্তিরা বাবা-মার জন্য ১০ বছর মেয়াদি ভিসা ইস্যু করতে পারবে। যা এর আগে ১ বছর মেয়াদি ভিসা দেওয়া হত।

আমিরাত সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, একজন প্রবাসী তার বাবা-মাকে এক বছরের থাকার জন্য স্পনসর করতে পারেন। তার জন্য গ্যারান্টি হিসাবে ডিপোজিট পরিশোধ করতে হতো তাকে।

ফিরোজ খান আরও জানান, প্রবাসীদের ক্ষেত্রে আমিরাতে অভিভাবকদের স্পনসর করার জন্য যে ডিপোজিট করা দরকার তা গোল্ডেন ভিসাধারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তাদেরকে নিজ কনস্যুলেটের অনুমোদিত একটি নথি জমা দিলেই হবে। যাতে উল্লেখ থাকতে হবে তারা তাদের বাবা-মার একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক।


আরও খবর

ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




নাসিরনগরে ট্যাংকিতে পড়ে তিন নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ১৪ এপ্রিল ২০২৪ রোজ রবিবার জেলার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা বাজার সংলগ্ন মোঃ আহাদ আলীর বাড়ির ট্যাংকির ভেতরে পড়ে তিন নির্মান শ্রমিকের করুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।জানা গেছে তাদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলায়। তবে কখন ও কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারছে না।তবে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ধারনা করছেন হয়তো তারা ট্যাংকির ভেতরে থাকা সেন্টারিংয়ের মালামাল খোলতে প্রথমে একজন ভেতরে প্রবেশ করে।

সে বেরুতে না পারা তাকে বের করতে এক এক করে বাকী দুইজনও প্রবেশ করে।ফায়ার সার্ভিসের ধারণ ট্যাংকির ভেতরে থাকা অতিরিক্ত গ্যাসের কারনে হয়তো তাদের মৃত্যু হয়েছে।খবর পেয়ে নাসিরনগর থানা পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা প্রায় দেড় ঘটিকার সময় ট্যাংকি ভেঙ্গে তাদের তিনজনের লাশ  উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এ সময় লাশ দেখতে এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ ভীড় জমায়।লোকে লোকারন্য হয়ে  যায পুরু এলাকা।নিহতরা হলেন মাঝে মোঃ ছনু মিয়া(২৫), পিতা-মৃত নজব আলী।

মাতা-হনুফা বেগম,সাং-সম্পদপুর, ইউপি-আদাউর মোঃ আলম মিয়া(২২), পিতা-মৃত ফজলুল হক, মাতা-খোদেজা বেগম, সাং-কৃষ্ণনগর ৪নং পৌরসভা,মোঃসম্রাট মিয়া(২০), পিতা-আতিক মিয়া, সাং-মইজপুর, ইউপি-আদাউর, উভয় থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ।এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।এ বিষয নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোহাগ রানা বলেন, প্রাধমিক আমরা ধারন করছি গ্যাসের কারনে এ মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে।তবে এর পেছনে অন্য কোন কারন রয়েছে কিনা না তা ময়না তদন্তের রিপোর্টের পর বলা যাবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গার্মেন্টস মালিকের নামে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে ফাইয়াজুল হক সাজু নামে এক গার্মেন্টস মালিকের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে এক  মৎসজীবীলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে শহরের মুন্সিপাড়ায় ওই ব্যবসায়ীর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো: শাহীন হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,  ফাইয়াজুল হক সাজু একজন তরুন উদ্যোক্তা ও স্বনামধন্য ব্যবাসায়ী। তিনি সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আর এস ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী। সাজু দেশ বিদেশে সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। তার গার্মেন্টসে প্রায় চারশ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। অথচ সাজুর প্রতিবেশী জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার  গায়ের জোরে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে  সাজুদের জমি দখল করে রেখেছে। এনিয়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হলেও জুয়েল কুট কৌশলে ও অনৈতিক প্রভাবে দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। সম্প্রতি গোপনে নকশা অনুমোদন করিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। একারণে সাজুর পরিবার অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। 
তিনি বলেন,  আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন জুয়েলকে। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেদের ঘরের আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে চাঁদাবাজি, লুট ও মারপিট করার মিথ্যে অভিযোগে সাজুর পরিবারের লোকজনের নামে মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানি করছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এমনকি মিথ্যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তানাহলে সাংগঠনিকভাবে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি আখতার খান,  সদস্য ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর শেখ মোহন, এলাকাবাসী ইলিয়াস আলী, ভুক্তভোগী ফাইয়াজুল হক সাজু ও তার মা সৈয়দা জড়িনা বেগম।

এ ব্যাপারে জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জুয়েল সরকার বলেন, আমার বাবার  কেনা জমিতে বাড়ি করছি। প্রতিবেশী  ফাইয়াজুল হক সাজু আমার বাড়ির এক শতক জমি নিজের বলে দাবি করেন। এ জন্য আমার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন তিনি। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৯ মার্চ সাজুর নেতৃত্বে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

আরও খবর



নববর্ষের উল্লাসে পালিত হলোনা মধুপুরের পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭৫জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃসময় চলে যায়। মহাকালের স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরাও এগিয়ে চলি সামনের দিকে। পিছনে পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি৷ আজ থেকে ৫৪ বছর আগে এমনি একটি পহেলা বৈশাখে মধুপুরের ছাত্র-যুবক সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনে উজ্জীবিত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৭১ সালে মধুপুরের সেই উত্তাল দিনগুলোর প্রত্যক্ষ সাক্ষী মোহন লাল দাস । মধুপুরের ভবিষৎ প্রজন্মদের জন্য তার স্মৃতিচারণ মুলক লেখাটি হুবুহ তুলে ধরা হলো-“তথ্যের অন্তরালে তত্ত্ব।

স্মৃতির পাতার ধারাবারিকতায় ছন্দপতন ঘটিয়ে ১৯৭১ এর ১৪ই এপ্রিল সম্বন্ধে কিছু লেখার লোভ সামলাতে পারলাম না।তাই কিছুটা কাল্পনিক মোড়কে বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছি। বর্ণনায় অনেক ভুল সেই কথা সাজানোর অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছিএবং আমার বর্ণনা যদি মধুপুরবাসী কোন পাঠকের হৃদয়ে স্থান পায় নিজেকে ধন্য মনে করবো৷এখানে জানিয়ে রাখি কারো নাম উল্ল্যেখ করে ব্যাক্তি আক্রমন আমার স্বভাব বিরোদ্ধ।তাই কিছুটা কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি।

১৪ই এপ্রিল মধুপুর পাক হানাদার প্রতিরোধ দিবস।প্রশ্ন জাগে আজও কি পাক-বাহিনী বাংলার মাটিতে চষে বেড়ায়,আজও কি নরঘাতক পিচাস মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারী স্বৈরাচারী নৱাধম গোষ্টী বর্তমান ? ওরা না কবে তল্পী টোপলা গুটিয়ে চলে গেছে! না _ ওরা চলে গেছে ঠিকই ওধু এক দল সাপুড়িকে সাপ খেলানোর মন্ত্ৰ শিখিয়ে গেছে | ঐ সময় একটা গোষ্ঠি পাক বাহিনীর আগমনের প্রত্যাশায় প্রহর গুনতো।তারা কারা ? তারা তো তারাই যারা বঙ্গবন্ধুর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে অন্তর থেকে মেনে নিতে পারে নাই৷

মধুপুর যখন আকাশ পথে বোমা বর্ষন হচ্ছে আতঙ্কিত সবাই শুধু প্ৰানটা হাতে নিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে চলছে ঐ মূহুর্ত্তে জনৈক একজন তিনি দৌড়াচ্ছিলেন বয়সের ভারে দৌঁড়াতে না পেরে পা পিছলে পড়ে যায়। ঐ সময় তার মুখ নিসৃত বাণীটি ছিল এরূপ। “হালারা স্বাধীন মারায়„ পাঠক মহোদয় শেষের শব্দটা আমি হুবুহু তুলে ধরি নাই কারণ অশ্লীলতার একটা সীমা আছে।শুধু এইটুকু জেনে রাখুন তার সংযোজিত শব্দ ছিল ওর চেয়ে আরও ৩ মাত্রা পঞ্চমে। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় তিনি ছিলেন সকল মুক্তিকামী মানুষের থেকে আলাদা দৃষ্টিভংগী সম্পন্ন।পাক বাহিনী এসে সিও অফিসে তাদের প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো।

এবার তিনারা ও বিশেষ একটি দলীয় পরিচয় ও মর্যাদা নিয়ে করমর্দন ও স্বাগতম জানালো।পাঠক বুকে বুক মিলাতে পারে নাই কারন তারাও জানতো পাক বাহীনীর মর্জির উপর তাদের জীবন নির্ভর করে। বিষ্টায় যার জন্ম বিষ্টাইতো তার প্রিয়। শুরু হলো পাক বাহিনীর নির্দেশে এই দলের মাধ্যমে রাজাকার আলবদর ভিন্ন ভিন্ন পাক সহায়ক বাহিনী গঠন।এখানে উল্ল্যেখ্য মনপ্রানে এরা সবাই পাক সহায়ক নয় এদেরকে ভয় আর লোভ দেখিয়ে এই নির্দেশক গোষ্ঠি ভরিয়ে দেয়।

বোয়ালী এবং মধুপুরের আশে পাশের গ্রামে আতঙ্কিত মানুষ পূর্বদিকে কুড়ালিয়া চাপড়ি ছাড়াও পূর্ব দিকে বংশ নদীরপাড় এবং পাহাড় অঞ্চলে আশ্রয় নেয়। কতো বৃদ্ধ বৃদ্ধা গর্ভবতী মা ছোট শিশু কোলে নিয়ে মা ছুটছে ক্লান্তি যেন আজ পরাজিত।শতবর্ষের পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে বাংলার মানুষ আজ মানব মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে তাড়িত পিড়িত মানুষকে আশ্রয় দানের জন্য দুহাত সম্প্রসারিত করে বুকে টেনে নিল। অভয় দিল কিন্তু এই গোষ্টিরা সেখানেও হানা দিতে বাকী রাখলো না।হে মধুপুরবাসী আপনারা কয়েক দিন আগে ঈদ উদযাপন করলেন।

হাদিসের নির্দেশ অনুসারে জানমালের নিরাপত্তার জন্য ছাদগা-ফেতরা দান করেছেন, একবার ভাবুন সেই দিনের কথা যারা এই নিরাশ্রয় মানুষকে আশ্রয় দান করেছে ক্ষুধার্ত কে আহার দিয়েছে মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করেছে তাদের জন্য কি করুনাময় আল্লাহ দরবারে দোয়া চেয়েছেন? ঐ সময়ে চাপড়ির শুধাংশু ডাক্তার আশুরা গ্রামের সতীশ চন্দ্রের মৃত্যুর মূলে খোজ যারা দিয়েছে তারা এরাই। মধুপুরের বধ্য ভূমিতে টাংগাইল, মির্জাপুর, নাগরপুরসহ  ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে গাড়ী ভরে লোক এনে বংশ নদীর তীরে দাড়া করিয়ে কি নৃশংস হত্যা।

মানুষের দোষ গুন থাকে কিন্তু এমনি করে কারো মৃত্যু দেখে যার আনন্দ হয় সে কে ? পাক প্রভুদের খুশি করার জন্য অনেক নিস্পাপ মেয়ে নিয়ে উপহার দিয়েছে। সুপ্রিয় পাঠক পাপের একটা ভান্ডার আছে যেটা পূর্ণ হলে সবই বিকল হয় বাংলার আকাশে দূর্যোগের ঘনঘটা কেটে গিয়ে কাল রাতের অবসান ঘটিয়ে পুব আকাশে রক্তিম সূর্যের আবাস। এবার পাক বাহিনীর সাথে এই গোষ্ঠিও প্ৰমোদ গুনলো। মধুপুরের বাড়ী ঘর সব কিছু থেকে মুসলমানও বাদ পড়ে নাই কিন্তু এরা সম্পূর্ণ অক্ষত কারণ একটু মাথা ঘামালে পরিষ্কার।

পাক বাহিনীর বিদায় প্রাক্কালে ভেংগে পড়লো এ গোষ্ঠি। অশ্ৰু সজল চোখে এক দৃষ্টিতে জানতে চাইলো হুজুর আমরা কিভাবে অন্তরের মনিকোঠায় ধরে রাখবো চারিদিক তো ক্রমান্বয়ে সংকোচিত।পাক পন্ডিত জী বললেন ‘মত যাব রাও’ এতোদিন তোরা সাপ নিয়ে খেলেছিস কিন্তু পাক বিষাক্ত কেউটে গোমাকে নিঃশেষ করবি তোদের অজানা ছিল তাই ছোবল খেয়েছিস।

কিন্তু সাপ ধরবি সাপ নিয়ে খেলবি কিন্তু তোরা অক্ষত থাকবি? বাঃ কী চমৎকার জলে নামবো সাতার খেলবো কিন্তু কাপড় ভিজবে না বাঃ কী মজা। পাক হুজুর প্রথমে ঐ সাপের বিষাক্ত থলেটা কেটে ফেলে দিবি তারপর যত খুশী খেলাবি খেলা দেখাবি তোরা অক্ষত থাকবি৷ সাবধান সেই গুপ্ত ছদ্মবেশী পাক হানাদারের উত্তরসূরি আজও সমাজে পীর সেজে উদীয়মান তরুনদের মগজ ধোলাই করে মাথা মুন্ডন করে মুরীদ বানাচ্ছে।আজ এদের প্রতিরোধে সজাগ সতর্ক থাকতে হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডোমারে চাকুরী দেয়ার নামকরে ২৫ লক্ষটাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক দুলাল পলাতক, থানায় মামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত-আঃ কাদের এর ছেলে দুলাল হোসেন (৫২) এলাকার বেকার যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে এক ভুক্তভুগি দুলালের বিরুদ্ধে ডোমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সুত্রে জানাযায় ডোমার ডিমলার সাবেক এমপি ইঞ্জিঃ শাহরিন ইসলাম তুহিন সাহেবের গাড়ী চালক ছিলেন দুলাল। বিএনপি ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরথেকে দুলাল তার ৬ষ্ঠ তম স্ত্রী রানু বেগমকে নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করে। চলাফেরার ভাব ছিলো রাজকীয়, এলাকায় আসতেন বিভিন্ন ধরণের দামী গাড়ী নিয়ে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোগো স্টিকার লাগিয়ে মানুষের সাথে সক্ষ্যতা তৈরী করে। নিজেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের গাড়ী চালকের পরিচয় দিয়ে নিয়োগপত্র দেখিয়ে এলাকার

বেকার অনেক যুবককে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেয়ার পরথেকে ফোন থেকে শুরু করে সবধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারক দুলাল। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভুক্তভুগিরা ঢাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে তারা কোন চাকুরী করে না, দুই স্বামী স্ত্রী এবং দুলালের ছেলে ইমরান খান (২৪) তারা একটি ঐক্যবদ্ধ চক্র ঢাকা তুরাগ থানা এলাকার ভাবনার টেক মাতবর বাড়ীতে হাজী আঃ রশিদের ৩ তলা ভবনে ভাড়া থেকে বিভিন্ন এলাকায় এধরণের প্রতারণা কর্মকান্ড চালায়। গত ৬মার্চ ২৪ তুরাগ থানা এলাকার মাতবর বাড়ী হাজী আঃ রশিদের বাড়ীতে গিয়ে বাসা ওয়ালার কাছ থেকে জানাযায়, তার বন্ধু হাজী জাফর আলীর ছেলেকে চাকুরী দেয়ার নাম করে ২ জনের কাছে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ৪ মাসের ঘড় ভাড়া না দিয়ে রাতে অন্ধকারে মালামাল রেখে স্বামী ও স্ত্রী ছেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে হাজী জাফর আলী জানান, আমি গতবার হজে¦ যাওয়ার আগে মিস্টি মিস্টি কথা বলে সক্ষ্যতা তৈরী করে। এক পর্যায়ে বলে আপনি হজ¦ থেকে এসে দেখবেন আপনার ছেলে চাকুরীতে জয়েন্ট করেছে। এমনি ভাবে ৮লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময় তার মা রংপুর মেডিকেলে ভর্তির কথা বলে এবং শেষে মা মারাগেছে লাশ বাড়ীতে নেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা নেয় দুলাল। অথচ পরে জানতে পারি তার মা বেঁচে আছে, এমন প্রতারকের নামে

মামলা করবে বলে তিনি জানান। দুলালের ফুপা কেতকীবাড়ী চান্দখানা ইন্দিরার পাড় এলাকার আশরাফ আলী মুন্সি বলেন, দুলাল আমার ভাতীজা হয়,আমার ছেলে রবিউলের চাকুরী দেয়ার নামে প্রথমে বিশ^াস স্থাপন করার জন্য সামান্য কিছু। পরে ধাপে ধাপে ডিও লেটার, ভুয়া নিয়োগ পত্র দেখীয়ে মোট ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ফোন নম্বর বন্ধ করে রাখে। সে কতটা খারাপ লোক নিজ গ্রামে, ফুপা, বোনের শশুর এমন কি মেয়েকে উকিল দিয়ে সেই নতুন জামাইকেও ছাড় দেয়নি প্রতারক দুলাল। চিলাহাটি আদর্শ পাড়ার ওছমান গনির ছেলে নাজমুল ইসলাম বলেন তার কাছ থেকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার, সিরাজুল ইসলামের ছেলে গোলাম হোসেনের কাছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হাতিয়ে নিয়ে পলাতক রয়েছে ঐ প্রতারক চক্রটি। এ বিষয়ে একজন ভুক্তভুগির অভিভাবক আনিছুর রহমান মানিক বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ ডোমার থানায় দুলাল ও তার স্ত্রী রানু বেগম এবং ছেলে ইমরানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। চক্রের মুল হোতা দুলালসহ সহযোগিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান ভুক্তভুগি পবিাররের সদস্যগণ।


আরও খবর



মাগুরার ছয়ঘরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ নারী নিহত আহত হয়েছে ১০ জন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮৭জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা -যশোর মহাসড়কের ছয়ঘরিয়া এলাকায় রাত ৯ টার দিকে বাস ও সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মহিলা নিহত, আহত হয়েছে ১০জন।মাগুরা সদর হাসপাতালে আহতদের চিকাৎসা দেয়া হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।


আরও খবর