Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা নয়, সম্মান চান সোহেল রানা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ২৫৫জন দেখেছেন

Image

মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটার:দেশের কিংবদন্তি অভিনেতা ও নির্মাতা সোহেল রানা। অভিনেতার আরও একটি বড় পরিচয় তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমানে পর্দায় তাকে দেখা না গেলেও রাজনীতিতে সক্রিয় তিনি। যেহেতু তিনি মুক্তিযোদ্ধা, তাই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভাতা নন, সম্মান চান বলে জানিয়েছেন এই অভিনেতা।

সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ এবং নিজের কাজের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন সোহেল রানা। এ সময় তিনি এই মন্তব্য করেন।

সোহেল রানা বলেন, কোনো বিশেষ দিন কিংবা উপলক্ষে ঘটা করে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের বিজয়কে মনে করা বা সেটা নিয়ে আলোচনা করা আমার একদম পছন্দ নয়। বিজয়, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এক দিনের নয়, এটা সারা জীবন মনে রাখার বিষয়। কিন্তু এখন আমরা শুধু বিশেষ দিন এলেই এই বিষয়ে কথা বলি। এখনকার অধিকাংশ মানুষই তো এই দিবসের মহত্ত্ব বোঝে না।

অভিনেতা আরও বলেন, তখন সময়ের প্রয়োজনে দেশের জন্য যেটা করা দরকার ছিল, আমরা সেটাই করেছি। দেশের জন্য করেছি। তার জন্য দেশের মানুষ বুকে টেনে নেবে, দুটো ভালো কথা বলবে, আমি শুধু এতোটুকুতেই সন্তুষ্ট।

কিন্তু এক দিনের সম্মান বা ভালোবাসা চাই না আমি। এসবের জন্য যুদ্ধ করিনি আমরা। আর মুক্তিযুদ্ধ তো শুধু আমার একার নয়। তখন প্রত্যক্ষ, পরোক্ষভাবে যারা যুদ্ধ করেছে, এটা তাদের সবার। সেই সাত কোটি মানুষের। তাদের সবার একটা চাওয়া, উপযুক্ত সম্মান।

এ সময় সোহেল রানার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন কি না? জবাবে অভিনেতা বলেন, সম্মান পাচ্ছি। তবে এটাকে ঠিক কতটুকু সম্মান বলে সেটা জানি না। আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম বলেই আমাদের মুক্তিযোদ্ধা উপাধি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গিয়ে আমরা উপযুক্ত সম্মান পাই না।

এ ছাড়া আমাদের যে সনদপত্র দেওয়া হয়েছে, সেখানেও লেখা সাময়িক। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি তালিকা অনুযায়ী, আমাদের একটা ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু ভাতা কী হিসাবে আসে? আমরা তো দেশের জন্য চাকরি করি না। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উপযুক্ত সম্মান চাই, কোনো ভাতা নয়।

বর্তমান সংস্কৃতির কথা উল্লেখ কর বরেণ্য এই অভিনেতা বলেন, বর্তমানে আমাদের সংস্কৃতি বলতে জগাখিচুড়ি। আগে আমাদের সংস্কৃতি ছিল গানবাজনা। বিভিন্ন ধরেন গান, যেমন- জারি, সারি, ভাটিয়ালি, ভাওয়ালি, দেহতত্ত্ব ও যাত্রা।

কিন্তু এখনকার মানুষরা এসব কতটুকু দেখেন? বা বর্তমান প্রজন্মের কয়জনই এগুলো সম্পর্কে জানে। আমাদের দেশে ভিনদেশি সংস্কৃতি ঢুকে পড়েছে। এখন আর নারীদের আগের মতো লম্বা চুলে কিংবা শাড়িতে দেখা যায় না। উন্নয়ন হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু আমরা হারাচ্ছিও অনেক কিছু। আর শিল্প-সংস্কৃতি ছাড়া একটা দেশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে।


আরও খবর



স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বর্ণের দাম দশ দিনের ব্যবধানে ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি হবে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৩৮৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৮ হাজার ৮০১ টাকা।

এর আগে, গত ৮ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস।

আর ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০ হাজার ১৯০ টাকা। যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছিল।


আরও খবর



যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:চলতি মৌসুমে যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অফিস জানায়, খুলনা বিভাগে তীব্র তাপদাহ বেশকিছু দিন ধরেই চলছে।বিশেষ করে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে এক ডিগ্রি করে।

বৈশাখের তপ্ত গরমে বিপর্যস্ত সারাদেশের সাথে যশোরের মানুষ।  তীব্র তাপপ্রবাহে আগুন ঝরা রোদ থেকে রক্ষা পেতে যশোরের মানুষ একটু ছায়া খুঁজছেন।

চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। ভোগান্তিতে চরমে রয়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। তাছাড়া  শহরের বেশ কয়েকটি সড়কের পিচ গরমে গলে উঠে গেছে। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, বাতাসেও গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকেই।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। এতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।


আরও খবর



বিরামপুরে কৃষকদের মাঝে সার-বীজ বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কৃষকদের আবাদ ও ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে  কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে আউশ ধানের বীজ, পাটবীজ ও পেঁয়াজ বীজ এবং রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বিরামপুর উপজেলা কৃষি চত্বরে সার-বীজ বিতরণের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন। সার ও বীজ বিতরণের সময় বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভার:) কৃষিবীদ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মÐল, মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার আলী, বিরামপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আকরাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সার-বীজ বিতরণের শেষে বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভার:) কৃষিবীদ জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস জানান, ৬০০ কৃষকের মাঝে উচ্চ ফলনশীল আউশ বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি, ১২০ জন কৃষকরে মাঝে  ১কেজি করে পাট বীজ এবং ৪০জন কৃষকের মাঝে  কেজি পেঁয়াজ বীজ, ২০ কেজি এমওপি ও ২০ কেজি করে ডিএপি বিতরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নিটারিয়ানদের কেমন কেটেছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৬৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:বৈশাখ আর বাঙালি মিলেমিশে একাকার। তাই-তো পহেলা বৈশাখ নিয়ে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই আপামর বাঙালির। নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ভোরের নতুন সূর্য ওঠার মধ্য দিয়ে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতেই নানা এলাকায় নানান ধরনের আয়োজন হয়ে থাকে।

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ,  ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এ দিনটির মধ্য দিয়েই বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। এ দিনটিকে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (নিটার) এর শিক্ষার্থীরা কিভাবে দেখছেন, কিভাবে উপভোগ করেছেন বৈশাখি উৎসব তা তুলে ধরেছেন খবর প্রতিদিনের নিটার প্রতিনিধি- মিঠুন দাস মিঠু

                                                                             ‘‘পহেলা বৈশাখ: বাঙালির এক সার্বজনীন উৎসব”
বাঙালির আদি সাংস্কৃতিক পরিচয় বহনকারী অসাম্প্রদায়িক উৎসব পহেলা বৈশাখ, যা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ-উৎসব। বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো অনুষঙ্গ নেই। সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে পরিচিত পহেলা বৈশাখের এই দিনটি এই শোভাযাত্রা, মেলা, পান্তাভাত খাওয়া, হালখাতা খোলা, বর্ষবরণ করে পালন করা হয়। ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘল যুগ থেকে শুরু হয় এই উৎসবের চল যখন সম্রাট আকবর ফসল কাটার মরশুমের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করেন, যা ছিল ইসলামি ও হিন্দু ক্যালেন্ডারের সমন্বয়। বাংলা ক্যালেন্ডারের সঙ্গে আর্থিক বছর মিলিয়ে দেওয়ায় আকবরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এইদিন পরবর্তীকালে উৎসবে পরিণত হয়। বর্তমান পহেলা বৈশাখের এই দিনে আমাদের দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রায়” গ্রামীণ জীবন এবং আবহমান বাংলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। এইদিনে বাঙালি ব্যবসায়ী, দোকানদার বছরের সমস্ত হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন হিসাবের খাতা খোলেন। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের মধ্যে ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব এইদিন পালিত হয়। গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য, আসবাবপত্র ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে সেসব মেলায়। যদিও তার প্রসার এখন কমে গিয়েছে। মেলার সময় নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা, কুস্তির আসর, এমনকি মেলায় ষাঁড়ের লড়াই, মোরগের লড়াই, বলী খেলা ইত্যাদি বিনোদন ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান বসতো। তবে করোনার পরবর্তী বছর গুলোতে আয়োজিত অনুষ্ঠান গুলোয় ভাটা পড়লেও বাঙালির আনন্দ থেমে থাকেনি। সর্বজনীন এই উৎসবের এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ গাঁথা কষ্টকে বিদায় জানিয়ে নতুনত্ব কে সাদরে গ্রহণ করে পৃথিবীর সকল প্রান্তে থাকা সকল বাঙালি।
অপরাজিতা অর্পা, ডিপার্টমেন্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                               ‘‘রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলোরে”
ঋতুরাজ বসন্তের রঙের আভা যেতে না যেতেই গ্রীষ্মের শুরু। গ্রীষ্মের শুরু বলতেই মাথায় আসে পহেলা বৈশাখ। বছর ঘুরে নতুন সূর্যোদয়ে পুরোনো বছরের, পুরোনো দিনের সকল গ্লানি, সকল জড়া ধুয়ে মুছে নতুন্যত্বর বরণ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে ‘‘পহেলা বৈশাখ” উদযাপনের সূচনা। কালপরিক্রমায় যা একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের রূপ নেয়। নববর্ষের অন্যতম প্রধান রীতি ‘‘হালখাতা”। প্রকৃতপক্ষে হালখাতা হল বাংলা সনের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। নতুন বছরের উৎসবের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়া ছাড়াও পুরনো একটি সংস্কৃতি হলো গ্রামীণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। এর মধ্যে নৌকাবাইচ, লাঠি খেলা কিংবা কুস্তি খেলা যার সবচেয়ে বড় আসরটি হয় চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে, যা ‘‘জব্বারের বলি খেলা” নামে পরিচিত। সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা বসে যার নাম বউমেলা, এটি স্থানীয়ভাবে ‘‘বটতলার মেলা” নামেও পরিচিত।

রাজধানী ঢাকায় রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে সূর্যোদয়ের পর পর এ অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের শিল্পীরা সম্মিলিত কণ্ঠে গান গেয়ে নতুন বছরের সূর্যকে আহ্বান জানান। স্থানটির পরিচিতি বটমূল হলেও প্রকৃতপক্ষে যে গাছের ছায়ায় মঞ্চ তৈরি হয় সেটি বট গাছ নয়, অশ্বত্থ গাছ। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পহেলা বৈশাখের উৎসবের মূল কেন্দ্র ‘‘ডিসি হিল পার্ক”। নগরীর অন্যান্য নিয়মিত আয়োজন শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকি’র তিনদিন ব্যাপী ‘‘ছোটদের বৈশাখী উৎসব” যার প্রারম্ভ হয় পহেলা বৈশাখের দুদিন আগে এবং শেষ হয় বৈশাখের প্রথম দিন সন্ধ্যায়।
অংকিতা পোদ্দার তিথি, ডিপার্টমেন্ট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                            ‘‘পহেলা বৈশাখ আসে আমাদের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে নিয়ে”
সৌর পঞ্জি অনুসারে বাংলা মাস পালিত হতো অনেক প্রাচীনকাল থেকেই। সম্রাট আকবর বেশি আলোচিত হলেও, বাংলা পঞ্জির উদ্ভাবক ধরা হয় আসলে ৭ম শতকের রাজা শশাঙ্ককে।  প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘‘ফসলি সন”। প্রথমে আকবরের পঞ্জিকার নাম ছিল “তারিখ-এ-এলাহী”। ধারণা করা হয় যে, বাংলা বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে। যেমন: বিশাখা নক্ষত্র থেকে বৈশাখ, জায়ীস্থা থেকে জৈষ্ঠ্য, শার থেকে আষাঢ়, শ্রাবণী থেকে শ্রাবণ এমন করেই বাংলায় নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ হয়। এইদিন আব্বু বাসায় অনেক বড় বড় মাছ আনে। আব্বুর মতে, বছরের শুরুটা ভালো খাবার দিয়ে শুরু করলে সারা বছর ভালো খাবার খাওয়া যায়। চারদিকে ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘নোঙর ছাড়িয়া নায়ের দে রে মাঝি ভাই’ সহ বিভিন্ন গান শোনা যায়। নববর্ষের সময় মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন বছরকে আমন্ত্রণ জানায়। আমি ও আমার আম্মু লাল পাড় এর সাদা সাড়ি এবং আব্বু ও আমার ছোট ভাই পাঞ্জাবি পরে। এইদিন আমরা সকালে পান্তা ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, হরেক রকম ভর্তা দিয়ে খাই। বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা বাক্য হল “শুভ নববর্ষ”। যেটা আমারা সবাই সবাইকে বলি। আগে নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোটাই অর্থনৈতিক এবং গ্রামে-গঞ্জে ব্যবসায়ীরা নতুন বছরের শুরুর দিনে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলেন। এই উপলক্ষ্যে তারা তাদের নতুন-পুরনো খদ্দেরদেরকে আমন্ত্রণ জানান মিষ্টি মুখ করাতে। এই আমন্ত্রণ গ্রহন করতে এসে অনেক খদ্দের তাদের পুরনো দেনার পুরোটা বা কিছু অংশ শোধ করে নতুন খাতায় হিসাব হালনাগাদ করে। আমরা পুরো পরিবার বিকেলে মেলাতে যাই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসে, তার মধ্যে হাতের নাকশা করার দোকান আমার সবচেয়ে প্রিয়। আমি সেখানে সবসময় হাতে নকশা করাই। তাছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায় যেমন মুড়ি-মুরকি, খাজা-গজা, চিনির তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি আকৃতির নানা রকম মিষ্টি, হরেক রকমের পিঠা। মেলায় মুল আকর্ষন থাকে নাগরদোলা। যেটায় প্রতিবার আমি উঠি। মেলায় রং বেরঙের খেলনা পাওয়া যায়। খেলনা গুলো এতো সুন্দর যে যেটা দেখি সেটাই কিনতে ইচ্ছা করে। মেলায় আঞ্চলিক ও লোকগানের আসর, যাএাপাল, পুতুল নাচ। বাঁশিবিক্রেতা বাঁশি বাজিয়ে মুখর করে তোলে মেলা প্রাঙ্গণ। এছাড়াও গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক সহ সংস্কৃতিক আনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বিকালে বিভিন্ন ধরনের খেলার ব্যবস্থা করা হয়। খেলা গুলোর মধ্যে নৌকাবাইচ, গরু-মোষের লড়াই, কাবাডি, মোরগ লড়াই থাকে। এভাবেই আমি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি। প্রায় সময় আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি, আর আমাদের সংস্কৃতির কথা। তাই প্রতি বছর পহেলা বৈশাখ এসে আমাদের ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয় ।
আফরোজা আলম তানি, ডিপার্টমেন্ট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)

                                                                                                      ‘‘এসো হে বৈশাখ : ১৪৩১ বঙ্গাব্দ”
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সর্বজনীন একটি উৎসব। এই উৎসবে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি অংশ নিয়ে থাকে। এই উৎসবের সময় দেশ নতুন করে সাজে, দোকানপাট থেকে শুরু করে বাসা বাড়ি রঙিন করে সাজানো হয় নতুন বছর বরণ করার জন্য। এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রা। এই শোভাযাত্রা কে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে ‘‘মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এছাড়াও, প্রতি বছর রমনা বটমূলে ঘটা করে মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে । সেখানে মাটির পুতুল, শাড়ি ও বিভিন্ন দেশীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার বিক্রি করা হয়। সবার কামনা থাকে, নতুন বছরটি যেন সুখময় ও শান্তির হয়। পহেলা বৈশাখের আয়োজন গুলোর মধ্যে অন্যতম ‘‘হালখাতা”। এদিনে গ্রাহকেরা দোকানিদের বাকি টাকা মিটিয়ে থাকে। তবে বর্তমানে বাংলা নববর্ষের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হল বৈশাখী মেলা। বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়, গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হয় কবিগান, কীর্তন, গম্ভীরা গান, পুতুল-নাচের।
মো: লতিফুর রহমান লিহাদ, ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রথম বর্ষ)


আরও খবর



১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image
নিজস্ব প্রতিবেদক:একটা চাদর হবে’- ইথুন বাবুর কথা, সুর ও সঙ্গীতে এই গান গেয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে রাতারাতি পরিচিতি পেয়ে যান জেনস সুমন। এর আগে-পরে বেশকিছু মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছিলেন তিনি। মাঝে এক যুগের বিরতি। এরপর আবার ব্যস্ত হয়ে যান।

আবারো নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন এই গায়ক। শিরোনাম ‘আসমান জমিন’। গানটির কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন এস আই এনজেল। ঈশা খান দূরের তত্ত্বাবধানে ভিডিও পরিচালনা করেছেন এআর খান।

দেশের শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজের মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গান-ভিডিও মুক্তি পেয়েছে।নতুন গান প্রসঙ্গে সুমন বলেন, আসমান জামিন একটি রোমান্টিক ঘরানার গান। সর্বশেষ ২০০৮ সালে গান করেছি। এরপর গান করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর নতুন গান নিয়ে ফিরছি। আশা করছি, আমার নতুন গানটি সবার পছন্দ হবে।

জেনস সুম‌নের প্রথম একক অ্যালবাম ‘আশীর্বাদ’ প্রকাশ হয় ১৯৯৭ সা‌লে। তারপর একে একে আসে ‘আকাশ কেঁদেছে’, ‘অতিথি’, ‘আশাবাদী’, ‘একটা চাদর হবে’, ‘আয় তোরা আয়’, ‘চেরী’ ইত্যাদি। আর ২০০৮ সা‌লে প্রকাশ হয় তার সবশেষ অ্যালবাম ‘মন চ‌লো রূপের নগ‌রে’।  এরপর থেকে গানে অনিয়মিত তিনি।

আরও খবর