Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স

প্রকাশিত:শনিবার ২১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২৬৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ক্রিস হিপকিন্স। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর তার উত্তরসূরি কে হবেন, এ নিয়ে যে জল্পনা শুরু হয়েছিল তা থমকে গেল। হিপকিন্স বর্তমানে দেশটির পুলিশ, শিক্ষা এবং জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, নিউজিল্যান্ডে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি আজ শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিপকিন্সই একমাত্র প্রার্থী যাকে দলের পরবর্তী নেতা হিসেবে মনোনীত করা হবে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে দলের সংসদীয় ককাসের বৈঠকের পর।

লেবার পার্টির হুইপ ডানকান ওয়েব এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘লেবার পার্টির সংসদীয় ককাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে রোববার দুপুর ১টায়। সেখানেই হিপকিন্সের দলীয়প্রধান হওয়ার বিষয়টির প্রস্তাব উত্থাপন এবং পাস করা হবে।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী হলেও খুব বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হবে না হিপকিন্সের। কারণ, আগামী ১৪ অক্টোবর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

হিপকিন্স প্রথমবার সরকারি দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ হিসেবে। নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের আমলে হিপকিন্স দেশটির দুজন শিক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবারের মতো দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০১৩ সালের শুরুতে তিনি লেবার পার্টির শিক্ষাবিষয়ক মুখপাত্রের দায়িত্ব পান। ২০১৭ সালে তিনি দেশটির পুলিশ, শিক্ষা ও জনসেবাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব লাভ করেন। কোভিড মহামারির সময় ২০২০ সালের নভেম্বরে তিনি দেশটির কোভিডবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


আরও খবর



প্রকৃতি'র ইফতার ও দোয়া মাহফিল-২০১৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

রাজধানীর ডেমরায় হিজলতলা বাদশা মিয়া রোড এলাকায় প্রকৃতি'র ল্যান্ড প্রজেক্ট-১ এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২২ মার্চ এই ইফতার মাহফিলের কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডাঃ মোঃ মনজুরুল হক মন্টু, সঞ্চালনা করেন প্রকৃতি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজাত আলী জাকারিয়া।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক' ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল। ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন(পিপিএম),ডি.কে গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম কাজী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে দেশের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



আরও খবর



কোটি টাকা আয় হলেও উন্নয়নের ছোয়া লাগে নাই পুঠিয়া পৌরসভায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

পুঠিয়া(রাজশাহী) প্রতিনিধিঃবছরে কোটি টাকা আয় হলেও উন্নয়নের তেমন ছোয়া লাগে নাই রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভায়। পৌরসভা জুড়েই নানা অনিয়ম। সারা বছরই রয়েছে মশার উপদ্রব,রাস্তাগুলো যেন মরণফাঁদ,এরপরেও রহস্যজনক ভাবে দিন দিন বেড়েই চলেছে দেনার বোঝা।নানা করনে বন্ধ থাকে পৌরসভার কর্মকতা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা। প্রায় ২ যুগ পার হলেও স্থায়ী ভাবে হয় পৌরসভার কার্যালয়। ২০০২ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৭৫লক্ষ টাকা দিয়েছিল পৌরসভার ভবন নির্মানের জন্য তাও আজ পযর্ন্ত ভবন নির্মানত দুরের কথা ভবন নির্মানের স্থাননির্ধারণ করাই সম্ভব হয়নি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌর সভার একাধিক কাউন্সিলর জানান, এই পৌরসভায় প্রতিবছর বিভিন্ন খাৎ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। তার পরেও আমাদেও বেতন ভাতা বাঁকি থাকে। এই টাকা যায় কোথায় আমরা জানিনা। এ জন্য তারা পৌর সভার সহকারী প্রকৌশলী এবং মেয়রকে দায়ী করেন। তারা বলেন,মেয়র আর প্রকৌশলী মিলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে ভুয়া ভাউচার তৈরী করে অর্থ আতœসাৎ করে আসছেন। এ বিষয়ে পুঠিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন,অর্থ আতœসাতের কথা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়ার্ড । অর্থ সংকটের করনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও বেতন ভাতা দেওয়া যাচ্ছে না। কোথায় কি ভাবে অর্থ ব্যায় হচ্ছে তার সঠিক হিসেব আমার কাছে আছে। ২০০১ সালে পুঠিয়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে১৫ বছর চালিয়েছেন প্রশাসক। এর পর ২০১৬প্রথম মেয়র হন রবিউল ইসলাম রবি, ২০২০ সালে বর্তমান মেয়র আল মামুন ৯৪ লক্ষ দেনা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহন করেন। বর্তমানে পুঠিয়া পৌরসভার দেনা প্রায় দেড় কোটি। অথচ এই তিন বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটিও বেশি। পৌরসভার বাসিন্দা রুহুল হাওলাদার বলেন,জন্ম,মৃত্যু,নাগরিকত্বসহ যে কোন সনদ নিতে গেলে তাদেও বেধে দেওয়া ফির এর চেয়েও বেশি টাকা দিতে হয়।এই পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এলাকার কোন উন্নয়ন হয়নি।

এবিষয়ে পৌর মেয়র আল মামুন বলেন,আমি পৌরসভার দায়িত্ব নেবার পর থেকে এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমার জানা মতে এখানে কোন অনয়িম হয়নি।ভবন নির্মানের জন্য ব্যাংকের রাখা অর্থ গায়েবের বেপাওে তিনি বলেন,এই টাকা আমার আগের মেয়র বলতে পারবে এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




"আপনারা সেবা দেন, আমি আপনাদের সব দিব"

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৩৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মন্তব্য করেছেন আপনারা সেবা দেন, আমি আপনাদের সব দিব বলে।

রাজধানীর শাহবাগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এ মন্তব্য করেন তিনি। সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট আয়োজিত আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে চিকিৎসকদের গ্রামে যেতে হবে। একই সাঙ্গে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান আপনারা ঢাকার বাইরে গিয়ে প্রান্তিক জনগ্রোষ্ঠীদের সেবা দিন।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এসময় বলেন, ভালো ক্লিনিশিয়ান থাকলেও আমাদের ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী ।

রোববার (১০ মার্চ) সকালের দিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

২২৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ২০৪ ও ১৯০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা। এরপর যথাক্রমে ১৭১ স্কোর নিয়ে পাঁচ নম্বরে নেপালের কাঠমান্ডু ও একই স্কোর নিয়ে ভারতের কলকাতা ছয় নম্বরে আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কিনা, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে হঠাৎ ঝড়-শিলাবৃষ্টি একরাতে তছনছ গ্রামের পর গ্রাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি;গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শনিবার রাতে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হাওয়া ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে এক রাতে তছনছ হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বাড়িঘর ও গবাদি পশু রাখার ঘরের টিনের চাল ফুটো হওয়ায় বিপদগ্রস্থ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।

অপরদিকে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রামের কৃষকের মাথায় হাত। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাতে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার তারাবির নামাজ ও রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ। রাত পৌনে ১০টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। আবারও রাত ১টার দিকে আঘাত হানে ঝড়ো হাওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। বসত-ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে ছোট-বড় শিলা। এর সঙ্গে ছিল বৃষ্টির পানিও। আতকে উঠেন ঘুমন্ত মানুষ। মুহুর্তের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বাড়িঘর, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কেউ কেউ ঘরের চৌকি, আবার কেউ কেউ টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নেন। নষ্ট হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক লাইন, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল। এ অবস্থায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন গ্রামের পর গ্রামের মানুষ। দুই দফায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতের কবলে পড়ে উপজেলার বহেড়াতলী, গাছবাড়ী, সোনাতলা, কাথাচুড়া, চাবাগান, ঠেঙ্গারবান্দ, বোয়ালী, বর্মণপাড়া, ফুলবাড়িয়া, পাবুরিয়াচালা, বড়ইবাড়ী, কুটামনি, ডাকুরাইল, কোন্দাঘাটা, পিপড়াসিট, গোলুয়া, ঢোলসমুদ্রসহ বিভিন্ন গ্রাম। এই ঝড় ও ভয়াবহ শিলা বৃষ্টির কবলে পড়ে এসব গ্রামের গরু রাখার ঘর ও গবাদি পশুও। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মৎস্য খামার, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রামের কৃষকের মাথায় হাত বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তাদের অভিযোগ, কৃষকের এমন অবস্থায়ও কোনো খোঁজ-খবর রাখেনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। অপরদিকে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর থেকে বৈদ্যুতিক লাইন ত্রুটি হয়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এসব গ্রাম। ফলে বন্ধ রয়েছে রাইস মিল, মশলা গুড়ার মেশিন, ফ্রিজ, অনেকের মোবাইল ফোনসহ বৈদ্যুতিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র।

ঠেঙ্গারবান্দ এলাকার সাংবাদিক ইমারত হোসেন জানান, হঠাৎ করে রাতে দুই দফায় ঝড় ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আমার ৮০ হাত ঘরের টিনের চাল নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু আমার নয় গ্রামের বিভিন্ন লোকের ঘরের চালা ফুটো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ টিনের চাল বদলাতে হবে। টিন না বদলালে কোনো লোক তাদের ঘরে বসবাস করতে পারবেন না। তবে এই শিলাবৃষ্টিতে জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মহসিন মিয়া বলেন, ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মাটিতে শিলার স্তুপ জমে গিয়েছিল। এরকম শিলা বৃষ্টি এর আগে কখনো দেখি নাই। অপর ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টিতে কিছু কিছু গ্রামে ঘরের টিনের চাল ঝাজড়া হয়ে গেছে। এছাড়াও গ্রামের পর গ্রামের মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য খামারীরাও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের সুপাভাইজাররা জানিয়েছে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সব গ্রামের কৃষকের খুব ক্ষতি হয়নি। কিন্তু চাবাগান গ্রামে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়নি।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪