Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিরসরাইয়ে হাজার কোটি টাকার ‘মৎস্য জোন’ হুমকীর মুখে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৬৭জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি:‘মৎস্য জোন’ খ্যাত মিরসরাইয়ে মুহুরী প্রকল্প। কয়েক হাজার কোটিটাকার মৎস্য শিল্প এখন হুমকীর মুখে। পথে বসার উপক্রম হয়েছে হাজার হাজার মৎস্য চাষীর। এখানকার মৎস্য ঘের উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। গেল মঙ্গলবার অভিযানের পর বুধবারও (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সিডিএসপি বাঁধ ও সুপার ড্রাইক এলাকার অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। মৎস্য ঘেরের পাড় কেটে দেওয়ায় স্থানীয় মাছ চাষীদের কয়েক কোটি টাকার মাছ বঙ্গোপসাগরে চলে যায় বলে জানিয়েছে মৎস্য ঘের মালিকরা। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। মুহুরী প্রকল্প এলাকায় বছরে উৎপাদন হয় ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছ। যা চট্টগ্রাম জেলার মৎস্য খাদ্য চাহিদার ৭০ ভাগ পূরণ করে। আর এসব মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১ হাজার ১’শ ২৭ কোটি টাকা।

অন্যদিকে এসব অভিযানকে অন্যায় আখ্যা দিয়ে বেজা কর্তৃপক্ষ নিজেদের অধিগ্রহণকৃত অঞ্চল চিহ্নিত না করে অযথা বৈধ মাছের ঘের ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মৎস্য চাষীরা। প্রয়োজনে বৃহত্তর এই মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানান তারা। তবে বেজা কর্মকর্তারা বলছেন এখানে সরকারি জমির দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হয়েছে। পূর্বে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা বেজার নির্দেশনারও কর্ণপাত করেনি। তাদের অধিগ্রহণ করা জমিতে অবৈধভাবে মাছের ঘের গড়ে তোলায় তা ধ্বংস করা হচ্ছে।

মিরসরাই ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬-১৯৮৭ সাল থেকে উপজেলার মুহুরী প্রকল্প এলাকার ইছাখালী ও বাঁশখালী মৌজায় সমুদ্র তীরে জেগে ওঠা চর বন্দোবস্তি দেয় সরকার। প্রথম ধাপে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভূমিহীনদের মাঝে ১২শ একর। পরে ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে দ্বিতীয় ধাপে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৩শ একর, চিংড়ি চাষীদের মাঝে ১৩শ ৮৫ একর এবং সর্বশেষ ২০০৪-২০০৫ সালে ভূমিহীনদের মাঝে ২৫শ একর ভূমি বন্দোবস্ত দেয় সরকার। পরবর্তীতে ৫ হাজার ৩শ ৮৫ একর পরিমাণের এসব ভূমিতে সমন্বিত মাছ চাষ শুরু করে সরকারের বন্দোবস্ত গ্রহীতারা। যা বর্তমানে দেশের বৃহত্তম মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

স্থানীয় মৎস্য চাষী আজমল হোসেন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিঠা পানির মাছ চাষে আমাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। অথচ এখানে কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমাদের দাবি মুহুরী প্রজেক্ট মৎস্য ঘের এলাকাকে মৎস্য জোন ঘোষণা করে এটিকে রক্ষা করা হোক। কারণ এখানে চট্টগ্রামের মৎস্য খাদ্য চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ মাছ উৎপাদন হয়।

মৎস্য চাষী নাঈমুর রহমান ভূঁইয়া জানান, আমি ১৫ একর জায়গায় ৫ বছর পূর্ব থেকে মাছ চাষ করে আসছি। বুধবার আমার ৫ লাখ টাকার মৎস্য প্রকল্পের পাড় কেটে দিলে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ পাশের খালে চলে গেছে। আমার মতো ছোট বড় অসংখ্য মৎস্য চাষী পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

পশ্চিম ইছাখালী মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নুরুল আবছার বলেন, সরকার বারবার বলছে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে কোন পুকুর ডোবা যাতে খালি না থাকে। ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে এখানে মাছ চাষ করছি আমরা। আজকে এটি একটি মৎস্য জোনে রূপান্তর হয়েছে। আমরা মাছ চাষীরা এখান থেকে বছরে ৪৯ হাজার মেট্রিক টন মাছের যোগান দিই। আমরা বেজাকে অনুরোধ করবো যেন অন্যায়ভাবে কোন মৎস্য ঘের উচ্ছেদ না করে।

বেজার উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ও সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়াছিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর এলাকায় সরকারি জমিতে তারা অবৈধভাবে মাছের ঘের তৈরি করেছে। ঘের মালিকদের গত বছর ডিসেম্বর থেকে মাছ সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছিল। তারা বেজার নির্দেশের কর্ণপাত করেনি। মঙ্গলবার ও বুধবার আমরা বেজার আওতাধীন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা মাছের ঘের অপসারণ করছি। তবে উচ্ছেদকৃত স্থানে সরকারের বন্দোবস্তকৃত ভূমি ও মাছের ঘের রয়েছে কিনা তা জানা নেই। অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



মাগুরার কিংবদন্তী শিক্ষক কাজী ফয়জুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান,মাগুরা স্টাফ রিপোর্টার:মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাট দারিয়াপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রধান শিক্ষক, খুলনা বিভাগীয় তৎকালীন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রীপুর উপজেলার তখলপুর গ্রামের সুযোগ্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী ফয়জুর রহমান  ১৫ এপ্রিল সোমবার  দুপুর ১২-২০ মিনিটের সময় ঢাকা হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন )।

মাগুরা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষকের মৃত্যুতে মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের তার ছাত্র,ছাত্রী অনুসারী ব্যক্তিবর্গ শোকপ্রকাশ করেছেন। এবং তার  তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। মঙ্গলবার তার তখলপুর নিজ বাসভবনে সকাল সাড়ে ৮ টায় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



আ.লীগকে ৩ বিদেশি শ‌ক্তি ক্ষমতায় রেখেছে: ‌জি এম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় পা‌র্টির (জাপা) চেয়ারম‌্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের মন্তব্য করেছেন,তিন বিদেশি বড় শ‌ক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে কাজ করেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশের সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব না, তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় মতামত দিয়েছিলেন, আপনারা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নন। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।

নির্বাচনের আগের প‌রি‌স্থি‌তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।

নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন।

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়, যা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না। জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।


আরও খবর



অভিনেত্রী তামান্নাকে বেআইনি সম্প্রচারের ঘটনায় তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার নাম এসেছে অনলাইনে আইপিএলের বেআইনি সম্প্রচারের ঘটনায় । এ ঘটনায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা থেকে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৯ এপ্রিলের মধ্যে পুলিশের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, হাজিরা না দিয়ে মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার কাছে সময় চেয়েছেন তামান্না।

গত বছর ‘ফেয়ার প্লে’ নামের একটি অ্যাপে বেআইনিভাবে আইপিএল সম্প্রচারের অভিযোগ ওঠে। এর আগে ‘মহাদেব বেটিং’ অ্যাপকাণ্ড প্রকাশ্যে আসে। তদন্তে পুলিশ দাবি করেছে, দুটি অ্যাপের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।

ওই অ্যাপের প্রচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে অতীতে অভিনেতা রণবীর কাপুর, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, সংগীতশিল্পী বাদশাসহ একাধিক বলিউড তারকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুম্বাই পুলিশ।

এবার ‘ফেয়ার প্লে’ অ্যাপ সূত্রে পুলিশ ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’ খ্যাত অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। এ ঘটনার জেরে ২৩ এপ্রিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকেও পুলিশ ডেকে পাঠায়। কিন্তু সূত্রের খবর, দেশের বাইরে থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারেননি।

এদিকে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তামান্না ভাটিয়ার। তবে অভিনেত্রী সাইবার সেল টিমকে জানিয়েছেন, তিনি আপাতত মুম্বাইয়ে নেই। আবার হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করা হলে সেদিন উপস্থিত থাকতে পারবেন।

আইপিএলের সম্প্রচারের স্বত্ব রয়েছে যে কোম্পানির অধীনে, ২০২৩ সালে তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিল। অভিযোগে বলা হয়েছিল, অনলাইন বেটিং অ্যাপ ‘ফেয়ার প্লে’ বেআইনিভাবে আইপিএল ম্যাচ সম্প্রচার করছে। বেআইনি সম্প্রচারের জন্য তাদের ১০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসান হয়েছে।


আরও খবর



২৯ পরিবেশনায় রমনা বটমূলে বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল নামে। বটমূলে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। একে একে পরিবেশন করা হয় মোট ২৯টি পরিবেশনা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকালে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শচীন দেববর্মনের সুরে করা ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানটি। এরপর ছিল নববর্ষ কথন। নববর্ষ কথন শোনান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।

এবারের কথনের শেষ অংশে বলা হয়, ‘অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদযাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘আজ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতের সুরবাণী আঁধার রজনী পোহালো, জগত পূরিল পুলকে। নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফিরি এবং সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করি—এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুভ নববর্ষ।’

এবারের আয়োজনে সম্মেলক গান ১১টি, একক গান ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তিও ছিল। এ আয়োজনকে ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে ডিএমপি, র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এদিন বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে রমনায়।


আরও খবর



এলপিজি ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সতর্কবার্তা জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়,বাসাবাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রতি ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বার্তায় মন্ত্রণালয় জানায়, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বিভিন্ন স্থানে কিছু প্রান্তিক ব্যবহারকারী অগ্নিদুর্ঘটনা ও গ্যাস বিস্ফোরণের সম্মুখীন হচ্ছেন।

এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে রান্না শেষে রেগুলেটরের সুইচ অন থাকলে গ্যাস লিক হয়ে ঘরে জমা হতে পারে। এলপি গ্যাস বাতাস থেকে ভারী বলে কোনো লিক বা সংযোগের ত্রুটির কারণে নিঃসৃত গ্যাস ঘরের মেঝেতে জমা হয়। এ অবস্থায় গ্যাসপূর্ণ ঘরে আগুন জ্বালালে বা স্পার্ক করলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সিলিন্ডার আগুনে বা অন্যভাবে গরম হলে তরল এলপিজি দ্রুত গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধির ফলে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে। সিলিন্ডার কাত করে রাখলে বা চুলার উপরে রাখলে রান্নাঘরে অগ্নিকাণ্ড বা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

এমতাবস্থায়, এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণকে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে-

১. রান্না শেষে চুলা ও এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ অবশ্যই বন্ধ করুন। সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার/আগুনের পাশে রাখবেন না।

২. চুলা থেকে যথেষ্ট দূরে বায়ু চলাচল করে এমন স্থানে এলপিজি সিলিন্ডার রাখুন।

৩. এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে রাখুন, কখনই উপুড় বা কাত করে রাখবেন না।

৪. চুলা সিলিন্ডার থেকে নিচুতে রাখবেন না, কমপক্ষে ৬ ইঞ্চি উপরে রাখুন।

৫. গ্যাসের গন্ধ পেলে দ্রুত দরজা-জানালা খুলে দিন এবং এলপিজি সিলিন্ডারের রেগুলেটর বন্ধ করুন।

৬. অতিরিক্ত গ্যাস বের করার জন্য এলপিজি সিলিন্ডারে তাপ দেবেন না।

৭. রান্নাঘরে স্থাপিত আবদ্ধ কোনো ক্যাবিনেটে এলপিজি সিলিন্ডার রাখবেন না।

৮. রান্না শুরু করার ৩০ মিনিট আগে রান্নাঘরের দরজা জানালা খুলে দিন।

৯. সিলিন্ডারের ভান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেগুলেটর ব্যবহার করুন।

১০. ত্রুটিপূর্ণ ক্লিপ, হোসপাইপ পরিবর্তন করুন।


আরও খবর