জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। ধনী-গরীব সকলের কাছে ঈদ আনন্দ উথলে পড়েছে।
শহর ঘুরে দেখা যায় শহরের শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের বিভিন্ন বিপনি বিতান, রেলওয়ে মার্কেট আধুনিক পৌর প্লাজা মার্কেট,ও রেললাইন সংলগ্ন মার্কেটের দোকানগুলোতে কেনাকাটায় মানুষের ভীড় লক্ষ করা গেছে ।
ঈদের পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় চোখে পড়ার মত। রমজানের প্রথম থেকে বাজারগুলোতে কেনাকাটা মোটামুটি শুরু হলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রেতাদের ভীড় দিগুণ। নির্বিঘ্নে ঈদের কেনাকাটা করতে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ক্রেতারা বলছেন, গতবছরের ন্যায় তুলনামূলকভাবে এবারও ঈদ পোশাক সহ সকল পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া, কিন্তু এরপরেও ঈদ পালন করতে কিনতেই হবে।
দেখা গেছে, ল্যাহেঙ্গা, বুটিকস, চোষা, আড়ং, জিপসি, দেশীয় সূতি থ্রী-পিস, ভারতীয় থ্রী পিস, নাইরাকাট, এবারের মূল আকর্ষণ।
এছাড়া বাজারে ভারতীয় সারারা-জারারা ও থ্রি-পিসের পাশাপাশি দেশীয় পোশাক মেয়েদের পছন্দের র্শীর্ষে। এবার ভাল মানের শাড়ী ফোর-প্লাই, মনিপুরী শাড়ি ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ল্যাহেঙ্গা ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা, সারারা-জারারা ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, নাইরা কাট আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, সূতি থ্রী-পিস ১ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকা, ভারতীয় জিপসি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার ৯’শ টাকা, দেশীয় বুটিকস, চোষা, আড়ং ও কাতান থ্রী পিস ১৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং ছেলেদের পাঞ্জাবী ৮শ’ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা, প্যান্ট ৮ শ’ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, ফতুয়া ৪ শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শার্ট ৮’শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, জুতা ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা ও বাচ্চাদের বিভিন্ন পোষাক ৭’শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দরে পাওয়া যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা তাদের শো-রুমে নিত্যনতুন শাড়ী ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাহারী পোষাকের সমারহ ঘটিয়েছে।
আসফাক নামের এক দোকানিরা বলছেন, হালকা বৃষ্টির পর থেকে ঠান্ডা আবহওয়ার কারণে সকাল ৯ টায় দোকান খোলার পর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ক্রেতাসাধারনের উপস্থিতি কম। বেলা ১২ টার পর ক্রেতাদের আনাগোনা বেড়ে যাচ্ছে। আবার সন্ধ্যার পর বেচাকেনা হচ্ছে দিগুণ । নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ঈদের কেনাকাটাও জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। মূল্য নাগালের বাইরে থাকলেও স্বল্প আয়ের মানুষগুলো ঈদের কেনাকাটা সারছে এ দোকানগুলোতেই।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ব্যবসায়ি সহ ক্রেতাসাধারনের নিরাপত্তার ব্যবস্হা জোড়দার রয়েছে। ক্রেতা সাধারণ যাতে করে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারে,সেজন্য সকল ব্যবস্হাই রয়েছে বলে জানান তিনি।