Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল হয়ে ভুটানের রাজা এখন নিজ দেশের পথে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রশংসায় ডোনাল্ড লু ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার সব ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: ওবায়দুল কাদের কাতারের আমির দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারের সহায়তা নওগাঁ সীমান্তে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি সরকার ২৩ নাবিককে উদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ এপ্রিলের ট্রেনের টিকেট দশ মিনিটেই শেষ

মেসির আগমনের ঘোষণায় টিকিটের দাম বাড়ল ১০৩৪ শতাংশ!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ২৩২জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে! এর একটিই কারণ, মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিচ্ছেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের আগমনে টিকিটের দামও ১ হাজার শতাংশের বেশি বেড়ে গেছে!

অনলাইন মার্কেটপ্লেস ‘টিকপিক’ জানাচ্ছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত বাজারে সেই টিকিটের দাম ছিল ২৯ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩১৩৩ টাকা। বুধবার মেসির এক ঘোষণায় টিকিটের দাম হয়েছে ৩২৯ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫,৫৪৪ টাকা। ম্যাচের টিকিটের দাম বেড়েছে ১০৩৪ শতাংশ! এর দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়।

মেসির আগামী ২১ জুলাই নতুন ক্লাবের হয়ে অভিষেক হতে পারে। ইন্টার মায়ামি সেদিনই লিগ কাপের প্রথম ম্যাচ খেলবে।

রয়টার্সকে টিকপিক-এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার কাইল জর্ন বলেন, ‘ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসির ম্যাচে মেজর লিগ সকারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘মেসি এই ক্লাবে যোগ দিতে যাচ্ছেন, এই কথাটি শোনার পর তাৎক্ষণিকভাবেই ইন্টার মায়ামির টিকিটের দাম তরতর করে বাড়তে দেখি আমরা। তর্কযুক্তভাবে বিশ্বের সেরা ফুটবলার তিনি। ইন্টার মায়ামির হয়ে তিনি যতবার সফরে খেলতে যাবেন, ততবারই টিকিট বিক্রির রেকর্ড দেখতে পারব আমরা।


আরও খবর



প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে খসরু চৌধুরী, একমাসেই দেখিয়েছেন সফলতা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৯১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করেছে ২০২৪ সালের ৩০ জানুয়ারি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ একমাস পূর্ণ হয়েছে এই সরকারের। এই ১ মাসে নিজের কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকাবাসীর নজর কেড়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী এমপি।

নির্বাচনের আগে খসরু চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে সর্বাধিক অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক স্বল্পতম সময়ের মধ্যে টেকসই পরিবর্তন নিশ্চিত করা। এ কাজে তিনি সফল হয়েছেন।

এমপি নির্বাচিত হয়েই খসরু চৌধুরী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে সমন্বয় করে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছেন। গত এক মাসে ঢাকা-১৮ আসনে তিনি নতুন করে প্রায় ২০টি রাস্তার উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। বর্তমান এ আসনের ৭০টিরও অধিক রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার জন্য ৩টি রাস্তা পাস করিয়েছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলে নতুন নতুন আরও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করার চেষ্টা করছেন।

বিগত দিনে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সংকট ছিলে চরমে। খসরু চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে গ্যাস পাইপ লাইন সংস্কারের মাধ্যমে গ্যাস সমস্যার সমাধান করেছেন।

ঢাকা-১৮ আসনকে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে কাজ করছেন তিনি। ইতোমধ্যে তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্নস্পটকে চাঁদামুক্ত করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যানবাহন থেকে অবৈধ উপায়ে কোন ধরনের চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। যারা এসব অবৈধ কাজে জড়িত থাকবে, দল-মত-নির্বিশেষে তাদের সকলের বিরুদ্ধেই জিরো টলারেন্স দেখিয়ে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
 
২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অবহেলিত ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ চেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে মোঃ. খসরু চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৮ আসন বিগত বছর গুলোতে ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তাই আমি ঢাকা-১৮ আসনের রাস্তাগুলোর দ্রুত উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ চাই। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়ার প্রত্যয়ে খসরু চৌধুরী এমপি বলেন, ঢাকা-১৮ আসনে সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের দমনে এবং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।ঢাকা-১৮ আসনের নাগরিকদের কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার বিষয়ে খসরু চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২টি ওয়ার্ড ছাড়া (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড) বাকি যে ১২টি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়েছে সেখানের নাগরিকরা নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। এখানের রাস্তা গুলোতে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নেই। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নেই। নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা নেই। খেলার মাঠ নেই। নাগরিক সুবিধা না থাকায় এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করার মতো পরিবেশ এখনও তৈরি হয়নি। এখানে নাগরিক সেবা একদম নেই বললেই চলে। তাই আমি আমার এলাকায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধার্যকৃত সকল কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করতে অনুরোধ করছি।

মো. খসরু চৌধুরী এমপির এক মাসের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে গিয়ে বৃহত্তর উত্তরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরখান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মিলন বলেন, বিগত বছর গুলোতে ঢাকা-১৮ আসন ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। তবে খসরু চৌধুরী ঢাকা-১৮ আসনের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আশাকরি তিনি সফল হবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন পিন্টু বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগে খসরু চৌধুরী যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি তা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন। তিনি ৫ বছর তথা ৬০ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। মাত্র ১ মাস অতিবাহিত হয়েছে সামনে রয়েছে ৫৯ মাস। তিনি আগে এমপি না হয়েও মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এখন এমপি হয়ে দিনের পুরোটা সময়ই মানুষের জন্য কাজ করছেন। তিনি যে ইশতেহার দিয়েছেন তা শতভাগ বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।


আরও খবর



সৈয়দপুরে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্হাপনা উচ্চেদের পর আবার দখল

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় গত ৪ মার্চ । মাত্র ৪/৫ দিনের ব্যবধানে  সেগুলো আবার দখলে নিয়েছে দখলদাররা । উচ্ছেদ অভিযানের নামে এভাবেই চলছে ভাঙা-গড়ার খেলা। মাঝে মধ্যে অর্থ সংকট দেখা দিলে পকেট ভারী করতেই রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্হাপন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় বলে অভিযোগ  রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। 

অভিযোগে বলা হয় ৩ মার্চ রোববার রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১ নং রেলক্রসিং হতে ২ নং রেলক্রসিং  পর্যন্ত রেল লাইনের দু’ধারে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শক্তাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা নেতৃত্বে রেলওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে। কিন্তু এ অভিযানের  পর মাত্র ৫/৬ দিন উচ্ছেদ করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরনো চিত্রে রূপ নেয়। 

সরেজমিনে দেখা গেছে,  উচ্ছেদের মাত্র ৫/৬ দিন যেতে না যেতেই ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ জায়গায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ফের ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। রেললাইনের দুইপাশ আগের সেই অবস্থাতেই ফিরে গেছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে চলছে একাধিক ট্রেন। ক্ষমতাসীন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী, রেলওয়ে আসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রেল  পুলিশের  কারণেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।দুই নং রেলক্রসিং এলাকা থেকে  ফলের দোকান ও শীতবস্ত্রের দোকানসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। 

কিন্তু রেল কর্মকর্তা  সুলতান মৃধা চলে যাওয়ার পরপরই আবার ওই স্থান দখল হওয়া শুরু হয়ে যায়।  নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘এখানকার কয়েকজন নেতা, রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রেলওয়ে থানা পুলিশকে নিয়মিত টাকা দিতে হয়।’কারন আমরা গরীব মানুষ। দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার সামর্থ নেই আমার। একারনে তাদের মাসিক কিছু দিয়ে রেললাইন সংলগ্ন ব্যবসা করেছি। কয়েক দিন আগে এই এলাকার ব্যবসায়িদের কাছে বেশি টাকা দাবী করেন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কয়েকজন রেল পুলিশ। তাদের দাবী কৃত অর্থ দিতে না পারায় আমাদের দোকানপাট গুড়িয়ে দেয়া হয়। 

রেলওয়ে শ্রমিক লীগের এক নেতা বলেন, সারা সৈয়দপুরে রয়েছে রেলওয়ের প্রায় সারে ৮ শ একর সম্পত্তি। এরমধ্যে গরীবের চেয়ে বড়লোকরাই বেশি রেলওয়ের জমি অবৈধ ভাবে দখল করে ঘরবাড়ি ও মার্কেট নির্মাণ করে আছেন। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেন না। কারন অর্থ বানিজ্য। গরীবরা তাদের দাবীকৃত অর্থ দিতে পারে না বলেই বার বার উচ্ছেদ করা হয়। তাছাড়া সামনে রমজান ও পবিত্র ঈদে টাকার দরকার আছে বলেই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি। রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানা শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, রেলপথ বিভাগের মনোভাবের কারণে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ স্হাপনা গড়ে তুলেছেন অনেকেই এবং ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।

সৈয়দপুরের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মো. সুলতান মৃধা বলেন অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপর মহলের নির্দেশ পেলে আগামীতে রেললাইন সংলগ্ন অবৈধ ভাবে কোন দোকান পাটই নির্মান করতে দেয়া হবে না বলে জানান তিনি। 

আরও খবর



তানোরে একদিকে বোরো ধান পরিচর্যা অপর দিকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:উত্তর বঙ্গের কৃষি ভান্ডার বলা হয় রাজশাহীর তানোর উপজেলাকে। ধান আলুসহ নানা ধরনের সবজি চাষ হয় উপজেলার আনাচে কানাচে। ইতিপূর্বেই বিল কুমারী বিলের জমিতে বোরো ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমিকরা। তবে পরিচর্যায় আদিবাসী শ্রমিক ছাড়া মিলছে না। কারন জমি পরিচর্যার কাজে শ্রমিকের মূল্য কিছুটা কম। অপর দিকে আলু উত্তোলনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক, কৃষাণী ও শ্রমিকরা। একসাথে সব ধরনের কৃষি কাজ হওয়ার কারনে কদর বেড়েছে শ্রমিকের,সেই সাথে দেখা দিয়েছে সংকটও।

গুবিরপাড়া গ্রামের নিচে বিলের বোরো জমিতে আগাছা পরিচর্যা করছিলেন কয়েকজন আদিবাসী পুরুষ মহিলা শ্রমিক রা। তাদের মধ্যে শ্যামলী ও আসমাউল জানান, আমরা চুক্তি ভাগে আগাছা পরিস্কার করে করে থাকে। চার থেকে পাঁচজন শ্রমিক মিলে দিনে একবিঘা জমিতে কাজ করতে পারি। আগাছা কম হলে ১ হাজার টাকা আর বেশি হলে ১ হাজার ৪০০ টাকা করে নিয়ে থাকি। তবে বর্তমান বাজারের তুলনায় মূল্য অনেকটাই কম। আর আমরা কৃষি কাজ ছাড়া অন্য কোন কাজও করতে পারিনা।

কৃষকরা জানান, ধান রোপন থেকে শুরু করে উত্তোলন এবং মাড়ায় পর্যন্ত আদিবাসি শ্রমিকরাই সবকিছু করে থাকেন। বিশেষ করে আগাছা পরিস্কারের জন্য অন্য শ্রমিক পাওয়ায় যায়না। তারাই আদিকাল থেকে এধরণের কৃষি কাজ করে থাকেন। যদিও বিলের জমিতে সার কীটনাশকের প্রয়োজন কম হয়। কিন্তু যতটুকু প্রয়োজন বাড়তি দামের কারনে খরচ বেড়েছে অনেক। আবার সেচ হারও বেশি।

মেয়র ইমরুল জানান, এবারে ২২ বিঘা জমিতে বোরো রোপন করেছি। এখন আগাছা পরিস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিক দের কদর বেড়েছে প্রচুর। সকালে জমিতে যাচ্ছে ১২ টার সময় কাজ শেষ করছে। শ্রমিক প্রতি সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। চান্দুড়িয়া ইউপির গাগরন্দ এলাকার কৃষক মুসলেম জানান, ১০ বিঘা জমিতে বোরো রোপন করেছি এবং আলুর বীজ বিঘায় ৪৭ বস্তা করে হয়েছে। 

পৌর সদর এলাকার কৃষক বাক্কার জানান, গত বছরের তুলনায় এবার আলুতে ফলন কম হচ্ছে। 
সরেজমিনে দেখা যায়, বিলকুমারী বিল বা শীবনদী এখন সবুজ অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। বলার উপায় নেই এই বিলে বন্যার পানিতে বোরো ধান থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি ঢুবে যায়। বিলের মুল অংশ গুবিরপাড়া ও তালন্দ এলাকার সামনের অংশটা। বিলে সামান্য পরিমান জায়গায় পানি রয়েছে। সেই সামান্য পানিতেই প্রতিদিন লাখলাখ টাকার কাট মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ পাওয়া যায়। চান্দুড়িয়া চৌকির ঘাট থেকে কামারগাঁ ইউপির মালশিরা পর্যন্ত বিলের অংশ। যেদিকেই চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মনে হয় কেউ সবুজ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। 
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন মাঠে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আলু উত্তোলনের সময় হিমাগার মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে প্রতিদিন দাম উঠা নামা করে। কয়েকদিন আগে ১৭/১৮ টাকা কেজি দর ছিল। তা বেড়ে ২২ টাকা কেজি হয়েছে। 

পাঁচন্দর ইউপির আলু চাষী লুৎফর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগে চিমনা গ্রামের লঘু আলু উত্তোলন করে ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করে তার লোকসান গুনতে হয়েছে। সে ৫ বিঘা জমির আলু উত্তোলন করে বিঘায় ৫০ বস্তা করে ফলন হয়েছে। সারোয়ার নামের আরেক কৃষকের ৪৩ বস্তা করে হয়েছে। এক বস্তায় ৬০/৬৫ কেজি আলু থাকে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবারে উপজেলায় ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার হেক্টর জমির আলু উত্তোলন হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। অর্জন হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। আলু উত্তোলনের পর লক্ষমাত্রা অর্জন হবে। এখন পর্যন্ত বিলের বোরো জমির ধান ভালো আছে। রোগবালার কোন খবর পাওয়া যায়নি। আর আলু উত্তোলনের সময় কিছুটা দাম কমে। কারন অনেকেই জমি থেকে বিক্রি করে থাকেন। তবে হিমাগারে রাখলে ভালো দাম পাবে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা। 

আরও খবর



মোবাইলের দোকান চুরির রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি:বগুড়ার নন্দীগ্রাম শহরের জনতা মার্কেটে মা মোবাইল প্যালেসে দিনের বেলায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সেসময় লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাত মোল্লা (৩১) কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। 

রবিবার (৩ মার্চ) মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার এসআই জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। ওই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে কুমিল্লা কোতয়ালী থানা এলাকার কুমিল্লা সিটির ১৭নং ওয়ার্ডের তেলিকোনা মামণি হাসপাতালের সামনে থেকে চোর চক্রের সদস্য ইয়াছিন আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সেসময় তার হাতে থাকা ১টি ব্যাগ তল্লাশি করে লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নন্দীগ্রাম শহরের জনতা মার্কেটে মা মোবাইল প্যালেসে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। চোর চক্র দোকানের তালা কেটে নগদ টাকাসহ অনেকগুলো মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মা মোবাইল প্যালেসের মালিক খালিদ হাসান আকাশ বাদী হয়ে ৯জনের নাম উল্লেখ করে থানায় চুরির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ঢাকা, ভোলা, গাজীপুর ও কুমিল্লার বিভিন্ন থানার ৬টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

চোর চক্রের অন্য সদস্যরা হলো, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঁশকাইট (বর্তমান সুরনন্দি-সার্মাকান্দা) এলাকার কাশেম আলী (৪৫), একই উপজেলার কামাল্লা এলাকার শরিফুল ইসলাম ওরফে জামাই শরীফ (২৯), শোলা পুকুরিয়া এলাকার ইকবাল হোসেন (৩৩), তিতাস উপজেলার মাছিমপুর (বর্তমান কোতয়ালীর সেন্ট্রাল জেল সংলগ্ন) এলাকার ফারুক হোসেন (৩২), চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার হাতিরবন্দ (মুছা হাজীর বাড়ি) এলাকার মহরম মজিব (২৬), মনু মিয়া ওরফে মানিক (২৭), নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মধ্যনগর চর এলাকার মোকারাম হোসেন রুবেল ওরফে মনির ওরফে মনু (৩৩) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালামুড়িয়া (মাজার বাড়ি পশ্চিমপাড়া) এলাকার সোহেল ওরফে মোটা সোহেল (৩১)। 

এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আজমগীর হোসাইন জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করা হয়। তারা সংঘবদ্ধ বড় চোর চক্রের সদস্য। দেশের বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্স, মোবাইল ও বিকাশের দোকানসহ বড় বড় দোকানে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা ১০মিনিটের ব্যবধানে লুট করে চলে যায়। চোর চক্রের সদস্যরা কৌশলগত কারণে ভ্রাম্যমাণভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে এবং তাদের মোবাইল ফোনে সিম ব্যবহার করা হয় না। হোয়াটসঅ্যাপ-ইমুতে চুরির পরিকল্পনা ও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা চুরির জন্য প্রথমে এলাকা এবং দোকান টার্গেট করে। এরপর ভিডিও ধারণ করে নিয়ে চলে যায়। পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী চোর চক্রের সদস্যরা দোকানে যায়। এরপর তালা কাটার সময় লোকজনের চোখ ফাঁকি দিতে লুঙ্গি ও ছাতা ব্যবহার করে। চোর চক্রের ২/৩জন সদস্য দোকানে ঢুকে চুরি করে আর বাকি সদস্যরা বাইরে পাহারায় থাকে। চোর চক্রের সদস্যরা কৌশল করে ২২ ফেব্রুয়ারি একটি পরিবহনে নন্দীগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে আরেকটি পরিবহনে নন্দীগ্রামে আসে। বাস থেকে নেমেই সরাসরি মা মোবাইল প্যালেসে গিয়ে ১০মিনিটের ব্যবধানে নগদ টাকাসহ মালামাল চুরি করে ব্যাগ ভর্তি করে নিয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত হেঁটে যায়। সেখান থেকে ২টি অটোরিকশা ভাড়া করে নাটোর চলে যায়। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর



বালিশ-কম্বল-খাবার দেওয়া হয়েছে জিম্মি ২৩ নাবিককে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ায় জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক ও ক্রুদের জাহাজের একটি রুমে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাদের খাবার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সবাইকে বালিশ-কম্বলও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহাজের এক ইলেকট্রিশিয়ানের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইলেকট্রিশিয়ানের ভাতিজা গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিকেল ৪টার দিকে চাচাকে অনলাইনে দেখতে পাই। কিন্তু পরক্ষণেই অফলাইন হয়ে যায়। কিছুক্ষণ আগে সামান্য সময়ের জন্য তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সবাইকে বালিশ-কম্বল দিয়ে এক রুমে রাখা হয়েছে। খাবার দেওয়া হচ্ছে। চাচা জানিয়েছেন, জাহাজ লোড থাকায় খুব কম গতিতে এগোচ্ছে। উনারা কিছুক্ষণের মধ্যে ডাটা বন্ধ করে দেবেন। সোমালিয়ায় পৌছে গেলে হয়ত আর কথা বলা সম্ভব হবে না।

এর আগে বুধবার সকালে জিম্মি হওয়া নাবিক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক রাজু তার পরিবারকে জানান, সেহরিতে তারা অল্প খাবার পেয়েছেন।

রাজুর বন্ধু ইমরান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে রাজু আমাকে ভয়েস মেসেজে জানায়, জাহাজটি সোমালিয়ার জলদস্যুরা ছিনতাই করেছে। আমরা ২৩ জন আটক আছি। আজ ভোররাতে আবার মেসেজ দিয়েছে, সেহরিতে সামান্য কিছু খাবার দিয়েছে। আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি। আমাদের জন্য সবাইকে দোয়া করতে বলবি। বেঁচে থাকলে দেখা হবে।

এদিকে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’য় ২০ থেকে ২৫ দিনের মতো খাবার আছে। এ ছাড়া বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন। জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় এসব তথ্য জানিয়েছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তাদের।

আতিকউল্লাহ খান বলেন, ‘প্রক্সিমেটলি ২০ থেকে ২৫ দিনের প্রোভিশন (রসদ) আছে স্যার। ২০০ মেট্রিক টন ফ্রেস ওয়াটার আছে। আমরা অলরেডি সবাইকে বলছি ফ্রেস ওয়াটার সেফলি ব্যবহার করতে। প্রোভিসনও (রসদ) আমরা ওভাবে হ্যান্ডেল করবো।

এমভি আবদুল্লাহ’র মতোই ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এস আর শিপিংয়ের আরেক জাহাজ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জিম্মি হন এমভি জাহান মনির ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীসহ মোট ২৬ জন। তাদের একজন নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস।

জলদস্যুদের হাতে প্রায় ১০০ দিন জিম্মি দশায় থাকা ইদ্রিস বলেন, ‌‌‌‘আমরা যখন জিম্মি ছিলাম তখন কোনো সমস্যা হয়নি। খাবার দেয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়ার সুযোগ দেন। তারা ইংরেজি ও আরবি ভাষায় কথা বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হয়নি।


আরও খবর