Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

মেট্রোরেলে কোনো হাফ ভাড়া নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: মেট্রোরেলে কোনো হাফ ভাড়া নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে মেট্রোরেল পাস নিলে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে তা যৌক্তিক বলে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত ৬০ টাকা ভাড়া। বৃহস্পতিবার থেকে সাধারণ যাত্রীরা যেতে পারবেন। মেট্টোরেলে কোনো হাফ পাস (ভাড়া) নেই। তবে মেট্রোরেল পাস নিলে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাবে।

আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর প্রথম অংশ উদ্বোধন করবেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। 

এ সময় তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এবং ২০২৫ সালে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে।

এদিকে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম এ মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ঠিক করেছে ৫ টাকা। গত ৮ সেপ্টেম্বর ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তালিকাও প্রকাশ করা হয়। তবে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা।

উত্তরা দিয়াবাড়ি (উত্তরা নর্থ স্টেশন) থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ৬০ টাকা। উত্তরা নর্থ স্টেশন থেকে উত্তরা সেন্টার ও উত্তরা সাউথ স্টেশনে যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা দিতে হবে।

সিঙ্গেল জার্নি টিকিট স্টেশনের কাউন্টার থেকে কাটা যায়, চাইলে ‘টিকিট বিক্রয় মেশিন’ থেকে নিজে নিজেও কাজটি সেরে ফেলা যায়। উত্তরা নর্থ থেকে পল্লবী ও মিরপুর-১১ স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৪০ টাকা এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া ৫০ টাকা।

আর পল্লবী থেকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের ভাড়া একই, ২০ টাকা। পল্লবী থেকে শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা।

মেট্রোরেলের দ্বিতীয় ধাপ চালু হলে মিরপুর-১০ নম্বর থেকে ফার্মগেট যেতে গুনতে হবে ৩০ টাকা; আর কারওয়ান বাজার যেতে লাগবে ৪০ টাকা। মিরপুর–১০ স্টেশন থেকে শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া ৫০ টাকা, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে যেতে লাগবে ৬০ টাকা। তবে মিরপুর-১০ থেকে কমলাপুর স্টেশনে যেতে লাগবে ৭০ টাকা ভাড়া।

তবে দীর্ঘমেয়াদি পাস নিলে ভাড়ায় ১০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএলকে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিনা ভাড়া এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য ছাড়ের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



বিশ্বকাপ একাদশে কারা থাকছেন, জানালেন পাপন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:চলতি বছর ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে প্রতিটি দল এখনই পরিকল্পনা শুরু করেছে। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। ইতোমধ্যে টাইগাররা বিশ্বকাপ সুপার লিগে নিজেদের শেষ সিরিজও খেলছে। যেখানে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেন তামিম-লিটনরা। বৃষ্টির কারণে প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।

বিশ্বকাপ সুপার লিগে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২৪ ম্যাচে ১৫ জয়ে ১৫৫ পয়েন্ট দলটির। শীর্ষে নিউজিল্যান্ড ও দ্বিতীয়স্থানে ইংল্যান্ড।

এদিকে সদ্য আইরিশ সিরিজ খেলে এখন ছুটিতে রয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশের পরের সিরিজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তার আগেই অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের একাদশের কেমন হতে পার তার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।

সংবাদমাধ্যমকে পাপন জানান, বিশ্বকাপ একাদশে তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের জায়গা পাকা। তবে ৭ নম্বর ব্যাটিং অর্ডারের বিবেচনায় রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, ‘অলরাউন্ডার চাইলে আফিফ আছে, মোসাদ্দেক আছে ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আছে। সেও বল করে দিতে পারব। রিয়াদ ভালো বল করে, আমি দেখেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটেও ও ভালো। পার্থক্যটা হচ্ছে শুধু ফিল্ডিংয়ে। ভালো ফিল্ডিং চাইলে এই তিনজনের মধ্যে আফিফ সবার উপরে। মোসাদ্দেকও রিয়াদের চেয়ে ভালো হতে পারে।

ফিল্ডিংয়ের বেলায় আফিফ-মোসাদ্দেককে এগিয়ে থাকলেও অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রিয়াদ। এ সম্পর্কে পাপন বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমরা যাদের সঙ্গে খেলছি আর বিশ্বকাপে যাদের সঙ্গে খেলব, দুটোর পরিস্থিতি কিন্তু এক না। তাই ব্যাপারটা (খেলোয়াড় বাছাই) কঠিন।

৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্টের ১৩তম সংস্করণটি আগামী অক্টোবরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যা ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৯ নভেম্বর শেষ হতে পারে।

বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অন্তত ১২টি স্টেডিয়ামের সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে। যেখানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।

মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৪৬ দিনের এই টুর্নামেন্টে। এছাড়া ভেন্যু হিসেবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামসহ ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, লক্ষ্মৌ, ইন্দোর, রাজকোট ও মুম্বাই রয়েছে সংক্ষিপ্ত তালিকায়। যদিও ফাইনাল ছাড়া আর কোনো ম্যাচের ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত হয়নি।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের যে কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনে মাথা ঘামানো উচিত নয় :রামি দেশাই

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ডেস্কঃ দেখা গেছে, আরব বিশ্ব সব সময়ই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের আলোচনার বাইরেই থেকে যায়। এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৮০টির মতো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মজার ব্যাপার, এসবের অর্ধেকের বেশি দেশে গণতান্ত্রিক শাসন নেই।

নির্বাচনের দিন যেহেতু ঘনিয়ে আসছে, শেখ হাসিনার উচিত হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করা। তবে ব্যাপকমাত্রায় হস্তক্ষেপের সম্মুখীন হয়েও শেখ হাসিনা রাখঢাক করেননি। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তারা গণতন্ত্র হরণের চেষ্টা করছে এবং এমন একটি সরকার আনতে চাইছে যাদের গণতান্ত্রিক ভিত্তি নেই। এটি করা হলে তা অগণতান্ত্রিক হবে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশের কূটনীতিকের ওপর থেকে ‘অতিরিক্ত পুলিশ’ প্রটোকল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। অনেকে আমেরিকার সাম্প্রতিক ভিসানীতিকে এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, দেশটি (আমেরিকা) হয়তো তাঁকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ অভিযোগ শুধু শেখ হাসিনারই নয়, বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার পালাবদলের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর ইতিহাস আরও জটিল।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন স্বার্থবিরোধী হওয়ার কারণে অথবা গণতন্ত্রের প্রয়োজনের কথা বলে কিংবা কর্তৃত্ববাদী সরকার থাকলে সেসব দেশের ‘সরকার পতনে’ ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার নজির রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে হাওয়াই, কিউবা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর কথা। এসব দেশের ক্ষেত্রে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা বা কলকাঠি নাড়ার মাত্রা অনেকটাই সরাসরি ছিল।

কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমেরিকা তাদের এসব কর্ম বেশ গোপনেই সারছে। পরের দুই দশকের মধ্যে ১৯৫৩ সালে ইরানে, ১৯৫৪ সালে গুয়েতেমালায় ও ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম তার উদাহরণ।

২০০০ সালে যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের পতন ও ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণে সিআইএ’র ভূমিকা অনেকটাই স্পষ্ট। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিগনিউ ব্রেজেনস্কি সে সময় জর্জ ডব্লিউ বুশকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে।

যাই হোক, আমেরিকার কোনো হস্তক্ষেপই হয়তো একক ফ্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। যদিও দৃশ্যমান পদক্ষেপগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বা গণতন্ত্রীকরণের লড়াই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রেই এর অন্তর্নিহিত কারণগুলো মূলত নিজেদের স্বার্থে। অতীতে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা তাৎপর্যময় হয়ে উঠেছিল। যেমন স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়েছিল। তখন সোভিয়েত জোটপন্থি ভারতকে মোকাবিলা করতে পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল আমেরিকা।

একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবেশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কারণ এখানে তার ভূরাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। যেমন দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত অবস্থান, এখানকার মূল্যবান সম্পদ, বাণিজ্যপথ, বাজার, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। আফগানিস্তানের মতো দেশে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের মতো দেশে মানবিক উদ্বেগ এবং চীনের মতো দেশের অর্থনৈতিক উদ্বেগ। এসব কারণেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্তের প্রতি ঝুঁকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ দুই দেশে বিশৃঙ্খলা এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে, সম্ভবত সেখানকার ভূরাজনৈতিক পতন ইরাকের পরে সবচেয়ে জটিল হিসেবে চিহ্নিত হবে।

আফগানিস্তানে ‘মার্কিনপন্থি গণতান্ত্রিক’ সরকার বসানোর কয়েক দশকের চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের জনগণকে শুধু হতাশই করেনি বরং এ অঞ্চলের সমগ্র নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। বিশ্বের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নৈতিক প্রতিশ্রুতি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, কিন্তু সেখানে তাদের একটি বড় উদ্দেশ্য ছিল যা তারা ঠিকই সাধন করেছিল।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার জনগণকে বুঝিয়েছেন, ওসামা বিন লাদেন এবং অন্য মার্কিনবিরোধী সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে আফগানিস্তানে তাদের যে মিশন, তা সফল হয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে হয়নি যে, তারা আফগানিস্তান থেকে যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তালেবান ২০০১ সালের চেয়েও অনেক বেশি শক্ত সামরিক অবস্থানে ছিল। তখন তারা দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল। আর ওইসব জায়গায় আমেরিকার সৈন্য ছিল সংখ্যায় খুবই নগণ্য।

প্রতিবেশী পাকিস্তানও বাদ পড়েনি। ইমরান খান যেমন একবার বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল পাকিস্তানকে তাদের সমস্যা দূর করার জন্য দরকারি বলে মনে করে। তারা আফগানিস্তানে নিজ সৈন্যদের রসদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহে পাকিস্তান হয়ে যাতায়াতের সুযোগ ব্যবহার করেছিল। বৈরিতার কারণে ইরান কিংবা রাশিয়াপন্থি উত্তরের দেশগুলো দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি তারা। কিন্তু পাকিস্তান প্রথম থেকেই একটি ভিন্ন গল্পের শিকার হয়েছে।

ব্যাপকভাবে সাহায্যনির্ভর পাকিস্তানে ৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এটি করেছে শুধু আফগানিস্তানে তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য। অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানে মোশাররফের স্বৈরশাসনের সময় গণতান্ত্রিক উত্তরণসংক্রান্ত কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার সাহায্য করেছিল বুশ প্রশাসন। আর এ সহায়তার বেশির ভাগই গিয়েছিল সামরিক বাহিনীতে। আর এ ঘটনা তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন সমর্থনের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেয়। অথচ তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) গণহত্যার জন্য দায়ী ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচারী শাসনকে সমর্থন করেছিল, যদিও তখন ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল দিয়েছিলেন ভিন্ন পরামর্শ।

বাস্তবতা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিকোণ থেকে এ অঞ্চলকে দেখে। তারা নৈতিকতার দোহাই দিয়ে ঢোকে আর যাওয়ার সময় নিজস্বার্থে চম্পট দেয়। আফগানিস্তান এর উজ্জ্বল উদাহরণ।

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে তার আধিপত্য নিশ্চিত করতে চাইছে। বাইডেন প্রশাসন অনেকবার গণতন্ত্রের মূল্যবোধের কথা বলে নিজেকে ‘মুক্তবিশ্বের’ নেতা বলে জাহির করেছে। কিন্তু গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য তাদের পর্যবেক্ষণ, চাপ এবং নিষেধাজ্ঞা সারা বিশ্বে সমানভাবে প্রযোজ্য বলে মনে হয় না।

বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের অভিযোগে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এসবে বোঝা যায়, বাংলাদেশে গভীরভাবে দৃষ্টি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ক্ষেত্রে ভারতকে পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপের ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকা নাজুক পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। একইভাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ওপারে তেমনটি হলে আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে।

বিশ্ববাসীর জন্য এখন আর মোড়ল রাষ্ট্রের কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত স্থানীয় জনগণকেই তাদের নিজেদের ভালোমন্দ নির্ধারণে স্থানীয় জনগণের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখা। এতদসত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র যদি ‘মুক্তবিশ্বের’ নেতার ভূমিকা পালনের জন্য জেদি হয়, তাহলে তাদের পরামর্শ দেওয়া যায় যে, তারা ওই নেতাগিরিটা আফগানিস্তান দিয়েই শুরু করুক।

লেখক : ডিস্টিংগুইশড ফেলো, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন

৫ জুন, ২০২৩ ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। এটি নিয়ে বিএনপির চিন্তার কারণ আছে। তারা নির্বাচনের আগে বা পরে নৃশংসতা চালাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতি অনুযায়ী ভোটে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এটি কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।

গতকাল বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে, বুধবার রাতে বাংলাদেশের জন্য আলাদাভাবে ভিসা নীতি ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা সম্বলিত নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতির আওতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

লাদেশের মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বচনে যারা অন্তরায় হবে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেষ্ট্রিকশান প্রদান করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।


আরও খবর



শায়েস্তাগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ আরোহীর প্রাণ গেল

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বাসচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ৬টার দিকে হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়কের সুধিয়াখলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর গ্রামের মুছা মিয়া (৬৪), বানিয়াচং উপজেলা চৌধুরীপাড়া গ্রামের জিয়াউল হক (৩৬) এবং চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের রফিক মিয়া (৩৫)।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, দুজন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা শায়েস্তাগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ যাচ্ছিল। এ সময় সুধিয়াখলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে হবিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মর্ডান পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হন।

এ সময় বাসটিও পার্শ্ববর্তী খালে পড়ে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ওসি।

নাজমুল হক কামাল আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই বাসচালক পালিয়ে গেছেন। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



তানজিন তিশা এবার মুখ খুললেন, নিবেন আইনি ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ক্লিপস প্রকাশের ইস্যু নিয়ে অবশেষে কথা বললেন তানজিন তিশা।

তিশা জানান, তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন, যার দরুণ দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি পরে জেনেছেন। বুধবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এমন কথা জানান অভিনেত্রী।

গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজের ফেসবুক থেকে অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল, নাজিফা তুষি ও তানজিন তিশার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ক্লিপস আপলোড করা হয়। যা অন্তর্জালে ভাইরাল হয় এবং সেসব নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এই ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন রাজ ও সুনেরাহ। দুজনেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এবার এ নিয়ে কথা বললেন তানজিন তিশা।

নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিশা লিখেছেন, ‘দুটি শো-তে অ্যাটেন্ড করার কারণে বেশ কিছুদিন ধরে আমি আমেরিকাতে আছি। বাংলাদেশে যখন সকাল তখন এখানে গভীর রাত। এজন্য বাংলাদেশের খবরাখবর খুব বেশি জানি না আমি৷ আমাকে জড়িয়ে যে ঘটনাটা ঘটে গেছে, সেটি পরে আমি দেখেছি, জানতে পেরেছি।

দুঃখ প্রকাশ করে অভিনেত্রী লিখেন, ‘এটা নিয়ে আমি বলতে চাই, স্যোশাল মিডিয়াতে আমার যে ভিডিও আপ করা হয়েছে সেটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত ভিডিও। ৬-৭ বছর আগে আমরা বন্ধুরা ফান করে ভিডিওটি করেছিলাম। যেহেতু এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও, তাই এটার এক্সপ্লেনেশন দেয়ার কিছু আছে বলে মনে করিনা। প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব জীবন আছে, পার্সোনালিটি আছে, ব্যক্তিগত ব্যাপার আছে যেটাকে জাজ করার অধিকার অন্য কাউকে আমি দিতেও চাইনা। তাই আমার দর্শক ও অনুরাগীদের উদ্দেশ্য এতটুকুই বলব ৬-৭ বছর আগের সামান্য একটা ক্লিপ দিয়ে ব্যক্তি তানজিন তিশাকে জাজ করে ফেলবেন না, প্লিজ। আপনাদের ভালবাসা আর দোয়ায় আমি আজ এই পর্যন্ত এসেছি। আমার অভিনয় আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখবেন, আমি আমার অভিনয় দিয়েই আপনাদের কাছে বেঁচে থাকতে চাই সবসময়, প্রিয় হয়ে থাকতে চাই। যদিও আমি বলেছি আমার এই ঘটনা নিয়ে কাউকে এক্সপ্লেনেশন দিতে চাই না তবে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী আর দর্শকদের যদি এই ঘটনা বিব্রত করে, কষ্ট দেয় আমি মন থেকেই দু:খ প্রকাশ করছি।

তিনি আরও লিখেন, ‘এই ভিডিওটি নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, অনলাইন নিউজে, ফেসুবকে গ্রুপে, কমেন্টে বলা হচ্ছে/লেখা হচ্ছে ‘‘শরীফুল রাজের সঙ্গে তিশার আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও ফাঁস’’। যথাযথ সম্মান নিয়েই আপনাদের বলছি, এই ভিডিওর মধ্যে শরীফুল রাজ কোথা থেকে এলো? কী গোপনীয়তা এখানে? তার ফেসবুক আইডি থেকে এটি প্রকাশ পেয়েছে বলেই কেন ভাবছেন সেখানে আমি তার সাথে আছি৷ ভিডিওতে আমি একা এবং সেটা কোন আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও না, বরং সেটা আমার ব্যক্তিগত মুহূর্তের। সুতরাং ‘‘আপত্তিকর বা গোপন ভিডিও ফাঁস’’ শব্দগুলো কারেকশন করা উচিত। এটা বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক।

অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানিয়ে তিশা আরও লিখেন, ‘একজন মানুষের প্রাইভেসি, হেম্পার করা, হ্যারেজমেন্ট করা বা পারসোনাল ভিডিও অনুমতি ছাড়া পাবলিকলি প্রকাশ করা, এটা বিগ ক্রাইম। সো যার আইডি বা যিনি এটি আপ করেছেন বাংলাদেশে ফিরে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিচ্ছি। তবে ইতিমধ্যেই অনেকই ধারণা করতে পারছেন, অনেকের মুখে মুখেও এটি শোনা যাচ্ছে কে বা কারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আমি এখানে কারোর নাম উল্লেখ করতে চাই না, আমি দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে পদক্ষেপ নেব। সেই আইনই বলে দেবে কে বা কারা এই ব্যক্তিগত ভিডিও ছড়িয়ে দিয়ে আমার সম্মান নষ্ট করেছে, কে বা কারা এই ভয়ংকর অপরাধে জড়িত।

শরীফুল রাজের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী লিখেন, ‘রাজের আইডি থেকে ভিডিওগুলো আপ করা হয়েছে এবং রাজ তার ব্যক্তিগত আইডি থেকে দু:খ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। শুধু দু:খ প্রকাশেই কেন ঘটনা শেষ করতে চাইছ রাজ? এই যে তোমাকে জড়িয়ে কয়েকটা মেয়ের সম্মান নষ্ট হলো, তাদের ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলল সবাই, পরিবারের সামনে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে, এত সিলি সিলি ক্যাপশন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভিডিও গুলোকেও আপত্তিকর বানানো হলো, এই দায়ভার কী তোমার না? কারণ তুমিই তো বলেছ তোমার আইডি হ্যাক করা হয়েছে। তোমার দায়িত্বশীলতার জায়গায় তুমি কী করছ? কেন আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছ না? কেন এর পিছনের মূল হোতাকে খুঁজে বের করছ না?

সবশেষে তিনি জানান, যদিও দেশে এসেই আমি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব, তবুও রাজ আমি তোমার কাছ থেকে এতটুকু দায়িত্বশীল মনোভাব আশা করেছিলাম সত্যি। আসলে তানজিনা তিশা তার কাজ দিয়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে এবং কাজ নিয়েই এই পৃথিবীতে যতদিন বেঁচে আছে দর্শকের মনে কাজ নিয়েই থেকে যেতে চায়। তাই দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের তানজিন তিশা কে কাজের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখুন।


আরও খবর