Logo
আজঃ শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই: নানক

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার ,স্টাফ রিপোর্টার:নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার আর কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদপুরে পুড়ে যাওয়া কৃষি মার্কেট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নানক বলেন, আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলে যে কোনো মার্চ তারা (বিএনপি) করতে পারে।

আমি দোয়া করি, যেন এ রোডমার্চ শান্তিপূর্ণ থাকে।   তিনি বলেন, এই রোডমার্চ করতে করতে যেন বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন করে ফেলে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে রোডমার্চ করুক। ভুল পথচারী বিএনপি নির্বাচনের পথে এলে আমরা অভিনন্দন জানাব।

নির্বাচন ছাড়া বিএনপির রক্ষা পাওয়ার বা নিজেকে রক্ষা করার আর কোনো উপায় নেই। এ সময় নানক কৃষি মার্কেটে আগুন লাগার কারণ জানতে মার্কেট কমিটির পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তা বের করতে সরকারের তদন্ত কমিটির পাশাপাশি আপনারা একটি ছোট তদন্ত কমিটি করবেন। কী দুর্বলতা ছিল, কী দুর্বল দিকগুলো ছিল, সেগুলো বের করা দরকার। যার যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই তাকে বরাদ্দ দিতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, এখানে আমরা আকাশ কুসুম কল্পনা করতে চাই না। ছয় তলা, নয় তলা, ১৪ তলা মার্কেট কবে হবে, এই ভরসার জোরে এই মানুষগুলো অনিশ্চয়তায় থাকতে পারেন না। দোকান মালিক, দোকানদাররা যা চাইবেন, তাই হবে। এর বাইরে কিছু হবে না। আমরা এর বাইরে কিছু করতে দেব না। মার্কেটটি হলো নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের মার্কেট। সেই প্রাণের মার্কেটটি পুড়ে গিয়েছে, আমাদের হৃদয় পুড়ে গিয়েছে।

নানক বলেন, এখানে কেউ বঞ্চিত হবেন না। অসাধু চিন্তা বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই। আমি মেয়রের সঙ্গে আলাপ করব। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদারকি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ নিউইয়র্কে গেছেন। তিনি দেশে ফিরলে তার সঙ্গে আমি এ বিষয়ে কথা বলব।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নুর ইসলাম রাষ্টন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদসহ মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের নেতারা ।


আরও খবর

হরতাল-অবরোধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন গয়েশ্বর

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে নগদ অর্থ ও জরুরি উপকরণ প্রদান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১০৯জন দেখেছেন

Image
বান্দরবান প্রতিনিধিঃসৃষ্টির সেরাজীব হয়েও পাহাড় কেটে,ঝিড়ি-ঝর্ণার পাথর তুলে প্রকৃতিকে ধ্বস করছি আর খাল-বিল নালার পানি প্রবাহকে দখল করে অট্টালিকা গড়ে তুলছি। সুতরাং প্রকৃতির বিরূপ আচরণের প্রভাব পরবেই সাথে সাথে অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা হবেই। তাই জলবায়ু পরিবর্ত ও দুযোর্গ মোকাবেলায় আমাদেরকে  আরো সচেতন হতে হবে। আজ ৩১ আগস্ট সকালে বান্দরবান সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে  বান্দরবানে কারিতাস বাংলাদেশের উদ্যোগে বন্যা দুর্গতদের নগদ অর্থ ও ত্রাণউপকরণ বিতরণের সময় পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।

কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের  ব্যবস্থাপনায় এবং স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশে এর মাধ্যেমে যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্সি সরকার এবং সিআরএস-এরআর্থিক সহায়তায় বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার জেলায় মোট ৩,৭৫০ পরিবারকে সহায়তা প্রদান করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে কারিতাস বাংলাদেশ।

স্থানীয় সংস্থা হিসেবে এতে বাস্তবায়নে সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে বান্দরবানে হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন ও রাঙ্গামাটিতে আশিকা। আজ বৃহস্পতিবার বান্দরবান সদর ইউনিয়ন হতে নির্বাচিত ১৫০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাদের জরুরী প্রয়োজন যেমন খাদ্য ও পানীয়,ওষুধসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পরিবার ভিত্তিক ৫,৫০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কারিতাস বাংলাদেশ চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মার্সেল রতন গুদা, বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অরুন রতন সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ কাজী রায়হান কাজেমী, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বান্দরবান জেলার সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, হিউম্যানিট্যারিয়ান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মং মং সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
উল্লেখ্য, পর্যায়ক্রমে বান্দরবান জেলাসহ নির্বাচিত এলাকায় মোট ৩,৭৫০ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তাও উপকরণ বিতরণ করা হবে।

আরও খবর



অপরিষ্কার স্থানে পণ্য উৎপাদন, নিউ প্রিন্স বেকারিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: অপরিষ্কার স্থানে পণ্য উৎপাদন করায় মিরপুর-১ নম্বরে অবস্থিত ‘নিউ প্রিন্স বেকারি ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’কে’ জরিমানা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় তাৎক্ষণিক দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়।রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানা সংলগ্ন ওই বেকারিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ভেজালবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকার নেতৃত্বে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মিরপুর এলাকায় অবস্থিত নিউ প্রিন্স বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ লঙ্ঘনের দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয় এবং খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে আমরা অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে দেখলাম লেভেলবিহীন অবস্থায় তারা উৎপাদিত পণ্য প্যাকেটজাত করে রেখেছে। যার কোনো উৎপাদনের তারিখ নেই। যেসব কালার ফ্লেভার ব্যবহার করা হয়েছে তার কোনোটাই ফুড গ্রেডেড না।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ডাস্টবিন ব্যবস্থাপনা নেই। অপরিষ্কার জায়গায় পণ্য উৎপাদন করছে। প্যাকেটের গায়ে কোনো আমদানিকারকের লেভেল নেই। এসব অপরাধে চার ধারায় ৮ লাখ টাকার জরিমানা হওয়ার কথা থাকলেও তাদেরকে প্রথমবার সতর্কতা হিসেবে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এরপর আগামী মাসে আমরা আবারও পরিদর্শনে এসে যদি পুনরায় একই অপরাধ পাই, তাহলে পুনরায় দ্বিগুণ জরিমানা আদায় সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে বেকারির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বেকারির পরিবেশ খারাপ কিন্তু আমাদের পণ্য ভালো। হয়তো আমাদের পরিবেশটা একটু অপরিষ্কার, আমরা বেকারি পরিষ্কার করাচ্ছি। কারণ আমরা প্রতিদিনের পণ্য প্রতিদিন বিক্রি করে দিচ্ছি। আমাদের এখানে বাসি কোনো পণ্য নেই। কারখানা আরও পরিষ্কার ও ভালো করা দরকার। কিন্তু অর্থের অভাবে সেটা করতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিনই কারখানা পরিষ্কার করি। কিন্তু কাজ করতে গেলে একটু তো অপরিষ্কার হবেই। আমাদের কর্মীরা সবকিছুই পরিষ্কার করে কিন্তু টাকার অভাবে চাইলেও অনেক কিছু পারি না। আমরা খুব সংকটে আছি। এই বেকারিতে আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না বরং লস হচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসা তো না করেও পারছি না। কারণ মার্কেটে আমরা এখনও অনেক টাকা পাবো। এজন্যই চাইলেই ব্যবসা বন্ধ করতে পারছি না। তবে আমরা কোনো দুই নম্বর বা নকল পণ্য ব্যবহার করছি না।’


আরও খবর



যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে গাড়ি বাড়াব : সড়ক সচিব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,  স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চালু হওয়া বিআরটিসি বাসে যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে গাড়ি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আমিন উল্লা নুরী।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিরতিহীনভাবে ফার্মগেট (খামারবাড়ি সংলগ্ন) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত রুটে বিআরটিসি বাস চলাচল শুরুর আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

সড়ক সচিব বলেন, সাধারণ মানুষের অনেক দিনের দাবি ছিল একটি বাস সার্ভিস চালু করার। ফার্মগেট গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, অনেক যাত্রী এখান থেকে যাতায়াত করে। ফার্মগেট একটি হাব। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিন সাড়ে ৭টা থেকে ফার্মগেট থেকে জসিম উদ্দিন বিআরটিসির আটটি বাস চলবে। যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আমরা গাড়ি বাড়াব।

মোটরসাইকেল ও সিএনজি চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে  মোটরসাইকেল আপাতত চলবে না। পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। পদ্মা সেতুতে প্রথমে দেওয়া হয়নি মোটরসাইকেল। পরে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই পদ্মা সেতুতে উঠে ছবি তোলে, সেলফি নিচ্ছে, আমরা মানুষকে বারবার সতর্ক করছি। নিরাপত্তা বাহিনী বারবার সতর্ক করছে। মানুষের একটা আবেগ আছে, আর এটা তো এক্সপ্রেসওয়ে, এখানে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলবে। মোটরসাইকেলের বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।

‘পূর্বে আমাদের যে ভাড়া ছিল এখানে সে ভাড়া থাকবে। আমাদের টোল দেওয়া লাগলেও আমরা ভাড়া বাড়াব না। ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর যে ভাড়া আছে সে ভাড়াই থাকবে।’

বাসে ই-টিকিটিং চালুর প্রসঙ্গে সচিব বলেন, আমরা ই-টিকিটিং চালু করব না। আমরা চাইছি বিআরটিসিতে স্মার্ট কার্ড চালু করতে। যেটা বিআরটিসিতে চলবে, মেট্রোতে চলবে। কার্ড প্রস্তুত রয়েছে। এটা কার্যকর করতে একটু সময় লাগবে। একই কার্ড দিয়ে বিআরটিসি এবং এমআরটিসি চলবে।


আরও খবর



আমদানী করা নিম্নমানের গমের ভুসিতে বাজার সয়লাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃআমদানি করা নিম্নমানের গমের ভুসি অবাধে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা পূরণের সক্ষমতা থাকার পরও ভুসি আমদানি করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় উৎপাদকরা। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৫০ শতাংশ আটা-ময়দার মিল। উৎপাদন বন্ধ থাকলে সংকট দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দাম বাড়বে আটা-ময়দার। পশুর জন্য হুমকি ভেজাল গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে নামি কোম্পানির মোড়কে। নিরাপদ পশুখাদ্য নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে ভুসির আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে বছরে গমের ভুসির চাহিদা ২১ লাখ ৯০ হাজার টন। সারা দেশে ছোট-বড় ১ হাজার ১০০-এর বেশি আটা-ময়দার মিলে উৎপাদন হয় ২২

লাখ ৫০  হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার চেয়ে বেশি উৎপাদন হলেও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে গমের ভুসি আমদানি করা হচ্ছে। এতে দেশি কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ ভুসি অবিক্রীত থাকায় আটা-ময়দা উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। একই সমস্যায় ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে মোট আটা-ময়দার মিলের প্রায় অর্ধেকই। পশু-প্রাণীর জন্য হুমকি ভেজাল গো-খাদ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গমের ভুসি আমদানি শুল্ক বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ আটা-ময়দা মিল মালিক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন মৃধা বলেন, আমদানিকৃত ভুসি খুবই নিম্নমানের। তাই এসব ভুসি কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের মিল মালিকদের উৎপাদিত ভুসি বিক্রি হচ্ছে না। গমের ভুসি আমদানিতে আটা-ময়দা আমদানির সমান শুল্ক আরোপ করা হলে আমরা টিকে থাকতে পারব।

বর্তমানে আটা-ময়দার আমদানি শুল্ক ৩৮ শতাংশ হলেও গমের ভুসি আমদানির শুল্ক মাত্র ৫ শতাংশ। আবার খামারিরা সরাসরি আমদানি করতে পারছেন কোনো শুল্ক ছাড়াই। এই সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশে নিম্নমানের ভুসি আমদানি ও নামি কোম্পানির মোড়কে (ব্যাগ) বাজারজাত করছে। এতে দেশি কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নিম্নমানের গমের ভুসি বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। ভেজাল গো-খাদ্য বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি নিরাপদ গমের ভুসি বাজারজাত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপপরিচালক ডা. মো. নাজমুল হক বলেন, আমরা ভেজাল গো-খাদ্যের (ভুসি) বিষয়ে কঠোর অবস্থানে। বিশেষ করে আমদানিকৃত ভুসিতে ভেজাল পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পশুর জন্য ক্ষতিকর এসব ভুসি আমদানিতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। ভেজাল গমের ভুসি না কেনার জন্য খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র জানায়, এক বছরের ব্যবধানে ভুসি আমদানি বেড়েছে ৮৮ শতাংশের বেশি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫৩ মেট্রিক টন গমের ভুসি আমদানি করা হয়েছে। ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে আমদানি করা হয়েছিল ২ লাখ ৩৩ হাজার ৪১৬ মেট্রিক টন। চলমান ডলার সংকটে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি আমদানি ব্যাহত হলেও ভুসি আমদানি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জরুরি পণ্যে এলসি উন্মুক্ত রাখার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গত বছরের ৬ নভেম্বর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানি আমদানির এলসি খোলা নিশ্চিত করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে একটি চক্র দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতে নিম্নমানের গমের ভুসি আমদানি করছেন।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা ফুডের বিভাগীয় প্রধান (বিক্রয় ও বিতরণ) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে ভুসির চাহিদা আছে তার চেয়ে বেশি ভুসি দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। সাধারণত গম থেকে ৩০ শতাংশ ভুসি উৎপাদন হয়। কারখানাগুলোতে উৎপাদিত ভুসি সর্বোচ্চ ৪-৫ দিনের বেশি মজুদ করে রাখা যায় না। মজুদ ভুসি বিক্রি করতে না পারলে নতুন করে উৎপাদনে যেতে পারে না কারখানাগুলো। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজারে আটা-ময়দার সরবরাহ সংকট তৈরি হয়ে দাম বেড়ে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের ভুসিতে বাজার সয়লাব। তাদের নিতে হয় না কোনো বিএসটিআই সনদ, লাগে না কোনো মান পরীক্ষা। এসব নিম্নমানের ভুসির কারণে একদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়ছে। দেশের আটা-ময়দার মিলগুলোতে পর্যাপ্ত থাকার পরও ভুসি আমদানির ফলে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে।’ রেদোয়ানুর রহমান আরও বলেন, বর্তমানে আমদানিকৃত আটা-ময়দায় ৩৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে, কিন্তু এর উপজাত (বাই প্রোডাক্ট) ভুসিতে মাত্র ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ আছে। যদিও পশুখাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বিনা শুল্কে ভুসি আমদানি করতে পারছে। এসব নিম্নমানের ভুসি দেশের নামিদামি কোম্পানির বস্তা নকল করে বাজারজাত করছে। এতে মানসম্পন্ন পশুখাদ্য পাচ্ছেন না খামারিরা। জানতে চাইলে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডসের ইনস্টিটিউশন সেলসের মহাব্যবস্থাপক অবন্তি কুমার সরকার বলেন, নিম্নমানের আমদানিকৃত ভুসিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের উৎপাদিত ভুসি বিক্রি করতে পারছি না। আমদানিকৃত ভুসি দেশে নামিদামি কোম্পানিগুলোর  মোড়কে (ব্যাগ) মানুষকে ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করছে। এতে আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদেরটাও বন্ধের পথে। ভুসি বিক্রি করতে না পারায় আটা-ময়াদার উৎপাদন বন্ধ রাখা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে আটা-ময়দার দাম আরও বেড়ে যাবে।

আমদানিকৃত নিম্নমানের গমের ভুসি দেশের নামিদামি কোম্পানির মোড়কে (ব্যাগ) বিক্রি করে দেশি কোম্পানিগুলোর সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। চলতি বছরের ৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বসুন্ধরা ভুসির মোড়কে (ব্যাগ) ভেজাল ভুসি বিক্রি করায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ বস্তা ভেজাল গমের ভুসি জব্দ করা হয়।


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




যশোরে চাচা ও ভাতিজা ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

যশোর প্রতিনিধি:যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে চাচা-ভাতিজা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হোলেন যশোর সদরের ধোপাখোলা গ্রামের মনিরুল ইসলামের দেড় বছর বয়সী শিশু পুত্র মোহাম্মদ ইউসুফ এবং তার চাচা একই গ্রামের মৃত আনোয়ার বিশ্বাসের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫৫)।আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মইনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১১টার দিকে চাচা আমিরুল ইসলাম তার ভতিজা শিশু ইউসুফকে নিয়ে বাড়ির বাহিরে বের হন। আমিরুল শিশু ইউসুফকে ধোপাখোলা রেলওয়ে ব্রিজের উপর বসিয়ে রেখে পাশের জলাশয়ে শামুক কুড়াতে নামেন। এমন সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী বেতনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলে আসে। আমিরুল ট্রেন আসতে দেখে ছুটে গিয়ে শিশু ইউসুফকে রক্ষা করতে যায়। কিন্তু এমন সময় ইউসুফ ব্রিজের পর থেকে নিচে পড়ে যায় এবং আমিরুল ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশু ইউসুফকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

জিআরপি পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যশোর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।


আরও খবর

সেই ধর্ষক জনি ঢাকায় গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩