Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নবীনগরে দুই সন্তান ও আলিশান বাড়ি-ঘর রেখে কন্ট্রাক্টারের হাত ধরে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী।

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০০০জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ;


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার থোল্লাকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের দুই সন্তান ও আলিশান বাড়ি-ঘর রেখে তার স্ত্রী সাবিনা হোসেন, প্রায় ২কোটি ৭০ লাখ টাকা নিয়ে নজরুল ইসলাম নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। গত (২২ জানুয়ারি) রোববার উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 


এ ঘটনা সাবিনার পিতা বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত সাত দিনেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সাবিনা উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের সোনাবালুয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে। প্রেমিক নজরুল ইসলাম একই ইউনিয়নের পুরান থোল্লাকান্দি গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। এইদিকে সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীনের দুই সন্তান জান্নাতুল বুশরা জুই ও জাহিরুল ইসলাম, দিনরাত কেঁদেই চলছে মায়ের জন্য।


পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবিনা সঙ্গে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের কুলাসিন গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে জয়নাল আবেদীনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ে কিছুদিন পর জয়নাল আবেদীন থোল্লাকান্দি গ্রামে তার স্ত্রী সাবিনা নামে জমি কিনে সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন।


সম্প্রতি সেখানে একটি তিন তলা বিল্ডিং নির্মাণের কাজ ধরেন তার স্বামী সৌদি প্রবাসী জয়নাল আবেদীন। সেগুলো দেখাশোনা করছেন তার স্ত্রী সাবিনা, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী বিদেশ থাকায়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে বিল্ডিং কন্ট্রাক্টার নুজরুল ইসলামের সঙ্গে সাবিনার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। যদিও তারা দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। সাবিনা দুই সন্তানের জননী এবং নজরুল কন্ট্রাক্টার দুই সন্তানের জনক। 



ঘটনার দিন সকালে সাবিনা স্বামীর আলিশান বাড়ি-ঘর ও দুই সন্তান রেখে ৩২ ভরি স্বর্ণালংকার, সংসারে থাকা নগদ ৭০লাখ টাকা টাকা এবং সাবিনা একাউন্টে থাকা স্বামী পাঠানো দুই কোটি টাকা তুলে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিক নজরুল ইসলামের হাত ধরে পালিয়ে যান।


-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




কালিয়াকৈরে অতিরিক্ত মদপানে দুইজনসহ চারজন যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পৃথক পৃথক এলাকায় অতিরিক্ত মদপানে দুইজনসহ মোট চারজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে নিহতদের মধ্যে তিনজনের লাশ মর্গে ও একজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তবে একদিনে চারজন যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহতরা হলেন- জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার পূর্ববালিঘাটা এলাকার আজিবর রহমানের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪২), দিনাজপুরের বিরামপুর থানার ঘরেরপাড় শিমুতলী এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে কাদেরুল (২৮), নীলফামারীর সদর উপজেলার দুংড়া এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে গোলাম রাব্বানী (২৬) ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার গোসাত্রা এলাকার বিন্দু রাজবংশীর ছেলে সুমন রাজবংশী (২২)।

এলাকাবাসী, নিহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হেলাল ও কাদেরুল দীর্ঘদিন আগে জীবিকার খোঁজে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে আসেন। পরে তারা উপজেলার পূর্বচান্দরা এলাকার দুলাল উদ্দিন সরকারের বাড়ির দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। সেখানে ভাড়া থেকে হেলাল কসাই ও কাদেরুল স্থানীয় একটি বেকারীর শ্রমিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তারা চোলাই মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন হেলাল ও কাদেরুল। পরে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ওইদিন গভীর রাতেই টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলাল ও কাদেরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।

ওই হাসপাতালের ডিজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক লিটন মুঠোফোনে জানান, আমি বিষয়টি জেনেছি। দুইজন ব্রড ডেড ছিল। তারা রাস্তাতেই মারা গিয়েছিল। তাদের দুইজনকে জরুরী বিভাগে আনার পরে মৃত ঘোষণা করেন। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মুঠোফোনে জানান, নিহত হেলাল ও কাদেরুলের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

এদিকে কালিয়াকৈর উপজেলার গোসাত্রা এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে সুমন গত শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পরের দিন শনিবার সকালে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। অপরদিকে রাজশাহী-জয়দেবপুর রেললাইনের উপজেলার রতনপুর এলাকায় শনিবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান রাব্বানী। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। তবে একদিনে চারজন যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম জানান, নিহত হেলাল ও কাদেরুলের লাশ উদ্ধার করে মির্জাপুর থানা পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আর রেলওয়ে পুলিশ ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত রাব্বানীর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। অপরদিকে আবেদনের প্রেক্ষিতে সুমনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে জমিনিয়ে বিরোধে নিহত-১,আহত-১

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

একেএম,শামছুল হক,সুন্দরগঞ্জ,(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃসুন্দরগঞ্জ উপজেলার  ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত মিয়া ছেলে আজিজুল ইসলাম (৫৩),সাং-বজরা হলদিয়া চৌধুরী বাজার,ওয়ার্ড নং ০১,থানা সুন্দরগঞ্জ, জেলা গাইবান্ধা  এর সহিতএকই গ্রামের মৃত মোসলেম ক্বারীর ছেলে অপরাধী ফারুক মিয়া(২৮), মৃত জহুরুলের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০)মৃত আব্দুলের ছেলে সিদ্দিক এর দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক ৪৫ শতক জমি নিয়ে ঝুট ঝামেলা চলে আসিতেছিল।

আজ সকাল আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম  আজিজল ইসলাম নিজ বাড়িতে কাজ  করিতেছিলেন, ভিকটিমের বাড়ির গলিতে আসিয়া অপরাধী ব্যক্তিগণ ভিকটিম আজিজল ইসলামকে  ডাকাডাকি করিলে ভিকটিম আজিজুল ইসলাম গলির মধ্যে গেলে উক্ত অপরাধীর ব্যক্তিগণ আজিজুল ইসলামের মাথা,শরীর ও  পায়ের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করিলে ভিকটিম আজিজল ইসলাম গুরুতব আঘাত পাইয়া মাটিতে পড়িয়া যান, পরিবর্তীতে সোহেল মিয়া (৩০),পিতা মৃত আব্দুল আজিজ এর ছেলে আগাইয়া আসলে অপরাধী ব্যক্তিগণ সোহেল মিয়ার মাথায় ও পাছায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করিলে স্থানীয় লোকজন দেখিতে পাইয়া চিৎকার চেঁচামেচি করলে পরিবারের লোকজন ভিকটিম আজিজুল ইসলামকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লইয়া আসলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।   

পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হইয়া প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। থানা এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। বর্তমানে থানা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রহিয়াছে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রমজানে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে নিউমার্কেট থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযান পরিচালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার :১২ মার্চ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। কর্মব্যস্ত মানুষ গুলো অফিস শেষে যেখানে ছুটে চলেছেন আপনজনের সাথে ইফতার করতে। ঘরে ফেরা মানুষ গুলো যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছাতে পারে শহরটাকে যানজট ও হকার মুক্ত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার যানজট নিরসনে ডিএমপির সকল থানার পুলিশদের  কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

তারাই ধারাবাহিকতায় ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন,পিপিএম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজান এর প্রথম দিন থেকে নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় হকারমু্ক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। 

এই বিষয়ে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন 
নাগরিকদের স্বচ্ছন্দে হাঁটাচলার সুবিধার জন্য ফুটপাত তৈরি করেছে সরকার।ঢাকা মহানগরীর প্রায় সব ফুটপাত দিয়ে এখন আর পথচারীদের হাঁটার জো নেই।বিশেষ করে ‘রমজানে দুর্ভোগ লাগবে নিউমার্কেট থানাধীন এলাকার ফুটপাত দখল মুক্ত করে জনগণের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দখলদারদের সতর্ক করা হয়েছে।পুনরায় ফুটপাত দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে প্রতিদিন নিউমার্কেট থানায় প্রায় ৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। 
যারা থানা পুলিশের অধীনে থেকে ট্রাফিক পুলিশের সাথে  সমন্বয় করে কাজ করবে।

 এই বিষয়ে ডিএমপি নিউ মার্কেট থানার সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রমজানকে বলা হয় সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমজান মাসের শুরু থেকে রাজধানীতে যানজট সংকট প্রকট হয়ে ওঠে।বেশী করে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় অনেক গুলো বিপনী বিতান থাকাতে এই এলাকায় অসহনীয় যানজট দেখা দেয়।

রমজানের এই তীব্র যানজটের অন্যতম কারণ ফুটপাতের দোকান। এবার পুরো রমজান মাসে নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারি বিক্রির দোকান অথবা মৌসুমি ফল বা পণ্যসামগ্রী বিক্রির দোকান বসানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।এরই মধ্যে নিউমার্কেট থানাধীন বিভিন্ন অংশের ফুটপাতের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছি। অন্যদের সতর্ক করা হয়েছে।আমরা প্রতিনিয়ত ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি ।পুরো রমজান মাস জুড়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন ফুটপাতের পাশাপাশি রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সর্বস্তরের জনগন যদি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্রনোদিত হয়ে ফুটপাত  
পরিস্কার রাখে তবে আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হয়ে 
যায়। আসলে প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজের আইন মেনে চলা এবং অন্যকে আইন-মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা। 

আমরা নিউমার্কেট থানা পুলিশ  রাস্তা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণ-পরিবহনে সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের স্টিকার লাগাচ্ছি এবং মার্কেট সময়ে সচেতনতামূলক অডিও সরবরাহ করে তা প্রচারের ব্যবস্থা করেছি।তাছাড়া পুলিশ হতে নিউমার্কেটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে  অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম নির্মাণ করেছেন। যেখান থেকে ক্রেতা সাধারণ এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পরিচালিত হচ্ছে।এধরনের তদারকির কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।পুলিশে সেবা সহজিকরণের জন্য এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ওসি মো. আমিনুল ইসলাম।

আরও খবর



প্রয়োজনে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করুন ডিসিদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালজেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছেন,দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রয়োজনে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করতে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে- উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন প্রতি মাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করে। যাতে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিরা তেমন কোনো কথা বলেননি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বিভিন্ন ধরনের কিছু ছোট ছোট পয়েন্ট যেমন মাদকদ্রব্য নিয়ে কথা বলেছেন। জেলখানায় অচল বন্দিদের কীভাবে আরও একটু ছাড় দেওয়া যায় এবং ভার্চুয়াল কোর্ট যেটা কোভিডের সময় চালু করেছিলাম। সেটা বাংলাদেশের সব জায়গায় চালু করা যায় কি না।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে যেসব কয়েদিকে আনা-নেওয়া রিক্স, তাদের ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যায় কি না সেটা নিয়ে বলেছেন তারা। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সারাদেশে চালু করা যায় কি না সেটা দেখবো বলে জানিয়েছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের সচিবরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে জেলা পর্যায়ে যে কোর কমিটি রয়েছে। তারা যেন প্রতি মাসে একটি সভা করে। যাতে সবার সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক থাকে এবং কোনো অসুবিধা হলে সেগুলো যেন দ্রুত সমাধান করতে পারেন।

আপনার তরফর থেকে কোনো নির্দেশনা ছিলো কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের যে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছেন। ড্রাগ ব্যবহার রোধে জেলা প্রশাসকদের আমি বলেছি, তারা যেন সামাজিকভাবে ব্যবহার রোধ করে।

তিনি বলেন, আমরা মাদকের ব্যবহার রোধে যেমন তামাকের, আমরা ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলছি না। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করে না। আমরা সে জায়গাগুলোতে কাজ করার জন্য ডিসিদের বলেছি।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করল কে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি নেতারা বলেন- ২৫ মার্চ নাকি আওয়ামী লীগের নেতার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে যুদ্ধটা করল কে? বিজয় কে আনল? বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস- ২০২৪ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিব নগর সরকার গঠন করে শপথ নিয়ে তারা যুদ্ধ পরিচালনা করলেন। সরকারপ্রধান ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তার গ্রেপ্তারের পর উপ-রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে সেই সরকারের অধীনে এ দেশে যুদ্ধ হলো। এখন যারা বলছে, পালিয়ে গেলো-তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান তো বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে চাকরি করেছেন। সামরিক অফিসার হিসেবে তিনি এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলেন, সেটা কে দিয়েছেন? আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। এটাও অকৃতজ্ঞরা ভুলে যায়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ এক কদম এগুতে পারেনি। আমি বলি, এক কদম এগুতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা প্রতিবেশীসহ অনেক দেশের সহায়তা। আবার পেয়েছি, অনেক বড় বড় দেশের বৈরিতা। অবশ্য, সে দেশের নাগরিকদের সমর্থনও পেয়েছি। যারা আমাদের স্বাধীনতায় সহায়তা করেছে, তাদের আমরা সম্মানিত করেছি, স্বীকৃতি দিয়েছি। একমাত্র বাংলাদেশই এটা করেছে। এতে বাংলাদেশও সম্মানিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কেউ বলছে, গণতন্ত্র নেই। দেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। স্বাধীনতার পরও এমন কিছু কার্যক্রম আমরা দেখেছি। জাতির পিতাকে সময় দেয়নি। স্বাধীন হওয়ার পরই শুরু হয়ে গেলো সমালোচনা। নতুন বিপ্লবসহ নানা ধরনের কথা। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের মন থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলা। তারা সফল হয়নি। যার কারণে তাকে থামিয়ে দিতে হত্যার পথ বেছে নেয়। একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে বিজয় এনে দেওয়া জাতির পিতার মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলা, সবই তিনি করেছেন। এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে বঙ্গবন্ধু নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি, এর ২৯ বছর ছিল জাতির দুর্ভাগ্যের। স্বাধীনতার পর পরই মাত্র তিন বছরে একটি স্বল্পোন্নোত দেশ হিসেবে গড়ে তোলেন শেখ মুজিব। আইন, নীতিমালাসহ সবকিছু করে দিয়ে যান। একটি সংবিধান আমাদের উপহার দিয়েছেন। এতে আমাদের প্রতিটি অধিকারের কথা বলা আছে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, দলের স্বাস্থ্য সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এ মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর