Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নাসিরনগর শিল্পকারখানার বর্জ্যে নষ্ট হচ্ছে ফসল দুষিত হচ্ছে পরিবেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ২২০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার  মাধবপুর উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান নাসিরনগর,ফান্দাউক, ছতিয়াইন রতনপুরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি শিমুলঘর থেকে শুরু করে,ছাতিয়াইন, রতনপুর হয়ে অলিপুর,জগদীশপুর,শাহপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার দু- পাশে গড়ে উঠা অপরিকল্পিত শিল্পায়নের ফলে  শিল্প কারখানার কেমিক্যালযুক্ত খালের পানি উপচে পড়ে কৃষকের জমিতে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

তাতে নষ্ট হতে চলেছে কৃষকের জমির উর্বরতা আর ফসল।কালো দুয়ার কারনে দুষিত হচ্ছে পরিবেশ।অপরদিকে এ সমস্ত খালবিল হয়ে পড়েছে মাছ শুন্য।ছাতিয়াইন রতনপুরের মধ্যবর্তী স্থানে পানি নিস্কাশনের খালবন্ধ করে নতুন করে গড়ে উঠতে শুরু করেছে আরো কয়টি  শিল্পকারখানা।আবার অনেক কারখানাতে যাতায়াতের জন্যও ভরাট করা হয়েছে পানি নিস্কাশনের খান।সেখানে প্রশাসন যেন নির্বিকার।শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে ক্ষতি হয়েছে সাতপাড়িয়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকার কৃষকদের ফসল।

সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খালের আশপাশের কৃষি জমি। শিল্প কাখানার নানা রকমের বিষাক্ত বর্জ্যের পানিতে কৃষি জমি উর্বরতা হারাচ্ছে। ফলে এসব জমিতে ফসল উৎপাদন  ব্যহত হচ্ছে । ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে  প্রান্তিক কৃষক। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় , খালের পানিতে আবাসস্থল হারাচ্ছে দেশিয় প্রজাতির মাছ ও বিভিন্ন প্রকারের জলজপ্রাণি। খালের পাড়ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা গাছপালাও মারা যাচ্ছে। এতে মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে পরিবেশ। ফলে খালকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এসব এলাকার কৃষিনির্ভর অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়াও উক্ত রাস্তাটি দিয়ে পথচারীরা যাতায়াতের সময় কারখানার দুর্গন্ধে নাক চেপে যাতায়াত করতে হচ্ছে।জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এই খালের পানি ব্যবহার করে সব ধরনের চাষাবাদ করা যেতো। এলাকায় বিভিন্ন শিল্প কারখানা নির্মাণের পর এর পানি দূষণ হওয়া শুরু হয়। পানি ব্যবহারের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি উপচে কৃষি জমিতে উঠে যায়। এতে ধানের খেতে আগের মতো ফসল তো হয়ই না, এখন খালের পানি খেতে ঢুকলে ধান গাছের চারাও মরে যায়।গত কয়েক বছরে মাধবপুর উপজেলার হরিতলা এলাকায় বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে।

এ শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা এলাকাবাসীর জন্য যেমন আশীর্বাদ ঠিক কিছু কিছু স্হানীয় গরীব ও অসহায়দের জন্য অভিশাপের সাথেও তুলনা করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, একশ্রেণির জমির দালাল আইনের ফাঁক ফোঁকর ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আঁতাত করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন সহ  জাল জালিয়াতির  মাধ্যমে জুটিয়ে নিয়েছে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার ছাড়পত্র। এতে আদৌ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন আছে কি না, তা ভাবার বিষয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ এরমধ্যে গ্যাকো ক্যামিক্যালস,গ্লোরী,এগ্রো প্রোডাক্ট, জাস রুটোপ্লেক্স ইন্ডাট্রিজ,পাইনিয়ার ডেনিম কোম্পানি লিমিটেড,বাদশা গ্রুপ কোম্পানি), নাহিদ টেক্সটাইল এবং কপারটেক কোম্পানির বর্জ্য আবর্জনা ও বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত পানিতে উপজেলার শিব-জয়নগর, সাতপাড়িয়া, পিয়াইম, সাকুচাইল, দাসপাড়াসহ কোম্পানি গুলোর পশ্চিমা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের  খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ফসলি জমিসহ খাল বিলের পানি নষ্ট হয়ে গেছে।

ওইএলাকা গুলোতে মরে যাচ্ছে হাঁস মোরগ গরু চাগল মহিষ সহ গবাদিপশু । দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। এইসব এলাকার শিশু সহ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ও লেগেই রয়েছে মারাত্বক রোগ বালাই। স্বাস্থ্যহীনতায় ভোগছে শিশুসহ এসব এলাকার বাসিন্দারা।এলাকাবাসী এ সমস্যা সমাধানে পরিবেশবাদী সংগঠন গুলোর সহযোগিতা কামনা করে। তাছাড়াও নদী সুরক্ষা সংগঠন নোঙর,পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে ভুক্তভোগী সহ এলাকার সচেতন মহল।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




রাণীশংকৈলে কুলিক নদীর মুল ধারাকে দখলমুক্ত করতে সুরক্ষা কমিটির মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে কুলিক নদীর মুল ধারাকে দখলমুক্ত করা এবং প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র রক্ষায় রাণীশংকৈল উপজেলা কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) উপজেলা পরিষদ মূল ফটকে কুলিক নদী সুরক্ষা কমিটির আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ'লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, কুলিক নদী সুরক্ষা সকমিটির সদস্য সচিব এ্যাভোকেট মেহেদী হাসান শুভ, সাবেক পৌর আ'লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম (ভিপি) প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী,প্রেসক্লাব (পুরাতন) সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-সভপতি হুমায়ুন কবির,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক আরথান আলী, যুগ্ন সম্পাদক জাকারিয়া হাবিব ডন, ছাত্রলীগ নেতা তামীম হোসেন প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,কুলিক নদী সুরক্ষার জন্য রাণীশংকৈল পৌরসভার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত 'কুলিক' নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খননকার্য পরিচালনা করিয়া নদীর গভীরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা। নদীর দুই পাড়ের ভাঙ্গন রোধে ব্লকপাথর দিয়ে বাধাঁই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।  

কুলিক নদীর দুই পাড়ে পর্যাপ্ত বৃক্ষ রোপন করার মাধ্যমে বনায়ন কার্যক্রম সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন।নদীর দুই পাড়ের দখল উচ্ছেদ করিয়া নদীর সৌন্দর্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুলিক নদীকে পর্যটক বান্ধব নদীতে রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন। কুলিক নদীর পানিকে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করা।

পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য কুলিক নদীতে ফেল্য হইতে বিরত থাকা হিসেবে ব্যবহার না করা।অতিথি পাখির নিরাপদ অবস্থান অথবা অনিশ্চিত গ্রহন করা। যেহেতু বাংলাদেশের নদ-নদী সমৃহ দেশের জাতীয় সম্পন্ন এবং নদীর অবৈধ দখল, পানি ও পরিবেশ দূষন, শিল্প কারখানা কর্তৃক সৃষ্ট নদী দূষন, অবৈধ অবকাঠামো নির্মান ও নানাবিধ অনিয়ম রোধকল্পে এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার ও নদীর যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন নিশ্চিতবঙ্গে বিধি বিধান রহিয়াছে বিধায় বর্ণিত বিধানাবলী তৎসম যথাযথ বিধানাবলী প্রয়োগের মাধ্যমে কুলীক নদীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরী এবং সময়ের দাবী।

আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি সংরক্ষণে আছে, বাজারে প্রভাব পড়বে না: এস. আলম

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি গুদামে বিগত ৪ মার্চ বিকেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনী সহ প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে কোনো হতাহতের ঘটেনি তবে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি।

আগুনের উৎপত্তির কারণ এখনো জানা যায়নি। আগুনের ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে  সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

রমজানকে সামনে রেখে মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব চিনির বাজারে পড়বে কি না সে বিষয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছে সাধারণ ভোক্তারা। তবে এস. আলম গ্রুপ জানিয়েছে, ভোক্তাদের চাহিদামাফিক বাজারের জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে এস. আলম গ্রুপের। সৌভাগ্যবশত আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, সেখানে ৬-৭ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি মজুত আছে। তাই চিনির বাজারে দীর্ঘস্থায়ী সংকটের আশঙ্কা নেই। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা চালুর সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এস. আলম গ্রুপ এবং চিনির আরো চালান(শিপমেন্ট) আসছে।

এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, “আমরা যত দ্রুত সম্ভব রিফাইন মিলটির কার্যক্রম শুরুর জন্য চেষ্টা করছি। কারখানা চালু হলে চিনির গুদামে ঘটে যাওয়া এই অগ্নিকাণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী কোনো সংকট থাকবে না বলে আমরা মনে করি। আগুন লাগা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি মজুত থাকায় বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ।”

তিনি আরো বলেন, “অনেক অসাধু বিক্রেতা হয়তো এই পরিস্থিতিতে সুবিধা নিতে চাইবেন। তবে বাজারে সরবরাহের জন্য যথেষ্ট চিনি আমাদের কাছে মজুত রয়েছে। আগামী কয়েক দিনেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”


আরও খবর



সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

১১টি প্রকল্প অনুমোদন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত)।

কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ)।

বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়)। ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প।

বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়)। ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত)-সহ মোট ১১টি প্রকল্প।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বেইলি রোডে সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে: সিআইডি প্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ধারণা করা হচ্ছে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের সূত্রপাত শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া গেলেও গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘটতে পারে। এজন্য সঠিক তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে কমিটি।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

তিনি বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে, আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডির ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

সিআইডি প্রধান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যালের আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরকজাতীয় কিছু ছিল কি না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। দুই ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে।

এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন হাইকোর্ট। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এজন্য দায়ী তা খুঁজে বের করবে। এছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।


আরও খবর



স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি - দুর্দান্ত সব ফিচার ও অসাম ডিসপ্লে নিয়ে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:ক্রেতাদের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় তাক লাগাতে এবার স্যামসাং বাংলাদেশে নিয়ে এলো গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি। ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের সুবিশাল ব্যাটারি ও সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লের মাধ্যমে এ অসাম ডিভাইস নিশ্চিত করবে দিনভর গেমিং ও স্ট্রিমিংয়ের দারুণ অভিজ্ঞতা! 

এ বিষয়ে স্যামসাং ইন্ডিয়া ইলেক্ট্রনিকস প্রাইভেট লিমিটেডের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ অফিসের হেড অব এমএক্স বিজনেস মো. মূয়ীদুর রহমান বলেন, “দেশে গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি আনতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি এই ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জীবন আরও আনন্দদায়ক করে তুলবে। এ১৫ এর শক্তিশালী ক্যামেরায় প্রিয়জনদের সাথে অথবা পছন্দের জায়গাগুলোর ছবি তোলা যাবে, যত ইচ্ছা তত। সাথে, এর সুবিশাল ব্যটারি ফোনটিকে দিনভর চালু রেখে আপনার জীবনের রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে করে তুলবে আরও রোমাঞ্চকর।”

ভিশন বুস্টার সহ ৬.৫-ইঞ্চি এফএইচডি+ সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে সমৃদ্ধ স্যামসাং গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি ফোনে সকল কনটেন্ট দেখা যাবে একদম ঝকঝকে – এমনকি সরাসরি সূর্যের আলোতেও ফোনের ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট দেখতে কোন অসুবিধা হবে না। ফোনটির ডিসপ্লেতে রয়েছে ৯০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট। ঘরের বাইরেও স্ট্রিমিংয়ে চমৎকার ছবি নিশ্চিত করতে এতে ৮০০ নিট পর্যন্ত ব্রাইটনেস বাড়ানো সম্ভব। এর পাশাপাশি, রাতে অথবা কম আলোতে ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে এতে আছে আই কমফোর্ট শিল্ড, যা ক্ষতিকারক নীল রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে।

স্মার্টফোনটির ব্যবহারকারীদের দেশ অথবা বিদেশ ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে ডিভাইসটির ৫,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। পাশাপাশি, এর ২৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ফোনকে দ্রুত চার্জ করে ব্যবহারকারীদের রাখবে দুশ্চিন্তামুক্ত।

৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি লেন্স, ৫ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ও ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যমেরায় সমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনে যেকোন মুহূর্ত অথবা জায়গার দুর্দান্ত ছবি ক্যামেরাবন্দি করা যাবে অনায়াসেই। বন্ধুদের সাথে সকল স্মৃতি ধরে রাখতে এতে আরও থাকছে ১৩ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা।

স্যামসাংয়ের এই নতুন সংযোজনে যথেষ্ট স্পেস ও স্পিড নিশ্চিত করে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬১০০+এসওসি ও মালি জি৬৭-এমপি২ জিপিইউ। তিনটি ভার্সন-এ  গ্যালাক্সি এ১৫ পাওয়া যাবে: ৬/১২৮জিবি , ৮/১২৮জিবি এবং ৮/২৫৬জিবি। ইন্টার্নাল স্টোরেজ মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে ১ টিবি পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। অ্যান্ড্রয়েড ১৩ এর ওপর ভিত্তি করে ওয়ান ইউআই ব্যবহার করা হয়েছে এই স্মার্টফোনে। চতুর্থ প্রজন্মের ওএস আপগ্রেড ও ৫ বছরের সিকিউরিটি মেইন্টেনেন্স উপভোগ করতে পারবেন এই ডিভাইসের ব্যবহারকারীরা। পাসওয়ার্ড, পিন ও প্যাটার্নের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সার্টিফায়েড ইএএল৫+ স্যামসাং নক্স ভল্ট এর সুরক্ষা রয়েছে এই স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সিরিজের নতুন এ ডিভাইসটিতে।

আপনার দৈনন্দিন জীবনকে আরও রঙিন করে তুলতে গ্যালাক্সি এ১৫ ৫জি পাওয়া যাবে দুর্দান্ত রঙ ও ডিজাইনে । প্রাইস শুরু ৩১,২৯৯ টাকা থেকে!


আরও খবর