Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

নাসিরনগরে ব্রি-২৮ ধানে চিটা, দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৯০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হাওড় অঞ্চল গুলোতে ধান কাটা শুরু হলেও অত্রাঞ্চলে ব্রি-২৮ ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। আগাম ফলনের আশায় চাষ করে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অধিকাংশ ধানে চিটা পড়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে  দ্রুত পাকাধান কেটে নেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে নাসিরনগরের ১৩ ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯সহ বিভিন্ন উফশী ও হাইব্রিড ধানের চাষ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে ব্রি-২৮ ধান আবাদ করা হয়। কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কীটনাশক প্রয়োগ করেনি। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও অতিমাত্রায় ইউরিয়া সার প্রয়োগের কারনে ধানে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়ে বলে কৃষি অধিদপ্তর সুত্র জানিয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক তাদের ব্রি-২৮ ধান কাটতে শুরু করেছেন।

ধানের চারাগুলো দেখতে পাকা মনে হলেও বাস্তবে অধিকাংশ ধান সম্পূর্ণ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আবার কিছু কিছু জমিতে ধানের শীষ ভেঙে গেছে। বিশেষ করে উপজেলার গোকর্ণ, গোয়ালনগর, সদর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের হাওরের অধিকাংশ ধানে চিটা হয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বোরো মৌসুম শুরুর পূর্বে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের ব্রি ধান-২৮ জমিতে রোপণ করতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু তারা পরামর্শ না শুনে বাজারের সহজলভ্য বীজ ধান নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো জমিতে রোপণ করে। যার ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিস থেকে বলা হয়েছে যেন ব্রি-২৮ ধান জমিতে রোপণ না করি। কিন্তু বিএডিসি থেকে ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ ধান রোপণ করার জন্য সবসময় উদ্বুদ্ধ করে থাকে  মেদির হাওরের কৃষক আল আমিন বলেন, ‘গতবার বন্যা সব ধান নিয়া গেছিল। এবার আগাম জাতের ব্রি ধান-২৮ করেছিলাম। আমার সব শেষ। ৪ হাজার টাকা খরচ করে যে ধান কাটছি ৪ টাকার ধানও পাব না।

গরুর (বন) খড় হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, মৌসুমের শুরু থেকেই ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কায় স্কোয়াড গঠন করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছি। পাশাপাশি আগামী মৌসুমে ব্রি-২৮ ধান রোপণ না করে এর বিকল্প হিসেবে ব্রি-৮৮, ব্রি-৯৬ ও বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান রোপণ করার অনুরোধ করেছি। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বৃষ্টির জন্য কুষ্টিয়ায় ইস্তেকার নামাজে সকল ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:পাপ কমান,তাপ কুমে যাবে। জলে স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল । সুরা রুম , আয়াত ৩০ । তীব্রতাপদাহে কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্হানে পানির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে দোওয়া ও ইস্তেকার নামাযে কান্নায় ভেঙে পড়েন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা ॥

আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদারসহ ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত,রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যা মামলায়। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২১ মে দিন ধার্য করেন। এর মাধ্যমে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

তবে অভিযোগ গঠনের সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন। এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।


আরও খবর



জয়পুরহাটে কারাবন্দী জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমানের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২৬জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের ক্ষেতলালের কারাবন্দী জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান মারা গেছেন। মঙ্গলবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  

বুধবার (১৫ মে) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় । জয়পুরহাট  জেল সুপার রীতেশ চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক নেতা ছিলেন।
   
জয়পুরহাট জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি নেতা মন্তেজার রহমান রহমান ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে বন্দী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে হার্ট-কিডনি-প্রেসারসহ জটিল রোগে ভূগছিলেন। গত সোমবার তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত ২৫০ শয্যার জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কারা তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীনবস্থায় মারা যান।

আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৬জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি সামনে রেখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শতাধিক সংগঠন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে দিবসটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপি গণমাধ্যমকর্মীরা ও তাদের বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করে আসছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো প্রভৃতি কর্মসূচি এই দিবসে পালন করা হয়।

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্রের মর্যাদা লুন্ঠিত হলে, কিংবা গণতন্ত্রের পবিত্রতা কোন কারণে কলুষিত হলে, গণমাধ্যমের নির্ভিক কন্ঠ সেখানে সোচ্চার হয়ে উঠে। গণমাধ্যম তাই জনগনের পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা দায়িত্বশীল অভিভাবক। গণমাধ্যম জনগণকে সচেতন করতে সদা সচেষ্ট এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে গণমাধ্যম সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। জনসাধারণের মতামত/চিঠিপত্র প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে জাগ্রত জনমতকে প্রতিফলিত করে সংবাদপত্র পালন করে তার পবিত্র নৈতিক দায়িত্ব। তাই বলা হয় “ওঃ রং ঃযব চবড়ঢ়ষবং চধৎষরধসবহঃ ধষধিুং ংবংংরড়হং” মন্তব্যটি সর্বোতভাবে স্বার্থক। সংবাদপত্র আক্ষরিক অর্থেই সদা জাগ্রত জাতীয় সংসদ।

গণমাধ্যম একটি সমাজ বা জাতির সামগ্রিক জীবনের প্রাত্যহিক দলিল। তাই গণমাধ্যমকে অবশ্যই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। গণমাধ্যম হতে হবে জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। জনগণের স্বার্থে গণমাধ্যম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তেমনি ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যে করবে সংগ্রাম। গণমাধ্যমকে নির্ভীক ও অকপট হতে হবে। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশানুরুপ নয়। ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বীয় দলের স্বার্থে গণমাধ্যমের উপর আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে বারবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম কোনটাই শক্তিশালী হতে পারেনি। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৪ মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বারবার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব, জনস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মুল লক্ষ্য গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে বিপন্ন করে চলেছে। দেশের সবক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক মানসিকতা বিদ্যমান। তোষামোদ, সুবিধাবাদিতা আর মিথ্যাচার সুবিধাভোগী সমাজকে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ গণমাধ্যম গণমানুষের মুখপত্র না হয়ে সুবিধাবাদী তল্পিবাহক, দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠির ক্ষমতারোহন কিংবা ক্ষমতাকে পাকাপোক্তকরণের হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্র দুর্বল থাকলে চেষ্টা করলেও গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে না। কোন সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম অথবা গণমাধ্যমকর্মী সমাজে ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেই নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে শত ঝুঁকির পরেও গণমাধ্যম তাদের দায়িত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর দেশের গণমাধ্যম ও তার কর্মীরা যত দলনিরপেক্ষ, নির্ভীক, শিক্ষিত ও সৎ হবেন, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

গণতন্ত্র বলতে জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। যে শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্র অর্থ জনসাধারণের শাসন। জনগণ যখন সকল ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ভার জনগণের ওপর ন্যস্ত থাকে তখন তাকে গণতন্ত্র বলা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের সকলে অংশ গ্রহণ করতে পারে এমন এক ব্যবস্থা বলেছেন। কাজেই বলা যায়, যে সরকার বা শাসন ব্যবস্থায় জনমতের প্রধান্য স্বীকৃত হয় এবং জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয় তাই গণতন্ত্র। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা দিয়েছেন “উবসড়পৎধপু রং ধ এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব) তাঁর মতে “জনসাধারণের জন্য, জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনসাধারণেই সরকারই হল গণতন্ত্র।

গণতন্ত্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে, ফলে গণতন্ত্রে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম একটি আরেকটি পরিপূরক। যেখানে গণমাধ্যম যতবেশী শক্তিশালী যেসখানে গণতন্ত্র বেশী শক্তিশালী। পরমত সহিষ্ণুতাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কথা। আলোচনা, মতপ্রকাশ, ঐক্য, সংহতি হলো গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ি। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। মৌলিক অধিকার হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সংবিধানের ধারার ৩৯(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে এবং ৩৯ (২) সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক, জনতার কন্ঠস্বর, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ইত্যাদি নানা নামে গণমাধ্যমকে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেই জাতির বিবেকের উপর চলে নানা জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর করা হয় নির্যাতন, এমনকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু খুনি ও নির্যাতনকারীরা আইনের আওতায় আসছে না, তাদের শাস্তি হচ্ছে না। এই বিষয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার জন্যে রাজনৈতিক বিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠে সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের পেশাগত ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলা যায় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জানানো হয় যে, তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমের সহায়তায় জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, গণমাধ্যম শিল্পের মানোন্নয়ন, সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন, বিকাশ ও সংরক্ষণ এবং গণমাধ্যমকর্মীর পেশাগত দক্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় হামলা ও নানা রকম হুমকীতে শিকার হতে হয়। গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার। নিহতদ্বয় স্বামী-স্ত্রী। ছয় বছর বয়সী একমাত্র শিশু পুত্র মাহির সরোয়ার মেঘের সম্মুখে এই সাংবাদিক দম্পত্তি খুন হয়েছেন। কিন্তু আজো খুনীদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরতে পারেনি, কিংবা চিহ্নিত করতে পারেনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি পল্টনের নিজ বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন। বিগত খালেদা-নিজামীর আমলে খুন হন সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট’ গঠনসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে কতিপয় প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটিতে আইনটি যাচাই-বাচাইয়ের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জারি করেন নিউজপেপার এমপ্লয়ীজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অডিন্যান্স জারি করেন। এই আইনের অধীনে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বোর্ড কর্মচারীদের  ওয়েজ বোর্ড  হয়ে আসছিল। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওয়েজ বোর্ড গঠনের সময় ধরা পড়লো বিএনপি সরকার কোনো অংশীজনের সাথে আলোচনা না করে এই আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সনের আইনটি সাংবাদিকতা পেশাকে কয়েকটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এই আইনে সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মচারীদের অধিকার ও বিরোধ নিস্পত্তির বিষয়গুলো শ্রম আইনের মধ্যে রেখেও কিছু বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিল। এই গুলো হচ্ছেঃ সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়েজ বোর্ড গঠন, পেশার সংজ্ঞায়ন,  বিশেষায়িত বলে কতপিয় বিশেষ সুবিধা  নিশ্চিতকরণ। প্রক্রিয়াধীন  নতুন আইন ১৯৭৪ সালের আইনের মূল চেতনা ধারণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন আইনে বিশেষ অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করবে, প্রচলিত শ্রম ও সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে বিশেষায়িত বিষয়গুলো সমন্বয় করবে, যেগুলো বিধিতে আনা সম্ভব সেগুলো বিধির জন্য পাঠাবে, যেগুলো ওয়েজ  বোর্ড নির্ধারিত হবে সেগুলো পৃথক করবে, ‘যা বাহুল্য তা’ বাতিল করবে। এভাবেই নতুন আইনটি সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন,  বেসরকারি বেতার মাধ্যমে সাংবাদিক, আলোকচিত্র সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমের সকল কর্মচারীদের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এই নতুন আইনটি দ্রুত প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বর্তমানে বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়া উপকূলে মারা যাওয়া আট বাাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন- রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন,মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা অভিযোগ করেন, ওই আটজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাঁদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তাঁর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।


আরও খবর