Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩
শিরোনাম

নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে আ. লীগ সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এ আহ্বান জানান। বিএনপি ঘোষিত ‘আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে: ২৭ দফা রূপরেখার গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে যে নির্বাচন হয় সেটা ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেই নির্বাচনকে সবাই সম্মানের চোখে দেখে। কিন্তু বুধবার নির্বাচনকে ঘিরে যা ঘটেছে তা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। আমরা ধিক্কার ও নিন্দা জানাচ্ছি।

‘এটা ঘটা প্রমাণ করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এখন মনে হয় যে সরকারও নেই। কারণ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ব্যবস্থা তারা ভেঙে দিয়েছেন,’ যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে ৭৩ দিন হরতাল করেছিল। আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। আজকে তারা সেটা বাতিল করে ফেলেছে। এখন দেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আগে প্রেসক্লাবের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। তারা এভাবে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে।

বিএনপির আন্দোলন চলছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের আন্দোলনে ১৭ জন ভাই প্রাণ দিয়েছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে কঠোর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের ‘সংবিধান বিতর্ক’ বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাহাত্তর সালের সংবিধান প্রণয়নের আগে ১৯৭১ সালের আগে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। একটি পাকিস্তান জাতীয় সংসদের আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। এরপর পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যদের দিয়ে সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ গঠন করেছিলেন। যারা দেশের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় সংবিধান রচনা করেছিলেন। যেখানে গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনটা আজকে আছে

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। আর বলেন গণতন্ত্রের কথা। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানও বলেছিলেন, গণতন্ত্রের কথা। আজকে কোন রাষ্ট্রে বাস করছি আমরা। সত্য কথা বললে বলা হয় আমরা নাকি সমস্যা তৈরি করতে যাচ্ছি। তারা দেশের ভোট ও নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করেছে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়টি তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। যা শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ও হয়েছিল। তিনিও বাকশাল কায়েম করেছিলেন। আসলে আওয়ামী লীগ হলো চোর। সব ক্ষেত্রে তারা চুরি করে। এর চেয়ে বড় চোর বিশ্বে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন তারা যমুনা নদী সংকুচিত করতে প্রকল্প নিয়েছে। আসলে এখন কিছু নেই।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে কষ্ট হয় যে, যখন দেখি কিছু বুদ্ধিজীবী এই নেত্রীকে সাপোর্ট করে। তার অন্যায়গুলোকে সমর্থন করেন। এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম? চিৎকার দিয়ে বলতে পারি আমরা এই বাংলাদেশ চাইনি। আজকে দেশের মানুষ ভাত পায় না, চাল পায় না। একজন শ্রমিক তার ছেলেকে প্রোটিন হিসেবে ডিমও খাওয়াতে পারে না।

আলোচনা সভায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম আব্বাসী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল ) চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম সহ ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাব। ২৭ দফা রুপরেখা বাস্তবায়ন ও দেশ জাতিকে রক্ষার জন্য যুগপৎ আন্দোলনে আছে ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা সবাই শরিক হবেন এই প্রত্যাশা করি।’

১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন নেতারা।


আরও খবর



স্থগিত এসএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২৭ ও ২৮ মে  অনুষ্ঠিত হবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে রোববার ও সোমবারের চলমান (১৩ ও ১৪ মে) সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এর আগে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত ১৩ ও ১৪ মে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।


আরও খবর



অবাধে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে চিলমারী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

আলমগীর হোসাইন, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ অবৈধভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সন্নিকট থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। বাধাহীনভাবে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রকল্পটি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বামনের হাট রেগুলেটর থেকে চিলমারী উপজেলার জোড়গাছ বাসন্তীপাড়া পর্যন্ত যে কোন জায়গায় ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্পটি দেবে গিয়ে দেখা দিতে পারে বিপর্যয়।

যুগের পর যুগ ধরে করালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদ দেশের অন্যতম প্রাচীন নৌ বন্দর চিলমারীকে গ্রাস করে চলছিল। ফলে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাস্তভিটা হারিয়েছে। কোন কোন পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথের ভিখারি হয়েছে। বর্তমানে চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়ন পুরোপুরি ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে বিলীন। বাকি তিনটি ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি অংশ ব্রহ্মপুত্র নদ গ্রাস করে ক্রমাগত চিলমারীর শেষ অংশটুকু গিলে খাওয়ার পথে এগোচ্ছিল। গত ১৭ই জুলাই ১৯৯৩ইং চিলমারী বন্দর নদী ভাঙন প্রতিরোধ আন্দোলন নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে নদী ভাঙ্গণ প্রতিরোধ আন্দোলন হয়। আন্দোলনকারীরা চিলমারী থেকে পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম গিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

এই আন্দোলন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃষ্টিতে আনতে সক্ষম হয়। অবশেষে দীর্ঘ দেড় যুগ আন্দোলনের সফলতা আসে। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা ফেজ-১ প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ইং সালের জুলাই মাসে ডানতীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প ফেজ-১ এর কাজ শুরু করা হয়। ৯৬৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২.৫ কিলোমিটার অংশে জুন’২০০৯ইং উক্ত কাজ শেষ হয়। এরপর থেকে ফেজ-২, ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের কাজ ২০১৭ সালে গিয়ে শেষ হয়। ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে চিলমারীবাসীর স্বপ্ন ও প্রাণের দাবি পূরণ হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবার পর চিলমারী উপজেলার যৎসামান্য অংশ রক্ষা পেয়ে বাংলাদেশের মানচিত্রে চিলমারী নামের একটি উপজেলার অস্তিত ধরে

রেখেছে। কিছু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ ডানতীর প্রকল্পের ডানতীর সংলগ্ন এলাকা থেকে বিরামহীন ভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালুর ব্যবসা করছে। শুধুমাত্র চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর এলাকায় ১৪টি পয়েন্টে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ সেফটি বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিরক্ষা প্রকল্পের নীচ অংশে বিশাল আকৃতির গর্ত দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোপূর্বে অনেক এলাকায় একাধিক জায়গায় হঠাৎ কিছুদূর করে অংশ দেবে যাওয়ায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বোল্ডার ফেলে দেবে যাওয়া অংশগুলিতে নদী ভাঙন কোনোমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। এই প্রতিরক্ষা প্রকল্পটির কোন অংশ পুরোপুরি দেবে গেলে আর চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না। এ বছর ৭০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গ্রুপ একসাথে শেয়ার করে রমনা নৌ ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালু উত্তোলন করে নদী তীরেই বালুর স্তুুপ করে সেখান থেকে শতাধিক ট্রলিতে বালু বিক্রি করছে।

এছাড়াও বাসন্তী গ্রাম জোড়গাছের ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর ধরে রমনা মিয়া বাড়ির সামন ও পিছনসহ রাজারভিটা, পুটিমারী ও ফকিরের হাট এলাকায় মোট ১৪টি পয়েন্টে একাধিক গ্রুপ বা ব্যক্তি বালুর ব্যবসা চলছে। ফলে এই বালু ব্যবসার উপর প্রায় ২ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। বিভিন্ন বালু পয়েন্টের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা নাম না প্রকাশের শর্তে জানায়, তারা অবৈধ নয় বরং বৈধভাবে বালুর ব্যবসা করতে চায়। তাদের দাবি চিলমারীকে বালু মহাল ঘোষণা দেয়া হউক। এটা হলে তারা যেমন বৈধভাবে ব্যবসা করতে পারবে পাশাপাশি সরকারও এই বালু মহাল থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পাবে।১৭ মে ২০২৩ বিকেলে চিলমারী উপজেলার সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে চিলমারী উপজেলার বৈরাগীর হাট ও চিলমারী বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ ও বালু উত্তোলন বন্ধ করার বিষয়ে এক মতবিনিময় করেন। এ সময় চিলমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন, প্রথমত বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে চিলমারীকে রক্ষা করা যাবে না।

সরকার যদি চিলমারীতে বালু মহাল ঘোষণা দেয় তখন যত্রতত্র জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে এবং একটি নিরাপদ এলাকাকে বেছে নিয়ে একটি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বালু উত্তোলিত হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম চিলমারী শাখার সাধারণ সম্পাদক এস, এম নুরুল আমিন সরকার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তার প্রথম এবং শেষ কথা আগে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। তারপরে অন্য বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। প্রেসক্লাব চিলমারীর সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মণিরুল ইসলাম লিটু বলেন, চিলমারী থাকলে তো বালুর ব্যবসা থাকবে। চিলমারী না থাকলে বালুর ব্যবসা হবেটা কোথায়। তিনি বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।চিলমারী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পুরো চিলমারীর মানুষের একটাই কথা, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে চিলমারীকে রক্ষা করতে হবে। চিলমারী উপজেলা রক্ষার বিকল্পে আর কোন শব্দ নাই। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমানকে বলেন, আমি বালু উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু নানা কারণে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারিনি। আপনারা সাংবাদিকগণ পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করেন। উপর থেকে আমাকে নির্দেশ দিলে আমি চিলমারীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেব।


আরও খবর



গাজীপুরের মতো সব নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি

আলমগীর বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সামনে আরও চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন রয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আগামী জাতীয় নির্বাচন গাজীপুরের মতো সুষ্ঠু হবে।

বর্তমান কমিশনের অধীনে ‘সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’দাবি করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করার মতো আমাদের সক্ষমতা সব সময় ছিল এবং এখনো আছে।

গাজীপুরে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন’অনুষ্ঠানের পেছনে বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতির প্রভাব আছে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, এই নির্বাচনের সঙ্গে মার্কিনভিসা নীতির সম্পর্ক নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতেই সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এবং আগামী দিনেও হবে। আমাদের কাজ হলো যেকোনো পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। নির্বাচনের আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করব আমরা।’

ইভিএমে নেওয়া ভোটের ফলাফল দেরিতে প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যা করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেক প্রার্থী ছিলেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এ জন্যই নির্বাচনে ফলাফল দিতে সময় লেগেছে।


আরও খবর



নবীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে টেন্ডার বা বিক্রয়ের অনুমতি না নিয়েই ক্ষমতাবলে একটি জমি বিক্রি করে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ও ওই বিদ্যালয়ের একটি পুকুর ভরাটের জন্য আরো ৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার এর বিরুদ্ধে ।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, চাকুরী সহ বিভিন্ন প্রলোবনে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন শিক্ষক আবুল বাশার। এখন ঐ টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করছেন তিনি। একজন প্রধান শিক্ষকের এমন প্রতারণার ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক সহ পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, সবগুলো ঘটনাই সত্য,একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে এর দায় আমি কখনো এড়াতে পারিনা। তবে তা অদৃশ্য কারণে আমার করতে হয়েছে ।

শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক বলেন,আমার পূর্বের কমিটি থাকাকালীন স্কুলের একটি জমি সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা বিক্রি করা হয় ।তবে সেই টাকা স্কুলের একাউন্টে জমা হয়নি। অথবা কোন রেজুলেশনও নেই। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে একটি শোকজ করা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে অডিটও চেয়েছি।কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই অডিটিকে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক অফিসার মোকাররম হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নয় ।খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কক্সবাজারে ভয়ংকর অপহরণ সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ আটক-৩

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: পুলিশের বহিস্কৃত এসআইয়ের নেতৃত্বে গড়ে উঠা ভয়ংকর একটি অপহরণচক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব।সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক এবং এক নারীসহ পাঁচ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব -১৫।গত শুক্রবার (১৯ মে) কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করেন।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজ (৪০)। তিনি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন মাইতুল সরকারবাড়ি এলাকার মৃত এরশাদ আলমের পুত্র।

চক্রের বাকি দুই সদস্য হলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের নতুন বাহারছড়া এলাকার মোঃ ইউনুসের পুত্র এমডি মুন্না (৩০) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের পুত্র  মোঃ ইউসুফ।র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে কক্সবাজার বেড়াতে এসে নিখোঁজ হন ঢাকা উত্তরার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান কবির ও মঞ্জুর আলম। পরে একটি মোবাইল নম্বর থেকে কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে আংশিক মুক্তিপণ পরিশোধ করা হলেও মুক্তি মেলেনি শাহজাহান ও মঞ্জুরের। অপহৃত আরেক দম্পতিকে অপহরণ করে দাবিকৃত মোটা অংকের টাকা না পেয়ে স্বামীর হাত-মুখ বেঁধে স্ত্রীকে একে একে ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। স্বামীর ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। অপহৃত ব্যক্তিদের স্বজনরা বিকাশে দুই লাখের বেশি টাকা মুক্তিপণ দিলেও তাদের ছাড়া হয়নি। অপহরণকারীদের দাবি ছিল আরও অনেক বেশি টাকা। বেদম মারধরের পাশাপাশি চাহিদা মতো মুক্তিপণ না দিলে অপহৃতদের মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।

নিরুপায় হয়ে স্বজনরা বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে কাজ শুরু করে র‌্যাব।এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় এই সিন্ডিকেটের দুটি সুরক্ষিত ও গোপন আস্তানার সন্ধান পায় র‌্যাব। পরে রাতভর এসব আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে প্রথমে কলাতলী থেকে চক্রের দুই সদস্যকে এবং পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুগন্ধা এলাকার অপর গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে চক্রের প্রধান ও পুলিশের বহিষ্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম ইকবাল পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।র‌্যাব জানায়, চক্রের প্রধান ইকবাল পারভেজ ২০২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। ওই ঘটনায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পাশাপাশি চাকরিও হারান তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত ও কারাগার থেকে বের হওয়ার পর এসআই ইকবাল তার শ্যালক মুন্নাসহ ৭-৮ জন সহযোগী নিয়ে গড়ে তোলেন অপহরণ বাণিজ্যের রমরমা এই সিন্ডিকেট। চক্রের সদস্যরা দেশের নানাপ্রান্ত থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা মানুষদের টার্গেট করে অপহরণ করে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে ফোন করে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতো।গত শুক্রবার (১৯ মে) অপহরণের শিকার শাহজাহান কবিরের বোন মোসাম্মৎ আমেনা বেগম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামি ও উদ্ধারকৃত ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।এ বিষয়ে কক্সবাজার র‌্যাব -১৫ ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, কক্সবাজার কেন্দ্রিক অপহরণ-মুক্তিপণ সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে র‌্যাবের যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি।তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি, তদন্তের স্বার্থে যা এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ চক্রের অন্য সদস্যদেরও শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে। 


আরও খবর