Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
মলি আক্তার রিতার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

নাসিরনগর থেকে ২৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৫১৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নানঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানার সিভিল টিমের পাঁচ সদস্য মিলে গতকাল বিকেলে উপজেলার ধরমন্ডল ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সাবেক চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি নিকট প্রথম  ব্রীজের উপর থেকে মোঃ রুবেল মিয়া ২৫ কে আটক করে তার কাছে ব্যাগে থাকা ২৭ টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

ওই সিভিল টিমের সদস্যরা হলেন,নাসিরনগর থানার চৌকশ পুলিশ অফিসার এস আই রূপন নাথ,এ এস আই সফিকুল ইসলাম, এ এস আই মোঃ কামরুল হোসেন,কনস্টেবল জাফর ও কনস্টেবল রানা দাস।এর পূর্বেও ওই টিমের সদস্যরা মাদক,অস্ত্র,ডাকাতি মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করে বিভাগীয় পুরুস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মিরসরাইয়ে অনির্বাণ যুব ক্লাবের মেধাবৃত্তি প্রদান ও সনদপত্র বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

মিরসরাই প্রতিনিধ:মিরসরাইয়ের অন্যতম সেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা অনির্বাণ যুব ক্লাবের ১ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা ফরেস্ট অফিস এলাকায় অবস্থিত সংগঠনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সংগঠনের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা দীন মোহাম্মদ দিলু ও সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত উল্যাহ রিপন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবুল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেন, বারইয়াহাট ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডি'র সদস্য আব্দুল আউয়াল মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন উদয়ন ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, রেকটো প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম, জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যানেজার (সাপ্লাই চেইন) রফিকুল ইসলাম, জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যানেজার (সেলস ডিপার্টমেন্ট) শাহাদাত হোসেন সবুজ।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, রাজিব কৃষ্ণ জীবন, আজিজুল হক, স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা জাগ্রত প্রতিভার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা ভূঁইয়া, উদয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম শাহীন, রক্তিম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান, এসটি লায়ন্স স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম রাফি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহসাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোজাফফর হোসেন সোহাগ এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা দীন মোহাম্মদ দিলু।

১ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্য থেকে প্রতি ক্লাসে ৬ জন করে মোট ৫৪ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে সনদপত্র, শিক্ষা সামগ্রী, সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ অক্টোবর সকালে ১ম অনির্বাণ যুব ক্লাবের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়- যেখানে ২টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসা'র ৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে এবং একই বছরের ২০ ডিসেম্বর উক্ত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং সংগঠনের উপদেষ্টা দীন মোহাম্মদ দিলু ১ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মেধাবৃত্তি সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সংগঠনের সদস্য এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নবীনগরে অবৈধ বালু উত্তোলন: ৫ লাখ টাকা জরিমানা, ৩ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ-

নবীনগরে অবৈধভাবে অতিরিক্ত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ইজারাদারের প্রতিনিধিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৩ জনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।সোমবার (১ এপ্রিল, ২০২৪) সকালে উপজেলার জাফরাবাদ বালুমহালে অতিরিক্ত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।


অভিযানে জাফরাবাদ বালু মহাল পয়েন্টে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ইজারাদারের প্রতিনিধি মো: সাদেক মিয়াকে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ইউএনও।এছাড়াও, চর মানিকনগরে মেঘনা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় ৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে হাতে নাতে আটক করা হয়। আটককৃত ৩ জনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।এ সময় ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, "অতিরিক্ত ড্রেজার বসিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।"মোবাইল কোর্টে সহযোগিতা করেন নবীনগর থানা পুলিশ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃতাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মেহেরপুরবাসীর। টানা কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ রোব্বার বিকেল তিনটায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রোব্বার বেলা চারটা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে বেলা দুইটার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় মাথাল দিয়েভুট্টা মাড়াই করছিলেন নজরুল ইসলাম কালাম আবুছদ্দীন ও মনিরুল। পাশের জমিতে ভুট্টা কাটছেন ইমদাদ আর কাউছার। তাদের ভাষায়, রোদির মদ্দি কাজ করতি সমেস্যা তো এট্টু হচ্চেই। কাজ না কল্লি তো আর হচ্চে না। কাজের ফাঁকে পর এট্টু জিড়িটিড়ি নিতে হচ্ছে। আমাগের হাত না নড়লিতো প্যাট চলবি না।

করিমপুর মোড়ে টং দোকানের সামনে কথা হয় কৃষক আবু বক্করের সাথে। তার ভাষায়, ‘জীবনকালে এমন গরম কখনো দেখেননি। এ গরম তো না মনে হচ্ছে গজপ। আমরা আগে দেকিচি এইরাম রোইদ পড়েচে, কিন্তু এইরাম তাপ ছিলুনা। সেই সুমায় খালে-বিলি পানি থাকতু। অ্যাকন কুথাও পানি নেই, রোদির ঝলক পড়চে। আমাদের বয়সে বহু কিচুই দেকিচি, অ্যারাম গরম দেকিনি।’

গোপালনগর চারচারা মোড়ে বটগাছের নীচে দেখা হয় কৃষক আকরাম আলীর সাথে। তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। একটু জিড়িয়ে নিতে গাছ তলায় বসেছেন। তার ভাষায় “ এমন গরম বাপের জন্মেও দেকিনি।আগে একঘন্টায় যে জমিতি পানি দেয়া হতো এখন লাগছে চারঘন্টা। সময় আর তেল দুটোই অপচয়।

কয়েকদিন আগে একটার মটরও পুড়ি গিছে। ইবার ধানে লুকসান হতি পারে।গাংনী রেজাউল চত্ত্বরে জুতা মেরামতকারী (মুচি) ভগত দাস রোদের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে ছাতির নীচে কাজ করছেন। সারা দিনে মাত্র ১২০ টাকার কাজ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি জানান, দিন পনের আগেও এত তাপ ছিল না। সেসময় ৫/৬শত টাকা হতো।

এখন লোক সমাগম নেই তাই কাজও নেই। খদ্দেরের আশায় রোদের মাওেঝও বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আগের তাপ-গরমের সাতে অ্যাকনকার আকাশপাতাল তপাত। ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েচে। এই রোদি আর গরমে পারা যাচ্চে না। বয়স হয়ে গিয়েচে, অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যাচ্চি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আজ রোব্বার ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৮ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ৩০ জন। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই।

রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, তাপদাহ বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তার পাশে বা যেখানে সেখানে বিক্রি হওয়া আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাচ্ছেন। এগুলো অস্বাস্থকর। খাওয়া যাবে না। কারণ, একই গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি শরবত পান করছেন। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হালকা পাতলঅ পোশাক পরতে হবে।


আরও খবর



ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঈদযাত্রা স্বস্তির প্রস্তুতি ম্লানের আশঙ্কা মহাসড়কে হাটবাজার-ইটবালু ব্যবসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর(গাজীপুর) প্রতিনিধি:দেশের অত্যান্তু গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক গুলোর মধ্যে একটি ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন মহাসড়কের ৭টি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়াসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।কিন্তু মহাসড়কের ওপর অবাধে চলছে হাটবাজার, চোরাই ইটবালু ব্যবসা ও অবৈধ থ্রি-হুইলার। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও উচ্ছেদ করা না হলে ঈদযাত্রা স্বস্তির সকল প্রস্তুতি ম্লান হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রীসহ স্থানীয় লোকজন।

সরেজমিনে ঘুরে সড়ক সংশ্লিষ্ট ও পরিবহন শ্রমিক-যাত্রীসহ স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম একটি মহাসড়ক। এ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১২২টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে। ফলে এ মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়কে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারও বলা হয়। এক সময় নাকাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতেন উৎসবমুখর ঘরমুখো মানুষ। অনেকেই যানজটে আটকে ঈদের নামাজেও শরীক হতে পারতেন না। আবার এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতের মনে হলেও দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন যাত্রীরা। চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ছিল একই অবস্থা। সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এখন অনেকটা স্বস্তির মহাসড়ক দুটি। কিন্তু বছরে দুটি ঈদ, দূর্গাপূজাসহ বড় ছুটির সময়ে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়ে এখনো মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শিল্পকারখানা একত্রে ছুটি হলে মহাসড়কে চাপ বৃদ্ধি পেয়ে যানজট আরো দৃঢ় হয়। এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে গত ২৪ মার্চ বিভিন্ন মহাসড়কের ৭টি ফ্লাইওভার উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ারপোর্ট, জসীমউদ্দিন, ইউটার্ন-১ গাজীপুরা, ইউটার্ন-২ উন্মুক্ত

বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগড়া, চৌরাস্তা ফ্লাইওভার। এসব ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল করছে। এছাড়াও প্রতিবছরের ন্যায় এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট সড়ক বিভাগ, হাইওয়ে,জেলা ও থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ নাম মাত্র উচ্ছেদ অভিযান করলেও মৌচাক, সফিপুর, পল্লীবিদ্যুৎ, চন্দ্রা ত্রিমোড়, বোডঘরসহ বিভিন্ন স্থানে ফ্লাইওভারের নিচে এবং ফুটপাতসহ মহাসড়ক দখল করে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে বসছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট ও হাটবাজার। এছাড়াও খাড়াজোড়া, কালিয়াকৈর বাইপাস, শ্রীফলতলী, হিজলতলী, সূত্রাপুর, বোডঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়কের ওপর প্রায় অর্ধশত চোরাই ইটবালু স্পট রয়েছে। ওই সিন্ডিকেট চক্ররা প্রশাসনকে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কের ওপর এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অপর দিকে মাসোয়ারা দিয়ে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, সিএনজি, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহনের ইচ্ছা মতো মহাসড়কের ওপরেই রয়েছে তাদের অবৈধ ষ্টেশন। ফলে প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও।

দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন, আবার অনেকেই হয়েছেন পঙ্গু। নিঃস্ব হয়েছেন তাদের অনেকের পরিবার। কিন্তু তারপরও ভ্রাম্যমান দোকাটপাট, হাটবাজার, চোরাই ইটবালু ও থ্রি-হুইলার সিন্ডিকেট চক্র প্রতিদিন সব মিলিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, ওই টাকা ভাগ যাচ্ছে কিছু অসাধু পুলিশ, সড়ক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পকেটেও। ফলে মহাসড়ক ঘিরে প্রকাশ্যে এভাবে অন্যায় অপরাধ সংঘঠিত হলেও সংশ্লিষ্টরা যেন নিবর দর্শক। এছাড়াও যেখানে সেখানে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, যাত্রী উঠানামা করানোসহ যানজটের সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এসব কারণ এখনো চলমান থাকায় এবার ঈদযাত্রায় যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণ গুলো সমাধান করা না হলে সংশ্লিষ্টদের স্বস্তিতে ঈদযাত্রার সকল প্রচেষ্টা ও প্রস্তুতি ম্লান হবে বলেও মনে করছেন পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন। পথচারী ও যাত্রী আয়েশা আক্তার, আলমগীর হোসেন, লাল মিয়া, সাদ্দামসহ অনেকেই বলেন, প্রশাসনের লোকজন যত যাই বলুক, যানজট লাগবেই। যানজট ছাড়া কোনো ঈদে আমরা বাড়ি যেতে পারি না। পিকআপ চালক নুর ইসলাম, পিপলু হোসেন, বাস চালক মোখলেজ মিয়া, তজু মিয়াসহ অনেকে বলেন, মহাসড়কের ওপর হাটবাজার, ইটবালু ব্যবসা করায় প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। এছাড়া আমাগো লগে পাল্লা দিয়ে আগে যাচ্ছে অটোরিকশা সিএনজি। ফলে দুর্ঘটনা ও যানজট লেগে যায়।

প্রতিবছরই মতো এবারও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন জানান, এ মহাসড়কের সাড়ে ৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ যানজট এলাকায় ৩২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। তবে ঈদকে ঘিরে ফুটপাত দখলমুক্ত, রং পাকিং গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়াও থ্রিহুইলার, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, ইটবালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।

সম্প্রতি ওই মহাসড়ক পরিদর্শণ শেষে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রায় ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানান ঢাকা রেঞ্জের হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, গতবার ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হলেও এবার এবার আরো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। এবার টকিং ড্রোন ব্যবহারের পাশাপাশি নতুন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি থাকছে বডি লাইভ ক্যামেরা যা সরাসরি হেড অফিসে চন্দ্রা কন্ট্রোল বক্সের মাধ্যমে মহাসড়ক নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, ঈদকে ঘিরে মহাসড়কের যানজট নিরসনে ইতিমধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যাতে যানজট না থাকে সে বিষয়ে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর



গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের বিষয়ে যে নির্দেশ দিলেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, সারাদেশে গ্যাসের অবৈধ গ্রাহকদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা অনুমোদন নিয়ে গ্যাস লাইন ব্যবহার করছেন তারা ঠিক মতো বিল দিচ্ছেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে তিতাস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার কথা জানান তিনি। এর আগে প্রতিমন্ত্রী তিতাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, এখন থেকে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দুটি কাজ খুব গুরুত্বের সঙ্গে করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে, নিয়মিত সিএনজি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অডিট করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের জন্য অনুমোদন নিয়েছে, তাদের মিটারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তারা ঠিকমতো বিল দিচ্ছে কিনা, তাদের পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে কিনা, এগুলো নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।

দ্বিতীয় নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বাণিজ্যিক, শিল্প ও আবাসিকের যত গ্রাহক রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের ঠিকানায় গিয়ে তল্লাশি (চেক) করতে হবে। তারা ঠিকমতো গ্যাস বিল দিচ্ছে কিনা, মিটারগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা দেখতে হবে।

যত ভুতুড়ে ও অবৈধ গ্রাহক আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর