
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ আহ্বান জানান।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সমস্যার গভীরে গিয়ে টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে মিয়ানমারের ব্যর্থতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার হতাশা ব্যক্ত করেন।
ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ক্রমবর্ধমানহারে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়া এবং সেখানে অপর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের ন্যায়সংগত সমাধানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক হাইকমিশনার এবং একাধিক স্পেশাল র্যাপোটিয়াদের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন ম্যাকানিজমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়ে আসছে। তিনি মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বজনীনতা ও প্রতিটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ উত্তর বিশ্বে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য-জ্বালানী ও আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'এতে করে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
মোমেন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য-জ্বালানি ও আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব লাঘবের উদ্দেশে গৃহীত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপগুলো ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
এ ছাড়া, তিনি সব অভিবাসীর মানবাধিকার রক্ষার ওপরও জোর দেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশন শুরু হয়েছে, যা আগামী ০৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে শেষ হবে।