Logo
আজঃ সোমবার ২৯ মে ২০২৩
শিরোনাম

মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগের আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১২২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর কার্যকর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এক ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ আহ্বান জানান।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং সমস্যার গভীরে গিয়ে টেকসই সমাধান খুঁজে পেতে মিয়ানমারের ব্যর্থতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার হতাশা ব্যক্ত করেন।

ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ক্রমবর্ধমানহারে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়া এবং সেখানে অপর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার প্রসঙ্গ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকারভিত্তিতে দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা সংকটের ন্যায়সংগত সমাধানে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সাবেক হাইকমিশনার এবং একাধিক স্পেশাল র‌্যাপোটিয়াদের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংক্রান্ত জাতিসংঘের বিভিন্ন ম্যাকানিজমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়ে আসছে। তিনি মানবাধিকার সুরক্ষায় সর্বজনীনতা ও প্রতিটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড-১৯ উত্তর বিশ্বে, বিশেষ করে স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য-জ্বালানী ও আর্থিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'এতে করে সমাজের অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

মোমেন স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে খাদ্য-জ্বালানি ও আর্থিক সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মানুষের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব লাঘবের উদ্দেশে গৃহীত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপগুলো ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া, তিনি সব অভিবাসীর মানবাধিকার রক্ষার ওপরও জোর দেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশন শুরু হয়েছে, যা আগামী ০৪ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে শেষ হবে।


আরও খবর



মাগুরায় বেঞ্চ আকারে গণশুনানী নেন জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: ১০ মে ২০২৩ তারিখ বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেন মাগুরার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,  মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ। বুধবার ১০ মে এ গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়।

 জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে অনুষ্ঠিত এ গণ শুনানী কালে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,   মো: তোফাজ্জল হোসেন; জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ), মাগুরা  মো: ফরিদুজ্জামান; মেয়র, মাগুরা পৌরসভা  খুরশীদ হায়দার টুটুল; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (রাজস্ব)  প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস; উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর  মো: আশাদুল ইসলাম প্রমুখ।

গণশুনানিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিভিন্ন বিষয় যেমন: জায়গা-জমি সংক্রান্ত, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত, অভিযোগ সংক্রান্ত, আর্থিক বা অন্যান্য সাহায্য সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সংকট নিরসনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট হাজির হয়।

বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন যে, সাধারণ জনগণ প্রায় সময় এমন ধরনের সমস্যা নিয়ে আসেন যেগুলোর সাথে অন্যান্য দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সাধারণ জনগণের এই ধরনের  সমস্যা লাঘবে তিনি জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চের মাধ্যমে গণশুনানি নেন। গণশুনানিতে উপস্থিত দপ্তরপ্রধানগণ তাদের দপ্তর সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সেগুলোর আশু সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এতে করে সাধারণ জনগণ অতি দ্রুত তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে।

উন্মুক্ত পরিবেশে বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আরও বলেন যে, প্রায় সময় দেখা যায় কিছু মানুষ আছেন যারা বার্ধক্যজনিত কারণে বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে দোতলায় উঠে জেলা প্রশাসকের অফিসকক্ষ পর্যন্ত যেতে পারেন না বা যেতে পারলেও অনেক কষ্ট করতে হয়। তাদের এই কষ্টের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই তিনি অফিস প্রাঙ্গণে গণশুনানি নেন যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করা যায়।

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, উন্মুক্ত পরিবেশে বেঞ্চ আকারে গণশুনানি নেয়াটা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে যাতে করে সাধারণ জনগণের কাছে খুব সহজেই তাদের প্রাপ্য সেবাটা পৌঁছে দেয়া যায়।

আরও খবর



বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না: জি এম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর সকল ধর্মই শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণের কথা বলেছে। প্রতিটি ধর্মই মানবিক মূল্যবোধের উন্নয়ণের কথা বলেছে। বাংলাদেশের মানুষ হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ঐতিহ্য লালন করছে। সকল ধর্মের মানুষ যেন আত্মীয়তার বন্ধনে বাধা। দেশের মানুষের রক্তের মধ্যেই আছে ধর্মনিরপেক্ষতা। অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আমাদের শেখাতে হয় না।

আজ শনিবার দুপুরে দয়াগঞ্জের জাতীয় শিব মন্দির চত্বরে স্বামী শ্রী অধোক্ষানন্দ দেবতীর্থ মহারাজের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভারত হচ্ছে আমাদের সব চেয়ে কাছের এবং বড় প্রতিবেশী। ভারতের জনগণ সবসময় আমাদের পাশে ছিল। শুধু একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল প্রয়োজনেই ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের পাশে ছিল। আমাদের সংস্কৃতি, চেহারা ও ইতিহাসে মিল আছে। বর্তমানে ভারত শুধু সামরিক শক্তি নয়, অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছে। বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের সাথে আমরাও উপকৃত হচ্ছি। ব্যবসা, চিকিৎসা এবং শিক্ষার জন্যও ভারত আমাদের কাছে দরকারি। আমাদের স্বার্থেই ভারতের সাথে সুস্পর্ক রাখা জরুরি।

জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিবেশী সকল দেশের সাথেই জাতীয় পার্টি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করে। ভারতের সাথে আমাদের যেমন সম্পর্ক রাখা দরকার, তেমনি আমাদের সাথেও ভারতের সম্পর্ক রাখা জরুরি। ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশের সাথে ভারতে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। কারণ, ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বাংলাদেশকে যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে। ভারতে ন্যায্য দাবি হচ্ছে, বাংলাদেশকে ব্যবহার করে কেউ যেন ভারতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে। পরস্পরের প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারত শক্তিশালী সম্পর্ক। তাই বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বে কেউ ফাটল ধরাতে পারবে না। এমন সম্পর্কে পরস্পর এক সাথে এগিয়ে চলা সহজ হয়। ভারতের প্রয়োজনে আমরা সহায়তা দেব, আবার আমাদের প্রয়োজনে ভারত সহায়তা করবে—এটাই দুটি দেশের মানুষের প্রত্যাশা। এ কারণেই ভারতে যে সরকারই আসে তারাই বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা পরস্পরের ভাই হিসেবে থাকব, একে অন্যের বিপদে পাশে থাকব। বাংলাদেশ ও ভারত একইসাথে সার্বিক উন্নয়ণের পথে এগিয়ে যাবে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ভারতের ত্রিপুরা বিধান সভার ডেপুটি স্পিকার শ্রী রাম প্রসাদ পাল, সত্যম রায় চৌধুরী, এসকে বাদল ও তরুন চক্রবর্তী।

অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধণা সাভা পরিচালনা করেন জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন দে। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ঢালু ও যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব।


আরও খবর



দুদকের মামলায় জামিন পেলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক: প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম। আজ মঙ্গলবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হুমায়ুন খাদেম। প্যারালাইসজনিত অসুস্থতার জন্য তাকে স্ট্রেচারে করে বাসা থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম জুয়েল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আগামী ৪ জুন পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর গুলশান এলাকার ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশ সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি আটজনের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার।

মামলার অপর আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক পরিচালক আব্দুর রহমান ভূঞা (এ আর ভুঞা), প্লট বরাদ্দ পাওয়া আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান, সহিউজ্জামানের স্ত্রী কামরুন নেছা, মো. মোশাররফ হোসেন, মো. জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিয়ার রহমান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানীর গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডে ৪৮ দশমিক ৬০ শতাংশের প্লটটির মালিক ছিল প্রিন্স করিম আগা খানের মালিকানাধীন পিপলস জুট মিল। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট আদেশে সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষিত হওয়ায় এর মালিক হয় সরকার। ১৯৯২ সালে এখানে নতুন চারটি প্লট করা হয়, যেগুলোর হোল্ডিং নম্বর ২৮, ২৮(এ), ২৮(বি) ও ২৮(সি)। প্লটগুলো অবৈধভাবে আমির হোসেন দেওয়ান, এ কে এম সহিউজ্জামান মোশাররফ হোসেন, জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে জাকারিয়া চৌধুরী ও মশিউর রহমান প্লটের দখলে রয়েছেন। অপর দুটি হাতবদল হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সরকারি পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেখানে পরবর্তীতে গুলশান মডেল টাউনের অধীনে ইমারত নির্মাণ করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সেলিনা আখতার।  ওই বছরের ১০ মে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। হুমায়ুন খাদেম ও আমির হোসেন দেওয়ান পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।


আরও খবর



১৯০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ‘মোখা’

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলের আরও কাছে চলে এসেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে এর বাতাগের গতি ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১৫ নম্বর) এ তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ১৪ মে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

মোখার কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ১২ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বাজারে আবারও বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম। প্রতি লিটার ১২ টাকা বাড়িয়ে দাম ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানাগুলোর সমিতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দাম নির্ধারণ করেছে।

এর আগে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিনের দাম ছিল ১৯০ টাকা। গত ১৭ নভেম্বরে বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১২ টাকা বৃদ্ধি করে সমিতি। তারও আগে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১৭৮ টাকা।

জানা গেছে, ভোজ্যতেলের আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের জন্য কম মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছিল গত বছরের মার্চে, গত রোববার তার সময় শেষ হয়ে গেছে। ফলে এখন বেশি ভ্যাট দিয়ে পণ্য খালাস করতে হবে এবং বাজারে ছাড়তে হবে, এ জন্যই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর দাবি করেছিলেন।


আরও খবর