Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

নতুন দাম নির্ধারণ এলপিজি গ্যাসের

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জানুয়ারী 2০২3 | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ২৯৭ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকেই এ দাম কার্যকর হবে।

আজ সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এলপি গ্যাসের নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল।

এর আগে ডিসেম্বর মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫১ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৯৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। তার আগে আগস্টের শুরুতে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তখন ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমেছিল ৩৫ টাকা।

তারও আগে জুলাইয়ে এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৫৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। আর জুনে সেটি ছিল ১ হাজার ২৪২ টাকা। তারও আগে মে মাসে ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার কিনতে ভোক্তাকে খরচ করতে হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৫ টাকা।


আরও খবর



রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য রোধে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। গতকাল বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব-২’র এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মো. হৃদয় নামে এক যুবক এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের শিকার হওয়ার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও এলাকা থেকে ৪৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-২’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির প্রবণতা বেড়েছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছেন। এতে এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ছাড়া পথচারীদের হঠাৎ ঘিরে ধরে আশেপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। নারী, পুরুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার তরুণরা পথচারীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করত বলে স্বীকার করেছেন। ছিনতাই ও ডাকাতি ছাড়াও গ্রেপ্তার সদস্যরা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারিসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া চক্রের সদস্যরা নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখতে অন্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় মোহাম্মদপুরের সাদেক খান কৃষি মার্কেটের পেছনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মো. হৃদয় (২২) নামে এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ঢামেকে আহত হৃদয় বলেন, ‘সন্ধ্যায় আমার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য গতিরোধ করে রায়েরবাজারের কিশোর গাং লিডার ডাইল্যা হৃদয়ের লোকজন। পরে আমি মোবাইল দিতে অস্বীকৃতি জানালে ডাইল্যা হৃদয় গ্রুপের পিঞ্জিরা রাব্বি, বিপুল, ফেরদৌস ও ডিজেসহ আরও ৪-৫ জন আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে বন্ধুরা আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসে।


আরও খবর



টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক ;আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আয়ারল্যান্ড।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে আজ শনিবার (১৮ মার্চ)।

টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের পর আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলা এবং জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়েই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে টাইগাররা।

১৫ বছর পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে আয়ারল্যান্ড। এই কন্ডিশনে অনভ্যস্ত আইরিশদের বিপক্ষে স্পোর্টিং উইকেটে নিজেদের সামর্থ্য পরখ করে নিতে চাইছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। আর নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে আইরিশরা।

আইরিশদের বিপক্ষে পরিসংখ্যান অবশ্য বাংলাদেশের পক্ষে। দু’দল এখন পর্যন্ত ১০টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের জয় ৭টি। আয়ারল্যান্ড জিতেছে ২টি এবং একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত। আরও একটি বিষয় হলো, গত এক যুগ ধরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি আইরিশরা।

এদিকে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগার শিবিরে অভিষেক হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের।

বাংলাদেশ স্কোয়াড: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।

আয়ারল্যান্ড স্কোয়াড: অ্যান্ড্রু বালবার্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টিফেন ডহেনি, হ্যারি টেক্টর, মার্ক অ্যাডাইর, লোরকান টাকার, গ্যারেথ ডেলেনি, জর্জ ডকরেল, গ্রাহাম হাম, কার্টিস ক্যাম্ফেল, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রিন।


আরও খবর

বাংলাদেশ ইতিহাস গড়ে সিরিজ জিতল

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩

১০১ রানে শেষ আয়ারল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩




রূপগঞ্জে জমিদার সিটি করলেন স্থাণীয় কৃষকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মোঃআবু কাওছার মিঠু 

নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে কৃষকরা নিজের জমি দিয়ে গঠন করেছে জমিদার সিটি নামে একটি হাউজিং প্রকল্প। উপজেলার ভোলাবো ইউনিয়ন চারিতালুক এলাকায় কৃষকরা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নিজের জমি রক্ষা করতে এ উদ্যেগ নেয় তারা। 


গতকাল চারিতালুক এলাকায় প্রায় শতাধিক কৃষক নিজের ৪’শ বিঘা জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে উদ্বোধন করে জমিদার সিটি নামের হাউজিং প্রকল্পটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার কৃষক ও স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এলাকার কৃষকরা জানায়, চারিতালুক এলাকায় বেশ কয়েকটি হাউজিং কোম্পানী রয়েছে। তারা রাতের আধাঁরে আমাদের কৃষি জমি ভরাট করে জোর পূর্বক দখলে নিচ্ছে। তারা ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট করে আমাদের জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের এ আগ্রাসী কর্মকান্ড থেকে নিজেদের জমি রক্ষা করতে আমরা এলাকার কৃষকরা একত্রিত হয়ে জমিদার সিটি গঠন করেছি। চারিতালুক এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক প্রথমে ৪’শ বিঘা জমি দিয়ে জমিদার সিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আরও বলেন, আমাদের সম্পদ রক্ষা করতে আমরা নিজেরাই হাউজিং প্রকল্প গঠন করেছি। 


স্থাণীয় জমিদার ফরহাদ হোসেন ভূইয়া খোকন বলেন, এখানে আমার ১’শ ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানী এসে আমার জমি জোর পূর্বক ভরাট করে দখলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকার সকল জমির মালিকগন মিলে আমরা জমিদার সিটি গঠন করেছি। কৃষক আলী আকবর, ফরিদ আহমেদ সোবহান, মোহাম্মদ আলী, আরজু মিয়া ও মোঃ ইব্রহিম মিয়া জানান, আমরা নিজেদেও জমি রক্ষার জন্য জমিদার সিটি গঠন করেছি। এ জমিদার সিটি প্রকল্পে আমরা সবাই সদস্য। আমরা সবাই মিলেই একটি পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলবো।

এ বিষয়ে জমিদার সিটির চেয়ারম্যান ডাক্তার আব্দুল কবির জানান, বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প চারিতালুক এলাকার কৃষকদের জমি দখল করে অবৈধভাবে বালু ভরাট করছে। এজন্য এলাকার সকল কৃষকরা মিলে একটি আবাসন প্রকল্প গঠন করার প্রস্তাব দেয়। তখন আমরা সবাই মিলে জমিদার সিটি নামে একটি আবাসন প্রকল্প গঠন করি। প্রকল্পটির মালিক স্থাণীয় জমিদারগণ। জমিদার সিটির প্রতিটি জমি নিস্কন্টক ও নির্ভেজাল।


এখানে প্লট কিনে কেউ প্রতারিত হবার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন এখানে নিন্ম আয়ের মানুষও স্বল্প মূল্যে প্লট ক্রয় করতে পারবে। এজন্য আমরা কিস্তিতে মূল্যে পরিশোধের সুযোগ রেখেছি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



আদালতের আদেশ অমান্য করছে পুলিশ কনস্টেবল মা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ২৩২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোটারঃ-

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত মো: কামরুল ইসলামের একমাত্র ছেলেকে আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করে পিতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কামরুল ইসলাম ফেনী জেলার লেমুয়া বাজারের লেমুয়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। 

জানা যায়, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার কেওয়ার জোড়  গ্রামের আজিজুল  হকের পুলিশ কনস্টেবল মেয়ে হাবিবা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।সংসার জীবনে মো:রাদ্দীদ বিন কামরুল নামক তাদের তিন বছরের একটা পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে উভয়ের বনিবনা না হওয়ায় এবং কামরুল ইসলামের স্ত্রী পুলিশে চাকুরির সুবাদে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ।


কামরুল ইসলাম কে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার সর্বোপরি ৩০০০০০/- টাকার স্বর্নলংকার ২০০০০০/- টাকার আসবাবপত্র সহ নগদ টাকাপয়সা নিয়া সংসার করবেনা মর্মে অন্যত্রে চলে যাওয়ার কারনে পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারন দেখিয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জ জেলার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে স্ব শরীরে হাজির হয়ে তালাক প্রদান করে।


এ সুবাদে পুলিশ কনস্টেবল হাবিবা তার সন্তানকে কর্মস্হল  সিলেট জি,আর,পি থানায় ব্যারাকে নিয়ে যায়। বাবার সাথে সন্তানের দেখা সাক্ষাত বন্ধ করে দেয়। কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়,একমাত্র আদরের সন্তান যেন পিতৃ-স্নেহ থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য কামরুল ইসলাম তার তালাক দেওয়া স্ত্রীর কথা মত প্রতি মাসে ৫০০০/- টাকা দিয়ে ছেলেকে দেখতে পেত। যার রশিদ প্রতিবেদকের কাছে জমা আছে। কিন্তু হঠাৎ দেখা করা বন্ধ করায়  তিনি গত ১৯ শে জুন ২০২২ ইং তারিখে হবিগঞ্জের পারিবারিক আদালতে পারিবারিক মোকদ্দমা নং ৪৪/২০২২ সন্তানকে দেখার আবেদন করেন।


আবেদন পর্যালোচনা করে আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার সকাল ১০'০ টা থেকে বিকাল ৪'০ টা পর্যন্ত সময়ের জন্য বাদীর নাবালক পুত্র মো:রাদ্দীদ বিন কামরুল কে তার পিতার সহিত দেখা সাক্ষাৎ করার জন্য সি,আই রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকি, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, সিলেট কার্যালয়ে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেন। প্রথম কিছুদিন সি,আই এনায়েত উল্লা পিতা পুত্রকে দেখা সাক্ষাত করার ব্যবস্থা করে দিলেও হঠাৎ সহযোগিতা বন্ধ করে দেয় বলে কামরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়।


কামরুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য প্রতিবেদক পরিচয় গোপন রেখে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন চালায়। সিলেট জি,আর,পি তে কর্মরত হাবিবার একাধিক সহকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাবিবার অনেতিক কাজের কথা স্বীকার করে। এবং  সিনিয়র কর্মকর্তাদের হাত করে পুলিশি ক্ষমতা ব্যবহার করার পাশাপাশি কামরুল ইসলাম কে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দমকির কথা ও শুনা যায়। 

ছেলেকে তার বাবার সাথে দেখা করতে না দেওয়ার কারন জানতে চাইলে হাবিবা বলেন, রাদ্দীদ তার বাবার কাছে গেলেই  অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি মা হিসাবে তা চাই না। তাছাড়া তার বাবা তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। আমার কষ্ট হয়। আমি ও সি,আই স্যার সবাই কামরুল কে কল দেই, সে কল রিসিভ করে না। তাই দেখা করতে দেই না। 


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সি,আই এনায়েত উল্লা' বলেন ওদের ঝামেলা আমি বইতে পারব না তাই এগুলোর মধ্যে নাই। তাদের ব্যাপারে তারাই ভাল জানে। কিন্তু রাদ্দীদের বাবা কামরুল ইসলাম বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, ছেলে অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই, তখন কি টাইম মেন্টেইন করা যায়।তাছাড়া মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে অতিরিক্ত রেশন আদায়ের অভিযোগ ও পাওয়া গেছে হাবিবার বিরুদ্ধে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে আ. লীগ সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ আহ্বান জানান। বিএনপি ঘোষিত ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে: ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যে নির্বাচন হয় সেটা ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেই নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু বুধবার নির্বাচনকে ঘিরে যা ঘটেছে তা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি।

‘এটা ঘটা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে ৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আজকে তারা সেটা বাতিল করে ফেলেছে। এখন দেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। তারা এভাবে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

বিএনপির আন্দোলন চলছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলনে ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাহাত্তর সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে ১৯৭১ সালের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এরপর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনটা আজকে আছে

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। আজকে কোন রাষ্ট্রে বাস করছি আমরা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। যা শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ও হয়েছিল। তিনিও বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আসলে আওয়ামী লীগ হলো চোর। সব ক্ষেত্রে তারা চুরি করে। এর চেয়ে বড় চোর বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন তারা যমুনা নদী সংকুচিত করতে প্রকল্প নিয়েছে। আসলে এখন কিছু নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কষ্ট হয় যে, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এই নেত্রীকে সাপোর্ট করে। তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন করেন। এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? চিৎকার দিয়ে বলতে পারি আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। আজকে দেশের মানুষ ভাত পায় না, চাল পায় না। একজন শ্রমিক তার ছেলেকে প্রোটিন হিসেবে ডিমও খাওয়াতে পারে না।

আলোচনা সভায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাব। ২৭ দফা রুপরেখা বাস্তবায়ন ও দেশ জাতিকে রক্ষার জন্য যুগপৎ আন্দোলনে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা সবাই শরিক হবেন এই প্রত্যাশা করি।’

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন নেতারা।


আরও খবর