
কানাডার উদ্দেশে গতকাল এমিরেটস এয়ারলাইনসের রাত ১১টা ২০ মিনিটের ইকে ৮৫৮৫ ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছান ডা. মুরাদ। আগেই কানাডাগামী একটি ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। এমিরেটস এয়ারলাইনসের ইকে ৮৫৮৫ ফ্লাইটে দুবাই হয়ে কানাডার পথে রওনা দেন তিনি। ফ্লাইটটি ১১টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সহযাত্রীদের কভিড পরীক্ষাসহ অন্যান্য কারণে রাত ১টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েন সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এমন বাস্তবতায় তাকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হারানোর পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গতকাল সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মুরাদ হাসানের দেশত্যাগের প্রস্তুতির খবরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মুরাদ হাসান যদি স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করতে চান, তাহলে তাকে বাধা দেবে না সরকার। এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই মুরাদ হাসান কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন।
ডা. মুরাদ হাসান ১৯৭৪ সালের ১০ অক্টোবর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলাধীন দৌলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার, মাতা মনোয়ারা বেগম। তার পিতা ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ১৯৮৬-২০০৩ মেয়াদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে ১৪১, জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) সংসদীয় আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন দেশ সফর করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪১, জামালপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ১৯ মে থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।