Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

নবীনগর সীতারামপুর তিতাস নদীতে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবিতে নিহত ২ নিখুঁজ ১

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নৌকা ডুবিতে ২ জন নিহত নিখোঁজ ১ জন । আজ বুধবার বিকাল তিনটার দিকে নবীনগর উপজেলার তিতাস নদীর সীতারামপুর নৌকাঘাট সংলগ্ন নির্মিত ব্রিজের পিলারের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে৷নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে।জানা গেছে, নবীনগর হতে যাত্রীবাহী নৌকাটি পার্শ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার মির্জাচরে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে জানা যায়।

এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, দুইজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তাদের সনাক্ত করা হচ্ছে। একটি যাত্রীবাহি নৌকা তিতাস নদী দিয়ে সীতারামুর গ্রাম অতিক্রম করার সময় নদীর মাঝখানে ব্রীজের পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকাতে থাকা অন্যান্যরা সাতঁরে তীরে উঠলে দুইজন পানির নিচে তলিয়ে যায়।নিহতরা হলেন- নরসিংদী জেলার রায়পুরার মির্জাচর গ্রামের উমর ফারুকের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদউল্লাহ্ (২২) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের প্রহ্লাদ চৌধুরীর মেয়ে রাত্রী চৌধুরী (১৫)।

রাত্রী বড়াইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার দু’জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি যাত্রীবাহী নৌকা ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে নবীনগর থেকে তিতাস নদী দিয়ে পাশ্ববর্তী জেলা নরসিংদীর মির্জাচরে যাচ্ছিল।

পথে সীতারামপুর গ্রাম অতিক্রম করার সময় নদীর মাঝখানে ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়।এ সময় নৌকায় থাকা অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও দুই যাত্রী পানির নিচে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



ঝড়-বৃষ্টি আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে আজ শুক্রবার বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ জন্য দেশের নদীবন্দরগুলোতে সতর্কতা সংকেতও তোলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দু’দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে ২৪ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



সুদানে রাস্তায় পড়ে থাকা লাশ খাচ্ছে কুকুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ক্ষমতা ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব নিয়ে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিকবাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সংঘর্ষে উত্তাল সুদান। দফায় দফায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলেও দুই বাহিনীর মধ্যে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছে দেশটির সাধারণ নাগরিকেরা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজধানী খার্তুমের দখল নিয়ে সাত সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলার পর শহরের বাসিন্দারা এমন এক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন যা তারা আগে কল্পনাও করেন নি। শহরের রাস্তায় রাস্তায় যেসব মৃতদেহ পড়ে আছে সেগুলোর ব্যাপারে তারা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

ওমর নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি তিনজনকে তাদের নিজেদের বাড়ির ভেতরে কবর দিয়েছি, আর বাকিদের কবর দিয়েছে আমি যে রাস্তায় থাকি তার প্রবেশ মুখে। বনিরাপত্তার কারণে সুদানের এই ব্যক্তির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একটা কুকুর কামড়ে কামড়ে মৃতদেহ খাচ্ছে- ঘরের দরজা খুলে এই দৃশ্য দেখার চেয়ে এটা ভাল ব্যবস্থা।

দুই বাহিনীর সংঘর্ষে উত্তাল সুদান

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত কত জন নিহত হয়েছে তা কেউ জানে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা এক হাজারের বেশি হতে পারে। যাদের মধ্যে বহু বেসামরিক মানুষও রয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, ওমর কম করে হলেও ২০ জনকে কবর দিয়েছে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, আমার এক প্রতিবেশী তার বাড়িতে নিহত হয়েছে। আমি কিছু করতে পারিনি। তবে তার বাড়ির মেঝের সিরামিক টাইলস উঠিয়ে সেখানে একটা কবর খুঁড়ে তাকে মাটি চাপা দিয়েছি।

রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো গরমে পচে যাচ্ছে। আমি কী বলতে পারি? খার্তুমের কিছু কিছু এলাকা এখন কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে বলে জানান ওমর।

গত মাসে ওমর খার্তুমের আল-ইমতিদাদ এলাকায় তার বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি রাস্তার পাশে চারজনের জন্য কবর খুঁড়েছিল। ওমর বলেন, আশেপাশের এলাকার এরকম আরো কয়েকজনকে তিনি চেনেন যাদেরকেও ঠিক একই কাজ করতে হয়েছে।

ওমর বলেন, নিহতদের অনেককে খার্তুম বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের কিছু এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে। এটা একটা তেলের স্টেশনের পাশে, সবাই এই জায়গাটা চেনে। বাকিদের কবর দেওয়া হয়েছে মোহামেদ নাগিব রোডের কাছের কিছু এলাকায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সুদানে ঠিক কতো সংখ্যক লোককে বাড়ির ভেতরে এবং বিভিন্ন বসতি এলাকায় কবর দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে তার কোনো হিসেব নেই।

রাস্তায় পড়ে আছে লাশ 

এরকম আরেকজন হামিদের (ছদ্মনাম) অভিজ্ঞতাও একই ধরনের।

বিবিসিকে হামিদ বলেন, রাজধানী খার্তুম থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে শাম্বাত শহরে সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্যকে কবর দিয়েছি আমি। সামরিক বাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে তারা নিহত হন।

হামিদ জানান, ঘটনাক্রমে আমি সেদিন ওই এলাকায় ছিলাম। আরো পাঁচজন লোক নিয়ে আমি মৃতদেহগুলোকে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে উদ্ধার করি। তার পর সেগুলোকে এমন একটা জায়গায় দাফন করি যার পাশ ঘিরে কিছু আবাসিক ভবন।

হামিদ একজন প্রপার্টি ব্যবসায়ী যিনি ওই এলাকায় ২০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন এই কবর দেওয়াটা তার দায়িত্ব।


আরও খবর



এফডিসিতে চাইলেই প্রবেশ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) প্রবেশে ‘নতুন শর্ত’ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে ক্যামেরা নিয়ে চাইলেই সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না সাংবাদিকরা। অনুমতি পেলেই পাস নিয়ে ভেতরে যাওয়ার সুযোগ মিলবে তাদের।

গতকাল মঙ্গলবার বিএফডিসির পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) যুগ্ম সচিব মো. ঈশান আলী রাজা বাঙালী স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, করপোরেশনের সিটিজেন চার্টার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সেবা সহজিকরণ সংক্রান্ত বিষয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অংশীজনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় নিম্নোক্ত সিন্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

ক. যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদন ফি ২৫০ টাকার বদলে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।

খ. সংবাদ গ্রহণের উদ্দেশ্যে মিডিয়ার ক্যামেরা প্রবেশ করলে অবশ্যই বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর নিজস্ব লেটার হেডপ্যাডে আবেদন করতে হবে।

গ. নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্বক্ষণিক সেবার ক্ষেত্রে বিএফডিসিতে প্রবেশের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সাপেক্ষে গেট পাস ইস্যুর মাধ্যমে অধিক নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।

বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে পালন ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।


আরও খবর



বায়ান্ন হাজার টাকা বকেয়া আদিবাসি যুবকের উপর সাত লাখ টাকার মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর:দোকানে বকেয়া মাত্র ৫২ হাজার টাকা, অথচ মামলা করা হয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার। রাজশাহীর তানোরে অসহায় আদিবাসি যুবক রতন হেমরমের উপর এমন চাঞ্চল্যকর মামলা করেন চান্দুড়িয়া বাজারের সার কীটনাশক ব্যবসায়ী মিলন। বিগত দুই বছর ধরে আদালতে হাজিরা দিতেই সংসারে ব্যাপক টানাপড়েন শুরু হয়েছে রতনের। ঠিকমত তিন বেলা খেতে পাচ্ছিনা,আবার সন্তাদের পড়ালিখার খরচও দিতে পারছিনা। যাকে বলে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন রতন হেমরমের পরিবার।  রতনের বাড়ি উপজেলার তালন্দ ইউনিয়(ইউপির) মোহর আদিবাসি পল্লীতে। সে সুশিল হেমরমের পুত্র। এঘটনায় আদিবাসি পল্লীর জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমনকি এধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি ঘোষনা করবেন পল্লীর জনসাধারনরা।

গত ২৩ মে মঙ্গলবার আদালত চত্বরে দেখা হয় রতনের সাথে, জানতে চাওয়া হয় আদালতে কেন, তিনি জানান, বিগত ২০১৭-১৮ সালের দিকে চান্দুড়িয়া বাজারের কীটনাশক ব্যবসায়ী মিলনের কাছ থেকে আলু চাষের জন্য বাকিতে ৯২ হাজার টাকার সার বিষ বাকি নেওয়া হয়। আলু তুলে ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। ওই সময় আলুতে প্রচুর লোকসান হয়েছিল। তারপরও ৪০ হাজার টাকা দিই। কিন্তু সার বিষ বাকি নেওয়ার সময় জোরপূর্বক ব্যাংকে আমার নামে একাউন্ট করে কয়েকটি ফাঁকা চেক নেয় মিলন। ওই চেক দিয়ে বিগত ২০১৮ সালের দিকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার মামলা করেন আদালতে। মামলার হাজিরা দেওয়ার কারনে সংসার চালাতে পারছিনা। পাড়ার দুজনে আলু করার জন্য জমি দিয়েছিল। আমার ছেলে মেয়ে রয়েছে চারজন।বড় ছেলে সবুজ হেমরম কলেজে পড়ে, মেয়ে বিউটি হেররমও কলেজে পড়ে ও সজিব হেমরম আগামী বছরে এসএসসি পরিক্ষা দিবে এবং ছোট মেয়ে মিঠি হেমরম ২য় শ্রেণীতে পড়ছে। মামলার কারনে আমার স্ত্রী কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এবং আমাকেও কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। কারন ৫২ হাজার টাকার বিপরীতে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার মামলার বোঝা নিয়ে চলতে হচ্ছে। তিন বেলা খেতেই পাচ্ছিনা, ছেলে মেয়েদের স্কুলে পড়াতে পারছিনা। ভাঙ্গাচুরা খাস জায়গায় বসবাস করছি। টাকা পরিশোধ করার কোনই ক্ষমতা নাই। পরিবার নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নাই। ছেলে সজিব জানান, টাকার টেনসনে বাবা মা ঘুমাতে পারেনা, আমরাও পড়তে পারছিনা। মরা ছাড়া উপায় নেই। তবে মিলন জানান, কোন বাকির টাকা না, রতন আমার কাছ থেকে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। পরিশোধের জন্য একাধিকবার বলার পরও না দেওয়ার কারনে মামলা করেছি। ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে কোন এমাউন্ট না লিখে চেক নেওয়া যায় কিনা  জানতে চাইলে তিনি জানান স্বাক্ষাতে কথা বললে সবকিছু বুঝতেন বলে দায় সারেন।

আরও খবর



লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বোরো আবাদে এবার ধানের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১১৪জন দেখেছেন

Image

আবু মোতালেব হোসেন (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীতে সোনালী ধানে ছেয়ে গেছে চারিদিক। মাঠের পর মাঠ শুধুই ধান আর ধান। জেলার ছয় উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বোরো আবাদ। সেই সঙ্গে ফলন হয়েছে বাম্পার। ফলন ভালো হওয়ায় খুশি স্থানীয় কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানায়, জেলায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮১ হাজার ৭০০ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৭১০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮০

মেট্রিক টন। তবে বেশি জমি আবাদ হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্জিত জমির মধ্যে সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর, সৈয়দপুরে সাত হাজার ৭০০ হেক্টর, ডোমারে ১৩ হাজার ২১৫ হেক্টর, ডিমলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টর, জলঢাকায় ১৪ হাজার ৬৬৮ হেক্টর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১১ হাজার ১৬৫ হেক্টর বোরোর আবাদ হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানায়, এবার বোরো মৌসুমে সরকার কতৃক প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা । সে হিসাবে প্রতি মণ ধানের মূল্য হয় এক হাজার ২০০ টাকা। এদিকে, সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের বোরো চাষি আশরাফ আলী জানান, চলতি মৌসুমে ৬৫ শতক (দুই বিঘা পাঁচ শতাংশ) জমিতে ব্রি ধান-২৮ ও ৫৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। বীজতলা, জমি চাষ, রোপণ, স্যার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিক বাবদ খরচ হয়েছে ২৮ হাজার ৩১২ টাকা।

জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন ৪১ মণ। প্রতিমন এক হাজার ২০০ টাকা হিসাবে মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ হাজার ২০০ টাকা। এতে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ২১ হাজার টাকা। একই গ্রামের কৃষক আইয়ব আলী বলেন, ‘এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলে আরও বেশি ফলন হতো। লাভের পরিমাণটা আরও বাড়তো। সরকার বাজার দর এ রকম দিলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে বোরো আবাদ করবো।’ সদরের পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামের কৃষক আবুল কালাম জানান, ‘এবার বোরোর তাক লাগানো ফলন হয়েছে। তিন বিঘায় আমার খরচ হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। আর ধান পেয়েছি ৫৪ মন। প্রতিমন এক হাজার ৩০০ টাকা করে বিক্রি করে টাকা পেয়েছি ৭০ হাজার ২০০ টাকা। এতে আমার লাভ হয়েছে ৩৪ হাজার ২০০ টাকা। তিনি বলেন, বাজার দর এরকম থাকলে আগামীতে বোরোর আবাদ বাড়াবো। শুধু আশরাফ আলী, আইয়ব আলী, আবু কালাম নন বোরোর বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি জেলার কৃষকরা।’

জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের বালারপুকুর গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবার সেচের সুবিধা পেয়ে চার বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে ইরি আবাদে কিছু ধারদেনা করেছি। তাই কাঁচা ধান বিক্রি করে (সরকারী রেট) খুব একটা লাভ করতে পারিনি। অর্ধেকেরও বেশী জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছি। বাকি ধান তিন চারদিনের মধ্যে কেটে ঘরে তুলা যাবে। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আতিক আহমেদ জানান, ‘এবার সদরে ২৩ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে কৃষক বেজায় খুশি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন বেড়ে যাওয়ায় আবাদ বেশী হয়েছে। আশা করি, আবহাওয়া ও বাজার দর অনুকুলে থাকলে কৃষকরা এবার লাভবান হবে।’ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর জমি বেশী আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলনও হয়েছে বাম্পার। এখন পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। আশা করছি, বাজারে ভাল দাম পেলে বিক্রি করে লাভবান হবেন তারা।


আরও খবর