Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

নাসিরনগরে গোয়াল নগরে দুই গোষ্টিরটেটা যুদ্ধে প্রায় ৪০ জন আহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৫জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

ব্রাহ্মণবড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের গোয়াল নগর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেটা যুদ্ধে দুই পক্ষের অন্তত  ৪০ জন আহত  হয়েছে। আহতদেরকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা করানো হয়েছে।


আহদের মাঝে   কয়েকজনকে  আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার গোয়ালনগর  গ্রামের  মাসুক মেম্বারেরগোষ্ঠী ও রফিক মাঝির  গোষ্টির লোকদের মাঝেে ফেসবুকে পাল্টা পাল্টি লেখা লেখি - তর্ক- বিতর্ক এক সময় চরম পর্যায়ে পৌছে।এই নিয়ে কয়েকদিন ধরে দুই গোষ্টির মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।


স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সর্দারগণের হস্তক্ষেপেও এর কোন সুরাহা হয়নি।সোমবার সকালে উভয় গোষ্ঠির  লোকজন লাঠি, বল্লম, টেটা নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন হতাহত হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ঘটনাস্থলে নাসিরনগর চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপস্থিত হয়ে তিন ঘন্টা ব্যাপী টেটা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 


সংর্ঘষের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মোঃ মাসুক মিয়া জানায়, রফিক মিয়া ও মোঃ পুরুক মিয়া আমার সাথে  নির্বাচনের লড়ে ফেল করে এর পর  থেকেই তারা আমাদের সাথে ঝগড়া করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। মোঃ মাসুক মিয়া জানান,তাদের মাঝে আহত রিপন, মোতাকাব্বির এমরান,মতিন কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ও মোতাকাব্বিরকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। 


রফিক মাঝির লোকজনের সাথে একাদিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াল নগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহার উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে বলেন,উভয় পক্ষের মাঝে পূর্ব থেকেই বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল।মামলা মোকদ্দমার জের ধরে তাদের দুই গ্রুপের মাঝে মনোমালিন্য ও চলছিল।তাছাড়া ও এক পক্ষের লোক অন্য পক্ষের লোকের বিরোদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখিও করছিল।


তাছাড়াও ঘটনার দুই দিন আগে রফিক মাঝির লোকজনে মাসুক মেম্ভারের ভাই  মোঃ সমসু মিয়াকে রাস্তা দিয়ে আসার সময় তার উপরে হামলা চালিয়ে একটি হাত ভেঙ্গে দেয়।এ সমস্ত কারনে পরে দুই পক্ষের মাঝে সংর্ঘষ বাধে।


নাসিরনগর থানার পুলিশ পরিদর্ষক তদন্ত আ,স,ম আতিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই এখনো কোন মামলা হয়নি।

তবে আমারা পক্ষদের সাথে যোগাযোগ করেছি।তারা বলেছেন সন্ধ্যার পর তারা এজাহার নিয়ে থানায় আসবে।তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কয়েকজনকে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



স্থানীয় কমিউনিটির কল্যাণে আইএসডি শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক প্রচেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রাজধানীর সোলমাইদ স্কুল, বসুন্ধরা স্পেশাল চিলড্রেন ফাউন্ডেশন (বিএসসিএফ) ও ফ্যামিলিজ ফর চিলড্রেনের (এফএফসি) শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহ, সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ও ইফতারের আয়োজন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার (আইএসডি) শিক্ষার্থীরা। স্কুলের সার্ভিস ডে প্রোগ্রামে এ আয়োজন করে আইএসডি’র শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি আইএসডি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই প্রোগ্রামে আইএসডি শিক্ষার্থীদসহ সোলমাইদ, বিএসসিএফ ও এফএফসি থেকে মোট ১৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

ইন্টারন্যাশনাল ব্যাকালরিয়েটের (আইবি) শিক্ষাকার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে গুরুত্বারোপ করে সমাজ ও কমিউনিটির কল্যাণে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এ কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব-নাগরিক

করে গড়ে তোলা হয়। আইবি লার্নার প্রোফাইলে শিক্ষার্থীদের ‘কেয়ারিং,’ অর্থাৎ যত্নশীল বা সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যাতে তারা অন্যের প্রতি সহমর্মিতা, সমবেদনা ও সম্মান প্রদর্শনের মতো মানবীয় গুণ অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে বিভিন্ন কমিউনিটি সার্ভিস বা সমাজকল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত করে আইবি কারিকুলাম। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সমাজ ও কমিউনিটির প্রতি দায়িত্ব অনুভব করতে শেখে এবং তাদের মাঝে প্রতিদানের মানসিকতা গড়ে ওঠে।

ইউনিট থ্রি সামেটিভ অ্যাসেসমেন্টের অংশ হিসেবে আইএসডি’র গ্রেড ৮-এর শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজিএস) প্রসঙ্গে পড়াশোনা করে। এই বিশেষ ইউনিটের অধীনে তারা এসডিজি ৪-কে কেন্দ্র করে কমিউনিটি সেবার সিদ্ধান্ত নেয়। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তারা পোশাক, খেলনা, শিক্ষার অনুষঙ্গ ও খাবার সংগ্রহ করে এবং স্কুল কমিউনিটির সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানায়।

পাশাপাশি, চমৎকার পোস্টার বানিয়ে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্লগ লিখেও তারা এ প্রসঙ্গে সচেতনতা গঠনে ভূমিকা রাখে। সফল এই ক্যাম্পেইন থেকে জমাকৃত অর্থ দিয়ে গ্রেড ৮ শিক্ষার্থীরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা ও খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয় করে এবং খাবারের আয়োজন করে।

সার্ভিস ডে প্রোগ্রামের সার্বিক আয়োজনে ছিলেন পিওয়াইপি, এমওয়াইপি এবং ডিপি’র সার্ভিস গ্রুপ লিডার ও স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষার্থীরা। এর মাধ্যমে আইএসডি শিক্ষার্থীরা সোলমাইদ, বিএসসিএফ ও এফএফসি’র (আইএসডি’র কমিউনিটি স্কুল পার্টনার) শিশুদের সাথে একাত্ম হয়। তারা একসাথে ‘টুমরো’ নামে একটি বাংলা চলচ্চিত্র দেখার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন কার্যক্রমে আগ্রহের সাথে অংশগ্রহণ করে। ইফতারের পরে আইএসডি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণকারী তিনটি স্কুলের প্রধানদের হাতে অনুদানের অর্থে কেনা উপহার সামগ্রী তুলে দেয়।

শিক্ষার্থীরা নিজেরাই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সম্পাদন করে। এমন ফলপ্রসূ একটি উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের নির্দেশনা দেন মিডল স্কুল ইন্ডিভিজুয়ালস অ্যান্ড সোসাইটিজের শিক্ষক আয়াজ কায়ামি। সার্ভিস ডে প্রোগ্রামের মূল কর্মপরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সকলের কাছে আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য ভবিষ্যতে একটি ওয়েবসাইটও নির্মাণ করবে আইএসডি শিক্ষার্থীরা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কমিউনিটির জন্য অর্থপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সেবার তাৎপর্য অনুধাবন এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে আরো বেশি মানুষের কাছাকাছি আসার সুযোগ লাভ করে।


আরও খবর



জ্বালানি তেলের দাম কমল, কাল থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে জ্বালানি তেলের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দফায় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ২ টাকা কমানো হয়েছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রোববার (৩১ মার্চ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত নতুন মূল্যের তথ্য জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

নতুন হিসাব অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে কেরোসিন ও ডিজেলের খুচরা মূল্য ১০৮ টাকা থেকে কমে ১০৬ টাকা, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল প্রতি লিটার ১২২ টাকা দরে বিক্রি হবে।

এর আগে, গত ৭ মার্চ স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ১০৮, কেরোসিন ১০৮, অকটেন ১২৬ ও পেট্রোল ১২২ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



ক্যানসারে মারা গেলেন পেপার রাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সাদ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিনিধি:না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড পেপার রাইমের গায়ক আহমেদ সাদ। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সঙ্গীতশিল্পী সাদের স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক বলেন, অনেক বছর ধরেই সাদ ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিল। মাঝখানে কিছুটা ভালোও হয়েছিল। কিন্তু মাস কয়েক হল পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে রোগটি।

তিনি বলেন, সাদের ৩ দিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয়, তখন ওকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে আবারও হার্ট অ্যাটাক হয়। পরে রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিক আরও জানান, মরদেহ দাফনের বিষয়টি পারিবারিকভাবে চূড়ান্ত করা হবে।

মূলত ব্যান্ড পেপার রাইম এবং এর ভোকাল আহমেদ সাদ নব্বই দশকে মাত্র একটি অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নেন। ব্যান্ডটির হার্ডরক, মেলোরক, সফট রক ঘরণার গানগুলোর কথা ও সংগীত ভীষণ গ্রহণ করে নেয় শ্রোতারা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘অন্ধকার ঘরে’, ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলো শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য ওই বছরই কার্যক্রম থমকে যায় ব্যান্ডটির। তবে ২০০৯ সালে সেটি সক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় ব্যান্ডে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দেন মিরাজ ও লনি। ড্রামার অভিক ২০১১ সালে দেশে ফিরে ব্যান্ডে যোগ দেন।

তারপর অনুশীলন করতে থাকেন তারা। নতুন অ্যালবাম প্রকাশেরও কথা চলে। কিন্তু ব্যান্ডটির ভোকালিস্ট সাদের অসুস্থতা সেটি আর হয়ে উঠে না। ফলে ২০১২ সালে পথচলা অনেকটা অনানুষ্ঠানিকভাবে থমকে যায়।

২০১৭ সালে সবশেষ ‘আবার’ নামের একটি মিক্সড অ্যালবাম প্রকাশ হয় পেপার রাইমের। আশিক মিউজিকের ব্যানারে মিক্সড অ্যালবামটির গানটির শিরোনাম ছিল ‘দাঁড়াও বন্ধু’।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি স্কুল বন্ধুরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন পেপার রাইম ব্যান্ড। এর লাইনআপে ভোকালে ছিলেন সাদ, গিটারে রাশেদ, কিবোর্ডে নাসের, বেইজ গিটারে সুমন ও ড্রামসে অভিক।


আরও খবর



শত্রুতা করে বোরো ফসল বিনষ্ট: কৃষক পরিবার সর্বশান্ত!

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার  নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের শিমনা গ্রামে এক কৃষকের ৩ বিঘা জমির বোরো ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক কীটনাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে ধান খেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।

অভিযোগে প্রকাশ, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার শিমনা গ্রামের নজমল হকের ছেলে নোমানুর রহমান নিজের সামান্য জমি আবাদ করে পরিবার চালান। একই গ্রামের ফুলচাঁনের ছেলে সোবাহান, সোবাহানের দুই ছেলে সাইদুল ও সলেমান দীর্ঘদিন থেকে নোমানুর রহমানের ভোগ দখলীয় জমি জোর পূর্বক জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষরা ইতিপূর্বেও নোমানুর রহমানের জমির ধান বিগত ৪ মৌসুমেও বিষাক্ত আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক নোমানুর রহমানের আবাদি ফসল নষ্ট হওয়ায় তাঁর পরিবার নিয়ে মানবেতর ভাবে দিনাতিপাত করছেন। তিনি অনেক কষ্টে এবার অন্য ৩ বিঘা জমিতে ২৯ জাতের বোরো ধানের চারা রোপন করেন। সেই চারা পুষ্টতা পেয়ে শীষ আসার আগ মুহুর্তে গত ২৭ মার্চ রাতে প্রতিপক্ষরা আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বোরো ধান খেতে বিষাক্ত আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের আমিনুর রহমান ধান খেতে কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করতে দেখে সোবাহান ও তার ছেলে-নাতিদের নিষেধ করলে তাকেই উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে অভিযুক্তরা সেখান থেকে চলে যায়। পরদিন দুপুর হতেই ধানের সব গাছ মরে গিয়ে হলুদ ফ‍্যাকাশে বর্ণ ধারণ করেছে।

কষ্টের ফসল নষ্ট হওয়ায় পরিবারের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কৃষক নোমানুর রহমান শোক-দুঃখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। জমির ফসল ধ্বংসকারী চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবিতে তিনি ৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে ২৯ মার্চ রাতে নবাবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তৌহিদুল ইসলাম জানান, জমির বোরো খেত নষ্ট করে দুবর্ৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাই কয়লা কান্ডে ২ জনের মৃত্যু: আহত ১০

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত সোর্স পরিচয়ধারী ও তার গডফাদার নিয়ন্ত্রণে রেখে দীর্ঘদিন যাবত করছে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। তাদের নেতৃত্বে সরকারের কোটিকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, চুনাপাথর, পেয়াজ, চিনি, গরু, মহিষ, কসমেটিকস ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করতে গিয়ে একেরপর এক ঘটছে মৃত্যু ও সহিংসতার ঘটনা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে- প্রতিদিনের মতো আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার টেকেরঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন মোকাম, দশঘর, বারেকটিলা, কড়ইগড়া, রাজাই, নয়াছড়া, রজনী লাইন ও বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা, চুনাপাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, জামাল মিয়া, রুসমত আলী, নাজির মিয়া, নজরুল মিয়া, সাইকুল, আশরাফ, হাছান আলী, শাহিবুর মেম্বার, বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং।

এমতাবস্থায় সকাল ৬টায় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে নায়ছড়া এলাকার ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে একই সময় বালিয়াঘাট ও চারাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, জঙ্গলবাড়ি, লাকমা ও বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একই সময় ওই গডফাদারের নেতৃত্বে কয়লা, চিনি, সুপারী ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর শুরু করে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালান মামলা আসামী আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, লেংড়া জামাল, বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, শামসুল মিয়া, শরাফত আলী, ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং।

এমতাবস্থায় লালঘাট সীমান্তে চোরাই কয়লা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এঘটনায় জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

এছাড়াও গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮), গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। পাচাঁরকৃত ১টন অবৈধ চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচাঁরকৃত অন্যান্য অবৈধ মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা সোর্স পরিচয়ধারী ও তাদের গডফাদার উত্তোলন করলেও তাদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত নেওয়া হয়না আইনগত কোন পদক্ষেপ।

এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন দুই চোরাকারবারীর মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান- থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই, সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। মৃত দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে জানাতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও কেউ ফোন রিসিভ না করার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর