
আব্দুল হান্নানঃমাদ্রাসাছাত্রীকে ‘জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ’টানা দুই দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।ওই ঘটনায় অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা মো. শিহাব উদ্দিন (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোজ শনিবার দুপুরে পাশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থেকে ওই শিক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়।ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের একটি মাদ্রাসায়।শুক্রবার রাতে ওই মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মা নাসিরনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক মো. শিহাব উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সালেহ আহম্মদের ছেলে। তিনি নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর জামিয়া ইসলামিয়া তালিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।এদিকে ধর্ষিতা ছাত্রী ওই মাদরাসারই শিক্ষার্থী। পুলিশের কাছে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে তিনি কাজটা করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
ভুক্তভোগীর মায়ের দাবী মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক শিহাব ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে এতে রাজি ছিল না। প্রায় এক সপ্তাহে আগে তার মেয়েকে মাদরাসার একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন শিহাব। এর পর গত শুক্রবারও ওই শিক্ষক দ্বীতিয় বারের মত এ ঘটনা ঘটান। এ সময় তার মেয়েকে জান্নাতে যাওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়।তিনি জানান।
ধর্ষণের কারণে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং তার মেয়েকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মাদরাসা শিক্ষককে তার নিজ এলাকা থেকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা তিনি স্বীকার করেছেন। শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে এ কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন।
-খবর প্রতিদিন/ সি.ব