নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৬ সালে ঢাকায় হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান মেট্রোরেলের সাত জাপানি পরামর্শক। তাদের শ্রদ্ধা জানাতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশনে তাদের নামফলক রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
মেট্রোরেলের সমীক্ষার পাশাপাশি ঢাকার যানজট ব্যবস্থাপনা নিয়েও গবেষণা করছিলেন জাপানি প্রকৌশলীরা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান তানাকা হিরোশি, ওগাসাওয়ারা, শাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই ও হাশিমাতো হিদেইকোর।
নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে গতকাল বুধবারের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সমবেদনা জানাই সবার পরিবারকে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই জাপানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী (শিনজো আবে), যিনিও ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শাহাদাতবরণ করেছেন মাত্র কিছুদিন আগে। কারণ এই কাজ তিনি বন্ধ করে দেননি। কিছু দিনের জন্য থেমে ছিল। কিন্তু তার নির্দেশে আবার মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের মেট্রোরেলের কয়েকটি স্টেশনে, তাদের নামফলক আমরা রাখব। তাদের নামফলক উত্তরা দিয়াবাড়ীর মেট্রোরেল প্রদর্শনী ও তথ্যকেন্দ্রে স্মৃতিস্মারক আমরা স্থাপন করেছি। তাদের নামটি যেন স্মরণ থাকে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে বুধবার সকালে দেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন ৬-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত যাবে। তবে প্রথম ভাগে চলবে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। আগামী বছরের ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে চলবে পুরো পথে।