Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

নির্বাচনের বছরে আমাদের তথ্যই কথা বলবে: দুদক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;নির্বাচনের বছরে দুদক চোখ-কান খোলা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। আজ মঙ্গলবার ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক এবং দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনের বছরে সব প্রার্থীর হলফনামায় যে সম্পদ বিবরণী থাকে তা খতিয়ে দেখবে দুদক। এ বছর চোখ-কান খোলা রাখবে সংস্থাটি, প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে। আগামী বছরে দুদকের কাজে আরও গতিশীলতা আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দুদক ঠিকমতো কাজ করছে না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘মামলা, তদন্ত, অনুসন্ধান সব কিছুই বেড়েছে। আমাদের তথ্য কথা বলবে। তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছে। আমরা তথ্য দিলাম, এগুলো সংরক্ষিত আছে। আপনারাই বিবেচনা করবেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, তফসিলভুক্ত না হওয়া এবং দুর্বল তথ্য-প্রমাণের কারণে ২০২২ সালে আসা ৯৫ শতাংশেরও বেশি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেয়নি সংস্থাটি। গত বছর দুদকে জমা পড়ে ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ। এসব যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটি হাতে নিয়েছে ৯০১টি। যা মোট অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ অভিযোগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিতে পারেনি দুদক।

এ ছাড়া ১৯ হাজার ৩৩৮ টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ১৫২টি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে ২২৪টি, মামলা হয়েছে ৪০৬টি, ফাঁদ মামলা হয়েছে ৪টি।


আরও খবর



আ স ম রবকে দেখতে হাসপাতালে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলমান আন্দোলনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের মুক্তির আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

হাসপাতালে কিছু সময় আ স ম আব্দুর রবের পাশে অবস্থান করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও সদস্য শায়রুল কবির খান। 

পরে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, ‌‌‘আ স ম আব্দুর রবকে দেখতে এসেছিলাম। তিনি দেশের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য একজন ব্যক্তিত্ব। এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আসম আব্দুর রব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামকে সংগঠিত করতে কাজ করেছিলেন। তিনি এখনো এই বয়সে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন, কাজ করে যাচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম সদস্য তার দল। আমরা তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি।’

ফখরুল বলেন, ‘আশা করি, দ্রুত তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন, তার যে নেতৃত্ব তা দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন। মানুষকে মুক্ত হতে সহায়তা করবেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আ স ম আব্দুর রব অসুস্থ হলেও আন্দোলনে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। ওনার দল রয়েছে, তাদের সঙ্গে উনি কথা বলছেন, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

‘আমরা এই আন্দোলনকে মনে করছি মুক্তির আন্দোলন। আমরা আশাবাদী ১৯৭১ সালে যেভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ঠিক একইভাবে গণতন্ত্রের সংগ্রামে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে পারবেন’, যোগ করেন মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



বিশ্বনবী কঠিন বিপদে যে দোয়া পড়তেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক:মানুষ যতদিন বেঁচে থাকবে সুখ-দুঃখ, বিপদ-মুসবিত ততদিন থাকবে। বিপদকে ঘৃণা বা খারাপ দৃষ্টিতে দেখার কোনো সুযোগ নেই। অনেক সময় বিপদের কারণেই মানুষ আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। আবার যখন মানুষ চরম অন্যায়ের দিকে ধাবিত হয় তখনই মানুষের ওপর বিপদ-মুসিবত পতিত হয়। তিনি চাইলে মুহূর্তেই বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন।

তবে বিপদে পড়লে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) আমাদের ছোট্ট এই দোয়াটি পড়তে বলেছেন।

আরবি দোয়া : «إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرَاً مِنْهَا».

বাংলা উচ্চারণ : ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহুম্মা আজুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখলুফ লী খাইরাম মিনহা।

বাংলা অর্থ : আমরা তো আল্লাহ্‌রই। আর নিশ্চয় আমরা তার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। হে আল্লাহ! আমাকে আমার বিপদে সওয়াব দিন এবং আমার জন্য তার চেয়েও উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন।” (মুসলিম ২/৬৩২, নং ৯১৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই কোনো কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতেন তখনই তিনি আল্লাহর কাছে একান্তভাবে দোয়া প্রার্থনা করতেন। এ সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) বলতেন-

আরবি দোয়া : - أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

বাংলা উচ্চারণ : আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাযাবিহি ওয়া ইকাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিনি ওয়া আঁই ইয়াহদুরুন। (আবু দাউদ)

বাংলা অর্থ : আমি আল্লাহ তাআলার পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে তার ক্রোধ ও আজাব থেকে, তার বান্দার শত্রুতা থেকে এবং শয়তানের প্ররোচনা থেকে সুরক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তারা আমার কাছেই না আসতে পারে।

সুতরাং প্রতিটি মুমিন মুসলমানের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। কারণ, কার বিপদ কখন কীভাবে আসবে সে কথা তো আর আগে থেকে বলা যায় না। তাই সর্বাবস্থায় মহান স্রষ্টার স্মরণে নিজেকে নিয়োজিত রাখা মুমিনের কর্তব্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। তার রহমতের চাদরে আমাদের আবৃত করুন। আমিন।


আরও খবর



বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাস্টারকার্ডের সাবেক সিইও ভারতীয়-মার্কিনি অজয় বাঙ্গাই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যাংকটির ২৫ সদস্যের নির্বাহী বোর্ড তাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করেছে। খবর বিবিসির।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অজয় বাঙ্গা। তিনি প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান ও শিখ আমেরিকান হিসেবে বিশ্ব ব্যাকের শীর্ষপদে আসীন হলেন।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২ জুন থেকে অজয় বাঙ্গার কার্যকাল শুরু হবে। তিনি ডেভিড ম্যালপাসে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। ম্যালপাসের শেষ কার্যদিবস ১ জুন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৯ সালে মনোনীত প্রার্থী ছিলেন ম্যালপাস।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে বাইডেন বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। তিনি সেই সময় বলেছিলেন, ইতিহাসের এই সংকটময় মুহূর্তে বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অজয় সুসজ্জিত।

খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাংক বোর্ড সদস্যরা গত সোমবার চার ঘণ্টা ধরে অজয় বাঙ্গার সাক্ষাৎকার নেন। এরপর তাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করা হয়। জানা যায়, বোর্ড সদস্যদের ২৪ জনই অজয় বাঙ্গার পক্ষে ভোট দিয়েছে। শুধুমাত্র রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

১৯৫৯ সালে ভারতে মহারাষ্ট্রের পুণেতে শিখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বাঙ্গা। দিল্লির সেন্ট স্টিফেনস কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করেন। এরপর আইআইএম আহমেদাবাদ থেকে এমবিএ করেন।


আরও খবর



মুরগির দাম উঠানামায় পকেট ফাঁকা ক্রেতা সাধারণের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬২জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর ( নীলফামারী) প্রতিনিধি: মুরগির দামে উঠানামা থামছে না। রমজান মাস সহ ঈদে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৮০ টাকা কমলেও বর্তমানে সাবেক দামে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাজারে ব্রয়লার ২৩০/৪০ টাকা, সোনালী মুরগী ৩৪০ টাকা ও দেশি মুরগী ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। 

স্হানীয়দের মতে,মুরগির দামে নাটকীয়তা শুরু  হয়েছে। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে পোল্ট্রি খাত। তারা বলছেন, ভোক্তা অধিদপ্তর তৎপর হলে দাম কমে আর নজরদারি কমে গেলেই সাবেক দামে বিক্রি হয় মুরগী। পোল্ট্রি খাতে দাম উঠানামা করায় পকেট ফাঁকা হচ্ছে ক্রেতা সাধারণের। অন্যদিকে ছোটখাটো ব্যবসায়িরাও তাদের পুজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।  মুরগির দাম উঠানামা কেন হচ্ছে জানতে চাইলে কোন ব্যবসায়িই এর সঠিক কারন বলতে পারেনি। শুধু বলছেন, খামারিদের কাছে বেশি দামে ক্রয় করার কারনে বেশি দামেই তা বিক্রি করা হচ্ছে। 

মুরগির খুচরা বিক্রেতা সেলিম জানান, পাইকারি বাজারে দাম বেশি। ব্রয়লার মুরগী কিনতে হচ্ছে ২০৫ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগী কিনতে হচ্ছে ৪৮০ টাকা কেজি দরে। আর সেগুলি বিক্রি করা হচ্ছে ১০/২০ টাকা লাভে পাইকারী মুরগী ব্যবসায়ি আনসারুল বলেন,খামারিরা পোল্ট্রি ফিডের মুল্যবৃদ্ধির কথা বলে বেশি দামে মুরগী বিক্রি করছেন। এককেজি মুরগী পালনে যা খরচ হয় তার দ্বিগুণ দামে তা বিক্রি করছেন খামারিরা। 

মুরগির খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের মতামতের বিপরীতে খামারিরা বলছেন, ভোক্তা অধিদপ্তর মুরগির উৎপাদন খরচ হিসেব করে যা মুল্য নির্ধারন করে দিয়েছেন তার একটি পয়সাও বেশি নেয়া হচ্ছে না। বাজারে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়িরা অযৌক্তিক ভাবে মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। ভোক্তা অধিদপ্তর যদি কঠোর ভাবে বাজার মনিটরিং করে তাহলে রমজান মাসের দামেই মুরগী বিক্রি করতে বাধ্য হবে।তারা বলছেন, বাজারে অস্হিরতা সৃষ্টি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র।ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তারা কঠোর হলেই সিন্ডিকেট চক্রটির দামের কারসাজি বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে যেতো।

তবে মুরগী ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মতিউর কাজি বলেন, মুরগির বাচ্চা ক্রয় মুল্য ও খাদ্য খরচ অনুযায়ী যে পরিমান খরচ হয়, তার চেয়ে একেকটি মুরগীতে ২০/৩০ টাকা বেশি নিলেই  পাইকারি ও খুচরা বাজারেও মুরগির দাম কমে যাবে।ব্যবসায়ি ও খামারিদের দামের কারসাজি নিয়ে ক্রেকা সাধারনরা বলেন, এরা একে অপরের দোষ চাপিয়েই খালাস। দাম কমানোর চিন্তাই নেই তাদের। তাদের দামের ভেল্কিতে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ক্রেতা সাধারনের। এবিষয়ে সৈয়দপুর বনিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, মুরগির দামে আসলেই লাগাম টানা দরকার। গরু ও খাসির গোস্তের দামের কারনে নিম্ন আয়ের মানুষ তা

আরও খবর



বান্দরবানের লামায় মেডিকেল অফিসারের আত্মহত্যা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাইদা আক্তার মিলি (২৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১১টার সময় লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।সাইদা আক্তার মিলি লামা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড মধুঝিড়ি এলাকার আবুল কালাম ও রূপনা আক্তারের মেয়ে এবং লামা উপজেলার রপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার।পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দেড় বছর আগে রাঙামাটির ছেলে কায়ছার আহমদের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী কায়ছার আহমদের সাথে নানা বিষয়ে তার মতের অমিল ছিল। সবসময় তার স্বামী তাকে সন্দেহ করত। এসব নিয়ে প্রায়সময় মানসিক কষ্টে থাকত মিলি। এসব নিয়ে মায়ের সাথে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়।

সকালে মিলির মা সহকারী শিক্ষক রুপনা আক্তার স্কুলে চলে যায়। সকাল ১১টার দিকে বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় নিজ রুমের পাঠাতনের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।নিহতের ছোট ভাই জিসান জানান, আমি আর আপু বাড়িতে ছিলাম। আমাকে আপু (মিলি) সকাল ১১টার সময় দোকান হতে তার জন্য নাস্তা আনতে পাঠায়। আমি নাস্তা আনতে গেলে এই ফাঁকে সে গলায় ফাঁস লাগায়। আমি দোকান থেকে এসে তাকে ঘরের পাটাতনের সাথে ঝুলতে দেখে দ্রুত প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে  উদ্ধার করে লামা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। গতরাতে আপু মানসিক কষ্টে কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল বলে জানতে পারি।লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রোবিন জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। সে আমাদের হাসপাতালের স্টাফ ছিল।লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুবাইরা বেগম জানান, মিলি খুবই পরিশ্রমী ও ভদ্র ছিল।

তার মতো মেয়ে এমন কাজ করবে ভাবতে পারিনি।লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, মৃতের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ লামা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের আরেক উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাবরিনা তারান্নুম মেঘলা (২৬) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। দুই মাসের ব্যবধানের আরেক সহকর্মী সাইদা আক্তার মিলি আত্মহত্যার করার বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। 


আরও খবর