মোঃ আব্দুল হান্নান
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর গ্রামের অমল ভৌমিক মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করে ফেঁসে গেলেন নিজেই।মামলার বাদী অমল ভৌমিকের বিরুদ্ধে আদালত স্ব-প্রনোদিত হয়ে এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই,মুখলেছুর রহমান কে বাদী করে অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ২১১ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
অমল ভৌমিক ১০ নং ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুল ঘর গ্রামের নেপাল ভৌমিকের ছেলে।
জানা গেছে মাছ বিক্রির বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ও কথা কাটাকাটির জের ধরে অমল ভৌমিকের সাথে একই গ্রামের খাইরুল গংদেন বিরোধ সৃষ্টি হয়। ফলে অমল ভৌমিক শিশু তারেক( ৯/১০)সবুজ(১১) সহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে ৬আগস্ট ২০২২ তারিখে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ৫২৮।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোখলেছুর রহমান অধিকতর তদন্ত করে শিশু তারেক ও সবুজ কে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। কিন্তু তারেক ও সবুজকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় অভিযোগ কারী অমল ভৌমিক আদালতে নারাজি পেশ করেন। এ নিয়ে ডি,বি,সি টেলিভিশন সহ বিভিন্ন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করে। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে।
গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে অভিযুক্ত শিশু তারেক ও টিপু আদালতে হাজিরা দিতে যায়। আদালতের কাছে নি:সন্দেহে প্রতিয়মান হয় যে মামলার বাদী অমল ভৌমিক একই এলাকার এবং শুধুমাত্র হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিশু ও নাবালকদেরকে বয়স বাড়িয়ে লিখে আসামি করেছে। অবশেষে আদালতে ভুল স্বীকার সহ তরিগড়ি করে মামলার বাদী অমল ভৌমিক মামলার আপোষ নামা জমা দিয়েও শেষ রক্ষা পায়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোখলেছুর রহমান বলেন, আদালতের আদেশ পেয়েছি দু'এক দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
জানতে চাইলে মিথ্যা মামলার বাদী অমল ভৌমিক বলেন, আমি বুঝতে পারিনি এত বড় ভুল করে ফেলব। আপোষ নামা জমা দিয়েছি। কি আর করা, ভাগ্যে যা আছে তা ই হবে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা