Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২২ মাগুরায় মহানবী (সাঃ)কে কুটুক্তি করায় দুটি বাড়িতে আগুন সংঘর্ষে পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক মিরসরাইয়ে আবারো মিললো অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, পরে ধ্বংস শীঘ্রই বাজারে আসছে টেকনো ক্যামন ৩০ সিরিজের ফোন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবাজার বিপণিবিতানের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে উদ্ধারে বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া সুনামগঞ্জের ২৮৫ কৃষি উদ্যোক্তা পেলেন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ‘প্লাটিনাম’ গ্রেডে লিড সার্টিফিকেট পেলো নিপা গ্রুপের ২ সহ প্রতিষ্ঠান

নওগাঁর নিভৃত পল্লী গ্রাম মশিদপুরে দিনব্যাপী বইমেলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১১জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা; নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁর মান্দা উপজেলার নিভূত পল্লীগ্রাম মশিদপুর। জেলা শহর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম কর্ণারে এর দুরুত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। এটি জেলার মান্দা ও নিয়ামতপুর উপজেলা এবং রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম। জেলা, উপজেলা ও সীমান্তবর্তী হওয়ায় অবহেলিত নিভৃত পল্লী গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামে রয়েছে কলেজ, মাদরাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও নানা কারণে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার প্রবণতা অনেক বেশি। এতো প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বর্তমানে বিভিন্ন অবস্থানে রয়েছেন একদল যুবক। নতুন প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে একটি সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগার’। এ সংগঠনের আয়োজনে সারা বছরই শিক্ষামুলক বিভিন্ন কর্মসূচী করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে বইমেলা অন্যতম। এবার মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২তম বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের উদ্যোগে মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করে। সকাল ৯টায় বইমেলা শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মেলায় রাজশাহী ও স্থানীয় ৬টি বইয়ের স্টল অংশ নেয়। যেখানে গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও ছোটদের জন্য ছড়া বই রয়েছে। প্রতিটি বইয়ের মুল্য ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সোস্যাল মিডিয়ার প্রতি আগ্রহ কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ব্যতিক্রম এমন আয়োজন করা হয়। বইমেলার পাশাপাশি আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা, গল্প বলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। যেখানে ৪০ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় হাজার শিক্ষার্থীদের আগমনে মিলন মেলায় পরিনত হয়।

যেখানে শিশু, কিশোর-কিশোরী সহ বিভিন্ন বয়সীরা বই কেনাকাটা করে। শুধু এ গ্রামের মানুষের জন্য এ বইমেলার আয়োজন নয়, আশপাশের তিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা বইমেলাকে কেন্দ্র করে এক দিনের উৎসবে মেতে ওঠে। শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রত্যন্ত এলাকায় বই মেলা হওয়ায় উচ্ছস্বিত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

মেলায় গুনিজনদের আমন্ত্রন জানানো হয়। তারা শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধলে ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে সচেতনরা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। 

জানা যায়, শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষে বই পড়া, বই কেনা ও শিক্ষার প্রতি নতুন প্রজন্মকে আগ্রহী করে গড়ে তোলার লক্ষে ২০১১ সাল থেকে ‘মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি’ গড়ে তোলা হয়। এ সমিতির ব্যানারেই শিক্ষার প্রসারে নানা কার্যক্রম চলে বছরজুড়েই। বই মেলা উপলক্ষে দিনটির শুরু থেকে গ্রামে যেন এক উৎসব বিরাজ করে। আশপাশে কয়েকটি গ্রাম ও প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা মেলায় আসে। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বইমেলা থেকে বিভিন্ন জ্ঞানমুলক বই পেয়ে আন্দিত শিক্ষার্থীর।

কবিতা আবৃতি, কৌতুক, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিমেল সরকার ও অষ্টম 

সামিয়া ইসলাম বলেন, আমাদের স্কুল মাঠে বইমেলা হচ্ছে। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসেছে।  আমাদের এ প্রত্যন্ত গ্রামে বইমেলায় হওয়ায় অত্যান্ত আনন্দিত। পাঠ্য বইয়ের বাহিরে বই মেলা থেকে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করা যায়। যেখান থেকে আমাদের জ্ঞান চর্চায় সহায়ক ভূমিকা রাখে। মেলা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।

মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি সাধারন সম্পাদক শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যন্ত এ গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বেশি। এর কারণ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা কম। এ কারণে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার প্রবনতা বেশি। সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষাবৃত্তি চালু করার পর ঝরে পড়ার প্রবনা কমেছে। বর্তমানে নতুন প্রজন্ম ও শিক্ষার্থী সোস্যাল মিডিয়ায় ঝুঁকে পড়েছে। তাদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বইমেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া সমিতির ব্যানারেই বছরজুড়েই চলে শিক্ষার নানা কর্মসূচী। বর্তমানে মানুষের মধ্যে বই পাঠের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এ কারণে গ্রামে পর্যায়ক্রমে এখন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিভাবকরাও তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানোর ক্ষেত্রে আগ্রহী হচ্ছেন।প্রতি বছর শিক্ষাবিদদের ওই গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারা শিক্ষার উন্নয়নে দিকনির্দেশনা দেন।

বইমেলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের সহ-সভাপতি ও চৌবাড়িয়া হাট কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল জেলার অগ্নীবিণা কেন্দ্রীয় সংসদের চেয়ারম্যান, নজরুল ভাবুক কবি ও সিনিয়র সাংবাদিক এইচ.এম সিরাজ।

এ সময় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ, মশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ এবং মশিদপুর শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক প্রমূখ বক্তব্য দেন।


আরও খবর



কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান জানিয়েছেন,আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে, তাই আমদানির কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানির ঈদের জন্য আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল ও ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই।

আব্দুর রহমান বলেন, আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।

তিনি বলেন, আগামী কোরবানির ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কোরবানির ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সেই আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করছি।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, গতবারের তালিকার চেয়ে আমাদের তিন লাখ বাড়তি সরবরাহ আছে। গত বছর আমাদের ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। সেই তুলনায় এবার ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি পশুর সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে।

পশুর হাটে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ওই সময়ে এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ বিশেষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে কোরবানির আগে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করব, কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।


আরও খবর



পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড পৌনে ৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এবার রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা,কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে পাওয়া গেছে। যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খুলে পাওয়া রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা মসজিদের দোতলায় এনে গণনার কাজ চলে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ শনিবার দিবাগত রাত ২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টাকাগুলো পুলিশি নিরাপত্তায় রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়ে। এবার দিন বেশি হওয়ায় একটি ট্রাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল। পরে মসজিদের দোতালায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। দানবাক্সে পাওয়া টাকার পরিমাণ এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সবশেষ ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ-সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিতে এবার আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।


আরও খবর



শিক্ষার পেছনে ব্যয় এটা বিনিয়োগ: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এর পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে হবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হতে যা যা দরকার এবং বিশ্বপরিমণ্ডলে ঠিকে থাকতে হলে যা দরকার; সেটা আমরা প্রবর্তন করতে চাই। শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনও সময় গেছে মাসের পর মাস ফলাফল পড়ে থেকেছে। শিক্ষার্থীরা সেটা পায়নি। কিন্তু এখন একটা নিয়মের মধ্যে আনা হয়েছে। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে সরকার বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের একটাই ইচ্ছা ছিল, দেশের মানুষের মাঝে শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। যেন তারা শিক্ষায় মনযোগ দেয়। দিনে দিনে আমাদের দেশে স্বাক্ষরতার হার বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বলতে চাই, যারা এখনও শিক্ষার বাইরে রয়েছে তাদেরকে শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া কোনো উন্নতি সম্ভব নয়, সেজন্য শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে সরকার। শিক্ষার পেছনে ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখে। এরপর মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



ডিএমপির কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্টিলিজেন্স ভিত্তিক পুলিশিং বিষয়ক কর্মশালা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ২৩ এপ্রিল এবং ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ঢাকা- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে ইন্টিলিজেন্স ভিত্তিক পুলিশিং বিষয়ক কর্মশালা আয়োজন করেছে গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ(জিআরএসপি)। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে, জিআরএসপি ২৩ এপ্রিল ও ২৪ এপ্রিল মোট ৬২ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। 

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন) জনাব এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “ডিএমপিকে আধুনিক ও সর্বশেষ কলাকৌশল সম্পর্কে আপডেট রাখা এবং প্রশিক্ষণ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আমি নিশ্চিত যে, এই কর্মশালা, আমাদের অফিসাদের সক্ষমতা আরও উন্নত করবে এবং ঢাকার নাগরিকদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য সাহায্য করবে। 

জিআরএসপি’র সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা রাসেল নাইমান প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন। যুক্তরাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে ৩০ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন তিনি। কর্মশালায় বৈশ্বিকভাবে অনুশীলন করা ‘সেফ সিস্টেম এপ্রোচ’ অনুসারে সড়ক নিরাপত্তার ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলায় পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতা বুদ্ধিতে জোর দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণের ফলে পুলিশ কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় রোড পুলিশিং কৌশলগুলি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং সড়ক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার মাধ্যমে সড়ক-সংঘর্ষজনিত মৃত্যু ও হতাহত কমাতে সক্ষম হবেন। কর্মশালার সময় তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলেন “ এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ অফিসারদের সক্ষমতা বাড়বে। তারা তথ্য বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে এবং সড়কে মৃত্যু হ্রাসে যথাযথ ভূমিকা নিতে পারবে।


আরও খবর



শ্রমিক দিবসে খাবার ও পানি এবং গেঞ্জি বিতরণ করেন সুজন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি :আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে রাজশাহীর তানোরে এমপি ফারুক চৌধুরী পক্ষে  খাবার ও বিশুদ্ধ পানি এবং গেঞ্জি বিতরণ করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ সেবক আবুল বাসার সুজন। বুধবার দুপুরের দিকে থানা মোড়ে শ্রমিকদের মাঝে এসব বিতরণ করেন তিনি। এর আগে সকালের দিকে পৌর এলাকার কালিগঞ্জ বাজার ও কাশেম বাজার মোড়েও নিজ উদ্যোগে এসব সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। গত সোমবার ও মঙ্গলবারে তীব্র তাপদাহে ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া শ্রমিক দের মাঝে ছাতা ও জুস বিতরণ করেন সুজন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে থানা মোড়ে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরন করবেন বলেও জানান তিনি। এসময় পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শিবলন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল, ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ইনসান আলী, শাবান আলী সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সুজন বলেন, আমি যা কিছু করছি মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তোষ্টি অর্জনের জন্য। মানুষ মরনশীল সবাইকে সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে। সাথে কিছুই যাবে না। শুধু মাত্র ভালো কাজগুলো থেকে যাবে। কোন লোক দেখানো বা সুনাম অর্জনের জন্য আমি এসব করিনা না।  আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন আমার এসব কাজগুলো যেন মহান আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন, এটাই আমার প্রত্যাশা।

আরও খবর