Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

মোবাইলের দোকান চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার নন্দীগ্রাম শহরের জনতা মার্কেটে মা মোবাইল প্যালেসে দিনের বেলায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সেসময় লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাত মোল্লা (৩১) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। 

রবিবার (৩ মার্চ) মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার এসআই জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। ওই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে কুমিল্লা কোতয়ালী থানা এলাকার কুমিল্লা সিটির ১৭নং ওয়ার্ডের তেলিকোনা মামণি হাসপাতালের সামনে থেকে চোর চক্রের সদস্য ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সেসময় তার হাতে থাকা ১টি ব্যাগ তল্লাশি করে লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নন্দীগ্রাম শহরের জনতা মার্কেটে মা মোবাইল প্যালেসে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র দোকানের তালা কেটে নগদ টাকাসহ অনেকগুলো মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মা মোবাইল প্যালেসের মালিক খালিদ হাসান আকাশ বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে থানায় চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, গাজীপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন থানার ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

চোর চক্রের অন্য সদস্যরা হলো, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঁশকাইট (বর্তমান সুরনন্দি-সার্মাকান্দা) এলাকার কাশেম আলী (৪৫), একই উপজেলার কামাল্লা এলাকার শরিফুল ইসলাম ওরফে জামাই শরীফ (২৯), শোলা পুকুরিয়া এলাকার ইকবাল হোসেন (৩৩), তিতাস উপজেলার মাছিমপুর (বর্তমান কোতয়ালীর সেন্ট্রাল জেল সংলগ্ন) এলাকার ফারুক হোসেন (৩২), চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাতিরবন্দ (মুছা হাজীর বাড়ি) এলাকার মহরম মজিব (২৬), মনু মিয়া ওরফে মানিক (২৭), নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মধ্যনগর চর এলাকার মোকারাম হোসেন রুবেল ওরফে মনির ওরফে মনু (৩৩) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালামুড়িয়া (মাজার বাড়ি পশ্চিমপাড়া) এলাকার সোহেল ওরফে মোটা সোহেল (৩১)। 

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আজমগীর হোসাইন জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করা হয়। তারা সংঘবদ্ধ বড় চোর চক্রের সদস্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্স, মোবাইল ও বিকাশের দোকানসহ বড় বড় দোকানে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ১০মিনিটের ব্যবধানে লুট করে চলে যায়। চোর চক্রের সদস্যরা কৌশলগত কারণে ভ্রাম্যমাণভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে এবং তাদের মোবাইল ফোনে সিম ব্যবহার করা হয় না। হোয়াটসঅ্যাপ-ইমুতে চুরির পরিকল্পনা ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা চুরির জন্য প্রথমে এলাকা এবং দোকান টার্গেট করে। এরপর ভিডিও ধারণ করে নিয়ে চলে যায়। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী চোর চক্রের সদস্যরা দোকানে যায়। এরপর তালা কাটার সময় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিতে লুঙ্গি ও ছাতা ব্যবহার করে। চোর চক্রের ২/৩জন সদস্য দোকানে ঢুকে চুরি করে আর বাকি সদস্যরা বাইরে পাহারায় থাকে। চোর চক্রের সদস্যরা কৌশল করে ২২ ফেব্রুয়ারি একটি পরিবহনে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে আরেকটি পরিবহনে নন্দীগ্রামে আসে। বাস থেকে নেমেই সরাসরি মা মোবাইল প্যালেসে গিয়ে ১০মিনিটের ব্যবধানে নগদ টাকাসহ মালামাল চুরি করে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হেঁটে যায়। সেখান থেকে ২টি অটোরিকশা ভাড়া করে নাটোর চলে যায়। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর



বৃষ্টির জন্য কুষ্টিয়ায় ইস্তেকার নামাজে সকল ধর্মপ্রান মুসল্লিরা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:পাপ কমান,তাপ কুমে যাবে। জলে স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল । সুরা রুম , আয়াত ৩০ । তীব্রতাপদাহে কুষ্টিয়া জেলায় প্রতিদিন বিভিন্ন স্হানে পানির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে দোওয়া ও ইস্তেকার নামাযে কান্নায় ভেঙে পড়েন ধর্মপ্রান মুসল্লিরা ॥

আরও খবর



দিনাজপুরে আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image
রিয়াজুল ইসলাম দিনাজপুর প্রতিনিধি:অন্যান্য বাবের ন্যায় এবারেও সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ ৬টি উপজেলায় আজ বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে, চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকায়, কাহারোল উপজেলা সদরের জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইল এলাকায়, বোচাগঞ্জে, বিরল উপজেলার বনগাঁ জামে মসজিদে ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে কয়েকশ’ পরিবারের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। 

বুধবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন দিনাজপুর শহর ও আশপাশের কয়েকটি এলাকার মানুষ। এই জামায়াতে পুরুষ, মহিলা ও শিশুসহ প্রায় ২৫০ জন মুসল্লি অংশগহণ করেন। এই জামায়াতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মহেশপুর গ্রামে অবস্থিত ফ্যামিলি কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার প্রতিষ্ঠা পরিচালক ও নবাবগঞ্জ উপজেলার মোহাজেরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। 

এছাড়া জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের রাবার ড্যাম, ফতেহজংপুর গ্রামে, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রামে, ১৩ মাইলে, বিরল উপজেলার পশ্চিম বনগাঁ জামে মসজিদ ও বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের আয়রা বাজার জামে মসজিদে এবং জোতবানী ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি মির্জাপুর জামে মসজিদে প্রায় ২০/২২টি গ্রামের কয়েক'শ মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। 

দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়স্থ পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুৎবায় একই দিন ঈদ ও কুরবানী করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ ও কুরবানী করার আহবান জানানো হয়। এ সময় পবিত্র কুরআনের আয়াতের আলোকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানানো হয়। 

পার্টি সেন্টারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়কারীদের কয়েকজন মুসল্লি জানান, দিনাজপুরে প্রথমে শুধু চিরিরবন্দর উপজেলায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ আরো কয়েকটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আগাম ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। 

উল্লেখ্য, দিনাজপুর জেলায় ২০০৭ সাল থেকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছে মুসলমানদের একটি অংশ। প্রথমে মুসল্লির সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ২০২৪ সালে এসে তা বেড়ে প্রায় ২৫০ জনে পৌঁছেছে।

আরও খবর



বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকে ব্যারিস্টার সুমনের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন সংস্থাটির চেয়ারম্যান বরাবর এই আবেদন করেন।

আবেদনে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক। তিনি ৩০তম পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন এবং ৩৪ বছর ৭ মাস পর অবসরে গেছেন। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা গেছে, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসম। দৈনিক কালের কণ্ঠ গত ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজিরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ৬টি কোম্পানি, রাজধানীর উচ্চবিত্ত এলাকায় দামি ফ্ল্যাট ও বাড়ি, বেস্ট হোল্ডিংয়ে শেয়ার, ফাইভ স্টার হোটেল- লা মেরিডিয়ান ঢাকা-র শেয়ার, গোপালগঞ্জের ‘সাভানা ইকো রিসোর্ট’, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৪১৮ ডিসিমালের বিশাল জমি। এসব সম্পদ বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উপরোক্ত তথ্য ও পরিস্থিতিতে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও দুই কন্যার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন করার পর ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ এসেছে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নিতে দেখে এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমি দুদকে এসেছি। দুদকে আবেদন করে এসবের অনুসন্ধান করতে বলেছি।

তিনি আর বলেন, সাবেক আইজিপির যদি এতো সম্পদ থাকে তাহলে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে যারা সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন তারা খুব বেশি হতাশাগ্রস্ত হবেন। যারা সৎ আছেন তাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আর যারা অসৎ, তারা অর্থ কামানোর প্রতিযোগিতায় নামবেন। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকলে অসৎ কর্মকর্তারা বলবেন- আমরা বেনজীর হতে চাই। যদি দুদক এসব অভিযোগের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে হাইকোর্টে যাব।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ গত শনিবার নিজের ফেসবুকে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি কিছু স্বীকার করেছেন, কিছু অস্বীকার করেছেন। এখন আইজিপির ৩৪ বছরের চাকরি জীবনে বেতন হয় প্রায় পৌনে দুই কোটির টাকা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শত শত কোটি টাকার মালিকানা উনার আছে, যা কাগজের হিসাবে এসেছে। আর বেহিসেবে যে কি আছে তা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েদের আয়ের কোনো উপায় ছিল না। এরপরও ছয়টি কোম্পানি থেকে শুরু করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বানিয়েছেন। গোপালগঞ্জে ১৪শ’ বিঘা জমি করেছেন। আরকিছু দিন সময় পেলে মনে হয় তিনি গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন। বৈধ না অবৈধ তা পরের বিষয়। যে হারে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন, আর কিছুদিন হলে হয়ত উনার জমির ওপর দিয়েই আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।

সুমন বলেন, এতো সম্পদের রিপোর্ট আসার পর ভেবেছিলাম দুদক নিজেই হয়ত একটা উদ্যোগ নেবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এতো বড় দুর্নীতির বিষয়ে কি আর কেউ কোনো কথা বলবে না? দুদক নিজে কাজ না করলে নাগরিক হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব দুদককে একটু নড়েচড়ে বসার কথা বলা। আমরা বলছি না যে, বেনজীর আহমেদ দুর্নীতি করেছেন। যে অভিযোগটা এসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের সামনে, জাতির সামনে পরিষ্কার হোক। তিনি যেখানেই গেছেন, সেখানেই সম্পদ গড়েছেন। দুদক যদি এই আবেদন আমলে না নেয় তাহলে আমি হাইকোর্টে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন হচ্ছে- দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়তে হবে। আমি এমপি হিসেবে এই প্রথম দুদকে এসেছি। যেসব জায়গায় দুর্নীতির বিষয়ে অন্যরা কথা বলবে না, আমার সাহস-সামর্থ্য থাকলে আমি কথা বলব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদ আইন প্রণয়নের জায়গা। সুযোগ পেলে সংসদে আমি দুদকের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করব।

তিনি আরও বলেন, একজন অপরাধী নিজে তার দোষ স্বীকার করেন না। দুদক বলুক যে, বেনজীরের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। কোনো দুর্নীতি করেননি। সব সম্পদ সাদা পানির মতো। দুদক নিজে স্টার্ট নেয় না। দুদককে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করে দিতে হয়। কিছু পুরাতন গাড়ি আছে যা সেল্ফ স্টার্ট নেন না। দুদকও তেমন। এখন আমরা ও সাংবাদিকরা পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার কাজটা করলে তখন চলতে পারবে। দুদক চেয়ারম্যান এক ইন্টারভিউয়ে বলেছেন, দুর্নীতিবাজরা এখন বুক ফুলিয়ে রাস্তায় হাঁটে। শুধু এ কথা বললেই উনার দ্বায়িত্ব শেষ হবে না। দুর্নীতিবাজরা যেন বুক ফুলিয়ে হাঁটতে না পারে সেই ব্যবস্থা উনাকে গ্রহণ করতে হবে। আর যদি একেবারেই কোনো ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আমাদের সবার দেশ ছাড়তে হবে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ার বটতৈলের রুশিয়া মেম্বারের ইদ উপহার বিতরন

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৪নং বটতৈল ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসন ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রুশিয়া খাতুনের ঈদ উপহার শাড়ি থ্রি পিস পেলেন এলাকার প্রায় শতাধিক ত্যাগী নারী কর্মি। ৩০ মার্চ ২০২৪ইং শনিবার বেলা ১১ঃ৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে তাঁর নিজস্ব কমীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঈদের উপহার হিসাবে শাড়ি ও থ্রি পিস বিতরণ করেন । অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়ার সাবেক যুবলীগ নেতা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এফ এম এনামুল হক, বটতৈল ৮ নং ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি হালিম মোল্লা সহ স্থানীয় নেতাকমীরা।
 
এফ এম এনামুল হক তার মন্তব্যে বলেন, আমরা সবাই গানের ভালো শিল্পী হিসেবে আলোচিত রুশিয়া মেম্বার আজ তার নিজ উদ্যোগে ত্যাগী কর্মীদের মাঝে ঈদের উপহার তুলে দিলেন। এটা একটি সকলের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তার মতো সমাজের যারা প্রতিনিধি আছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য মেম্বার যদি এই রকম উদ্যোগ নেন তাহলে কর্মীদের তাদের কাজের উৎসহ পাবে। রুশিয়া মেম্বার জেলা প্রতিনিধি’কে বলেন,পবিত্র মাহে রমাদান শেষে ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করতে আমার এই  সামান্য উপহার আমার ভালোবাসার কর্মীদের মাঝে দিতে পেরে সত্যিই আজ আমি নিজেকে মেম্বার হিসেবে মনে করছি। এই কর্মীদের জন্য আজ আমি মেম্বার হতে পেরেছি। তাদের যখনই ডাকি তারা সংসারের কাজ ফেলে আমার সাথে কাজ করে। আমাকে ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করে।
 
ঈদ কে সামনে রেখে ঈদ উপহার পেয়ে কর্মিরাও খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন। উপহার হিসেবে শাড়ি -থ্রি পিচ পাওয়ার পর কর্মিদের কেউ কেউ তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে রুশিয়া মেম্বারের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সমৃদ্ধি ও সফলতা কামনা করেন। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

আরও খবর



ঈদ উপহার দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসী তরুণের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে  মালয়েশিয়া প্রবাসী এক তরুণ মোটরসাইকেলে যোগে আত্বীয়র বাড়িতে ঈদ উপহারের জিনিসপত্র পৌঁছানোর পর নিজের বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন। এসময় তাঁর  মোটরসাইকেলটি চলন্ত  ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল। ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর একটি প্ল্যাটফার্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটকে পড়ে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টায় হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকের রাস্তা পারাপারে সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি হলেন মিজানুর রহমার ওরফে মুকুল হোসেন (২৮)। তিনি  আক্কেলপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেড় মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,  মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে  শুক্রবার সকালে তাঁর খালার বাড়ি গণিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্বদিকে রাস্তা পারাপারের সময় চিলাহাটী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কায় মিজানুর  রেললাইনের পাশে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে যায়।  ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে  জাফরপুর স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটক পড়ে। ট্রেনটি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিজানুরের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

হলহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিদুল হক  বলেন, আমি হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড়শ গজ দূরে রেললাইনের পাশে গরু চড়াচ্ছিলাম। ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে মোটরসাইকেল আটকে ছিল। লোকজনের চিৎকার শুনে এসে দেখি মোটরসাইকেল চালকের ছিন্নভিন্ন দেহ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে লোকজন এসে লাশটি হাজরাপাড়া গ্রামের প্রবাসী মিজানুরের বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের মিজানুর রহমানের  খালা নাইচ আক্তার কাঁদতে-কাঁদতে  বলেন, মিজানুর শুক্রবার সকালে আমার বাড়িতে এসে ঈদের বাজার দিয়েছে। আমরাও তাকে ঈদের কিছু বাজার দিয়েছিলাম। আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার আধাঘন্টা পর  মিজানুরের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ভাগিনার এমন মৃত্যু সহ্য করতে  পারছিনা।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর  মালয়েশিয়াতে ছিল। সে প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিল। আমরা তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজ করছিলাম।  খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে ধাক্কায় মিজানুরের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণিত হয়েছে। 

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, হলহলিয়া ব্রীজ এলাকায় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী আন্ত:নগর ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর