Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় ৩ নম্বরে পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী শত্রুতা নয় চীন-যুক্তরাষ্ট্র, অংশীদারত্ব চান শি জিনপিং ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় আজ শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পুলিশের সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ: কর্মীদের সুরক্ষায় রেলের নির্দেশনা বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইন্টারন্যাশনাল ডিজ্যাবিলিটি আর্ট ফেস্টিভ্যাল শুরু হিলিতে নসিমনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই বন্ধুর মৃত্যু

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ীর একটি ঘরের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এতে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্তারিত আসছে...


আরও খবর



বাংলাদেশ ঈদ উদযাপন করবে কাল

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ বুধবার দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)। আজ ইফতারের পর পরই পশ্চিম আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রমজান পূর্ণ হয়েছে।

ঈদের জামাতের জন্য প্রস্তুত দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লার ঈদগাহ ময়দান। ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও দুই সিটি করপোরেশন আরও ৩৬০টি জামাতের আয়োজন করেছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম ও মুয়াজ্জিন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে প্রধান জামাতে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ঈদের দিন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বরাবরের মতো পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা এবং সকাল ১০টায় যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ জামাত হবে। পঞ্চম জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ রাজনীতিকরা আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


আরও খবর



মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠাল বিজিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে,বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার আসা প্রতিনিধিরা ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড এবং পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সাথে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা।

ভোর সাড়ে ৪টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ১০টি বাসে করে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে আনা হয়। যেখানে আছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্য আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে গতবার ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতয়ে বন্দরের উদ্দেশে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ‘কর্ণফুলী টাগ-১’ জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে যাবেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরও ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষংছড়ির বিজিবি স্কুলে। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিল আরও ৩৩০ জনকে।


আরও খবর



আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে আরও জোরালো সমর্থন চেয়েছেন। এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর অ্যান্ড থিম) ফাতিমা ইয়াসমিন রোববার (৩১ মার্চ) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই সমর্থন কামনা করেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতি। কারণ সরকার গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এডিবি ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করেছে। কারণ এটি শিল্পায়ন প্রসারিত ও আরও কাজের সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে। শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি, নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের মতো খাতে এডিবির সহায়তা চেয়েছেন। তিনি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টকে আরও জনকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে করে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬-২০০১ সালে বেসরকারী খাতে বিভিন্ন শাখা খোলার জন্য তার সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যাতে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং প্রাণবন্ত করে তোলে- যার ফলে কর্মসংস্থান সম্প্রসারিত হয়।

ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশ এডিবির অন্যতম শীর্ষ অগ্রাধিকারের দেশ এবং ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে এডিবির সহায়তা পাঁচ গুণ বেড়ে ৩.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আরও বলেন, এডিবি নদী পুনরুদ্ধার, নদী ভিত্তিক পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র ও সেচের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী। কারণ এটি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, মানব ও সামাজিক উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ বইছে ঢাকাসহ ৩৯ জেলায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকাসহ দেশের ৩৯ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বেড়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (১ এপ্রিল) সিলেট ছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টি হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

গরমে রাজধানীসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়ছে অস্বস্তি। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল ঈশ্বরদী ও মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী (৮ জেলা), ঢাকা (১৩ জেলা), খুলনা (১০ জেলা) ও বরিশাল (৬ জেলা) বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার পশ্চিম পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশপাশের এলাকার শতাধিক গরীব অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

সোমবার ( ৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপস্থিত থেকে অসহায় দের মাঝে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির  হয়েছেন। ঈদ উপহার নিতে আসা মানুষের চোখে মুখে আনন্দের ছোঁয়া দেখা যায়। উপহার নিতে ছোট বড় বৃদ্ধা সকল বয়সী লোকের সমাগম ঘটে।

ঈদ উপহার নিতে আসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহেদা বেগম বলেন, আগে কোনো স্যার এভাবে আমাদের কথা ভাবেনি। এই স্যার আমাদের শীতের সময় কম্বল দিয়েছেন। আজ আবার ঈদ উপহার দিয়েছেন। সত্যিই আমরা অনেক আনন্দিত। কারণ এভাবে কেউ কখনো আমাদের মূল্যায়ন করেন না। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ উনার মঙ্গল করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার বয়স ৬২ বছর। আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এখন তেমন কাজ পাই না। এই বছর ঈদ উপলক্ষ্যে কিছু কিনতে পারি নাই। পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে এসে আমরা ভালভাবে ঈদ পালন করতে পারবো।আল্লাহপাক যেন পুলিশ সুপার স্যারের মঙ্গল করেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. নূরুল হক, মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুর রহমান সহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মানবতার সেবায় নিয়জিত। পবিত্র ইদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য আমাদের এ আয়োজন। ভবিষ্যতেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এবং সকল বাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সকল মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করবে।জানিয়ে তিনি  আরো বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

আরও খবর