স্টাফ রিপোর্টার
মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী না দেয়ায় ভিকটিমের পরিবারকে মারপিট,প্রাণনাশের হুমকি ও ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের সাবেক শ্রীঘর ও বর্তমানে অনন্তপুরে বসবাসকারী মর্তুজ আলীর পরিবারের সাথে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,গত ২৪ এপ্রিল ২০২২ তারিখ রোজ রবিবার ঘরের চালে ফুটবল পড়াকে কেন্দ্র করে অনন্তপুরে বসবাসকারী মর্তুজ আলীর ছেলে সুমন মিয়া (১৯) ও মর্তুজ আলীর চাচাতো ভাই দলাই মিয়ার ছেলে কাসেম (১৯) এর মাঝে বিকেল অনুমান ৪ ঘটিকার সময় কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দলাই মিয়ার লোকজন দেশীয় ধারালো রাম দা,পল,বল্লম,লোহার রড ইত্যাদি অস্ত্র নিয়ে সুমনের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।এ সময় তাদের হাতে থাকা ধারালো রাম দায়ের কুপে সুমনের বাপ কানটি কেটে মাঠিতে পড়ে যায়।ওই দিনই সাথে সাথে সুমনকে ডাকা মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।পরদিন ২৫ এপ্রিল সুমনকে এনে নাসিরনগর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি শেষে চিকিৎসা করানো হয়।
ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে ভিকটিম সুমন তার বাবা মর্তুজ আলী ও তার পরিবারের কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে,শ্রীঘর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ জুনাইদ আহম্মেদ বাদী হয়ে সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হান্নান সহ আশুরাইল গ্রামের ২৭ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিঃ আদালতে সিআর ৫২৩/২২ একটি মিথ্যা ২৬ এর মামলা দায়ের করে।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন( পিবিআই,কে) এমসি সংগ্রহ পূর্বক সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে পিবিআইর এস আই মোঃ রুহুল আমিন মিথ্যা মামলাটি প্রকাশ্যে ও গোপনে তদন্ত করে প্রকৃত সত্য ঘটনা উদঘাটন করতে সক্ষম হন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিম সুমনের বাবা মোঃ মর্তুজ আলী,সুমনের মা ও ভিকটিম সুমন এ প্রতিবেদককে বলেন, আশুরাইল গ্রামের কোন লোকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
জুনাইদ আশুরাইলে লোকজনের নামে মিথ্যা খুনের দিয়ে ব্যর্থ হয়ে আবারো তাদের নামে আরেকটা মিথ্যা মামলা করেছে।
তারা আরো জানান জুনাইদ,তার ভাই বায়জিদ,আওয়াল,আতাউর রহমান মিলে আমার বাড়িতে উঠে অস্ত্রের মুখে আমাদেরকে জিম্মি করে আমার ঘরের ভেতর সিন্দুকে থাকা আমার ছেলের চিকিৎসার কাগজ পত্র সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে নিয়ে আসে।পরে সেই কাগজ পত্র দিয়ে আশুরাইলের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা করে।
তারা আরো বলেন, আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আশুরাইলের লোকদের বিরোদ্বে দায়ের করা মিথ্যা মামলার স্বাক্ষী না দেয়া আমার পরিবারের লোকজনে উপর চালাচ্ছে না অত্যাচার নির্যাতন,দেয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি,৭০ হাজার টাকা ও চাঁদা দাবী করছে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মিথ্যা মামলার বাদী জুনাইদ আহম্মেদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাদিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই এর মেধাবী ও চৌকশ অফিসার মোঃ রুহুল আমিন বলেন,মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে।খুব অচিরেই প্রকৃত সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।তবে তদন্তের সার্থে এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছেনা
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা