Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২৬জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃবাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল ১১টায় ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো.বাকি বিল্লাহ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ.এম.শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা রাখেন সিনিয়র শিক্ষক মো.জাকির হোসেন, সহকারি প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত), সিনিয়র শিক্ষক  মো.হাবিবুর রহমান।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক আবু বকর মো. তাজুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক মো. রাকিবুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক জগন্নাথ কুমার হালদার ও সহকারি শিক্ষক শেখ মো. মামুন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার বিষয়ে সার্বিক পরামর্শ দেন এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আলী মোহাম্মদ ফারুক।

আরও খবর



গোদাগাড়ীতে নামের মিলে জেল খাটলেন কলেজছাত্র, আসল আসামি ভারতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৪২জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক মামলার আসামির সঙ্গে নিজের ও বাবার নামের মিল থাকায় বিনা দোষে একদিন জেল খাটলেন এক কলেজছাত্র। গতকাল সোমবার ভোরে এই কলেজছাত্রকে ধরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আসামি শনাক্তে ভুল হওয়ার ব্যাপারে পুলিশ বুঝতে পেরে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার(১৪মে) আদালত এই কলেজছাত্রকে মুক্তি দিয়েছেন। এই কলেজছাত্রের নাম ইসমাইল হোসেন (২১) তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে।

তাঁর মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক ওই আসামির নামও ইসমাইল হোসেন (২০)।তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার লালবাগ হেলিপ্যাড মহল্লায়। বাবার নাম আবদুল করিম। তাঁর মায়ের নাম মোসা. বেলিয়ারা। আসামি ইসমাইল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মাদক মামলায় জামিন নেওয়ার পর তিনি ভারতের চেন্নাই গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। মাদক মামলার এই আসামি এবং ওই কলেজছাত্রের দুজনের নিজের নাম এবং তাদের বাবার নামও একই। মহল্লা এবং মায়ের নাম আলাদা হলেও পুলিশ এই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।কলেজছাত্র ইসমাইল হোসেনের ভাই আব্দুল হাকিম রুবেল জানান, গত রোববার (১২ মে) এশার নামাজের সময় গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান তাদের বাড়ি যান। এ সময় তিনি একটি মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে তার ভাই ইসমাইল হোসেনকে ধরে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁরা পুলিশকে জানান, তার ভাইয়ের নামে কোনো মাদক মামলা নেই। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই।

পুলিশ কোনো কথা না শুনেই ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর মাদারপুর জামে মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে রাজমিস্ত্রি ইসমাইল হোসেনকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই ইনামুল ইসলাম। এরপর দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর এক মাস পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইসমাইল হোসেন জামিনে মুক্তি পান। কিছুদিন পর তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজে চেন্নাই চলে যান। তার বাবা ছয় বছর ধরেই সেখানে আছেন।

এই মামলায় কলেজছাত্র ইসমাইলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিনকে পরিবারের সদস্যরা অবহিত করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি। তিনি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানাকে অবগত করেন। পরে সোহেল রানা বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পায়, আসামি ইসমাইলের বদলে অন্য ইসমাইলকে ধরা হয়েছে।গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘আমরা সোমবার(১৩ মে) এই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাই। দুজনের নিজের এবং বাবার নাম একই থাকার কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। পরে ভুল বুঝতে পেরে সোমবার বিকেলেই আমরা একটা প্রতিবেদন দিয়েছি। আজ আদালত এই ইসমাইলকে মুক্তি দিয়েছেন। আসল আসামি ভারতে পালিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।


আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল চুরান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ৬ষ্ঠ ধাপের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শহিদুল ইসলাম শালু (কাপ পিরিচ) প্রতীকে  বিজয়ী হয়েছেন। ৮ মে বুধবার সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়। চেয়ারম্যান পদে মোট ৮ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করেন। ভোট গ্রহনে নিরাপত্তা বাহিনী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, আনসার ভিডিবি ও গ্রাম পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যগন। 

বিকাল ৪টার পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল আসতে শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার এমদদুল হকের বে-সরকারি ভাবে নির্বাচনি ফলাফল ঘোষনা করেন। এতে (কাপ পিরিচ) প্রতীক নিয়ে শহিদুল ইসলাম শালু ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দি (টেলিফোন) প্রতীকে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদা আক্তার সৃতি, হাস প্রতিকে বিজয়, তার প্রতিদন্দদ্ধী আয়শা সিদ্দিকা পরাজয় হয়। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান সামসুল দোহা,বিজয়ী,তার পতিদ্বন্ধী প্রার্থী মোজাফর হোসেন (মাইক) প্রতীকে পরাজয় হয়।

রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বেসরকারিভাবে জয় পরাজয় ঘোষনা দেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এমদাদুল হক ।


আরও খবর



দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে উৎপাদন ক্ষমতা বেশি: নসরুল হামিদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদার চেয়েও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, জানুয়ারি ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এ বছরের ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট।

তিনি জানান, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কিছু কিছু স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে।

এ ছাড়া অত্যধিক গরম ও দেশের কোথাও কোথাও দাবদাহ থাকার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধির ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে যোগ করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই সবাইকে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিতে সক্ষম হব।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছে ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নৌ দুর্ঘটনায় তিউনিসিয়া উপকূলে মারা যাওয়া আট বাাংলাদেশির মরদেহ দেশে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহবাহী সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের এসভি৮০৮ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানা যায়। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মৃতদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিউনিসিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশার ও দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির। মরদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুর জেলার ৫ জন। তারা হলেন- সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা। অবশিষ্ট ৩ জন গোপালগঞ্জ জেলার। তারা হলেন- রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ গমনের চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই ৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে ডুবে যায়। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিলেন নৌকার মাঝি। দুর্ঘটনার পর তাদের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের আট জন, সিরিয়ার পাঁচ জন, মিসরের তিন জন ও নৌকা চালক রয়েছেন।

ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে আট জন বাংলাদেশি নাগরিক। নিহত অপর ব্যক্তি পাকিস্তানের নাগরিক।

নিহত বাংলাদেশিরা হলেন,মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, রিফাত শেখ, সজীব কাজী, ইমরুল কায়েস আপন, মো. কায়সার ও রাসেল শেখ। তারা সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা।

ব্র্যাকের সহযোগি পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্লাটফর্ম) শরিফুল হাসান জানান, ওই নৌকায় থাকা আরও ১১ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছে তারা। তাদের মধ্যে মাদারিপুর রাজৈর উপজেলার দুজন ব্র‍্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা অভিযোগ করেন, ওই আটজন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় যেহেতু একটা মামলা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে বিস্তারিত উঠে আসবে আশা করছি‌।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করেন নিহত সজল বৈরাগীর বাবা সুনীল বৈরাগী। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘবদ্ধভাবে খুনের ৩০২/৩৪ ধারা এবং মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে গত ১৯ এপ্রিল মামলা দায়ের করার দুইদিন পরই তাঁদের আটক করা হয়।

মামলার এজাহারে সুনীল বৈরাগী অভিযোগ করেন, তার ছেলে সজল বৈরাগী উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যেতে ইচ্ছুক ছিলেন। সজলের পূর্ব পরিচিত যুবরাজ কাজী (২৪) এবং লিবিয়ায় অবস্থানরত মোশারফ কাজী ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে বৈধ পথে ইতালি প্রেরণের প্রস্তাব দেন। সজল বৈরাগী ও তাঁর পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়।

দুই পক্ষের সম্মতিতে গত বছর ১৭ নভেম্বর যুবরাজ কাজীর গোপালগঞ্জের বাসায় আড়াই লাখ টাকা এবং পাসপোর্ট দেন সজল। ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়।

বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে গাড়ি থেকে নামার আগেই সজলের কাছ থেকে আরও নগদ পাঁচ লাখ টাকা নেন যুবরাজ কাজী। ৩১ ডিসেম্বর সকাল ছয়টায় দুবাই রওনা হন তিনি।

৮ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের বাসায় গিয়ে যুবরাজ কাজীর হাতে আরও সাড়ে ছয় লাখ টাকা দিয়ে আসেন পিতা সুনীল বৈরাগী। কিন্তু এরপর থেকে ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি সুনীল।

এরপর গণমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর চারটার মধ্যে লিবিয়া থেকে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা একটি ট্রলারে যে আট বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন তার মধ্যে সজল রয়েছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ২০ জনের একটা চক্র পারস্পরিক যোগসাজশে নিহতদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন। তাঁরা নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও উত্তাল সাগরে ছোট নৌকায় তুলে দিয়ে পানিতে ডুবিয়ে তাদের মৃত্যু ঘটান।


আরও খবর



মাগুরায় তীব্র তাপদাহে উইম্যান ওর্য়াল্ডের শরবত বিতরণ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরা শহরে তীব্র তাপদাহ থেকে কিছুটা স্বস্থির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মাগুরা শহরে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে শরবত পান করাচ্ছে। বুধবার দুপুরে উইম্যান ওর্য়াডের কর্মকর্তা সোনিয়া পারভীনের নেতৃত্বে নারী সদস্যরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে শ্রমজীবী ও পথচারিদের মধ্যে শরবত পান করান। মাগুরা জেলা পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কলিমুল্লাহ এর নেতৃত্বে শহরে শ্রমজীবা মানুষ ও পথচারিদের  স্যালাইন,  পানি ও শরবত পান করান হয়। এছাড়া মাগুরা পৌরসভা প্রতিদিন শহরের প্রধান সড়কে পানি ছিটিয়ে পরিবেশ শীতল করার কাজ করছে। উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরায় সর্বোচ্চ ৪২.০৬ ডিগ্রী তাপমাত্রা ছিল। বুধবার দুপুর দেড়টায় ৪১.২৯ ডিগী তাপমাত্রা বিরাজ করে। তীব্র তাপদাহ থেকে জনজীবনের বিপর্যয়ে কিছুটা স্বস্থি দিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।


আরও খবর