Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

মুকুলে ছেয়ে গেছে বাগান, লাভের স্বপ্নে বিভোর আমচাষিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের গাছে গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। রাস্তার ধারে, বাড়ির আঙিনায়, মাঠ-ঘাটে, আনাচে কানাচে গাছের ডালে হলুদ ও সোনালী বর্ণে শোভা পাচ্ছে মুকুল। ফাগুন হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ, মাতোয়ারা চারপাশ। বাগানজুড়ে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মুগ্ধ করেছে প্রকৃতি প্রেমীদের। আমের মুকুল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগানমালিক ও আম চাষিরা। ভালো ফলনের আশায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। 

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় মোট ১ হাজার ৮৪৪টি আম বাগানের রয়েছে। যার আয়তন প্রায় ৩ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমি। এছাড়াও বসত বাড়িরসহ মোট ৫ হাজার ৮২ হেক্টর জমির আম গাছ। উপজেলার বিভিন্ন বাগানে আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়সহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপার্লমারসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। এসব বাগানের প্রতিটি গাছেই ব্যাপক মুকুল এসেছে। কোনো কোনো গাছে গুটিও আসতে শুরু করেছে।

ভালো ফল পেতে গাছের পরিচর্যা ও পোকা দমনে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক স্প্রে করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম চাষি ও বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলায় মোট ৪৯ হাজার ১৮৫ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি আম উৎপাদন হতে পারে বলে ঢাকা মেইলকে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। আম চাষিরা জানান, আবহাওয়ার কারণে গত বছর আম চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এবার প্রতিটি গাছে ব্যাপক পরিমাণ মুকুল এসেছে।

অনুকূল আবহাওয়া থাকলে আর কোনো রোগ বালাই না আসলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। বড় ধরনের ঝড়বৃষ্টি না হলে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তাদের। এছাড়াও সরকারিভাবে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে আরও বেশি লাভবান হবেন বলেও জানান তারা। পীরগঞ্জ উপজেলার আম চাষি মো. আহসান হাবিব (ডিপজল) বলেন, তার ২০ একর জমিতে আম্রপালি, সূর্যপূরী, বান্দিগড়িসহ বিদেশি কিং চাকাপাত, নাম দোকমাই, চিয়াংমাই, আলফান শো, রেডপালমারসহ বিভিন্ন জাতের ৮ হাজার আম গাছ আছে। এসব গাছের পরিচর্যায় প্রতিদিন প্রায় ৮-১০ শ্রমিক কাজ করেন।

এবার  প্রতিটি গাছেই মুকুল এসেছে। মনে হচ্ছে এবার আমের ভালো ফলন হবে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হাবিব নামে এক বাগান মালিক বলেন, গত বছর তিন দফায় শীলাবৃষ্টি হওয়ায় আমার আম বাগানে প্রায় ৯ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবার গাছগুলোতে খুব মুকুল এসেছে। প্রতিটি গাছের পরিচর্যা খুব ভালোভাবে নেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, তেমন ঝড়বৃষ্টি না হলে ভালো আম হবে। এবং গত বারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারব। পীরগঞ্জ উপজেলার ভোমরাদহের আমচাষি মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি প্রতি বছরই বাগান লিজ নিয়ে আম চাষ করি। এ বছরও ২০টা বাগান লিজ নেওয়া আছে। এবার আমার প্রতিটি বাগানে প্রচুর মুকুল এসেছে।

আর কয়েকদিনের মধ্যে গাছে আমের গুটি আসতে শুরু করবে। তাই গাছে পোকার আক্রমণ যেন না করতে পারে, মুকুল যেন ভালো থাকে সেজন্য বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন রকম ওষুধ স্প্রে করছি। আশা করছি লাভবান হব। কিন্তু আমাদের এদিকে আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা আম উৎপাদন করেও বেশি লাভবান হতে পারে না। সরকার যদি আমাদের এসব উৎপাদিত আম বিদেশে রফতানি ও এলাকায় আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করত তাহলে আমরা আরও লাভবান হতে পারতাম। এতে করে আম চাষে কৃষকরা আরও বেশি আগ্রহী হতেন বলেও জানান এই কৃষক। আগের তুলনায় এই জেলায় ব্যাপকহারে আম চাষ হচ্ছে।

সবার বাগান বা গাছের আম প্রায় একই সময় পরিপক্ক হয়। ফলে সকল গাছের আম এক সঙ্গে বাজারে ওঠে বলে দাম পাওয়া যায় না। তাই যদি সরকার আম সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে পারতাম ও ভালো মূল্যে বিক্রিও করতে পারতাম বলে জানান উপজেলার হাজীপুরের চাষি আবদুল আজিজ। তিনি সরকারিভাবে আম রফতানি ও সংরক্ষণের জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠন গড়ার দাবির জানিয়েছেন। রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়ের আমচাষি আব্দুল খলিল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গাছে ব্যাপক মুকুল এসেছে। ইতোমধ্যে কিছু গাছে আমের গুটি আসা শুরু করেছে।

খন পরিচর্যা বলতে শুধু বিষ প্রয়োগ ও গাছে সেচ করতে হচ্ছে। তবে এখন একটু বৃষ্টির প্রয়োজন। বৃষ্টি হলেই চিন্তা নাই। আর বৃষ্টি না হলে ওষুধ মেশানো পানি গাছের মুকুলে স্প্রে করতে হবে। রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের আশাপাশের প্রতিটি আম গাছে ও বাগানে অনেক মুকুল এসেছে। এবার আমও হয়তো ব্যাপক হবে। তবে সরকার এসব আম রফতানি করার উদ্যোগ নিতো তাহলে চাষিরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারতো।

এবার যে হারে আমের মুকুল এসেছে সেগুলো ধরে রাখতে পারলে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে গাছে সেচ, আমের মুকুল ও গুটি ঝড়া রোধে কীটনাশক স্প্রেসহ আমের ফলন সম্প্রসারণে সকল প্রকার পরামর্শ আম চাষিদের দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের আওতার মাধ্যমে জেলায় আম সংরক্ষণের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বিভিন্ন মিটিং ও সেমিনারে ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে,  ঠাকুরগাঁওয়েও একসময় আম সংরক্ষণে আমভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।


আরও খবর



কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন দিনের সফরে আগামী ২৩ মে কাতার যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে দোহায় হতে যাওয়া ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম : অ্যা নিউ গ্লোবাল গ্রোর্থ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানান।

মুখপাত্র জানান, আগামী ২৩-২৫ মে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম : অ্যা নিউ গ্লোবাল গ্রোর্থ স্টোরি’ শীর্ষক ফোরামে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করবে।

সেহেলী সাবরীন বলেন, ব্লুমবার্গের সহায়তায় আয়োজিত এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, মন্ত্রী, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরাসহ প্রযুক্তি, অর্থ ও ব্যবসা খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো-বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং তা থেকে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।


আরও খবর



শহীদ মিনারে ফারুকের মরদেহ, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়েছে মিয়া ভাই’খ্যাত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মরদেহ। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে এই নায়কের মরদেহ সেখানে নেওয়া হয়। সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে শহীদ মিনারে।

সেখানে থেকে ফারুকের নিথরদেহ যাবে তার প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে। প্রিয় শিল্পীকে শেষ বিদায় জানাতে সর্বস্তরের মানুষ সকাল থেকেই ছুটে আসেন শহীদ মিনারে। এর আগে, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে তার মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরার বাসায়। 


আরও খবর



যাত্রাবাড়ী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

ঢামেক প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পার্কের পাশের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৫৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পার্কের পাশে বাদাম গাছ সংলগ্ন রাস্তা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাত ৮টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও বলেন, ‘লোকটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়। এ ছাড়া অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তদন্ত সাপেক্ষে ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায় মৃত ব্যক্তি দীর্ঘ ২ মাস ধরে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকায় ঘোরাফেরা করতো এবং পার্কের মধ্যেই ভাসমান অবস্থায় ঘুমাতেন।

নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

আমান উল্লাহ, কক্সবাজার: সরকারি জমি দখল করে অবৈধ  স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রশাসন গত শনিবার (০৬ মে) দুপুরে লিংকরোড বিটের মোহরীপাড়া, কলাতলীর চন্দ্রিমা এলাকায় এবং কলাতলীর লাইটহাউজ পাড়ায় পৃথক অভিযানে বেশ কয়েকটি অবৈধভাবে গড়ে উঠা ঘর ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাকারিয়ার নেতৃত্বে র্যাব-১৫ কক্সবাজার বন বিভাগ অভিযানে অংশ নেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা জানান, রেঞ্জের ঝিলংজা মৌজার সরকারী রক্ষিত বন ভূমির জায়গা দখল করে লিংকরোড বিটের মুহুরীপাড়া, কলাতলীর চন্দ্রিমা এলাকা এবং কলাতলীর লাইটহাউজ পাড়ায় অবৈধ বসতি গড়ে তোলা হয়েছে দুপুরে লিংকরোডে অভিযানে কয়েকটি ঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে অন্যদিকে চন্দ্রিমা লাইটহাউজ পাড়ায়ও বেশ কয়েকটি ঘর গুঁড়িয়ে দেয়া হয় এবং সরঞ্জামাদী গাড়ি করে নিয়ে আসা হয়েছে তিনি জানান , দীর্ঘদিন থেকে কিছু ভূমিদস্যু সরকারি জায়গা দখল করে প্লট আকারে বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে 

এমন অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান পরিচালনা করা হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জাকারিয়া জানান, অবৈধভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি বসতি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা তাদের জায়গা বলে দাবি করছে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এরআগে কেউ কাজ করতে পারবেনা বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করতে পারবেনা। বিষয়ে পৃথকভাবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সমীর রঞ্জন সাহা 


আরও খবর



বাগেরহাটে পাকা সড়কের মাঝে পিলার স্থাপনে ঘটছে দূর্ঘটনা, যান চলাচলে বাঁধা

প্রকাশিত:বুধবার ১০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধোপাখালী-মাদারতলা সড়কের মাঝে পিলার স্থাপন করায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। উপজেলার গাবতলা নামক স্থানে সড়কটির প্রবেশমুখে দুটি পিলার থাকায় বড় যানবাহন প্রবেশ করতে পারছেনা। সেই সাথে এক সাথে কয়েকটি যানবাহন ওই সড়কে প্রবেশের সময় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এসব কারণে ওই স্থানে দূর্ঘটনার সাথে সাথে জনগণের ভোগান্তিও বাড়ছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, সড়ক রক্ষার কথা বলে মাস-দুয়েক আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত ধোপাখালী-মাদারতলা সড়কের প্রবেশ মুখে দুটি এবং এর এক কিলোমিটার দূরে স্থানীয় নিজ বাড়ির সামনে সড়কের উপর দুটি কনক্রিটের পিলার স্থাপন করেন ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন। এর ফলে সড়কে কোন ট্রাক ও বড় গাড়ি ঢুকতে না পারায় ওই এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত সবজি পরিবহন বেড়েছে।

সেই সাথে দূর্ঘটনা, চলাচলে সময় বৃদ্ধিসহ নানা ধরণের ভোগান্তি বেড়েছে। পথচারি মোহসিন মল্লিক বলেন, রাস্তার মুখেই দুইটা পিলার দিয়ে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ব্যহত করার কোন মানে হয় না। এই পিলারের জন্য গেল দুই মাসে কয়েকটি দূর্ঘটনাও ঘটেছে। আর মাঝে মাঝেই এক সাথে কয়েকটি অটো এবং ভ্যান আসলে জড়ায়ে যায়। তখন অনেক ক্ষন দাড়িয়ে থাকা লাগে যানবাহন চালকদের। পিলারগুলো ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই সড়কের পাশেই চেয়ারম্যান মকবুল হোসেনের ভবন রয়েছে। বড় গাড়ি গেলে ওই ভবন কেপে ওঠে, এই কারণেই হয়ত মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা না করে চেয়ারম্যান সড়কের মাঝে পিলার দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন বলেন, আমি নিজে থেকে পিলার স্থাপন করিনি। সবার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেজুলেশন অনুযায়ী সড়কে পিলার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছু ধান ব্যবসায়ীদের ধান পরিবহনে সমস্যা হওয়ায় তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। এলজিইডি, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শরিফুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের সড়কের উপর থাকা দুটি পিলার উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কের প্রবেশমুখে থাকা পিলারদুটোও ওঠানো হবে বলে জানান তিনি। এলজিইডি নির্মিত ২ দশমিক ৮০ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে সাইনবোর্ড-গজালিয়া এবং মাজার-পাটগাতি জেলা মহাসড়ককে সংযুক্ত করেছে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এবং সহস্রাধিক যান চলাচল করে।


আরও খবর