নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে খেলায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি একটি গনতান্ত্রিক দল। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গনতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছুতে বিশ্বাস করে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনীতি ও নির্বাচনকে খেলায় পরিণত করেছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, রাজনীতিকে যারা খেলার বিষয় মনে করেন, তারা আল্লাহর ওয়াস্তে রাজনীতি থেকে অবসর নেন। আর বিএনপি যেদিন কর্মসূচি দেয়, সেদিন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ না করারও অনুরোধ করেন তিনি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা বিএনপি কেন্দ্রীয় ঘোষিত এই কর্মসূচি পালন করেছে। আজ বেলা ১১টায় থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। এ সময় উপজেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্বপ্রতিবেদক:নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি এ কথা বলেন।
আজ একটা দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে- আমেরিকার আরও স্যাংশনস (নিষেধাজ্ঞা) আসছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাংশনস-পাল্টা স্যাংশনস, এগুলো দিয়ে কোনো লাভ হয় না। তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। কয়েক দশক ধরে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকেই স্যাংশন দিয়ে রেখেছে। কই ইরানের সরকার তো পড়ে যায়নি। ইরানের সরকার বহাল তবিয়তে আছে। তারপর কিউবার বিরুদ্ধে স্যাংশনস ছিল বহু বছর। কিউবাকে টলাতেও পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাইল দূরেই তো কিউবা। কিউবার সরকার পরিবর্তনও হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। গত ৫১ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা ট্রেনিংসহ নানান সহায়তা দিয়ে আসছেন। সেই সহায়তা অব্যাহতও আছে। আমরা যেটা মনে করি, যারা আমাদের উন্নয়ন সহযোগী আছেন, তাদের সহযোগিতায়ই বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচণ্ড প্রোফাউন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে বহু স্যাংশনস। মিয়ানমারেও তো সরকার পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধেও বহু স্যাংশনস। সেই স্যাংশনস অমান্য করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ তাদের (রাশিয়া) কাছ থেকে আমদানি করছে। ভারতও করছে, অনেকেই করছে...তো এগুলো (নিষেধাজ্ঞা) দিয়ে খুব একটা লাভ হয় না।
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী): ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকারীরা শত শত গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে একজনেরও ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রী দেয়া আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পাকা ঘড়। ২২ মার্চ ডোমার উপজেলা হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি পাকা বাড়ির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের অংশ হিসাবে ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে নির্মাণাধীন ২৫ টি ও কাওলা গ্রামে ১৮ টি পরিবারেরকে বাড়ি হস্তান্তর দেওয়া হয়। বাড়ি পাওয়া পরিবারের মধ্যে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকারী একটি পরিবারের ভাগ্যে জোটেনি প্রধানমন্ত্রী অনুদানের বাড়ি। উপজেলার ভোগডাবুডি ইউনিয়নের অন্তর্গত চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ভারতে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেললাইন পূর্ণ স্থাপন কালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শত শত ভূমিহীন অসহায় পরিবারকে অবৈধ উচ্ছেদ করে দেন। যাহার ফলে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে এই সমস্ত পরিবারগুলি।
রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া গৃহহীন ভূমিহীন অভাবি দুঃস্থ পরিবার গুলি পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন মহলের কাছে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও তাদের কপালে জোটেনি অনুদানের বাড়ি। রেলের জমি থেকে উচ্ছেদকৃত তারিকুল বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ তাদের জমি থেকে আমাদের বসতবাড়ি তুলে দেওয়ার পর থেকে আমি শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে আসছি। সরকারের কাছ থেকে একটু আশ্রয়ের জন্য ডোমার এসি ল্যান্ড স্যারের অফিসে বাড়ির জন্য আবেদন করেছি। আব্দুল মান্নান বলেন, রেলের জমি থেকে বাড়ি ভাঙ্গার পর থেকে অন্যের জমিতে বসবাস করে আসছি। আমিও একটা আশ্রয় চাই। ৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের সময় চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
তখন থেকে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ভারতের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেলের পরিত্যাক্তা জমিতে কর্মহীন অসহায় দুস্থ ভূমিহীনরা বসবাস শুরু করে। এরই মধ্যে সরকার ভারতের সাথে চিলাহাটি হলদিবাড়ি রেল যোগাযোগ পূর্ণস্থাপন কালে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভারতের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেলের জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ কালে শত শত ভূমিহীন পরিবার গৃহহীন হয়ে মানবতার জীবন যাপন করে।ভোগডাবুডি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে দুইটি সরকারি আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ৪৩ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে জমির দলিল ও ঘরের চাবি। যে সমস্ত পরিবার গুলি এই সমস্ত পাকা বাড়ি পেয়েছে তাদের তালিকা অনেক আগেই করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, আমি চিলাহাটি স্টেশনের পাশে তিনটি পরিবারকে দেখেছি। রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ কৃতদের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে অগ্রাধিকারের বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয় দেখবেন।
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনায় টাইটানিক নামের যে বিলাসবহুল জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই প্রথম তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এসব ছবি আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) নিচে ডুবে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা ‘গভীর সমুদ্র ম্যাপিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা! এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
ছবিতে টাইটানিকের খুঁটিনাটি জিনিসও দেখা যাচ্ছে
আশা করা হচ্ছে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে। জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল।
টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পার্কস স্টিফেনসন বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আছে, মৌলিক কিছু প্রশ্ন। যেসবের উত্তর জানা প্রয়োজন। টাইটানিকের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনার ওপর ভিত্তি করে কোনো গবেষণা নয়, বরং তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মডেল বড় ধরনের প্রথম কোনো পদক্ষেপ।’
শতাধিক বছর ধরে পানির নিচে পড়ে থাকার পরেও টাইটানিকের সামনের অংশ দেখলেই চেনা যায়
সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে। এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এটি এতো বিশাল ও সমুদ্রের গভীরে এতো অন্ধকার যে ক্যামেরা দিয়ে এতদিন এর যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোর সবই ছিল এই ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু অংশের ছবি বা স্ন্যাপশট। তবে কখনোই ডুবে যাওয়া পুরো জাহাজের ছবি পাওয়া যায়নি। এখন এই নতুন অনুসন্ধানে সমগ্র টাইটানিকের ছবি পাওয়া গেল।
সমুদ্রের তলায় যেভাবে পড়ে আছে
দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলায় জাহাজটি দুটো অংশে ভাগ হয়ে পড়ে আছে। জাহাজের অগ্রভাগ যেখান থেকে বাঁকা হতে শুরু করে ওই অংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। এই দুটো অংশের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ মিটার (দুই হাজার ৬০০ ফুট)। ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামে একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে।
নিমজ্জনযোগ্য একটি বিশেষ জাহাজে করে একদল কর্মী এই জরিপ পরিচালনা করেছে যা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে পুরো টাইটানিকে ছবি তুলতে তারা ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছে।
নিমজ্জিত জাহাজের প্রত্যেকটি কোণ থেকে তারা সাত লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে যেগুলোর সাহায্যে পুরো টাইটানিকের একটি ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়েছে।
জাহাজের পেছনের অংশ
এই অভিযানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাগেলান লিমিটেডের গেরহার্ড সেফার্ট। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত পানির নিচে ছবি তোলার যতো প্রকল্প তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
তিনি আরও বলেন, ‘গভীরতা প্রায় চার হাজার মিটার। আমাদের সামনে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেখানে পানির স্রোতও আছে। আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না, যাতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আরও ক্ষতি না হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে প্রত্যেক বর্গসেন্টিমিটারের ম্যাপিং করতে হবে। এমনকি জাহাজের যেসব অংশ আগ্রহ-উদ্দীপক নয় সেগুলোরও। যেমন যেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেখানকার মাটির ছবি। কারণ জাহাজের বিভিন্ন অংশকে জোড়া দেওয়ার জন্য এগুলোও ছবি প্রয়োজন।
টাইটানিকের যা কিছু দেখা যাচ্ছে
ছবিতে টাইটানিকের বিশালত্বের পাশাপাশি এই জাহাজের একটি প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বরের মতো ছোটখাটো বিষয়ও ধরা পড়েছে। জাহাজটির সম্মুখভাগে মরিচা ধরে ঢাকা পড়ে গেছে। তার পরেও শতাধিক বছর আগে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে চেনা যায়। এর ওপরেই রয়েছে জাহাজের ডেক যেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটা শূন্যতা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে একসময় ছিল জাহাজের বিশাল সিঁড়ি।
আর জাহাজের পশ্চাদভাগে বিভিন্ন ধাতব পদার্থের জঞ্জাল। জাহাজের এই অংশটি সমুদ্রের তলদেশে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে। টাইটানিকের আশপাশে বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে খসে পড়া অলঙ্কৃত ধাতব বস্তু, মূর্তি এবং মুখ খোলা হয়নি এরকম শ্যাম্পেনের বোতল। সেখানে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের তলানির ওপর অসংখ্য জুতা পড়ে আছে।
পার্কস স্টিফেনসন, যিনি বহুবছর ধরে টাইটানিকের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি বলছেন, ‘এসব ছবি প্রথমবার দেখে তিনি ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন। আপনি জাহাজের এমন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছেন যা কখনও দেখা সম্ভব হয়নি। এবং আপনি ডুবন্ত পুরো জাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন। আশপাশের পরিবেশসহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি এটাকে দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন এটাই এখন এই জাহাজের সত্যিকারের অবস্থা।
তিনি বলেন, ‘এসব ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে ১৯১২ সালের ওই ভয়াবহ রাত্রিতে টাইটানিকের ক্ষেত্রে মূলতই কী ঘটেছিল ওই বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আইসবার্গের সঙ্গে কেমন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বিষয়ে মূলত আমাদের ধারণা নেই। আমরা এও জানি না, সিনেমাতে যেমন দেখানো হয়েছে সেরকম করে জাহাজের সামনের একপাশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল কী না। জাহাজের পেছনের অংশ গবেষণা করলে টাইটানিক কিভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হেনেছিল সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।’
সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, পেছনের অংশ
সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। পানিতে থাকা অণুজীব বা জীবাণু ক্রমশই এটিকে খেয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ ক্রমশই আলাদা হয়ে খসে পড়ছে।
সমুদ্রে এ রকম একটি দুর্ঘটনার কারণ বুঝতে সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়েও সচেতন। কিন্তু এখন যেসব ছবি পাওয়া গেল, সেখান থেকে জাহাজের খুঁটিনাটি বিষয়ও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে এখন হয়তো টাইটানিকের আরও অনেক গোপন বিষয় বের হয়ে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শিক্ষক-কর্মচারী ক্রেডিট ইউনিয়নের (কালব্) এর ৭ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম হাওলাদার।
প্রধান অতিথি ছিলেন দাতা সংস্থা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কালব্) 'গ' অঞ্চলের পরিচালক মো. আরিফ হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. হাফিজুর রহমান ও অম্বিকাচরণ লাহা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক হাওলাদার।
সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো হারুন-অর-রশিদ। ’সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ অন্বেষনে ক্রেডিট ইউনিয়ন’ এ শ্লোগানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন, সদস্য ইসমাইল হোসেন তালুকদার, মুশফিকুর রহমান নাহার, সাংবাদিক মশিউর রহমান মাসুম ও শিক্ষক মো. শাহজাহান আলী খান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ক্রেডিট ইউনিয়নের ডিরেক্টর শিক্ষক হরিচাঁদ কুন্ডু।
নিজস্ব প্রতিবেদক:পর্যায়ক্রমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর সংস্কার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নেতার মাজারসংলগ্ন ঢাকা ফটকের সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মেয়র।
তাপস বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হলেও এই প্রথম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঐতিহ্যের একটি স্থাপনার সংস্কার শুরু করেছে। এ ছাড়া আমরা লালকুঠিতেও সংস্কার শুরু করেছি। সুতরাং পর্যায়ক্রমে আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা করব। যেনো বহির্বিশ্বের পর্যটকরা এসে ঢাকাকে বুঝতে পারে, জানতে পারে এবং শিখতে পারে।
মেয়র তাপস আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় বলেছিলাম, ঢাকার যে ঐতিহ্য আছে, এই ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ ও সংরক্ষণ করতে হবে। শুধু দেশবাসী নয়, বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। তারই একটি শুভ সূচনা আজকে আমরা করতে পেরেছি। এই ঐতিহাসিক ঢাকা ফটক, যেটা রমনা ফটক নামেও পরিচিত ছিল একসময়। তৎকালীন বাংলার সুবেদার মীর জুমলা এটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই সময়ের চিত্র যদি আপনারা দেখেন, এই ফটকই ছিল ঢাকার মূল প্রবেশদ্বার। বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে আসার পরেই এই পথ দিয়েই সবাই ঢাকায় প্রবেশ করত। এই ফটকের চারপাশে হাতি পাহারারত অবস্থায় থাকত। এ রকম চিত্রও আমরা দেখেছি। আমরা সেই ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক চিত্রকে ফিরিয়ে আনতে চাই।
রাশেদ খান মেনন এ সময় বলেন, ‘ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণে মেয়র যে উদ্যোগগুলো নিয়েছেন তা অত্যন্ত সময়োচিত। কারণ এই ঢাকা কেবল রাজধানী হিসেবেই নয়, এর একটা ঐতিহ্য রয়েছে। ৪০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। ইতিহাসের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। ছাত্রজীবনে আমরা এই রমনা গেট দিয়ে ঢুকতাম। ৬২’র সেই সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সময় এখানে মিলিটারি এসে রেইড দিয়েছিল। যাতে করে আমরা অগ্রসর হতে না পারি। এখানেই মিলিটারিদের সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ হয়েছিল। এছাড়াও এখানে ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার রয়েছে। এখানে যে মসজিদটি রয়েছে যেটাকে গরম মসজিদ বলে সবাই আমরা জানি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ।
এ সময় মেয়র, রাশেদ খান মেনন, গণমাধ্যমের উপস্থিত সাংবাদিক এবং করপোরেশনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাসহ সকলেই খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মিঠুন চন্দ্র শীল এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ ও সংরক্ষিত আসনের নারগীস মাহতাব উপস্থিত ছিলেন।