Logo
আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মেসি-এমবাপ্পেরা যে ম্যাচ খেললেই ১১২ কোটি টাকা পাবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৬৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: সৌদি আরবে আর কদিন পরেই মহারণের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির শীর্ষ দুই ক্লাব আল নাসরে ও আল হিলাল মিলে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই দলের নেতৃত্বে আবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলবে মেসি, নেইমার, এমবাপ্পেদের পিএসজি।

আগামী ১৯ জানুয়ারি কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দু’দল। ৬৮ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবেন। সেই ম্যাচ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সৌদির দুই ক্লাব আল নাসের ও আল হিলালের সম্মিলিত দলের বিরুদ্ধে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে পিএসজি।

এই একটি ম্যাচ খেলেই মেসিদের পিএসজি ১০ মিলিয়ন ইউরো আয় করবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার বেশি। এমনটি নিশ্চিত করেছে ফরাসি ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম লেকিপে।

এই ম্যাচকে ঘিরে আয়োজকদের কাছে ২০ লাখের বেশি টিকিটের আবেদন এসেছে। কারা টিকিট পাবেন, তা বাছতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। আর সিআর সেভেনকে সৌদি দলের নেতৃত্ব দেওয়ায় উত্তেজনা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

লেকিপ জানিয়েছে, গত বছর পিএসজির ৩৭০ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতি হয়েছে। এমনকি আসছে বছরেও প্রায় একই অংক ক্ষতি হতে পারে। ফলে প্রদর্শনী ম্যাচের আয় তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসন ছিটকে গেলেন খোকন॥ স্বতন্ত্র প্রার্থীর হিড়িক

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি:মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ডাঃ আবু সালেহ মোঃ নাজমুল হক সাগর। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের জায়গা দখল করেছেন। অন্যদিকে এ আসনটিতে দলীয় প্রধানের নির্বাচনে অংশ গ্রহণের দ্বার খুলে দেওয়ার ঘোষণায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হিড়িক পড়েছে।

রোববার বিকেলে অনেকটাই আকস্মিকভাবে নতুন মুখ হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় জায়গা করে নেন ডাঃ সাগর। তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। তার পিতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক ছিলেন গাংনীর প্রথম এমপি। ডাঃ আবু সালেহ মোঃ নাজমুল হক সাগর তখন কর্মরত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কার্যালয়ে। পরে তিনি চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ২০২২ সাল থেকে গাংনীর রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর তিনি স্বাস্থ্য জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ পান।

তথ্যমতে, মেহেরপুর-২ আসনে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন। ২০২২ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আসেন মোখলেছুর রহমান মুকুল।

সাহিদুজ্জামান খোকন, মোখলেছুর রহমান মুকুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক,সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম, ডাঃ নাজমুল হক সাগরসহ ১৫ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় দলীয় মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তবে চমকের মাধ্যমে মনোনয়ন পেলেন ডাঃ নাজমুল হক সাগর।

মনোনয়নের নামের তালিকা প্রকাশের পর নৌকার পক্ষে মিষ্টি বিতরণ আর আনন্দ মিছিল করেন ডাঃ নাজমুল হক সাগরের কর্মী সমর্থকরা। তেমনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করার আশায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের কর্মী সমর্থকরাও মিষ্টি বিলিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনসহ আরও অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন কথা শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঘনিষ্টজনদের কাছ থেকে। ইতিমধ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম জুয়েল ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম রিন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সাবেক এমপি মকবুল হোসেনসহ আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র তুলবেন বলে আলোচনা হচ্ছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর ইতিহাসঃ

গাংনী উপজেলা নিয়ে গঠিত মেহেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইতিহাসে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয় শুরু হয় ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। এ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে নৌকার টিকিট পান বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাব উদ্দীন। তবে মেনে নেননি নেতাকর্মীরা। তাদের চাপেই মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন মকবুল হোসেন। বিএনপি প্রার্থী আব্দুল গণিকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হন মকবুল হোসেন। এ নির্বাচনে মকবুল হোসেন

(টেলিভিশন) পেয়েছিলেন ৪৫ হাজার ৮২০ ভোট, আব্দুল গণি (ধানের শীষ) ৩৩ হাজার ৮৬১ ভোট এবং হিসাব উদ্দীন (নৌকা) ১ হাজার ৭৭১ ভোট। জয়লাভের পর শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিয়েছিলেন মকবুল হোসেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালে। এ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীক পেলেও বিএনপি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণির কাছে পরাজিত হয়। জয়-পরাজয়ের ব্যবধা ছিল প্রায় ২০ হাজার ভোটের।

২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মকবুল হোসেনকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেয় তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেককে। তবে তীব্র আন্দোলনের পর এমএ খালেকের বদলে মকবুল হোসেনকে নৌকার টিকিট দেয় আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনে মকবুল হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী আমজাদ হোসেনের কাছে ২ হাজার ৪৮৯ ভোটে পরাজিত হন।

২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিহীন নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এমএ খালেক। তবে এবার মনোনয়ন বদল হয়নি। শেষ পর্যন্ত মকবুল হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমএ খালেকের নৌকার

বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে মাঠে নামেন। নির্বাচনে মকবুল হোসেন জয়লাভ করেন ১০ হাজার ২৮১ ভোটে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন থেকে আবারও ছিটকে পড়েন মকবুল হোসেন। এ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এ নির্বাচেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন জয়লাভ করেন। নেতাকর্মীরা বলছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনকে দলের কোন পদ পদবীতে রাখা হয়নি। তাছাড়া তার বয়সও

বেড়েছে। জীবনের শেষ নির্বাচন হিসেবেই তিনি দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তার কয়েকজন

কর্মী সমর্থক। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে কোন বাধা নেই বলে দলীয় প্রধান ঘোষণা দিয়েছেন। তাই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে আরও কয়েকজন হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এক্ষেত্রে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন, জমাদান ও প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে এবারের ভোটের প্রতিদ্বন্দীতার হিসাব-নিকাশের জন্য।


আরও খবর



বেনাপোলে স্বর্ণ ব্যবসায়ি কতৃক কামলা অপহরন, থানায় মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান:বেনাপোলে স্বর্ণেরবার আত্নসাৎ এর ঘটনায় ওমর ফারুক (২৬) নামের এক কামলাকে অপহরণ করেছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। অপহৃত যুবক শার্শা থানাধীন টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে।

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা সূত্রে জানা যায়,অপহরন হওয়ার তিন দিন পরেও অপহৃত ওমর ফারুক বাড়িতে ফেরেনি । এ ঘটনায় অপহৃত যুবকের মা ফিরোজা বেগম (৫০) বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি স্পর্শ কাতর হওয়ায় বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে যার নং-১৫ ও তারিখ ১৪-১১-২-০২৩ ইং।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্ট থানার সাব ইন্সেপেক্টর এস আই শংকর বিশ্বাস মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ভিকটিম উদ্ধারের চেষ্ঠা চালাচ্ছে পুলিশ। মামলার আসামীরা বেনাপোল পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বড় আঁচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে কামাল হোসেন (৪০), সাদীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এজাজ রহমান (২৮), শার্শা থানাধীন শালকোনা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের বাটুলের ছেলে পলাশ হোসেন (২৬)। এছাড়াও মামলায় ৮/১০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। 

মামলাটির বাদী লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন গত ১১ নভেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রং এর পালসার যোগে পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে অদ্যবদি আর বাসায় ফেরেনি। তার ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেনা। পরের দিন ১২ নভেম্বর  সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি ফোন কলে বলে যে, ওমর ফারুক তাদের স্বর্ণ মেরে দিয়েছে এ কারনে তাদের নিকট সে আটক আছে । মামলার বাদীকে বিশ্বস্ত লোক নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩নং গেটের মুখে আসতে বলে। সে মতে আমি বেনাপোল আসলে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি এসে আমাদের বেনাপোল পোর্টথানার ২০০ গজ সামনে শাহাবুদ্দিন গোলদারের তিনতলা বিল্ডিং এর তৃতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমি আমার ছেলেকে চেয়ারে বসা গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পাই। সেখানে থাকা ৮/১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তি জানাই আমার ছেলে তাদের স্বর্ণ মেরে দিয়েছে। তাকে অপহরণ করে আটক রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রচন্ড মারপিট করে জখম করেছে বলে তিনি আরো উল্লেখ করেন। মারপিটের কারনে আমার ছেলে তাদের মাল আমার বসত বাড়ীর পূর্বপাশে আবর্জনার মধ্যে আছে জানালে আসামীরা আমাদের সাথে নিয়ে আমাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজা খুজি করে। না পেয়ে পুনরায় আমাদের সাথে করে বেনাপোল আনে। উক্ত স্থানে পুনরায় গিয়ে আমি আমার ছেলেকে দেখতে পাইনা। কারন জিজ্ঞাসায় আসামীরা বলে আমার ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে গেছে তাই আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলে। অধ্যবদী আমার সন্তানের কোন খোঁজ মেলেনী। চাঞ্চল্যকর এই অপহরণ ঘটনা জানা জানি হলে বন্দরনগরী বেনাপোলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে। বেনাপোল পোর্ট থানা হতে ২০০গজ দূরে ঘটনাটি ঘটলেও এখনো পর্যন্ত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকা জুড়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে স্বর্ণ বহনের সময় বহনকারীর কাছ হতে আনুমানিক ৩ কোটি টাকার স্বর্ণবার ছিনতাই করা হয়েছে ও ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অপহরণ নাটক সাজানো হয়েছে।

বেনাপোলের একাধিক সূত্র জানায় ইতি পূর্বেও মামলার এজাহার ভূক্ত আসামীরা স্বর্ণবার ছিনতাই কান্ডে জড়িত। প্রশাসনিক তৎপরতার অভাবে সে যাত্রায় তারা স্বর্ণবার ছিনতাই নাটকে সফল হয়েছে।

ভূক্তভোগী পরিবার সহ এলাকবাসীর দাবি দ্রুত অপহৃত উদ্ধার ও অপহরণ রহস্য উদঘাটন পূর্বক অপহরণকারীদের মুখোস উন্মোচন করা হোক।


আরও খবর



ইবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image
সাব্বির খান, ইবি:তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে অন্তত চার দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই গ্রুপের অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী। বিষয়টির সুষ্ঠু কারণ খতিয়ে দেখতে ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান। 

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর আল ফিকাহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন সদস্য সচিব করা হয়েছে। 

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, সাদ্দাম হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান বলেন, 'আমি বিষয়টি একদম অফিসের লিভিং টাইমে পেয়েছি। পরে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির একটি চিঠি করেছি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনো কমিটির মেম্বারদের কাছে চিঠি পাঠাতে পারিনি। চিঠিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধানপূর্বক ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে'

আরও খবর



যশোরে ১৬স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ৪৬ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।

সকাল থেকে যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও যশোরের ছয়টি আসনের স্ব-স্ব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার সারাদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ জন।

যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম, সোহরাব হোসেন, নাজমুল হাসান এবং জাকের পার্টির সবুর খান ও জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান।

যশোর -২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ডা.তৌহিদুজ্জামান তুহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ও এসএম হাবিবুর রহমান এবং জাকের পার্টির সাফরুজ্জামান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুল আওয়াল।

যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দলোনের মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, জাকের পার্টির মাহবুব আলম, তৃণমূল বিএনপির কামরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির মহিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেখ নুরুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস এর এ্যাড. সুমন কুমার রায়।

যশোর-৪ ( বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, সন্তোষ কুমার অধিকারী, তৃণমূল বিএনপির অব: লে: ক: এম শাব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামি ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস আলী, জাকের পার্টির লিটন মোল্লা ও জাতীয় পার্টির জহুরুল হক।

যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী, কামরুল হাসান বারী, হুমায়ুন সুলতান ও আমজাদ হোসেন লাভলু। এবং তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা, ইসলামি ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী, জাকের পার্টির হাবিবুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির এমএ হালিম।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, এইচ,এম আমির হোসেন, জাতীয় পার্টির জিএম হাসান, জাকের পার্টির সাইদুজ্জামান।

যশোর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের শিডিউল অনুযায়ী আজ মনোনয়ন পত্র জমার শেষ দিন ছিল। প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্ব- স্ব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র গ্রহন করেছি।


আরও খবর



ফেসবুকের নিবন্ধনে আইন হবে আগামী সংসদে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন নিতে আগামী সংসদে আইন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এখন তো আইন করার সময় নেই। আগামী পার্লামেন্টে ইনশাআল্লাহ এ বিষয়ে আইন হবে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

গুজব প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে সরকার আলোচনা করছে কি না- জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেটাও একটা বড় প্রতিবন্ধকতা। ভারত আইন করেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব সার্ভিস প্রোভাইডারের সেখানে নিবন্ধিত হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইন করেছে, সেখানে নিবন্ধিত হতে হবে। যুক্তরাজ্য আইন করেছে, সেখানে নিবন্ধিত হতে হবে। অন্যান্য দেশে আইন করেছে। আমাদের দেশে এখনো আইনটি হয়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) সঙ্গে আলোচনা করছি, বারবার তাগাদা দিচ্ছি। এখানে অফিস করার জন্য বলছি, বাংলাদেশে আইনের নিবন্ধিত হওয়ার জন্য বলছি। তবে তাদের এখানে নিবন্ধিত হতেই হবে সেই বাধ্যবাধকতা আরোপ করা আইনটি এখনো করা হয়নি। সেটি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

বিদেশে থেকে অনেকে গুজব ছড়াচ্ছে, এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে অনেকে গুজব ছড়ায়। সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়েও অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে। উনি আমেরিকায় নেই। উনি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসেছেন, এসে আবার আমেরিকা চলে যান। বিদেশ থেকে গুজব ছড়ানো হয়, সেটির ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল, আগের তুলনায় কমেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি এবং জামায়াত তাদের নিয়মিত পয়সা দেয়। পয়সা না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বা কম দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি যারা গুজব রটায়। এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের ব্যাপারে নোটিফাই করা হয়েছে। কেউ যদি মনে করে বিদেশে বসে গুজব রটাবে আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে এখন আর সেটি কিন্তু নয়।

দেশে যারা গুজব ছড়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশের মধ্য থেকে যখন কেউ গুজব রটায় তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা যদি আইসিটি অ্যাক্টে হয়, তবে সেটি পত্রিকায় ছড়ায় কেন মামলা হলো? গুজবটাতো অনলাইনেই ছড়ানো হয় বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সেটি তো ডিজিটাল মাধ্যম। ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ালে তো ডিজিটাল আইনেই মামলা হবে। কিন্তু সে মামলা করলে তখন আবার অনেকে বলে, কেউ কেউ চেঁচামেচি করেন কেন মামলা হলো, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রেফতার করলে তো সেটি নিয়ে আরও বেশি কথাবার্তা হয়, সে কি করেছে সেটি তখন ঢাকা পড়ে যায়।’

দেশে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দীর্ঘসূত্রিতা আছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাবো কেউ যদি সত্যিকার অর্থে অপরাধ করে থাকে, সেটি যদি আমিও হই, সেটা যদি একজন সাংবাদিকও হয়, তার তো বিচার হতে হবে। না হলে তো এ অপরাধ কোনো দিন বন্ধ করা যাবে না, কমানো যাবে না। আইন সংশোধন করা হয়েছে, সহজীকরণ করা হয়েছে।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩