Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

নন্দীগ্রামে ৫৮৫০ কৃষকের মাঝে ধান ও পাট বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৮৫জন দেখেছেন

Image

মনিরুজ্জামান মনির নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে কৃষি প্রণোদনার আওতায় উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে আউশ ধান ও পাটবীজ বিতরণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ বিতরণী কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিফা নুসরাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু।

এসময় অন্যান্যদের মধ্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্রাবনী আক্তার বানু, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অপূর্ব ভট্টাচার্য্য ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।

এ উপজেলায় ৫ হাজার কৃষক উপসি আউশ ধান বীজ ও সার এবং ৮৫০ জন কৃষক বিনামূল্যে পাটবীজ পাচ্ছেন। আউশ চাষীরা জনপ্রতি বিনামূল্যে ৫ কেজি আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি  ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাচ্ছেন এবং পাট চাষীরা জন প্রতি এক কেজি করে পাট বীজ পাচ্ছেন।

আরও খবর

মাগুরায় বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ

শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪




দীর্ঘদিন পর সিনিয়র সাংবাদিক বীরপুত্র হাবিবের পুত্র সন্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:গত বৃহস্পতিবার ২৪ রমজান ১৪৪৫ হিজরী ২১ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ০৪ এপ্রিল ২০২৪ বেলা ১১ ঘটিকায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান এর পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে । উল্লেখ্য বড় কন্যা হাবিবা নীম (২৩/০৩/২০০৭ ইং)।

আপনারা আমার পরিবার ও শিশু বাচ্চার জন্য দোয়া করবেন যেন বড় হয়ে কুরআনে হাফেজ ও বড় আলেম হতে পারে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সহযোগিতা করতে পারে । সাংবাদিক হাসিনা ৪ এপ্রিল - ৬ এপ্রিল দুপুরে সদর হাসপাতালের ৯ নং ওয়ার্ডের ৯ নং বেড থেকে ছেড়ে দিলে পুত্র সন্তান আব্দুর রহমান মালিথা কে নিয়ে বটতৈল বাড়ীতে চলে এসেছেন।  

সরকারী হাসপাতাল মানেই ফ্রি চিকিৎসা সেবা না , টাকা দিলেই মিলবে সুন্দর সেবা , অন্যথায় সেবা প্রত্যাশিতরা রাগ করেই চলে যায় বাহিরের বে-সরকারী হাসপাতালে ।

আরও খবর



কুষ্টিয়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃআজ ২ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার সকালে ডিসি কোর্ট চত্বরে "সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা" প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উদযাপন করা হয় ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক), কুষ্টিয়া মোছা: শারমিন আখতার। আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

আরও খবর



৮ হাজার ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল-মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ইতিমধ্যে ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পরে তাহলে সাথে সাথে সেই মৃক্তিযোদ্ধার সনদ ও বাতিল করা হবে। দ্রুততম সময়ে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি নির্মান কাজের প্রতিশ্রতি দেন  তিনি।

আজ বুধবার সকালে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকানে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এর আগে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মন্ত্রী।

মুজিবনগরের উন্নয়নের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন,   মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কেন্দ্রের নির্মান কাজ শুরু হবে।

এদিকে সকাল সাড়ে নয়টায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও মন্ত্রীপরিষদ সদস্যবৃন্দ।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, আওয়ায়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দীন নাছিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এর পরে আম্রকাননে জাকজমকপূর্ণ কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, আনছার, বিএনসিসি ও ছাত্রছাত্রীদের  একাধিক দল কুজকাওয়াজ প্রদর্শন করে।


আরও খবর



গণসংবর্ধনা ও মেয়রের অভিষেক অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:বরগুনা -১ আসনের এমপি গোলাম সরোয়ার টুকুকে গণসংবর্ধনা ও আমতলী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের অভিষেক মঙ্গলবার সকালে পৌরসভা চত্ত্বরের বঙ্গবন্ধু মুর‌্যালের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হয়। গণসংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন আমতলী পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ও সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু এমপি। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এমএকাদের মিয়া, বেতাগী পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবির, তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. রেজবিউল কবির জোমাদ্দার, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান প্রমুখ। সভার শুরুতেই অনুষ্ঠানের সভাপতি পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গোলাম সরোয়ার টুকু এমপিকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও স্বর্নের নৌকার কোট পিন পরিয়ে দেন। সভায় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছোসেবকলী, জনপ্রতিনিধি, আইনজীজিবী, কাউন্সিলর, মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিল।

গণসংবর্ধনার জবাবে গোলাম সরোয়ার টুকু এমপি বলেন, আমি আমতলীতে শান্তির সুবাতাস নিয়ে এসেছি। কেউ আমতলী অশান্ত করবেন না। তিনি আরো বলেন, মত পথ ভিন্ন থাকতে পারে কিন্তু সকলের মর্যাদা এক। কলকে মর্যাদা দিতে হবে। তিনি আরো বলেন আমি আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলাকে মডেল এবং স্মার্ট উপজেলা বানানোর জন্য মেয়রসহ সকল জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা চাই। 


আরও খবর



নিটারিয়ানদের ভাবনায় ঈদ-আনন্দ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন পালন করবেন সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ইসলামের ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করা হয় সাধারণত হিজরি বর্ষপঞ্জির চান্দ্র মাসের হিসাবে। সেই মোতাবেক এবার রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছিল খ্রিষ্টীয় দিনপঞ্জির গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার। ২৯ রমজান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। তবে ওই দিন বাংলাদেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে ৩০ রমজান পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর উদযাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরই মধ্যে ক্লান্তিময় জীবনের শেষে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট-নিটার এর শিক্ষার্থীরা সবাই নিজ নিজ পরিবারের সাথে ঈদ পালনের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাসায় পৌছে গেছে । ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে  নিটার শিক্ষার্থীদের কেমন সময় কাটছে, কেমন উপভোগ করছেন ঈদের আমেজ তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                                                    ‘‘অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রেমে মগ্ন হয়ে ঈদের উৎসবে”
আমার ঘুম ভাঙল পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ এবং কাঁচা আমের সুগন্ধে। আম্মু দেখি এখনো বিভিন্ন রকম খাবার  তৈরিতে ব্যস্ত । আমার ছোট ভাই-বোনেরা এসে বলতে লাগল, “ভাইয়া, আজকে কিন্তু আপনাকেও সালামি দিতে হবে।” বললাম, “আচ্ছা ঠিক আছে। তবে আগে গোসলটা করে আসি।” আমার নানুর বাড়ি আমাদের বাড়ির মোটামুটি পাশেই। গোসল করার পর কাপড়-চোপড় নিয়ে নানুর বাড়ি গিয়ে মামাদের ডাক দিলাম। বললাম, “চলেন, নদীতে গোসল করতে যাই।” সবাইকে নিয়ে মাতামুহুরি নদীতে একসাথে গোসল করলাম। অনেক মজা করলাম। আমার নানুর বাড়ি যেহেতু কাছে, তাই ঈদ মানে আমার দ্বিগুণ উৎসব দ্বিগুণ আনন্দ। গোসল করে বাসায় গিয়ে তৈরি হয়ে সবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে রওনা দিলাম । ঈদের নামাজ পড়ে সবার সাথে কোলাকুলি করলাম। ধনী-গরিব সবাই একসাথে নামাজ পড়ছে, কুশলবিনিময় করছে এরচেয়ে আর সুন্দর মুহূর্ত কি হতে পারে! পুরাতন বন্ধুদের সাথেও দেখা হয়ে গেল।  নামাজ পড়ে বের হতেই চারিদিকে শুধু  সুঘ্রাণ পাচ্ছি। তর সইছে না। বাড়ি গিয়ে  অবস্হা কাহিল, সালামি নেওয়ার জন্য সবাই ঘেরাও করছে ওদের সালামী দিতে গিয়ে আমার পকেট ফাঁকা।  এরপর  প্রথমে নিজের বাড়ি থেকে যে  ভোজন শুরু করলাম, শেষ কিন্তু আর হয় না। এমন ভোজন করলাম যে, পেট ফেটে যাবে এমন অবস্হা, তবু ইচ্ছা করতেছে আরও খাই। কেন খাব না বলেন! খাবারে যদি থাকে পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, সেমাই ও বিভিন্ন রকমের পিঠা ইত্যাদি। তবে হ্যাঁ, ভোজনের সাথে কিন্তু আমিও সালামি নিতে ভুলিনি। এরপর বছরের সব জমানো কথা নিয়ে বিকালে স্কুলের মাঠে পুরাতন বন্ধুরা আড্ডা  দিতে বসলাম। এইভাবে অতিথি পাখির বেশে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে এবং ঘুরে বেড়িয়ে আমার ঈদ কাটালাম।
কবির মোহাম্মদ গালিব তাসপি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                          ‘‘ছোটবেলার সেই চাঁদরাত আর আজকের চাঁদরাত”
ছোটবেলায় বিশ রোজার পর অপেক্ষায় থাকতাম কবে ২৯ রোজা আসবে, চাঁদ উঠবে। দোয়া করতাম যেন, কোন মতেই ঈদ ৩০ রোজায় না হয়। কারণ ২৯ রোজায় চাঁদ ওঠা একটা অনিশ্চয়তার ব্যাপার, আর তাই মজার। ইফতার করতে পারতাম না সেদিন, পানি আর দুই একটা জিনিস মুখে দিয়েই দৌড়। পিছন পিছন আম্মা হয়তো বলত, এই দাঁড়া, দাঁড়া। কে শোনে কার কথা? আমরা থাকতাম কলোনীতে, চাঁদ দেখতাম বড় মাঠে গিয়ে। আমরা এখন আর কলোনীতে থাকি না, সেই মাঠ এখনো আছে, কিন্ত আমরা ঢাকাবাসীরা কতদিন চাঁদ দেখি না। এখন চাঁদ দেখা যায় চুয়াডাংগা, পঞ্চগড় এ।আর দেখা যাবেই বা কেম নে ঢাকাতে এখন আকাশ দেখা যায় নাকি? চাঁদ উঠলে আমরা বাজি ফুটাতাম, তারাবাতি জালাতাম। আরেকটু বড় হলে ভাইরা ডেক সেটে গান ছাড়ত, মসজিদে মসজিদে আল্লাহু আল্লাহু ধ্বনি, অসাধারাণ সেই সুর, কিছুক্ষন পর পর হুজুরের জানিয়ে দেয়া ঈদের জামাতের সময়। বাসা বাসা থেকে আসত রান্নার গন্ধ। সব মিলিয়ে আনন্দটা ছিল অনেক বেশি। এখন আর ছোট নেই, আমি বড় হয়েছি। এখন অনেক দায়িত্ব। তবুও মাঝে মাঝে খুব ছোট হতে ইচ্ছা করে আবারো! আলহামদুলিল্লাহ্‌ এখনো ঈদে অনেক আনন্দ আছে, অন্যরকম এবং দায়িত্বের। ছোট বেলার সেই বল্গাহীন আনন্দটা নেই। তবে সেজন্য আমি দুঃখিত নই এতটুকুও, মাঝে মাঝে নস্টালজিক হয়ে যাই এই আর কি! সবাইকে ঈদ মোবারক।
মোঃ আরাফাত হোসেন রাফি, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                        ‘‘ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে পরিবার”
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে নিয়ে আসে সীমাহীন আনন্দ ও ভালোবাসা। ব্যস্ত পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জীবনে ঈদ নিয়ে আসে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। বয়স ভেদে মানুষের কাছে ঈদের সংজ্ঞা বা ঈদের আনন্দের রঙ একটু আলাদা। কেউ সকালে শত আশা-প্রত্যাশা নিয়ে জেগে উঠে ঈদের দিন ভোরে সকলের দোয়া নেওয়ার আশায়, কেউবা শত ত্যাগ এর মাধ্যমে হাসি ফুটিয়ে দেয় পরিবারের ছোটোবড় সকলের মাঝে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বন্ধু ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়াই ঈদের সার্থকতা। আবার, সকল ছেলেদের কাছে ঈদ স্বপ্নের চেয়ে কোন অংশে কম নয়! কারণ, এই দিনে সে নিজের বাবার সাথে কোলাকুলি এবং সালাম করার মাধ্যমে জীবনের সকল হতাশা কাটিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করে জীবন, যেমন করে ঈদের দিন ভোরে একটু একটু করে পূর্ব আকাশে সূর্য উদয় হয় নতুন একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনের আশায়। আবার, শেষ রোজার সন্ধ্যায় সূর্য পশ্চিমে লুকিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে দেখা যায় ছোট্ট একফালি ঈদের চাঁদ। যা সকলের শত ক্লান্তি ও পরিশ্রমের পর স্নিগ্ধ এক হাসির কারণ। ঈদ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মোঃ সাদিয়াল হোসেন, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                  ‘‘ঈদ মানে ব্যস্ত জীবনে আনন্দের ছোয়া”
ঈদ হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ হতে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ উপহার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা পালনের পর ঈদ আনন্দ ফিরিয়ে আনে। ঈদের আগমন ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলার স্মৃতি খুব মনে পড়ে, ছোটবেলায় দাদুবাড়িতেই ঈদ কাটানো হতো। পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদের নামাজে ঈদগাহে যাওয়া কিংবা নামাজে না গিয়ে চাচাতো ভাইয়াদের সাথে সদাই খাওয়া, খেলনা কিনার দিনগুলো এখন শুধুই সোনালী অতীত। যতই বয়স বেড়েছে ঈদের আনন্দ আসতে আসতে কমে এসেছে। তবুও ঈদ যেন পরিবারের মধ্যে ভালোবাসা বাড়িয়ে দেওয়ার সু্যোগ করে দেয়। ছাত্রজীবনে পড়াশোনা, খেলাধুলা কিংবা বিভিন্ন জায়গায় সময় অতিবাহিত করতে গিয়ে আমরা পরিবারের সদস্যদের থেকে কিছুটা দূরে সরে যাই। তবে ঈদের সময় বিভিন্ন সম্পর্কের মানুষেরা খোঁজখবর নেয়। পুনরায় যোগাযোগ করার একটি সুন্দর সুযোগ হয়ে উঠে। এবারের ঈদটি কিছুটা বিশেষ কারন এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদ। ঈদের দিন রাত থেকেই অন্য রকমের অনূভুতি হয়। সকালে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু। আব্বু-আম্মুর থেকে সালামি নিতে ভুল হয় না। তারপর কিছুটা মিষ্টিমুখ করে ঈদের নামাজ শেষ হয়। পেটুক হওয়াতে কিছুক্ষণ পর পরই মুখে কিছু দিতেই হয়। সারাদিন আব্বু-আম্মু আর বোনের সাথে অনেক মজায় সময়গুলো কাটে। বিকালে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঘুরতে যাওয়া ঈদ আনন্দের অন্যতম অংশ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের সহপাঠী বন্ধুদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। এই ঈদটি আরো বিশেষ হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই রমজানের শেষের দিকে অর্থাৎ ঈদের আগ মুহূর্তে ঘটে গেছে সূর্যগ্রহণের মতো বিরল এক ঘটনা যা প্রায় ১২৫ বছরের ব্যবধানে হতে দেখা যায়। এই হলো আমার মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের একজনের ঈদ! হয়তো ঈদ উদযাপন খুবই সাধারণ, তবুও ছোটবেলার মতো খুবই জাকজমকপূর্ণ না হলেও এমন বিভিন্ন কারনে এই ঈদ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা ঈদের দিনের মতো বছরের অন্যান্য সময়গুলোও কিছুটা হলেও আনন্দময় করে দিক এবং মুছে দিক সকল বেদনা।
মোঃ আব্দুল হাশেম, ডিপার্টমেন্ট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর