Logo
আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই) এর ৩৩-তম মৃত্যু বার্ষিকী' তে তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নের শ্রদ্ধা ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন দেশে ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৬ কোটি ডলার মিরপুরের কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, যান চলাচল বন্ধ বাংলাদেশি ছাত্র কিরগিজস্তানে খুব জখম হয়েছে এমন খবর নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কেএনএফের ৩ সদস্য নিহত 'সব দল অংশগ্রহণ করলেও ভোটের হার বাড়ার নিশ্চয়তা নেই' বিএনপি নেতা ইশরাক জামিন চেয়ে কারাগারে মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে এক মেয়ের বাড়িতে আরেক মেয়ে হাজির! মেট্রোরেলে ভ্যাট বসলে সুনাম নষ্ট হবে : ওবায়দুল কাদের

নাঙ্গলকোটে লেখকদের সাহিত্য আড্ডা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৩১২জন দেখেছেন

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিকদের সংগঠন “নাঙ্গলকোট রাইটার্স এসোসিয়েশন”র নিয়মিত আয়োজন ‘সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা’ শনিবার বিকাল ৪টায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয় নাঙ্গলকোট পৌরবাজার এনসিসি ব্যাংকের নীচতলায় অনুষ্ঠিত হয়। সাহিত্য আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন-কবিও শিক্ষক মো: তাজুল ইসলাম। বক্তব্যে তিনি বলেন- ‘গত ১৪ বছর ধরে নাঙ্গলকোট রাইটার্স এসোসিয়েশন নামক সংগঠনটি সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা আয়োজন করে আসছে। এই আড্ডায় এসেছে নতুন নতুন মুখ। সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন লেখক। এর মধ্যে অনেকে চলে গেছেন চিরদিনের জন্য। তাদের মধ্যে ভাষাসৈনিক আবদুল জলিল, ভিপি সাদেক হোসেন চেয়ারম্যান, ভিপি হুমায়ুন কবির, শামছুল করিম দুলাল, কবি অহিদুর রহমান, মাওলানা আবদুস সাত্তার, অধ্যক্ষ সায়েম মাহবুব, কাউছার আলম মিয়াজী, মাস্টার ইকবাল হোসেনসহ আরো অনেকে।’ হুমায়ুন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ লেখাটির সারাংশ তুলে ধরে আলোচনা করেন সাফায়েত হোসেন, কবি এস এম আবুল বাশারের ‘কবিতায় বিশ^ দেখি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন ডা. সাংবাদিক একে এম মারুফ হোসেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি পাঠ করেন এডভোকেট ওমর ফারুক আল নিজামী,ভাষাসৈনিক আবদুল জলিলের লেখা ‘লাকসাম জনপদ কথামালা’ গ্রন্থ থেকে চুম্বক অংশ পাঠ করেন আবু জাফর ছালেহ, ‘ভাষাসংগ্রাম ও তার পরবর্তী সামরিক শাসনে এস এম আবুল বাশারের লেখালেখি’ শীর্ষক নিবন্ধ পাঠ করেন কবিও কলামিস্ট আজিম উল্যাহ হানিফ। সাহিত্য আড্ডায় সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক মো: শাহাদাত হোসেন। উল্লেখ্য যে, প্রতি শনিবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘন্টা করে সাহিত্য আড্ডা হচ্ছে নাঙ্গলকোট রাইটার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে নাঙ্গলকোট পৌর বাজার এনসিসি ব্যাংকের নীচতলায় অফিসে। সাহিত্য আড্ডা সবার জন্য শুরু থেকে উম্মুক্ত।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রার্থীতার বৈধতা হরিয়েছেন সেলিম প্রধান, পাচ্ছেন না প্রতীক বরাদ্দ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সেলিম প্রধানের প্রার্থীতা ও প্রতীক বরাদ্দের জন্য দেয়া উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি হয়েছে। ফলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার বৈধতা হারিয়েছেন সেলিম প্রধান।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত উচ্চ আদালতের আদেশের উপর এই স্থিতি অবস্থা জারি করে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহিন এম রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহিন এম রহমান জানান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন সেলিম প্রধান। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজার কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করে। পরে মনোনয়নের বৈধতা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সেলিম প্রধান আপিল করলে গত ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আপিল খারিজ করে মনোনয়ন বাতিল বহাল রাখেন।
৩০ এপ্রিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরদ্দ চেয়ে রীট করেন সেলিম প্রধান। রীটের প্রেক্ষিতে সেলিম প্রধানের প্রার্থীতার বৈধতা ও প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সেই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। আপিলের প্রেক্ষিতে আদালত সেলিম প্রধানের করা রীটের বিষয়বস্তুর উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। আগামী ৫ মে এবিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

হাবিবুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। এসময় তাঁর সহকারী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক উচ্চ আদালতের আদেশের উপর স্থিতি অবস্থা জারি করে। আগামী ৫ ই মে এ বিষয়ের পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণের প্রস্তাবও দিয়েছি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেতা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই করা হয়। যার মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দু'দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সুস্থ দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধু থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু’দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছেন।

কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য এরই মধ্যে দুই দেশের একটি চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাই ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা ও ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনাময় অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সই করা জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হচ্ছে দ্বিতীয় নথি। শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছে।

সমুদ্রপথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষ রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই পক্ষকে দু’দেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেন।

চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিমস্টেক ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংককে পৌঁছান।


আরও খবর



নতুন করে কোনো রিজার্ভ চুরি হয়নি: বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার ভারতের হ্যাকাররা গত কয়েক সপ্তাহে চুরি করে নিয়ে গেছে বলে ভারতের একটি নিউজ পোর্টালে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নর্থইস্ট নিউজে’ রিজার্ভ চুরির বিষয়ে খবরটি প্রকাশিত হয়। তবে ভারতীয় পোর্টালের সেই খবর নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারা বলছে, নতুন করে কোনো রিজার্ভ চুরি হয়নি। ওই খবরটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়া (ফেইক)।

ভারতীয় গণমাধ্যম ‘নর্থইস্ট নিউজে’ রিজার্ভ চুরির বিষয়ে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া, সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্ক ফেডের সঙ্গে লেনদেনে নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে বর্তমানে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নীতি চালু রেখেছে। ফলে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সঠিক নয়, এখন রিজার্ভ চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের ওই নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত খবরটির শিরোনাম ছিল- ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‌‘অজ্ঞাত পরিচয়ের সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ এ চুরির বিষয়ে অবগত আছে এবং তারা নীরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে। এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কিছু কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ চুরির সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। এটি আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।

এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি মেসেজের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।

বাকি চারটি মেসেজের মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেওয়া হয় ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরে রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ‘ভুয়া তথ্য’ দিয়ে খোলা চারটি অ্যাকাউন্টে। অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়। ফিলরেম মানি রেমিট্যান্স কোম্পানির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রা পেসোর আকারে সেই অর্থ চলে যায় তিনটি ক্যাসিনোর কাছে।

এর মধ্যে একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে বাংলাদেশ সরকারকে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। জুয়ার টেবিলে হাতবদল হয়ে ওই টাকা শেষ পর্যন্ত কোথায় গেছে, তার কোনো হদিস মেলেনি।


আরও খবর



মা দিবসে ইবি সিআরসির ব্যতিক্রমী আয়োজন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান,ইবি প্রতিনিধি:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম ফর রোড চাইল্ড (সি আর সি) এর উদ্যোগে মা দিবস উপলক্ষ্যে ১০ জন হত দরিদ্র মাকে শাড়ি এবং সামান্য কিছু উপহার প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বর এলাকায় এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সংগঠনটির সভাপতি মোঃ শাহীদ কাওসারের সভাপতিত্বে এবং সাইফুন্নাহার প্রেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী। 

এছাড়া এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক রাবেয়া খাতুন এবং ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব এস এইচ এ ওয়ালীউল্লাহ, তারুণ্যের সভাপতি মারুফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয়। 

আরও উপস্থিত ছিল কাম ফর রোড চাইল্ড সংগঠনের সাবেক সভাপতি রনি শাহা, সহ সভাপতি এস এম সৌরভ, হাসিবুর রহমান, স্কুল পরিচালক মশিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাইফুল, জেরিন আক্তার উর্মি,  উপ তথ্য-যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রেখা খাতুন, , দপ্তর সম্পাদক মুরছালিন, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ফারিহা আখি, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক  মিতা খাতুন,আনোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রমজান আলিসহ সি আর সি সংগঠনের অর্ধশত সদস্যবৃন্দ। 

জানা যায়, ক্যাস্পাসের আশেপাশে থাকা কিছু অতি দরিদ্র বৃদ্ধা মায়েদের নিয়ে মা দিবসে যেখানে  অনলাইনে পোস্টের ছড়াছড়ি সেই সময়ে মায়েদের মাঝে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত সংগঠনটি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী বলেন, 'দিবসটিকে যখন গতানুগতিক ধারায় পালন করে  সবাই । সেখানে এমন ব্যতিক্রম আয়োজনে প্রশংসার দাবি রাখে।' 

ঐক্যমঞ্চের সদস্য সচিব এস এইচ এ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, 'আমাদের  নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত। এর মাধ্যমে নিজদের নৈতিকতা জাগ্রত হলে কোনো একদিনকে  ঘিরে মায়েদের পাশে দাড়ানোর প্রয়োজন পরবে না। প্রতিদিন মায়েদের পাশে দাড়াতে পারবো।'

সার্বিক বিষয়ে সিআরসির সভাপতি মোঃ শাহীদ কাওসার বলেন, 'প্রতিবছর মা দিবসে সবাই নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে দিনটি উদযাপন করেন। তবে এসব হত দরিদ্র মায়েরা সেই মা দিবসের দিনেও বিভিন্ন বিষয়ে বঞ্চিত থাকেন। আমরা সেই মায়েদের মাঝে ভালোবাসা ভাগাভাগি করতে আজ খাবার, বস্ত্র, ঔষধ ও সময় দিয়ে  এই দিবসটি  উদযাপন করছি। আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি মা দিবসের প্রত্যাশা আমাদের এটাই হোক, অন্তত আমাদের আশপাশের কোন মা যেন অবহেলিত ভাবে দিন না কাটায়।'

প্রসঙ্গত, এসময় মায়েদের নিয়ে খাবার খাওয়া ও উক্ত মায়েদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

উল্লেখ্য, ‘থেকে একসাথে যুক্ত, করবো পৃথিবী পথশিশু মুক্ত’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সাল থেকে ইবিতে সিআরসি’র কার্যক্রম শুরু হয়। পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সংগঠনটি।

আরও খবর



হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হজ ভিসার আবেদনের সময় বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী আগামী ৭ মে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশনের বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।

তিনি জানান, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশি হাজিদের জন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় ২৯ এপ্রিল থেকে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। সময় বেড়েছে। কিন্তু আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি।

হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে থেকে। তার আগে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর