Logo
আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫টি ইউনিট ব্যাংকের ৩০ এমডি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লেগুনায় লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করলো ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো পরাশক্তিকে পরোয়া করেন না: ওবায়দুল কাদের মাগুরার মহম্মদপুর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী ১০ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ গণভবনে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত শেখ হাসিনা "সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্ক" যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী আফতাবনগরের গরুর হাটের ইজারার নিয়ে যত তালবাহনা !

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে মানুষ লজ্জা পেয়েছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ আগস্ট 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ২২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার বক্তব্যে দেশের বিবেকবান মানুষ লজ্জা পেয়েছে।

আজ বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষর করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, তা দেখে দেশের বিবেকবান মানুষ লজ্জা পেয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের দেওয়া “ভারত ও পশ্চিমা বিশ্বকে দেখাতে সরকার দেশে “অগ্নি নাটক” করছে”, এই বক্তব্য দেশবাসীর সঙ্গে বিএনপির চরম উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।

তিনি বলেন, ‘আজ যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও শান্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জঙ্গিগোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে সেই উসকানিরই প্রতিফলন ঘটেছে।

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের কাছে জঙ্গি দমনের প্রচেষ্টাকে নাটক মনে হবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ বিএনপির মদতেই পরিচালিত হচ্ছে জঙ্গিবাদী সংগঠনের নেটওয়ার্ক। বিএনপির শাসনামলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছিল সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য। কুখ্যাত জঙ্গি নেতা শায়েখ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান বাংলা ভাইয়ের ভয়াবহ তাণ্ডবে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলাদেশ। তখন বিএনপি নেতারা বলেছিল, “বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি”। অথচ পরবর্তী সময়ে দিবালোকের মতো স্পষ্ট ও প্রমাণিত হয় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তৎকালীন প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি এবং জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিকাশ ঘটেছিল।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারক ও বাহক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে এবং উদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির দ্বারা আওয়ামী লীগ বারবার আক্রান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মী এই উগ্র-সাম্প্রদারিক জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় নিহত হয়েছে। আজকে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়ন ও শান্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিগোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।


আরও খবর



গলাচিপায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

রিয়াদ হোসাইন,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর গলাচিপায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি খরিপ-১/২০২৪-২৫ এর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিস হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলালের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার। 

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাসিম রেজা, গলাচিপা থানার ওসি তদন্ত মোকাম্মেল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাজী মু. মজিবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সরদার মু. শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন মাসুদ, কৃষক প্রতিনিধি কাওসার আহম্মেদ তালুকদার, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আলম, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এছাড়া সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ প্রান্তিক কৃষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

গলাচিপায় বকনা বাছুর বিতরণ

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিকসহ দেশের পথে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১১৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ । সোমবার (২৯ এপ্রিল) মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে জাহাজটি।

এর আগে ওই বন্দরে জাহাজে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ ২১ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে কয়লা খালাস করে জাহাজটি ২৭ এপ্রিল মিনা সাকার বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এরপর মিনা সাকার থেকে ৫৬ হাজার চুনাপাথর লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে জাহাজটি। মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকও আসছেন একই সঙ্গে। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাহাজ থেকে কার্গো খালাস করা হবে।

প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।

মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।

এর আগে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরেও আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের জাহাজ এমভি জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



আত্রাইয়ে ভূট্টার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৯১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। অন্যবারের তুলনায় এবারে কৃষকরা ভুট্টা চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘আমি আগাম জাতের যে ভুট্টা চাষ করেছি, তা কাটা সম্পন্ন হয়েছে। এবারে আমার ভুট্টার ফলনও ভালো হয়েছে। বাজারে এর দামও ভালো রয়েছে।’

উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের বায়ার ক্রুপসায়েন্স লিমিটেড আত্রাই উপজেলার পরিবেশক মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমি এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিšুÍ ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমি ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে।তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন,এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, ‘ভুট্টা লাগানোর শুরু থেকেই আমাদের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে চাষিদের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। এবং সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন ভালো হয়েছে এবং বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় ভুট্টা চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে।


আরও খবর



দুই উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ, একটির যাচাই বাছাই সম্পন্ন মেহেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়। প্রতীক পেয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার- প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে হাসেম আলী আনারস, ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ, আব্দুল মান্নান ঘোড়া এবং আনারুল ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসেম আলী লড়বেন চশমা প্রতীক এবং মোঃ শাহিন লড়বেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে।এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহেরপুর সদর উপজেলায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে লতিফুন্নেসার লতা পেয়েছেন বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা। সামিউন বাছিরা পলি ও রোমানা আহমেদ পেয়েছেন যথাক্রমে হাঁস ও কলস প্রতীক।

মুজিবনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে আমাম হোসেন মিলু আনারস, র‌ফিকুল ইসলাম ক‌পি পি‌রিচ, মাহবুব হোসেন মোটরসাইকেল এবং কামরুল ইসলাম চান্দু পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক। এছাড়াও পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুজিবনগর উপজেলায় রাজিব হোসেন পেয়েছেন টিউবওয়েল ও মতিয়ার রহমান পেয়েছেন চশমা প্রতীক।মুজিবনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তকলিমা খাতুন কলস ও আফরোজা খাতুন লড়বেন ফুটবল প্রতীক নিয়ে।

অপরদিকে গাংনী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে দশ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর সকলেরই মনোনয়নপত্র বৈধ বলে গণ্য হয়েছে। ‌

প্রসঙ্গতঃ আগামী ৮ মে প্রথম দফায় সদর এবং মুজিবনগর এবং দ্বিতীয় দফায় ২১ মে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে নামের মিলে জেল খাটলেন কলেজছাত্র, আসল আসামি ভারতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক মামলার আসামির সঙ্গে নিজের ও বাবার নামের মিল থাকায় বিনা দোষে একদিন জেল খাটলেন এক কলেজছাত্র। গতকাল সোমবার ভোরে এই কলেজছাত্রকে ধরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আসামি শনাক্তে ভুল হওয়ার ব্যাপারে পুলিশ বুঝতে পেরে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার(১৪মে) আদালত এই কলেজছাত্রকে মুক্তি দিয়েছেন। এই কলেজছাত্রের নাম ইসমাইল হোসেন (২১) তিনি গোদাগাড়ী পৌরসভার ফাজিলপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে।

তাঁর মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। ইসমাইল হোসেন গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক ওই আসামির নামও ইসমাইল হোসেন (২০)।তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী পৌরসভার লালবাগ হেলিপ্যাড মহল্লায়। বাবার নাম আবদুল করিম। তাঁর মায়ের নাম মোসা. বেলিয়ারা। আসামি ইসমাইল পেশায় কাঠমিস্ত্রি। মাদক মামলায় জামিন নেওয়ার পর তিনি ভারতের চেন্নাই গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন। মাদক মামলার এই আসামি এবং ওই কলেজছাত্রের দুজনের নিজের নাম এবং তাদের বাবার নামও একই। মহল্লা এবং মায়ের নাম আলাদা হলেও পুলিশ এই কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।কলেজছাত্র ইসমাইল হোসেনের ভাই আব্দুল হাকিম রুবেল জানান, গত রোববার (১২ মে) এশার নামাজের সময় গোদাগাড়ী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান তাদের বাড়ি যান। এ সময় তিনি একটি মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখিয়ে তার ভাই ইসমাইল হোসেনকে ধরে নিয়ে যান। ওই সময় তাঁরা পুলিশকে জানান, তার ভাইয়ের নামে কোনো মাদক মামলা নেই। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও নেই।

পুলিশ কোনো কথা না শুনেই ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট রাত পৌনে ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর মাদারপুর জামে মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে রাজমিস্ত্রি ইসমাইল হোসেনকে ৫০ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল। রাতেই তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী মডেল থানায় মামলা করেন ডিবির এসআই ইনামুল ইসলাম। এরপর দিন তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর এক মাস পর গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইসমাইল হোসেন জামিনে মুক্তি পান। কিছুদিন পর তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজে চেন্নাই চলে যান। তার বাবা ছয় বছর ধরেই সেখানে আছেন।

এই মামলায় কলেজছাত্র ইসমাইলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিনকে পরিবারের সদস্যরা অবহিত করলেও তিনি তাকে ছাড়েননি। তিনি তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানাকে অবগত করেন। পরে সোহেল রানা বিষয়টি ভালোভাবে খতিয়ে দেখার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে দেখতে পায়, আসামি ইসমাইলের বদলে অন্য ইসমাইলকে ধরা হয়েছে।গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন বলেন, ‘আমরা সোমবার(১৩ মে) এই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাই। দুজনের নিজের এবং বাবার নাম একই থাকার কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। পরে ভুল বুঝতে পেরে সোমবার বিকেলেই আমরা একটা প্রতিবেদন দিয়েছি। আজ আদালত এই ইসমাইলকে মুক্তি দিয়েছেন। আসল আসামি ভারতে পালিয়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।


আরও খবর