Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মির্জাপুরে দুই মহিলা চোর আটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৩২জন দেখেছেন

Image

মির্জাপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি:টাংগাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরে সংঘবদ্ধ মহিলা ছিনতাইকারীর দুই সদস্যা স্বর্ণের চেইন চুরি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে। শনিবার দুপুরে মির্জাপুর জামে মসজিদ সুপার মার্কেটের নীচ তলায় ঔষধের দোকানে এক মহিলা ঔষধ কেনার সময় রুবিনা (২৩) ও তাসলিমা (৩০) ঐ মহিলার গলার স্বর্ণের চেইন ধরে টান মারে। তখন পিছনে থাকা এক লোক দেখে ফেলে দুই নারী চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। উপস্থিত জনতার চর থাপ্পরে তারা সংঘবদ্ধ নারী ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করে। উল্লেখ্য, মির্জাপুর উপজেলা সদরে বিশেষ করে কুমুদিনী হাসপাতাল, বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যাংকের সামনে এরা সুযোগ বুঝে মহিলাদের স্বর্ণালংকার চুরি করে থাকে, যা কিনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



পাবলিক প্রকিউরমেন্টে সমান সুযোগের জন্য অন্যায্য ধারাগুলি সরান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রোববার সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানের জন্য সমান খেলার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে স্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য বৈষম্যমূলক কর কাঠামো অপসারণ করা উচিত। রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিজ’ শীর্ষক সেমিনারে তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ইলেকট্রনিক সরকারি ক্রয় চালু করেছে। ই-জিপি ক্রয় প্রক্রিয়াকে ১৮০ ডিগ্রি পরিণত করেছে তিনি যোগ করেছেন যে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার পরিপ্রেক্ষিতে আরও অনেক উপায় রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। তিনি স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সভায় আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মনোনীত আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শোহেলার রহমান চৌধুরী বলেন, তারা দেশে 100% ক্রয় ব্যবস্থাকে ই-জিপি পদ্ধতিতে আনতে চান। তিনি বলেন, বিপিপিএ ক্রয় সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে ক্রমাগত সংশোধন করছে। মিঃ রহমান আরও বলেছেন যে তারা বিদ্যমান তিন-পদক্ষেপের অভিযোগের সমাধানকে এক ধাপে নামিয়ে আনবে প্রতিকার সহজতর করার জন্য।

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম ‘গভর্নেন্স অ্যান্ড কম্পিটিটিভনেস ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্র্যাকটিস: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন,বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়।সিওআই সরকারী কর্মকর্তা এবং চুক্তি বা পরামর্শ শিল্পের মধ্যে সম্ভাব্য অনানুষ্ঠানিক বা অপ্রকাশিত সম্পর্কের থেকে উদ্ভূত হয়,তিনি বলেছিলেন। মিঃ ইসলাম বলেন, সরকারী কর্মকর্তা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা সংস্থায় একই ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন এমন উদাহরণ রয়েছে। তিনি বিপিপিএকে কোনো আইন বা নিয়ম প্রণয়নের আগে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করার আহ্বান জানান।

আইবিএফবির উপদেষ্টা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আবদুল মজিদ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে আর্থিক বছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন। তিনি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্যমূলক কর কাঠামোর পরিবর্তে দেশি-বিদেশি কোম্পানির ওপর সমান কর আরোপের ওপর জোর দেন।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী সরকারকে পাবলিক আমদানিসহ সব পর্যায়ে অভিন্ন কর আরোপের আহ্বান জানান। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক হওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী কাজের পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়ায় সমতা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) উপদেষ্টা প্রকৌশলী এসএম খোরশেদ আলম পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাকে পুরস্কার দেওয়ার ধারা বাতিল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিডের পরিমাণের পরিবর্তে ক্রয়ের সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ক্ষমতা বিবেচনা করা উচিত।

ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফরমার অ্যান্ড সুইচগিয়ারের (ম্যাটিএস) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল আলম প্রকল্পের পুরস্কার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কোম্পানিগুলোর অসঙ্গতি দূর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।


আরও খবর



নবীনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটোর গণসংযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আসছে আগামী ৫ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর  উপজেলা পরিষদ নির্বাচকে সামনে রেখে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

১৯৭০ সালের জাতীয় সংসদ সদস্য কাজী আকবরউদ্দিন সিদ্দিক সাবেক এমপির, 

শ্রীরামপুর গ্রামের সুযোগ্য সন্তান  চেয়ারম্যান প্রার্থী  কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো , নবীনগর  উপজেলার

২১ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার  সাধারন ভোটারদের সঙ্গে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে বিদ্যাকুট, মেরকুটা ও কুড়িঘর বাজারে সাধারন ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগ মতবিনিময় ও দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি ।

আগামী ২০মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে, তার আগেথেকেই তিনি মাঠে গণসংযোগ ও প্রাচার-প্রচারনা চালাতে দেখা যাচ্ছে। কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো , তিনি  ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় করে দোয়া কামনা করে ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন হাট-বাজারে চায়ের দোকানে যেয়ে কুশল বিনিময় ও লিফলেট বিতরণ  করছেন। 

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো বলেন, আমি অতীতে এই নবীনগর উপজেলার মানুষের সঙ্গে সুখে-দুঃখে ছিলাম, বর্তমানে আছি, আগামীতেও থাকবো। 

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মাট বাংলাদেশ। সদর উপজেলাকে স্মাট উপজেলায় পরিনত করার লক্ষ্যে আমার চেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে। 

এছাড়াও সকলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত, খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করবো। আর নারী নির্যাতন রোধ, সন্ত্রাস মুক্ত, বেকার সমস্যা সমাধাণ, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়নসহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নমূলক কাজ করবো। আর নবীনগর উপজেলাকে একটি আধুনিক মডেল উপজেলায় রূপান্তিত করবো। এ জন্য তিনি দলীয় নেতা-কর্মীসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।

    -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:চট্টগ্রামের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল সংলগ্ন নদীতে বিধ্বস্ত হয়েছে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে দুই ক্রু বিমান থেকে লাফ দেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ২৫ মিনিটের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার সময় প্রশিক্ষণ বিমানটির দুজন পাইলট প্যারাস্যুটের সাহায্যে রক্ষা পেয়েছেন।

সদরঘাট নৌ পুলিশ জানায়, কর্ণফুলী নদীর ডাঙার চর বরাবর কর্ণফুলী নদীতে প্রশিক্ষণ বিমানটি আছড়ে পড়ে। সদরঘাট নৌ পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আকাশেই আগুন ধরে যায়। এটি বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন স্থানে পড়ে।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে বিমানবাহিনী, পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজন রয়েছেন। তারা বিমানটি উদ্ধারে কাজ করছেন।


আরও খবর



তানোরে পলিনেট হাউস প্রকল্পে অনিয়ম

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৪১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে কৃষি বিভাগের পলিনেট হাউস (গ্রীণহাউস) প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ-উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, তিন ফসলি জমি বা গভীর-অগভীর নলকুপের স্কীমের সেচ সুবিধাভুক্ত জমিতে পলিনেট হাউস প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নাই। কিন্ত্ত নীতিমালা লঙ্ঘন ও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে উপজেলার মোহনপুর গ্রামে পলিনেট হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে।জানা গেছে,পলিনেট হাউস তৈরি করা হয় নেট, পলি এবং লোহা বা বাঁশের অবকাঠামো দিয়ে।চারপাশে নেট দিয়ে ঘেরা হয়। আর ওপরের অংশে থাকে পলিথিন বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্রিপল। পলিনেট হাউস তৈরি করতে প্রয়োজন তাপমাত্রা সহনশীল বিশেষ পলিথিন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী মেশিন।

উপজেলার  পাঁচন্দর ইউনিয়নের (ইউপি) মোহনপুর গ্রামের মৌসুমি বেগমের সেমি-ডিপের স্কীমের মধ্যে তিন ফসলি জমিতে পলিনেট হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে মোহনপুর গ্রামের রইস উদ্দিন টিপুকে পলিনেট হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষক লুৎফর রহমান, আকতার হোসেন ও রফিকুল ইসলাম অভিযোগ প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও মাত্র ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার কাজ করা হয়েছে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। 

জানা গেছে, যেসব উঁচু জমিতে সেচ সুবিধা নাই বৃষ্টি নির্ভর একটি ফসল উৎপাদন অথবা পতিত পড়ে থাকে। সেই সব জমিতে পলিনেট হাউসের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের ফসল যেমন টমেটো, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, রকমেলন, রঙিন তরমুজ, রঙিন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস এসব সবজির পাশাপাশি চারা উৎপাদনের সুযোগ তৈরি করা হয়। এর ফলে সবজি চাষে যেমন বৈচিত্র্য আসবে, তেমনি অনেকেরই আয়ের নতুন উৎস হবে। পলিথিনের আচ্ছাদন থাকায় এতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ভেতরে প্রবেশে বাধা পায় এবং অতিবৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ফসল অক্ষত থাকে। অসময়ে সবজি চাষের জন্য পলিনেট হাউস দেশে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির নতুন সংযোজন। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে পলিনেট হাউস প্রকল্প দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন,এই পদ্ধতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টিপাত, তাপ, কীটপতঙ্গ ও ভাইরাসজনিত রোগের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে শাকসবজি, ফলমূলসহ কৃষি উৎপাদন সম্ভব।

আরও খবর



তানোরে কৃষি প্রণোদনায় অনিয়ম, হয়না আউশ চাষ, পেল কারা?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিগত ২০২৩ সালের ২০ মার্চ সোমবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে কৃষকেরা মৌখিক অভিযোগ করেন। এদিকে ২০২৪ সালের কৃষি প্রণোদনার তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের অভিযোগের তীর কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দিকে। তবে কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কারন উপজেলায় আউশ চাষ হয়না তাহলে কাদের দেয়া হল প্রণোদনা এমন প্রশ্ন প্রকৃত প্রান্তিক কৃষকদের। 

জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে উপশী আউশ আবাদ  বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের  মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার সার-বীজ বিতরণ করা হয়েছে।এদিকে প্রণোদনা বঞ্চিত কৃষকদের অভিযোগ তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এমনকি জমি নাই বা কখানোই আউশের আবাদ করে না। এমন কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হলেও অনেক প্রকৃত আউশ চাষি প্রণোদনা সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। অথচ কৃষি বিভাগ থেকে তালিকা প্রণোয়নে কৃষকদের যাচাই-বাছাই করার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, গত ১১মে শনিবার কৃষি প্রণোদনা বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব রাখেন সাংসদ প্রতিনিধি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। 

এদিন উপজেলার  ৭ হাজার ৬৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি পটাশ ও ৫ কেজি করে উচ্চ ফলনশীল ধানবীজ দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের কারনে অবস্থা সম্পন্ন এবং (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনা পেলেও প্রকৃত কৃষকেরা বঞ্চিত হয়েছে। আবার একই পরিবারের একাধিক সদস্য প্রণোদনার কৃষি উপকরণ পেয়েছে। কতিপয় কৃষি কর্মকর্তার মদদে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রকৃত কৃষককে বঞ্চিত করে (ভুয়া) কৃষকের তালিকা করেছেন বলে কৃষকদের মাঝে আলোচনা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন অধিকাংশ (ভুয়া) কৃষক প্রণোদনার উপকরণ পেয়ে বাজারের এক সার ব্যবসায়ীর দোকানে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হতে চলেছে। কৃষকদের অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদের দায়িত্ব  অবহেলার কারণে সরকারের দেয়া সহায়তা থেকে প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এখানে দায়িত্ব নেবার পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ডালপালা মেলেছে। এদিকে কৃষি কর্মকর্তার কাছে প্রণোদনার কৃষকের তালিকা চাইলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তালিকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে এসব কৃষকের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করলেই তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠপর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ইতিপুর্বে উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেয়াঁজ চাষের জন্য ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ টাকা প্রণোদনা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কৃষক প্রতি নগদ ২ হাজার ৮০০ টাকা করে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং কৃষক প্রতি উপকরণ ২ হাজার ৪৪৯ টাকা করে মোট ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৫০ টাকা। কিন্ত্ত সেখানেও কৃষি কর্মকর্তা নানা অনিয়ম করেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে।এসব নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল।

উপকারভোগী একাধিক কৃষকের অভিযোগ, প্রণোদনার তালিকায় কৃষক নয় এমন ব্যক্তিসহ স্বজনপ্রীতি, এবং অল্প কিছু কৃষককে নামেমাত্র প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। তারা বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনার প্রকল্পে যেখানে কৃষক প্রতি বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ২৪৯ টাকা। বরাদ্দের টাকা কৃষকদের বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিটি কৃষককে বিকাশে ২৮০০ টাকা করে পাঠানোর কথা থাকলেও তালিকার অনেক কৃষক সে টাকা পায়নি। আর তালিকায় নেই প্রকৃত কৃষক। কৃষকরা বলছেন, বরাদ্দের বাকী ২৪৪৯ টাকার মধ্যে বালাইনাশক বাবদ ২১০০ টাকা, নায়লন সুতলি বাবদ ১৫০ টাকা, অন্যান্য খরচ বাবদ ১৪৪ টাকার ভাউচার প্রদান করা হয়। প্রকৃতপক্ষে কৃষককে দেওয়া হয়, ৫০০ টাকার পলিথিন, ৮০ টাকার বালাইনাশক (৫০ গ্রাম অটোষ্টিন), ৪৫ টাকার সুতলি। প্রতিটি কৃষক পায় ৬২৫ টাকার মালামাল। বাঁকী টাকা আত্মসাৎ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা বলেও কৃষকের মাঝে আলোচনা রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কীটনাশক ব্যবসায়ী বলেন, 

কৃষি প্রযুক্তি মেলা আয়োজনের জন্য সরকারিভাবে দুলাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। কিন্তু তার পরেও প্রতিটি কীটনাশক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে আনুঃপাতিকহারে চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। অথচ তারা দায়সারা আয়োজন করে অতিথিদের নাস্তাও ছিল নিম্নমাণের যা অত্যন্ত দুঃখজনক।  এমনকি উপজেলার দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল না।
 এছাড়াও 

অফিস সময় মেনে অফিস না করা, স্টেশনে না থাকা, সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে রাজশাহী থেকে যাতায়াত, অফিসে এসি ব্যবহার ও বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনীতে নানা অনিয়ম নিয়মে পরিণত হয়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবু বাক্কার সিদ্দিক বলেন, আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, অথচ কৃষি প্রযুক্তি মেলায় আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল না, এটা শুধু আমাকে নয়, যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাদের সকলকে অবজ্ঞার সামিল ছিলো। এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। তিনি বলেন, কেউ সুবিধা না পেলেই নানা অভিযোগ করেন।

আরও খবর