
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শরীয়তপুর জেলার, নাওডোবা পদ্মা দক্ষিণ থানা এলাকার মজিদ মোড়ল কান্দিতে মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির বার্ষিক ওরশ মাহফিল উপলক্ষে ১৯-২১ মার্চ পর্যন্ত ৩ দিনের জন্য ওরশ মাহফিল এর আয়োজন করা হয়।
গত শনিবার থেকেই দেখা নির্ধারিত সময়ের আগেই মাতাল পাগলদের মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসার অন্যরকম অসামাজিক পাগলামি,ভুলের পাগলের আস্তানায় পাগল মেলার নামে দীর্ঘ দিন ধরে মাদকের রমরমা ব্যবসা, অভিযোগ পাওয়া গেছে ওরশ উদযাপন কমিটি মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির বড় ছেলে নিশান এর বিরুদ্ধে, এদিকে ওরশ আয়োজক কমিটি প্রশাসনের অনুমতির নিয়ম নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই অদৃশ্য ক্ষমতার বলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও নাওডোবা মজিদ মোড়ল কান্দির,মোতালেব হাওলাদারের জামাতা মোহাম্মদ আবুল,ও নাওডোবা গোল চত্বর সংলগ্ন ফুট এক্সপ্রেস রেস্টুরেন্ট এর মালিক সেনাবাহিনী পরিচয় দানকারী মোঃ তরিক মিয়া সহ উল্লেখিত এলাকার কতিপয় ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে নাওডোবা মজিদ মোড়ল কান্দি এলাকায় বেআইনী ভাবে পাগল মেলা বসিয়ে মাদকের আস্তানা গড়ে তোলায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সচেতন মহল।পদ্মা দক্ষিণ থানার ১ কিলোমিটারের মধ্যে পাগল মেলার নামে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসার ঘটনায় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।তথ্য সূত্রে জানা গেছে, নাওডোবাএলাকায় ভূলের পাগলের আস্তানায় ওরশ শরীফ আয়োজন করে উল্লেখিত বাউল সম্রাট ও বাউলশিল্পী মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির বড় ছেলে নিশান, ওরশ মোবারক উপলক্ষে প্রশাসনের কাছ থেকে বাউল গান ও মিলাদ মাহফিল এর ৩ দিনের অনুমতি পায়, কিন্তু অনুমতি পত্রে যে সকল নিয়ম এবং শর্ত থাকে তার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ১৯ মাচ থেকে নাওডোবা মজিদ মোড়ল কান্দি এলাকায় পাগল মেলা আয়োজন করে। পাগল মেলা বসার আগের দিন থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মাদকাসক্তারা সে ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠানে ভিড় করতে দেখা গেছে।নাওডোবা বাজার মসজিদের ইমাম, মাওলানা, মুসল্লী গন, নাওডোবা আমজাদিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকরা এবং এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এবং অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ কালে তারা, দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক দের, আক্ষেপ ও নিন্দার সাথে জানায় যে মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতি একজন শিল্পী, হিসেবে দেশবাসী চিনে কিন্তু তার আরো অনেক কিছুই আছে জানার মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতি দেশ-বিদেশ গান গাইয়া যে অর্থ উপার্জন করতো সেখান থেকে অধিক অংশ টাকা এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিত এবং মরহুম আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতি নিজে একজন ধার্মিক ও গুণী ব্যক্তি ছিলেন আমরা এলাকাবাসী প্রতিবছর তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নফল রোজা, নামাজ পড়ে মন থেকে দোয়া করি এবং শোক পালন করি , কিন্তু তার বড় ছেলে নিশান এলাকার কিছু সন্ত্রাসী ,দুষ্কৃতী মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মিলেমিশে মেলা নামক ৩ দিনের আনন্দ উৎসব গোরে তুলেন, পুতুল নাচের নামে নর্তকী দিয়ে গান এবং নৃত্য পরিবেশন এবং এই মেলায় এমন সব বিনোদন থাকে যে গুলো ফ্যান্টাসি, ও নন্দন পার্কের মত জায়গায় দেখা যায়, আমাদের দেশে এই সমস্ত বিনোদন চালাতে হলে, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সরকারের আরো বড় বড় কর্মকর্তাদের অনুমতি লাগে, কিন্তু আব্দুল হালিম মিয়া বয়াতির ছেলে নিশান প্রশাসনের কোন তোয়াক্কা না করে এই সকল কার্যকলাপে লিপ্ত, এবং এলাকার কেউ এই সমস্ত মাদক ব্যবসা অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা দিতে গেলে, নিশান ক্ষোভের সাথে হুমকি প্রদান করেন যে শরীয়তপুরের সার্কেল এসপি আমার বন্ধু বাড়াবাড়ি করলে মাদক মামলায় চালান করিয়ে দিব,মেলায় ঘুরে আরো দেখা যায় এবং দোকান মালিকরাও অভিযোগ করেন প্রতিটি দোকান হইতে তরিক গং জোর পূর্বক আমাদের কাছ থেকে ,১০০০০-১৫০০০ টাকা আদায় করে নিচ্ছে,সেখানে ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাগল মাস্তানরা নাওডোবা এলাকায় অবস্থান করে সেখানে মাদকের পসড়া বসিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি করে আসছে আর সে পসড়ায় ভিড় করছে এলাকার উঠতি বয়েসের যুবকরা,ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠানের নামে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবনের ঘটনায় নাওডোবা এর আশে পাশের এলাকা গুলোতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাগল মেলার নামে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা বন্ধ করে যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য , শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, এর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাওডোবা মসজিদ কমিটি, স্কুলের শিক্ষকবৃন্দও স্থানীয় শান্তি প্রিয় এলাকাবাসী।