Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নির্বাচন ইস্যুতে শীর্ষ দুই জাপা নেতার ভিন্ন সুর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিনের কর্মসূচিতেও এক প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেননি জাতীয় পার্টির (জাপা) শীর্ষ দুই নেতা। দিনটি উপলক্ষে দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ এবং বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। এমনকি আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলের নীতিগত বিষয়েও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রেখেছেন তারা।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে নিজ বাসভবনে আলোচনাসভার আয়োজন করেন রওশন এরশাদ। সেখানে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এরশাদের নিজস্ব পার্টি। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এই পার্টি দাঁড় করিয়েছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো অনেক দেরি আছে। সাংবিধানিক ধারা মেনে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি।’

এরশাদের জন্মদিনে পৃথক আয়োজনের বিষয়ে রওশন বলেন, ‘পৃথক অনুষ্ঠান দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে না। দলীয়ভাবে নেতার জন্মদিন স্মরণ করে কর্মসূচি পালন করেছে। বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে আমিও দোয়ার আয়োজন করেছি। এতে কোনোভাবেই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা বিভেদ প্রমাণ করে না।’ জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই বলে দাবি করেন তিনি।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক উপদেষ্টা জিয়াউল হক মৃধা এবং এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ প্রমুখ।

অন্যদিকে গতকাল সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এবং প্রশাসনকে সরকারদলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। এমন অবস্থায় কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’ সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টি তাতে অংশগ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

বড় দুটি রাজনৈতিক দলের অবস্থানে দেশ সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জিএম কাদের। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে জাপা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, এসএম আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ।

এ ছাড়াও এরশাদের স্মৃতিবিজড়িত প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদপুত্র এরিকের উদ্যোগে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তার মা বিদিশা সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা বিভিন্ন এতিমখানায় গিয়ে খাবার বিতরণ করেন।


আরও খবর



পবিত্র শবে কদর আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র লাইলাতুল শবে কদর আজ ।শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশে শবে কদর পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনি পালন করবেন।

মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র রাতটিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল শুরু হয়েছিল। এরপর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নবুওয়াতের ২৩ বছর ধরে কোরআন নাজিল সম্পন্ন হয়। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ-মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনি কাটাবেন।

লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর



মাগুরার শালিখায় এক দারোগা পত্নীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শালিখায় রুনা খাতুন (৩৬) নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন বাজার রোড এলাকার কাজী গোলাম মোস্তফা টুকুর মেয়ে। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাগুরা সদর থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত আছেন।

শনিবার সকালে শালিখা থানা পুলিশ ভাড়াবাড়ির শয়ন কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত রুনার লাশ উদ্ধার করে। লাশের  সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে রুনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত প্যাথেডিন নেওয়ার অসংখ্য চিহ্ন দেখতে পেলেও মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

নিহত রুনা খাতুনের স্বামী এসআই সাইফুল এবং তার সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যা বলে জানালেও সন্তানদের কেউ মাকে হত্যা করতে পারে বলে দাবি করেছেন নিহত রুনার ভাই-বোন সহ বাবার বাড়ির লোকেরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর থানায় কর্মরত এসআই সাইফুল ইসলাম শালিখা উপজেলার গোপালগ্রামে প্রবাসী তাহের উদ্দিনের দ্বিতল বাসায় স্ত্রী রুনা এবং দুই সন্তান রাতুল (২০), মহম্মদ আলি (১৫) ও রাতুলের স্ত্রী হৃদরি (১৮) কে নিয়ে বসবাস করতেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে তিনি মাগুরা সদর থানা এলাকায় ডিউটিরত ছিলেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোর ৫টার দিকে বড় ছেলে রাতুল থানায় খবর দেয় তার মা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে শালিখা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘরের মধ্যে লাশের অবস্থা এবং পরিবারের সদস্যদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় নিহতের ছেলে রাতুল, মহম্মদ আলি এবং রাতুলের স্ত্রী হৃদরিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে স্বামী এসআই সাইফুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে রুনার বড় বোন সারমিন সুলাতানা সীমা জানান, সপ্তাহ খানেক আগে বোন বাবার বাড়ি থেকে কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছে। এর আগেও ৫-৭ কোটি টাকার জমি বিক্রি করে ছেলেদের দিয়েছে। তারপরও বোনকে তারা মেরে ফেলেছে।নিহতের ভাই কাজী মেহেদি হাসান বলেন, বোনের মৃত্যুর খবর পেয়েই গোপালগঞ্জ থেকে এসেছি। এর আগে অনেকদিনই এদের কারো সাথে আমাদের যোগাযোগ নেই। বোনের ছেলেরা মাদকাসক্ত। টাকা পয়সা ছাড়াও নানা কারণে ছেলেরা মায়ের উপর অত্যাচার করতো। এসব বিষয়ে বোন জামাই সাইফুলকে জানানো হলেও তিনি আমলে নেননি। শেষ পর্যন্ত তারা পরিকল্পিতভাবে বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

এদিকে রাতের বেলা মিজানুর রহমান নামে এক প্রতিবেশি ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে নারী কণ্ঠের চিৎকার শুনতে পেলেও সেখানে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ দেখেন এবং কারো কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ফিরে আসেন বলে জানান তিনি।

পুলিশ পরিবারের সদস্য গৃহবধূ রুনা খাতুনের মৃত্যুর বিষয়ে শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, নিহতের স্বামী এবং সন্তানেরা এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানালেও লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। 


আরও খবর



মঙ্গল শোভাযাত্রা তিমির বিনাশের প্রত্যয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলা ১৪৩১ সনের মঙ্গল শোভাযাত্রা। ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’ স্লোগানের এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এর পর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা নববর্ষ বরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম।

এ বছর বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রার ৩৫ বছর পূর্তি হয়েছে। এবারের শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমিরহননের গান’ কবিতা থেকে নেওয়া।

এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপা পুতুল, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ।

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ-উল্লাস মাতিয়ে রেখেছিল পুরো শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। লাল-সাদা পোশাকে উচ্ছল নারীদের মাথায় শোভা পায় নানান রঙের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে ছিল লাল-সাদা পাঞ্জাবি।

শোভাযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা। শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।

পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারেননি। কারণ, চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়। নিরাপত্তার জন্য বন্ধ রাখা হয় রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকা ও কেন্দ্রীয় রাস্তা।


আরও খবর



ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ দুর্নীতির মামলায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত,শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এদিন আসামি মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলাটি বিশষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আদালতে আসেন ড. ইউনূসসহ অন্যান্য আসমিরা।

চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

গত ১ ফেব্রুয়ারি আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।


আরও খবর



দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬৯জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:সম্প্রতি দেশের বাজারে নতুন স্মার্টফোন সিরিজ নোট ৪০ নিয়ে এসেছে তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। এই সিরিজের দুটি স্মার্টফোন নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো এখন দেশজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে।

আধুনিক চার্জিং প্রযুক্তি, চমৎকার পারফরম্যান্স এবং শক্তিশালী গড়নের এই স্মার্টফোনগুলোতে আছে সফটওয়্যার আপডেটের প্রতিশ্রুতি। নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ অপারেটিং সিস্টেম থাকছে। তবে আপগ্রেড পাওয়া যাবে অ্যান্ড্রয়েড ১৬ পর্যন্ত।

নোট ৪০ সিরিজের এই প্রতিশ্রুতি মিড-রেঞ্জের বাজারে নতুন চমক নিয়ে এসেছে। ২ বছরের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটসহ ৩৬ মাসের সিকিউরিটি প্যাচ পাবেন গ্রাহকরা। ফলে ব্যবহারকারীরা কোনো সমস্যা ছাড়াই আপডেটগুলো পাবেন যথাসময়ে।

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের বাজারে যুগান্তকারী ফিচার নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যুক্ত হয়েছে ওয়্যারলেস ম্যাগনেটিক চার্জিং প্রযুক্তি ‘ম্যাগচার্জ’। সাথে আরও আছে অল-রাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। এই উদ্ভাবনটি সব পরিস্থিতিতে চার্জিংকে সুবিধাজনক করে তুলবে।

সিরিজের দুটি ফোনেই আছে ২০ ওয়াটের ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং রিভার্স চার্জিংয়ের সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারীরা ঘরে ও বাইরে যেকোনো সময় ফোনে চার্জ দিতে পারবেন। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে নোট ৪০ সিরিজে যুক্ত করা হয়েছে ম্যাগনেটিক ফোন কেস (ম্যাগকেস), ম্যাগনেটিক চার্জিং প্যাড (ম্যাগপ্যাড) এবং ম্যাগনেটিক পাওয়ার ব্যাংকের (ম্যাগপাওয়ার) মতো অ্যাক্সেসরিজ।

দুর্দান্ত ব্যাটারি পারফরম্যান্সের জন্য সিরিজটিতে যুক্ত করা হয়েছে পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ- চিতা এক্স১। সঙ্গে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি৯৯ আল্টিমেট প্রসেসর। ফলে ফোনের কার্যকারিতা আরও বাড়বে। দিনজুড়ে ব্যাকআপ দিতে রয়েছে শক্তিশালী ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি।

দ্রুত চার্জিংয়ের জন্য নোট ৪০ প্রো-তে আছে ৭০ ওয়াটের মাল্টি-স্পিড ফাস্ট চার্জার এবং নোট ৪০-তে আছে ৪৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জার। ডিভাইসগুলোতে আরও রয়েছে ৬.৭৮ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস ১২০ হার্টজের অ্যামোলেড ডিসপ্লে। প্রধান ক্যামেরা হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেলের সুপার-জুম ক্যামেরা এবং আছে ৩২ মেগাপিক্সেলের সেলফি ক্যামেরা। জেবিএল-এর টিউন করা ডুয়েল স্পিকার আছে নোট ৪০ সিরিজে।

নোট ৪০ প্রো-এর ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণ দুটির বাজারমূল্য যথাক্রমে ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ৩৪,৯৯৯ টাকা। ভিনটেজ গ্রিন ও টাইটান গোল্ড এই দুটি স্টাইলিশ রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি। অন্যাদিকে, ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির বাজারমূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে টাইটান গোল্ড ও অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এই দুটি রঙে।

সিরিজটির সাথে ক্রেতারা পাবেন একটি ম্যাগকেস, নোট ৪০-এর সঙ্গে ম্যাগপ্যাড এবং নোট ৪০ প্রো-এর সাথে ২,৯৯৯ টাকা সমমূল্যের একটি ম্যাগপাওয়ার।   


আরও খবর