Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

নাসিরনগরে জাসাসের নবগঠিত কমিটির পরিচিত ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।জাসাস নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক সৈয়দ আবেদ উল্লাহ নিউটনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাদেকুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি'র সাবেক সহ-সভাপতি,ও চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ উদ্দিন ভূইয়া, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন বুড়িশ্বর ইউনিয়ন বিএনপি'র সংগ্রামী সভাপতি  বিল্লাল চৌধুরী, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা দলের সহ-সভানেত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী  হাসনা হেনা,বক্তব্য রাখেন কুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক  জিল্লুর রহমান দুলাল, সদর ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক  মঞ্জু মৃধা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক জামাল আহমেদ, সদস্য মুখলেসুর রহমান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এনামুল হুদা সুমন, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, নবগঠিত জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইমরানুল ইসলাম,সোহেল আহমেদ, আবুল বাশার মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জমসেদ মিয়া, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান পনি, যুগ্ম-আহবায়ক তোফায়েল আহমেদ, সদস্য মোজাম্মেল হক সোহাগ সহ নাসিরনগর উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন’

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফাখ্যাত নেতাদের অন্যতম ও জ্যেষ্ঠ নেতা, প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক, সাবেক সংসদ সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

আজ বুধবার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রেখেছেন। মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।’

শোকবার্তায় নূরে আলম সিদ্দিকীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মো. আবদুল হামিদ।

এদিকে, নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, আজ বুধবার ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান। তিনি ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। তার প্রেস সচিব কবি ও বাচিক শিল্পী অনিকেত রাজেশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



কৃষকের আয় কমবে বিদ্যুতের দাম বাড়ায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষকের আয় কমে যাবে বিদ্যুতের দাম বাড়ার  বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নেদারল্যান্ডসের পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডাম অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির (ভিভিডি) এমপি ফিম ভ্যান স্ট্রিয়েনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষির ওপর প্রভাব পড়বে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় কৃষিতে কিছুটা প্রভাব তো পড়বেই। ফসলে পানি দিতে না পারলে উৎপাদন কম হবে। তবে জমিতে সার দেওয়া নিয়ে কৃষকরা ঝুঁকি নিতে চায় না। ফলে এদেশের চাষিরা নিজের বউয়ের গয়না কিংবা গরু বিক্রি করেও সার কিনবেন। হয়তো চাষিদের কষ্ট হবে, তার আয় কমে যাবে। তার যে লাভ হওয়ার কথা, সেটা হবে না।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তো চাই কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হোক। আমাদের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তাদের জীবিকার জন্য কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিদ্যুতের দাম বাড়লে তাদের আয় কমে যাবে, সন্তানদের লেখাপড়াসহ তাদের জীবনযাত্রার মান কমে যাবে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব যেভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে পড়েছে, তাতে সরকারেরও কোনো উপায় নেই 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ঋণ না নিলে এভাবে মাসে মাসে বিদ্যুতের দাম বাড়ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইএমএফ তো সারের দামও বাড়াতে বলে। সারে যে ভর্তুকি দিই, সেটিই তো আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মানে না। তারা সারাজীবন বাধা দিয়ে আসছে। বিএনপির সময় ৯০ টাকা যে সার ছিল, আমরা ১৬ টাকায় দিয়েছি।

ড. রাজ্জাক বলেন, ‘আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কথা শুনতে গিয়ে অনেককেই বেশি মূল্য দিতে হয়েছে। তখন তো প্রধানমন্ত্রীর ওপর অনেক চাপ ছিল। তারা বলতো, সারে ভর্তুকি দিলে তোমরা উন্নয়ন করবে কীভাবে? তাহলে স্কুল-কলেজ ও রাস্তাঘাটের কী হবে? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি না, বিনিয়োগ করছি। আমরা সেই বিনিয়োগের ফল পাচ্ছি’’।

তিনি বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধিরা বিশ্বাস করতে পারছেন না যে ২০০৮ সালে আমাদের তিন মিলিয়ন টন সবজি হতো, বর্তমানে তা ২২ মিলিয়ন টন। পৃথিবীর কোনো দেশে ১৩ বছরে সবজির উৎপাদন এত বেড়েছে!’


আরও খবর



পত্নীতলায় ২৫মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪০জন দেখেছেন

Image

দিলিপ চৌহান, পত্নীতলা  (নওগাঁ) প্রতিনিধি: ২৫ মার্চ , গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে সাধারণ বাঙালির ওপর নির্মমভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে অস্ত্রসজ্জিত পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী। ২০১৭ সাল থেকে দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে বাংলাদেশে। এরি ধারাবাহিকতায় ইতিহাসের ভয়ংকরতম এ দিনের স্মরণে নওগাঁর পত্নীতলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রুমানা আফরোজের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রল্লাদ কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফ্ফার।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কোবরা মুক্তা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোখলেছুর রহমান, উপজেলা স্বা¯’্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্। এসময় উপ¯ি’ত ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মনোরঞ্জন পাল, উপজেলা ম্যাধমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম জিল্লুর রহমান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও পত্নীতলা  প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব বুলবুল চৌধুরী, সাংবাদিক দিলিপ চৌহান, পরেশ টুডু, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যম কর্মীগণ, সুধীজন প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা মুছে দেয়া এবং বাঙালী জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে ব্যাপক গণহত্যা চালায়। ভয়াল সেই গণহত্যার দিনটি বাঙ্গালী জাতির এক কালো অধ্যায়।



আরও খবর



‘আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি’

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে মাদারীপুরে শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই বেদনার। সরকার সড়কে একটি মৃত্যুও চায় না। শেখ হাসিনা সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা রোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’

এ নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন ও এর বিধিমালা কার্যকর করেছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পট ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য স্পটও ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকৌশলগত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং স্থাপন করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সাইন-সিগন্যাল।

এ ছাড়া চালকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ণ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। দেশব্যাপী জাতীয় মহাসড়কসমূহ পর্যায়ক্রমে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে।’

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরি সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে চালক, পরিবহন শ্রমিক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও উদ্যােগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এসব পদক্ষেপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ না জানিয়ে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি, যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



আরও ৪০ হাজার গৃহহীন পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ মার্চ ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আরও ৪০ হাজার গৃহহীন পরিবারের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাংশ জমিসহ নতুন ঘর তুলে দেওয়া হয় এসব পরিবারের হাতে।

আজ বুধবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সারাদেশের উপকারভোগী পরিবারগুলোর কাছে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও তিনটি গৃহনির্মাণস্থল- গাজীপুরের শ্রীপুর, সিলেটের গোয়াইনঘাট ও বরিশালের বানারীপাড়াকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়। এই কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের হাতে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে তিনি এসব এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সুবিধাভোগীদের অনুভূতি শোনেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে, যা প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬০ হাজার ১৯১টি ঘর, ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩০০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট ঘরের সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৯টি।

১৯৯৭ সাল থেকে এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/সংস্থাসহ গৃহনির্মাণ করে ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পুনর্বাসন করা হয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে। প্রতি পরিবারের পাঁচজন সদস্য হিসেবে মোট উপকারভোগী ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

তৃতীয় পর্যায়ে নির্মাণ করা একক ঘরের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৬৭৪টি। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৯০৪টি হস্তান্তর হয়েছে গত বছরের ২৬ এপ্রিল এবং ২য় ধাপে ২১ জুলাই জমির মালিকানাসহ ২৬ হাজার ২২৯টি হস্তান্তর করা হয়। ২২ মার্চ চতুর্থ পর্যায়ে হস্তান্তর হচ্ছে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর।

১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়সহ মোট হস্তান্তরিত একক গৃহের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি। ৪র্থ পর্যায়ে অবশিষ্ট নির্মাণাধীন গৃহের সংখ্যা ২২ হাজার ৬টি। ৪র্থ পর্যায়ে চরাঞ্চলে বরাদ্দকৃত বিশেষ ডিজাইনের গৃহের সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৩টি এবং পার্বত্যাঞ্চলের বিশেষ ডিজাইনের মাচাং ঘর ৬৩৪টি।

এখন পর্যন্ত ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের মোট ১৫৯টি উপজেলা।


আরও খবর