Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মরক্কোতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৯৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১৯৬জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :মরক্কোতে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে আহত হয়েছেন আরও ২৪৭৬ জন।সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) হতাহতের এই হালনাগাদ তথ্য দিয়েছে মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে দক্ষিণ মারাক্কেশের অনেক গ্রাম্য এলাকা রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।

প্রয়োজনীয় আধুনিক উপকরণের সংকট থাকায় অনেকেই স্থানীয় উদ্ধার সরঞ্জাম এমনকি শুধু হাত দিয়েও আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত হওয়ায় অনেক এলাকায় উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে না।

অনেক এলাকায় খাবার পানি ও জরুরি সহায়তার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় অনেককেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে।

মরক্কো সরকার জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তারা যুক্তরাজ্য, স্পেন, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাহায্যের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। আরও বেশ কয়েকটি দেশ মরক্কো সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিন দিন পার হওয়ায় আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।

সূত্র: এনডিটিভি


আরও খবর

জামিন পেলেন ইমরান খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ সংবাদদাতা:নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেল এর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। এসময় নিহতদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু সন্তানসহ গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই জন। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার নওগাঁ- বগুড়া মহাসড়কের শাহাপুর এলাকায়। নিহত স্বামী-স্ত্রী হলেন, পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী গ্রামের এনামুল হক (৪৯) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার (৩২)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্তানসহ তারা স্বামী-স্ত্রী একটি মোটরসাইকেল যোগে নওগাঁ থেকে বগুড়ার সান্তাহারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌছালে এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা সড়কের উপর ছিটকে পড়েন এবং দূর্ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানিয়রা তাদের আহত সন্তানসহ অপর মোটরসাইকেল আরোহী একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। 

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  জাহিদুল হক বলেন, মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের আরোহীরা ছিটকে সড়কের উপর পড়েন। প্রাথমিক ভাবে স্থানিয়রা ধারনা করছেন যে, সড়কের উপর পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দূর্ঘটনা স্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এদূর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল তথ্য ও আলামত জব্দ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। এব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর



তরুণদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে কার্ভড ডিসপ্লের সেরা স্মার্টফোন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

চৌধুরী নাইম আহমেদ মুজিব:স্মার্টফোনের এই যুগে ফোনের যেইসকল ফিচার পূর্বে শুধুই প্রিমিয়াম ডিভাইসে পাওয়া যেতো, সেগুলো বর্তমানে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। এরকমই একটি ফিচার হচ্ছে কার্ভড ডিসপ্লে। উন্নতমানের স্মার্টফোনের এই ফিচারটি ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠেছে একটি সাশ্রয়ী পছন্দ। আমরা স্মার্টফোনে কার্ভড ডিসপ্লে পরিসর নিয়ে আলোচনা করবো এবং কীভাবে ব্র্যান্ডগুলি এই প্রিমিয়াম ফিচারটি আরও বিস্তৃত দর্শকদের কাছে পৌছে দিতে পারে তা নিয়ে কথা বলবো।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, স্মার্টফোনের বাজারে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে ব্র্যান্ডগুলির প্রতিনিয়ত প্রিমিয়াম ফিচার গুলোকে সাশ্রয়ী বাজেটের ফোনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা গুলো। যার অন্যতম একটি হচ্ছে কার্ভড ডিসপ্লে ফিচার যা ব্র্যান্ড গুলোর উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বর্তমানে সাশ্রয়ী বাজেটের ফোনেও পাওয়া যায়। ইনফিনিক্স, অনার এবং টেকনোর মতো ব্র্যান্ড গুলো এই চর্চাকে স্বাগত জানিয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে কার্ভড ডিসপ্লের স্মার্টফোন সরবরাহ করছে।

এই রেঞ্জের স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ভিভো ভি২৯ ডিভাইসটি, যার মূল্য ৫৬,৯৯৯ টাকা। এই ডিভাইসটিতে একটি কার্ভড ডিসপ্লে রয়েছে যা ফোনের নান্দনিকতা এবং কার্যকারিতা উভয়ই বৃদ্ধি করে এবং ব্যবহারকারীদেরকে একটি ইমারসিভ বা নিমগ্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। একইভাবে, ৪১,৯৯৯ টাকা মূল্যের অনার এক্স  নাইনবি তেও রয়েছে একটি কার্ভড ডিসপ্লে যা ভোক্তার ক্রয় সক্ষমতা নিশ্চিত করে ডিভাইসের সামগ্রিক ডিজাইনকে আরো উন্নত করে।

কিন্তু এই সাশ্রয়ী বাজেটের কার্ভড ডিসপ্লে ফিচার সমৃদ্ধ স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে টেকনো স্পার্ক ২০ প্রো প্লাস ডিভাইসটি যার মূল্যমান মাত্র ২৬,৯৯৯ টাকা। কার্ভড ডিসপ্লের পাশাপাশি এতে রয়েছে মসৃণ ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরমেন্স এবং বর্ধিত ব্যবহার অভিজ্ঞতা। এই বিশেষ ফিচার গুলার সমন্বয়ে টেকনো স্পার্ক ২০ প্রো প্লাস স্মার্টফোনটি হয়ে উঠেছে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ।

স্মার্টফোন প্রযুক্তির উত্তারত্তর বিকাশের এই ধারায়, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসগুলিতে আরও উদ্ভাবন এবং প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্যগুলির উপস্থিতি আশা করতে পারি। কার্ভড ডিসপ্লের এই উপস্থিতি হলো ভোক্তাদের বিভিন্ন চাহিদা  এবং পছন্দগুলি মেটানোর জন্য ব্র্যান্ডগুলি কীভাবে প্রচেষ্টা করছে তার একটি উদাহরণ। অধিক বিকল্পের উপস্থিতি থাকায়, ভোক্তারা এখন সাধ্যের সাথে আপোষ না করেই প্রিমিয়াম ফিচার গুলো উপভোগ করতে পারে৷

সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনগুলিতে কার্ভড ডিসপ্লের উপস্থিতি স্মার্টফোন প্রযুক্তির বিবর্তনে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ব্র্যান্ডগুলি বৃহত্তর ভোক্তাদের কাছে প্রিমিয়াম ফিচার গুলোকে সরবরাহ করার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, যার ফলে গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা এবং পছন্দগুলি পূরণ হচ্ছে। পরিবর্তনশীল এই স্মার্টফোনের বাজারে আমরা আশা করতে পারি প্রিমিয়াম এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইসগুলির মধ্যে দাম ও ফিচারের ব্যবধান কমে এসে সর্বাপরি ব্যবহারকারীদের জন্য অধিক সুবিধা এবং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।


আরও খবর



বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে অন্যের বিরাগভাজন হতে পারি না: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না, বলেছেন মিয়ানমার ইস্যুতে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত প্রতিরক্ষা কূটনীতিবিষয়ক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেছেন, মিয়ানমারের নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। কিন্তু আপনারা জানেন, মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা নিজেদের ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়ার মতো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সব দেশই আমাদের বন্ধু। কাজেই একটি বন্ধুরাষ্ট্রকে খুশি করতে গিয়ে অন্য রাষ্ট্রের বিরাগভাজন হতে পারি না। এই বাস্তবতা আমাদের বিবেচনায় রাখতে হয়।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, এটি অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সরকারের সব সংস্থাই দেশের স্বার্থের জন্য কাজ করে। সুযোগ খুঁজে বের করা এবং সহায়ক পরিবেশে কাজ করা হচ্ছে সবচেয়ে ভালো বিষয়। একা একা সফলতা অর্জন করা অসম্ভব। কীভাবে সবার সঙ্গে সহযোগিতা করা যায়, সেটি হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।

এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের স্বার্থ ও কৌশলের জন্য সামরিক কৌশল দরকার এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের অবস্থান ঠিক করি। বিচ্ছিন্নভাবে এটি অর্জন করার সুযোগ নেই। মাঝেমধ্যে আমাদের তাই ভাবনা আসে, কে নেতৃত্ব দেবে বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে। এটি কখনও কখনও সমস্যার তৈরি করে।

সরকারি কাজ সমন্বয়ের জন্য একটি সংস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, অনেক বিষয় আছে, যেটি আমরা শুরু করেছিলাম কিন্তু শেষ করতে পারিনি। কারণ, পরবর্তীতে সেটি আমাদের হাতে থাকেনি। যখনই আমি ব্যবসা খাতের জন্য একটি সম্ভাবনা খুঁজে বের করলাম, সেটি পরবর্তীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এখানে যে প্রস্তাব এসেছে, সেটি আমি সমর্থন করি এবং মনে করি, একটি সংস্থা দরকার, যেটি সমন্বিত উদ্যোগ নিশ্চিত করবে যার মাধ্যমে যেটি অর্জন করা হয়েছে, সেটি হারিয়ে যাবে না এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম ঠিক করবে।

নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন বলেন, অভিপ্রায় হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা হঠাৎ করে বদলায় না। আজ একজন বন্ধু আছে কিন্তু কাল সে বন্ধু না–ও থাকতে পারে। জাতীয় স্বার্থ ও মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়” এবং সামরিক বাহিনী পররাষ্ট্র নীতির উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সবকিছু করছে।

সেনাপ্রধান আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর মূল কাজ হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং আমরা এটি কখনো ভুলি না। আমরা সব সময় এর জন্য তৈরি।


আরও খবর



ছাত‌কে অনু‌মো‌দিত ছাড়াই ১৩‌টি গাছ কর্তন,শি‌ক্ষিকা হ‌য়ে আইন মানচ্ছেন না!

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:দেশব্যাপী খরতাপ, পরিবেশের রুক্ষতা নিয়ে হৈ—চৈ’এর মধ্যেই সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপ‌জেলার দ‌ক্ষিন খুরমা ইউপির ম‌নিঞ্জা‌তি সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃপ‌ক্ষের অনু‌মো‌দিত ছাড়াই নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দে‌খি‌য়ে ১৩টি ছায়াবৃক্ষের গাছ কর্তন ক‌রে প্রায় ২ লাখ টাকার বি‌নিময় বি‌ত্রিু করেছেন। এ ঘটনায় ‌জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এলাকার ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমিরা এই অবিচার সাইতে না পেরে বিচারের জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিচ্ছেন তারা। গত ১ মে  সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথ‌মিক শিক্ষা কর্মকতার বরাব‌রে গ্রামবাসী লিখিত এক‌টি অ‌ভি‌যোগ দা‌য়ের ক‌রা হ‌য়ে‌ছে।

গ্রামবাসীর অ‌ভি‌যো‌গে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধ‌রে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয় । বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে।

গত ৩ মাচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃর্পক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এ বৃক্ষ গু‌লো কেটে বিক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা বলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এসব তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রেন ।

গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী জানান, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কর্তন করে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ ক‌রে‌ছে প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ।

গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ জানান, বৃক্ষ কর্তনে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদেরকে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।এই অনিয়মের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে ধরণা দিলেও কেউ আমাদের ফরিয়াদ আমলে নিচ্ছেন না কেউ—ই।

এব‌্যাপা‌রে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী জানান, উপ‌জেলার নিবাহী কর্মকতার অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ‌্যমে এই গাছগু‌লো কর্তন করা হয়ে‌ছে । 

এব‌্যাপাার ইউপি সদস‌্য সুমন মিয়া জানান,ইউএনও অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ‌্যাল‌য়ের নানা জা‌তের গাছ গু‌লো কে‌টে‌ছেন শি‌ক্ষিকা।

এব‌্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান,ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এব‌্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেয়নি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান,,অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।


আরও খবর

ছাত‌কে জমেছে ভোটের লড়াই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪