Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

মেসির গোলে পিএসজির জয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক; পিছিয়ে পড়েও আশরাফ হাকিমি ও লিওনেল মেসির গোলে জয় তুলে নিল পিএসজি। তুলুজকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।এ জয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের।

এ ম্যাচে চোটের কারণে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস, দুই ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে ও নেইমার ছিলেন না।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে গোল হজম করে বসে স্বাগতিক পিএসজি। তুলুজের মিডফিল্ডার ফন বুমেনের ফ্রি-কিকে বল রক্ষণ দেয়ালে একজনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

তবে ৩৮তম মিনিটে সমতায় ফেরে পিএসজি। বক্সের বাইরে জায়গা বানিয়ে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন মরক্কোর ডিফেন্ডার হাকিমি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় পিএসজি। হাকিমির পাসে বল বক্সের বাইরে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি।

লিগে ২২ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই। তাদের সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে লঁস। ২২ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বাদশ স্থানে আছে তুলুজ।


আরও খবর



দুঃখপ্রকাশ মাহির, পুলিশের বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৭০জন দেখেছেন

Image

গাজীপুর প্রতিনিধি: চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেছেন, ‘আমি লাইভে পুলিশের বিরুদ্ধে বলে ভুল করেছি। একজন পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই আমার লাইভে বলাতে পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি যে দেড় কোটি টাকার কথা বলেছি, সেটা অবশ্যই তদন্ত হবে। আমি ন্যায় বিচারের জন্য সবার কাছে যাব। আমি অন্যায় করে থাকলে শাস্তি মাথা পেতে নিব।

আজ শনিবার রাতে জামিনে কারামুক্ত হয়ে গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় তাদের ‘ফারিশতা রেস্টুরেন্ট’র সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন মাহিয়া মাহি। এসময় তার এক মামা ও আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।

মাহি বলেন, ‘আমাকে যখন প্লেন থেকে নিয়ে আসল ইমিগ্রেশন পুলিশ আমার সাথে কাউকে কথা বলতে দিল না, আমার মামাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমি যখন রাস্তা দিয়ে আসছি, গাজীপুরের পুলিশ তারা ওয়্যারলেসে কথা পর্যন্ত বলছিল না। কারণ ওয়্যারলেসে কথা বললে যদি অন্যরা আমার লোকেশন পেয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমি কী এতো বড় আসামি হয়ে গেছি? আমি তো এত বড় আসামি না। আমি লাইভে একজনের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, সে ডিজিটাল আইনে মামলা করেছে, আমি সেটার আসামি। কিন্তু আমি তো কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী না। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি মাত্র।আমি সবকিছু নিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। আমি মাহিয়া মাহি একটা পরিচিত মুখ হওয়ার পরও আমার সাথে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বার বার বলছিলাম প্রচণ্ড গরম লাগছে, আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, আমি ঠাণ্ডা পানি চাচ্ছিলাম, পুলিশ আমাকে এক ঘণ্টা পরে পানি দিয়েছে। এতো কিসের গোপনীয়তা? আমি তো এরকম কোনো আসামি না।

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি মাহি হয়েও আজকে আমার সাথে যা হয়েছে, আমি ৯ মাসের প্রেগনেন্ট হওয়ার পর আমি যে মানবিকতা পাইনি, আমার স্বামীর বিরুদ্ধেও এ মামলা আছে। আমি আমার স্বামীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমাকে যখন কোর্টে নেওয়া হয়েছে। কোর্টে নেওয়ার পরে জাজ তো আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে, তার কিছুই করেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আপনি যখন সর্বোচ্চ অসহায় থাকবেন, আপনার জায়গা জমি নিয়ে একজন চলে যাচ্ছে। আপনি এটা নিয়ে বহুদিন ধরে লড়াই করতেছেন, যখন আপনি এটার কোনো ন্যায় বিচার পাবেন না। তখন আপনি কী করবেন? আপনি কাকে বিচার দিবেন, আমি বিচার পাই নাই। আমি একমাস ধরে ঘুরতেছি। একমাস ধরে সব জায়গায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি অভিযোগ করার পর সে (পুলিশ) আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে। সে বেপরোয়া হয়ে ৯ মাসের প্রেগনেন্ট একটা মহিলাকে সেই এয়ারপোর্ট থেকে মনে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধী ধরে নিয়ে আসছে। একটা ঠাণ্ডা পানি দেওয়ার জন্য এক ঘণ্টা লাগছে এবং আমি শ্বাসকষ্টের রোগী বলছি। আমার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তারা এটার কোনো তোয়াক্কা করে নাই। আমাকে সেইভাবে ট্রিট করা হয়েছে। তাহলে বুঝেন এই লোকটা (পুলিশ কমিশনার) কতটুকু বেপরোয়া হয়ে গেছেন। এর বিরুদ্ধে আমি কী করবো? যখন দেখতেছি আমার জায়গা নিয়ে চলে যাচ্ছে একজন লোক, তখন আমি দেশে নাই, দেশে থাকলে আমি সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারতাম, সামনে গিয়ে আমি ফাইট করতে পারতাম। তখন হয়তো ফাইট-মাইট করে মামলা হতো। সেটা তো করার সুযোগ নাই। তখন আমি কী করবো, লাইভে না যেয়ে আমি কী করবো। আমি লাইভে যাওয়ার আগে বারবার কমিশনারকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি আমার কোন কথা আমলে নেননি।

পুলিশ জমি দখলের কথা বলে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে দেড় কোটি টাকার ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আপনি আসলে আপনি নিজে উপলদ্ধি করবেন আপনি নিজে জানবেন। কিন্তু এসব বিষয়ে অনেক সময় আলামত থাকে না। আমি সামান্য জিডি করতে পারি নাই। জিডি করতে যখন গেছি তখন আমাকে থানা থেকে বলা হয়েছে ডিসি’র কাছে পারমিশন নিতে হবে। আমি যদি জিডি করতে না পারি, আপনি গিয়ে কিভাবে তা পারবেন একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে।

মাহি বলেন, ‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহেবের সঙ্গে কথা বলবো, তার কাছে আমার আইজীবীরা যাবেন, কথা বলবেন। তারাই ওই টাকার সত্যতা বের করবেন। আমি লাইভে টাকা নেওয়ার কথা বলে ভুল করেছি। যেহেতু পুলিশ কমিশনার আমাদের পুলিশ প্রশাসনকে রিপ্রেজেন্ট করে। আমার লাইভে তার টাকা নেওয়ার কথা বলাটা পুরো বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছে হয়তো। আমি সেটার জন্য দুঃখিত, আমি অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমি যে কথাটা বলেছি, দেড় কোটি টাকার কথাটা বলেছি, সেটা নিয়েও তদন্ত হোক, নিশ্চয়ই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি হচ্ছেন ন্যায় বিচারের পক্ষে, সে যেই হোকনা কেন, কমিশনার হোক, আর যেই হোক না কেন। আমি যদি অন্যায় করে থাকি আমাকে শাস্তি দিবে, আমি সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব। আমি যেটা বলেছি, লাইভে গিয়ে ওইসব কথা বলে ভুল করেছি। আমি সেটার জন্য দেশবাসীর কাছে সরি।


আরও খবর



টানা দুইদিন কমে বাড়ল স্বর্ণের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা দুইদিন দাম কমানোর পর দেশের বাজারে আবার বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে। 

এর আগে ভালো মানের স্বর্ণ প্রতি ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা ক‌মি‌য়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। সেই হিসেবে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম হ‌য়ে‌ছিল ৯৬ হাজার ৪৬১ টাকা। গতকাল বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজ বৃহস্পতিবার থেকে এ নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, গত মঙ্গলবার ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাজুস। অর্থাৎ দুই দিনে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা কমানো হয়। তবে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

বাসস: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক এই ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। ১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয়। তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর ছাত্র-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

মাত্র ১৮ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রীত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজও আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত। আমি বলে দিতে চাই- আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোন কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দুটি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এবং সেদিনের সেই সভায় উপস্থিত তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তাঁর চশমাটা সেদিন ডায়াসের উপর রেখে ১৮ মিনিটের যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার পুরোটাই অলিখিত। একদিকে তিনি পাকিস্তানিদের প্রতি চার দফা শর্ত আরোপ করলেন, অন্যদিকে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন। ভাতে মারার কথা বললেন, পানিতে মারার কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘সাতই মার্চের আগে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গিয়েছিলাম। একজন তাঁকে বললেন, জনগণ কিন্তু সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা ছাড়া মানবে না। বঙ্গবন্ধু তাঁকে বললেন, তুমি তোমার কাজ কর। আমি তাঁদের নেতা, আমি তাঁদের পরিচালিত করবো, তাঁরা আমাকে নয়।’

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরে ইতিহাসের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের পর গোটা বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিবর্তে বাঙালিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পাকিস্তান শব্দ মুছে বাংলাদেশ লেখে। এ ভাষণের পর গোটা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় চলতে থাকে। এ ভাষণ গুটি কয়েক রাজাকার ছাড়া গোটা বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাঙালি জাতিকে মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান নয়; এটি ছিল জাতির মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার দিক-নির্দেশনা।


আরও খবর



১৯৫ টাকা দরে ব্রয়লার বিক্রি করবে চার কোম্পানি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: খামার পর্যায়ে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোল্ট্রিখাতের অন্যতম শীর্ষ চার কোম্পানি। আগামীকাল শুক্রবার থেকে এ দরে ব্রয়লার বিক্রি করবে কাজী ফার্মস, প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, আফতাব বহুমুখী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় চার কোম্পানিকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর কোম্পানিগুলো খামার পর্যায়ে নির্ধারিত এ দামে মুরগি বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দেন।

খামার পর্যায়ে চার কোম্পানি ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করলেও ভোক্তা পর্যায়ে তার দাম কত হবে সেটা নির্ধারণ হয়নি। তবে এর ফলে বাজারে ব্রয়লারের দাম কমে আসবে বলে আশা করছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘রোজায় বাজারে ব্রয়লার মুরগির দামে একটা প্রভাব পড়বে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম কমবে ৩০-৪০ টাকা।

ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কম্পানিগুলো আজ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা আজ বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০-৪০ টাকা কমবে।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আহ্বান করেছি, আপনারা এই রমজান মাসে একটু কম লাভ করেন। তারা একমত হয়েছেন। ফার্ম থেকে ব্রয়লার আসছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা রেটে। সে ক্ষেত্রে তো খোলাবাজারে ২৫০ টাকা হবেই।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমাতে প্রয়োজনে বর্ডার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।


আরও খবর



রোজা রেখেও মাপা যাবে রক্তের সুগার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মার্চ ২০২৩ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডায়াবেটিস রোগীরা রোজা রেখেও রক্তের সুগার পরিমাপ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে বিষয়টি চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে প্রমাণিত এবং মুসলিম ধর্ম অনুসারে সেটা স্বীকৃতিও বলে জানিয়েছেন এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা (হরমোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক)।  

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শহীদ মিলন মিলনায়তনে ‘রমজানে ডায়বেটিস ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের সার্বিক সহযোগিতায় ঢামেকেরর এন্ডোক্রাইন বিভাগ ও শিক্ষক সমিতির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত চিকিৎসকদের নির্দেশনামূলক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, এ বিষয়ে দেশের কেন্দ্রীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব ও মিশরের কায়রোতে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসলামী চিন্তাবিদদের মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারা এর স্বপক্ষে ধর্মীয় যুক্তিগুলো উপস্থাপনের মাধ্যমে বলেছেন রক্তে সুগারের পরিমাণ পরিমাপ করা যাবে। এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় বাধা নেই। কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢামেকের এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা

ডিএমসি’র এন্ডোক্রাইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ প্রসাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢামেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো শফিকুল আলম চৌধুরী, ঢামেকের এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম সাইফউদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদারসহ প্রায় সাতশত শিক্ষক, নার্স ও চিকিৎসক।

এ সময় বক্তারা বলেন, রোজা রাখতে ডায়বেটিস রোগীদের কোনো বাধা নেই। রোজা রাখার কারণে যে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা হয় কিংবা যে ফাস্টিং হয় তাতে ডায়াবেটিস রোগীদের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বিধায় এ ক্ষেত্রে নিয়মিত ডায়াবেটিস পরিমাপ করার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

গর্ভবতীদের জন্য রমজানের নির্দেশনামূলক তথ্য জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, রোজা রেখে গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় না খেয়ে থাকার কারণে ফিটাসের বা গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি হয়। এক্ষেত্রে রোজা না রাখার পরামর্শ থাকলেও নিয়মিত চিকিৎসকদের পরামর্শের মাধ্যমে এবং শারীরিক কোন সমস্যা না থাকলে রোজা রাখতে কোন সমস্যা নেই বলে জানান তারা। এক্ষেত্রে আধুনিক ইনসুলিন ব্যবহারের মাধ্যমে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন তারা।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, দেশের ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ডিএমসির এন্ডোক্রাইনোলজিস্টরা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে দেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত হারে বেড়ে চলছে বলে চিকিৎসাসেবা সম্পূর্ণরূপে প্রদান করতে এ চিকিৎসকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জানে না যে তাদের ডায়াবেটিস রয়েছে। তথ্যমতে, এদেশে প্রায় দেড় কোটি বা প্রতি ১৫ জনে ১ জন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই এসময় নিশ্চিত চিকিৎসার সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এন্ডোক্রাইন বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া দেশের কেন্দ্রীয় এই হাসপাতালটির মেডিসিন ও শিশু বিভাগসহ সব বিভাগই বর্তমানে বিশেষ নজর দিয়ে ডায়বেটিস রোগের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কেননা এখন সব বয়সের ডায়বেটিস রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং রোগটি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলছে।


আরও খবর