Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

নাসিরনগর ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকের বিরোদ্ধে জোরপূর্বক জনগণের রাস্তা বন্ধের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৩০২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

একশ পরিবারের চলাচলের প্রায় শতবর্ষী রাস্তা বন্ধ করে বাউন্ডারী নির্মানের অভিযোগ উঠেছে ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুকের বিরোদ্ধে।এ বিষয়ে ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে ফান্দাউক শাহাজি পাড়ার বাসিন্দা সুকুমার দাস,মহেন্দ্র দাস,সুভাষ চৌধুরী,সুধীর বর্দ্বন সহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে রাস্তাটি পুনঃউদ্ধারের জন্য নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের পর  নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ রাসাতাটি স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা মেপে খুটি বসানো হলেও প্রভাবশালী চেয়ারম্যান খুটি ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তাটি তার দখলে নিয়েএবার রাস্তার উপর বাউন্ডারী নির্মানের করতে শুরু করেছে।গতকাল সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে এমনই চিত্র।


ভুক্তভোগীরা জানান,রাস্তাটি দিয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের প্রায় একশ পরিবারের  লোকজন যাতাযাত করে।তাছাড়াও উক্ত রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরও রয়েছে চলাচল।তারা আরো জানান রাস্তাটি বন্ধ করার ফলে জনগণের চলাচল সহ কোন লাশ নিয়ে বের হওয় পর্যন্ত সম্ভব হবে না।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফান্দাউকের বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল বলেন,চেয়ারম্যান ফারুক নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ অমান্য করে তার নিজের শক্তি প্রয়োগ করে একক ভাবে যে কাজটি করছে তা সম্পূর্ন অন্যায় করছে।তিনি বলেন ধর্মপ্রতি মন্ত্রীর নাসিরনগর আগমনের কারনে এমপি সাহেব ব্যস্ত রয়েছে।উনি চলে যাবার পর আমরা এমপি সাহেবের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহন করবো।


ফারুকুজ্জামানের সাথে কথা বলতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাদিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।ঘটনাস্থলে তার ছোটভাই রুবেলকে লেবার নিয়ে কাজ করতে  পাওয়া যায়।এ সময় রুবেলের সাথে কথা বলতে চাইলে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি রুবেল।এ সময় রুবেল বলেন,আপনি জানেন আমি একটা সরকারী স্কুলে নৈশপ্রহরী কাম দপ্তিরর চাকুরী করি।সুতরাং আমার পক্ষে ক্যাকেরার সামনে কথা বলা সম্ভব নয়।



আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



তানোরে গোপনে তাজা গাছ অকশান কাটতে বাঁধা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২১৫জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে একই স্ব মিলকে বারবার গোপনে তাজা গাছ অকশান বা নিলামে দিয়ে আসছেন বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর পৌর এলাকার জিওল মোড়ে অবস্থিত রাজ স্ব মিল এন্ড ফার্নিচারের মালিক আব্দুর রাজ্জাককে দেয়া হয় গাছ। সেই তরতাজা গাছ কাটতে গেলে স্থানীয়দের তোপের মুখে পালিয়ে আসে রাজ্জাক ও তার শ্রমিকরা। গত বুধবার মুন্ডুমালা পৌরসভার সামনে তাজা গাছ কাটার সময় স্থানীয় ধাওয়া দেয়। একের পর এক তাজা শতবর্ষী গাছ কেটে সাবাড় করলেও রহস্য জনক কারনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একেবারেই নিরব ভূমিকায়।স্থানীয়রা জানান, চলতি মাসের গত বুধবার সকালের দিকে মুন্ডুমালা পৌরসভার সামনে এবং শাহিন শপিং সেন্টার সংলগ্ন জায়গায়  তরতাজা গাছ কাটা শুরু করেন। আমরা জানতে চায় গাছ কাটার কে অনুমতি দিয়েছে। গাছ কাটার লোকজন বিএমডিএর কাগজ দেখায়। আমরাও সাব বলে দিই বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী আসবে তারপর গাছ কাটতে পারবেন, তার আগে একটি গাছও কাটতে পারবেন না। তারা আরো জানান, পৌরসভা সীমানা প্রাচীর করার সময় গাছ কাটার প্রয়োজন ছিল, তারপরও মেয়র কোন গাছ কাটেনি। অথচ অতি গোপনে সহকারী প্রকৌশলী কোটেশনে পছন্দের ব্যক্তিকে এভাবে একের পর এক গাছ দিতেই আছেন। এর আগে কাউন্সিল মোড়ের রাস্তায় কয়েকটি গাছ নিলামে দিয়ে অর্ধশতাধিক গাছ কর্তন করেছিলেন। ওই সময় জেলা অফিস থেকে তদন্তও করা হয়। কিন্তু রহস্য জনক কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ওই সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গোপনে এভাবে গাছ কোটেশনে দিতে পারত না। এই কর্মকর্তা যেন উপজেলা থেকে গাছ উজাড় করার জন্যই এসেছেন। কারন এর আগে এভাবে কেউ গাছ ধ্বংস করেনি।কোটেশনের কাগজে লিখা, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সহকারী প্রকৌশলীর দপ্তর তানোর জোন, তানোর রাজশাহী।

কোটেশন স্মারক ০৯/২০২৩-২৪/২২৪।
বরাবর, রাজ স মিল এন্ড ফার্নিচার, পো; আব্দুর রাজ্জাক, জিওল মোড়, তানোর, রাজশাহী। 
বিষয় : তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির মোহর ঘোড়াডুবি ১টি জীবিত রেইনটি কড়াই গাছ ও মুন্ডুমালা পৌরসভাধীন শাহিন শপিং সেন্টার সংলগ্ন ৯ টি জীবিত শিশু এবং গাছ কর্তনের কার্যাদেশ প্রসঙ্গে। সুত্র: সহ:প্রকৌশলী /বিএমডিএ/ তানোর/ কোটেশন নম্বর - ৯/২০২৩-২৪ তারিখ ২৫/০১/২০২৪। 
উপরোক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, অত্র অফিসের আওতাধীন নিম্ম বর্নিত গাছ গুলো কোটেশন আহবান করা হয়েছে। প্রাপ্ত কোটেশন যাচাই বাছাই শেষে আপনি বা আপনার প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে গৃহিত হয়, যাহা কোটেশন মূল্যায়ন কমিটি গৃহিত হয় এবং HOPE কর্তৃক অনুমোদিত হয়। এমতাবস্থায় দরপত্রে কোটেশনে আপনি কর্তৃক উদ্ধৃত দর ১০% উৎস কর ও ৭.৫% ভ্যাট সংশ্লিষ্ট খাতে জমা প্রদান করায় নিম্ন বর্নিত গাছ কর্তনের কার্যাদেশ প্রদান করা হলো। কার্যাদেশে গত ৮/২/২০২৪ তারিখে স্বাক্ষর করেন সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান। গাছ কাটার সময় সহকারী মেকানিক মেহেদী হাসানকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীরা জানান, জিওল মোড়ের স মিল মালিক রাজ্জাক ও শহরের বকুল নামের এক ব্যক্তি এবং সহকারী প্রকৌশলীর যোগসাজশে গোপনে এসব কোটেশন করা হয়েছে। এতগুলো গাছ কোটেশনে বিক্রি হচ্ছে অথচ আমরা কিছুই বলতে পারব না। এর আগেও একই ধরনের কাজ করলেও কোন ব্যবস্থা হয়নি।

শনিবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে, শাহিন শপিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, তিন তলা বিশিষ্ট শপিং সেন্টারের ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে। দ্বিতলা ও তিন তলায় ওয়াল তোলা হয়নি ফাকা অবস্থায় আছে। নিচ তলার কয়েকটি ঘরে সাটারিং লাগানো আছে। শপিং সেন্টারের সামনে বেশকিছু গাছ আছে, যা কাটার কোনই প্রয়োজন নেই।মালিক আলহাজ্ব মোজাম্মেল হক জানান, সমস্যার কারনে বিএমডিএতে আবেদন করেছিলাম। তবে নিলাম হয়েছে কিনা জানা নাই। গাছগুলোতে আপনার শপিং সেন্টারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে তাহলে নিধনের আবেদন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে এজন্য আবেদন করেছি।রাজ স মিল এন্ড ফার্নিচারের মালিক আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে গাছের মূল্য বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন কিছুই বলা যাবে না। গাছ কাটতে যারা বাঁধা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ দেখবে বলে দায় সারেন তিনি। 

এবিষয়ে জানতে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের ০১৮১৭-৫০৯২০১ মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি। অবশ্য এই কর্মকর্তা সহজে মিডিয়া কর্মীদের ফোন রিসিভ করেন না। বিএমডিএর নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনিও রিসিভ করেন নি।

আরও খবর



দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে পুলিশ সদস্যরা টিকিয়ে রেখেছে: আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ১২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশ সদস্যরা জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে টিকিয়ে রেখেছে,বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ২০১৩-১৪ সালে এদেশের উন্নয়নের গতিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি চক্র বা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র চেষ্টা করেছিল। দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার একটি চক্রান্ত শুরু করেছিল। এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিজের জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতার চেতনাকে টিকিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সব সময় বাংলাদেশ পুলিশ অঙ্গীকারবদ্ধ। সম্প্রতি মারামারির ঘটনায় পুলিশ দক্ষতা ও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। দেশের জনগণসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অখণ্ড প্রশংসা অর্জন করেছে। অপরাধ দমনে পুলিশ বাহিনী এখন কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, এই পুলিশ বাহিনী দেশের মানুষের আস্থার ঠিকানা। তারা যেকোনো ধরনের অপরাধে সক্ষমতা অর্জন করেছে। দিনে দিনে অপরাধের ধরণ পরিবর্তনের কারণে নিত্যনতুন অপরাধের সংযোজন ঘটছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি(অর্থ) আবু হাসান মুহাম্মদ তারিক, র‍্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) খুরশীদ হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম প্রমুখ।


আরও খবর



ঢাকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান আজ খুবই অস্বাস্থ্যকর বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী ।

রোববার (১০ মার্চ) সকালের দিকে ১৯০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা।

২২৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ২০৪ ও ১৯০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি ও কলকাতা। এরপর যথাক্রমে ১৭১ স্কোর নিয়ে পাঁচ নম্বরে নেপালের কাঠমান্ডু ও একই স্কোর নিয়ে ভারতের কলকাতা ছয় নম্বরে আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কিনা, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন।


আরও খবর



কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল রোগীর চাপে কোনঠাসা !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:ধারণ ক্ষমতার চারগুণ রোগীতে ঠাসা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল। এখানে ২৫০ টি শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন প্রায় সাতশো রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। হাসপাতালের ওয়ার্ড ও বারান্দা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না। ২৫০ জন রোগীকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা ও জনবল নিয়ে সাতশো রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছে। ফলে হাসপাতালের যথাযথ সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে ঠান্ডা-কাশি জনিত রোগী বৃদ্ধি ও নতুন করে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে সেবা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছেন। 

 সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি শয্যা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। হাসপাতালের বারান্দায় ঠাসাঠাসি করে ছোট ছোট পাটি ও ফোম বিছিয়ে রোগীরা শুয়ে আছেন। রোগীর স্বজনরা তার পাশে বসা। অনেকেই এরমধ্যে বসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই খাওয়া দাওয়া করছেন। তাছাড়া রোগীদের বাধ্যতামূলকভাবেই এই পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করতে হচ্ছে। রোগী বহনকারী স্ট্রেচার গুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। চলার সময় রোগী ও স্বজনদের গায়ে ধাক্কা লেগে আহত হচ্ছে। রোগীদের গাদাগাদির কারণে চিকিৎসক ও নার্সরা পূর্ণ মনোযোগ সহকারে তাঁদের কর্তব্য পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ভর্তি রোগী ছাড়াও হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। সবমিলিয়ে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। 

 অত্র হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রতিনিধিকে বলেন , হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগী ও তাঁর স্বজনদের অবস্থানের কারণে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ বজায় রাখা যাচ্ছে না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া দাওয়া ও অবস্থান করার কারণে এক রোগের চিকিৎসা নিতে এসে আরেকটি অসুখ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। তাছাড়া সুস্থ লোক রোগীর সাথে কয়েকদিন হাসপাতালে অবস্থান করার কারণে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। দুই এক দিন পরে তিনিও হাসপাতালে ফিরে আসছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। যার কারণে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমছে না। বরং ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি ঠান্ডা-কাশি জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন করে করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার কারণে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। আগামী দিনে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে এই হাসপাতালে সব রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে।

 তিনি আরও বলেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৪০ জন চিকিৎসক ও ২১৬ জন নার্স চিকিৎসা সেবায় দায়িত্বরত আছেন। এরমধ্যে ১৪০ থেকে ১৮০ জন নার্স অক্লান্তভাবে তিন শিফটে ২৪ ঘন্টা সাড়ে সাতশো রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। এই জনবল ২৫০ জন রোগীকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । কিন্তু সক্ষমতার তিনগুণ বেশি রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে তাঁরা নিজেরাও রোগা হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া বর্হিঃবিভাগ ও ভর্তি থাকা অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে গিয়ে চিকিৎসকদের মানসিক চাপ বাড়ছে। এতে তাঁরাও চিকিৎসা দিতে গিয়ে মনোযোগ হারাচ্ছে। এমতাবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করলে সকলের জন্য সহায়ক হবে। অনেক সময় মিডিয়ার মাধ্যমে হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে অভিযোগ পায় , আজ আপনারাই বলুন আমার কি করনীয় । তবুও সকলের সহযোগিতা নিয়ে আমার দায়িক্ত সঠিকভাবেই পালন করার চেষ্টা করে যাবো ইনশাহ্আল্লাহ্ ।

 ভর্তি রোগী ও তাঁর স্বজনরা জানান, হাসপাতালে অনেক রোগী। ঠিকঠাক দাঁড়ানো বা বসার জায়গা নেই এমন অবস্থা। এরমধ্যে থেকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হাসপাতালের পরিবেশও নোংরা হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার, নার্সরাও দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেকসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তাই মাঝেমধ্যে বকাবকি করেন । তাই অতিদ্রুত কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালুর জোড় দাবি জানায়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ( আরএমও) ডাঃ তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগ মুক্তির একমাত্র উপায় হতে পারে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিপূর্ণভাবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা। তবুও আমার কাছে মনে হয় এই হাসপাতালের ডাক্তারের চেয়ে নার্সরা অনেক ধৈর্যশীল ।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪