Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মেহেরপুরের গাংনীতে ক্লিনিক মালিকের এক বছর কারাদন্ড ও লাখটাকা জরিমানা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধিঃমেহেরপুরের গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমের আদালত এ দন্ড প্রদান করেন। দন্ডিতকে পুলিশি প্রহরায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, রোব্বার সন্ধ্যায় দেবীপুর গ্রামের সেলিম রেজার স্ত্রী পান্না খাতুনের প্রসব বেদনা শুরু হলে গাংনীর হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যান্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব না হওয়ায় অপারেশনের সিন্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে ডাক্তার আবু সালেহ মোঃ ইমরান অপারেশন করেন। রোগির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন ওই রোগির মৃত্যু ঘটে।

রোগির মৃত্যুর ঘটনাটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান রোগির পরিবারের লোকজন। আজ রোব্বার দুপুরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, মেহেরপুর সিভিল সার্জন মহিউদ্দীন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল আল মারুফ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিদর্শনে যান।

সেখানে নানা ধরনের অনিয়ম ও লাইসেন্স নাবায়ন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী হাফিজুর রহমানকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সাথে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সীলগালা করা হয়।দণ্ডিত হাফিজুর রহমানকে পুলিশের সহায়তায় মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি সামনে রেখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শতাধিক সংগঠন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে দিবসটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপি গণমাধ্যমকর্মীরা ও তাদের বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করে আসছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো প্রভৃতি কর্মসূচি এই দিবসে পালন করা হয়।

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্রের মর্যাদা লুন্ঠিত হলে, কিংবা গণতন্ত্রের পবিত্রতা কোন কারণে কলুষিত হলে, গণমাধ্যমের নির্ভিক কন্ঠ সেখানে সোচ্চার হয়ে উঠে। গণমাধ্যম তাই জনগনের পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা দায়িত্বশীল অভিভাবক। গণমাধ্যম জনগণকে সচেতন করতে সদা সচেষ্ট এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে গণমাধ্যম সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। জনসাধারণের মতামত/চিঠিপত্র প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে জাগ্রত জনমতকে প্রতিফলিত করে সংবাদপত্র পালন করে তার পবিত্র নৈতিক দায়িত্ব। তাই বলা হয় “ওঃ রং ঃযব চবড়ঢ়ষবং চধৎষরধসবহঃ ধষধিুং ংবংংরড়হং” মন্তব্যটি সর্বোতভাবে স্বার্থক। সংবাদপত্র আক্ষরিক অর্থেই সদা জাগ্রত জাতীয় সংসদ।

গণমাধ্যম একটি সমাজ বা জাতির সামগ্রিক জীবনের প্রাত্যহিক দলিল। তাই গণমাধ্যমকে অবশ্যই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। গণমাধ্যম হতে হবে জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। জনগণের স্বার্থে গণমাধ্যম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তেমনি ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যে করবে সংগ্রাম। গণমাধ্যমকে নির্ভীক ও অকপট হতে হবে। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশানুরুপ নয়। ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বীয় দলের স্বার্থে গণমাধ্যমের উপর আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে বারবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম কোনটাই শক্তিশালী হতে পারেনি। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৪ মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বারবার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব, জনস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মুল লক্ষ্য গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে বিপন্ন করে চলেছে। দেশের সবক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক মানসিকতা বিদ্যমান। তোষামোদ, সুবিধাবাদিতা আর মিথ্যাচার সুবিধাভোগী সমাজকে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ গণমাধ্যম গণমানুষের মুখপত্র না হয়ে সুবিধাবাদী তল্পিবাহক, দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠির ক্ষমতারোহন কিংবা ক্ষমতাকে পাকাপোক্তকরণের হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্র দুর্বল থাকলে চেষ্টা করলেও গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে না। কোন সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম অথবা গণমাধ্যমকর্মী সমাজে ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেই নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে শত ঝুঁকির পরেও গণমাধ্যম তাদের দায়িত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর দেশের গণমাধ্যম ও তার কর্মীরা যত দলনিরপেক্ষ, নির্ভীক, শিক্ষিত ও সৎ হবেন, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

গণতন্ত্র বলতে জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। যে শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্র অর্থ জনসাধারণের শাসন। জনগণ যখন সকল ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ভার জনগণের ওপর ন্যস্ত থাকে তখন তাকে গণতন্ত্র বলা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের সকলে অংশ গ্রহণ করতে পারে এমন এক ব্যবস্থা বলেছেন। কাজেই বলা যায়, যে সরকার বা শাসন ব্যবস্থায় জনমতের প্রধান্য স্বীকৃত হয় এবং জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয় তাই গণতন্ত্র। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা দিয়েছেন “উবসড়পৎধপু রং ধ এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব) তাঁর মতে “জনসাধারণের জন্য, জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনসাধারণেই সরকারই হল গণতন্ত্র।

গণতন্ত্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে, ফলে গণতন্ত্রে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম একটি আরেকটি পরিপূরক। যেখানে গণমাধ্যম যতবেশী শক্তিশালী যেসখানে গণতন্ত্র বেশী শক্তিশালী। পরমত সহিষ্ণুতাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কথা। আলোচনা, মতপ্রকাশ, ঐক্য, সংহতি হলো গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ি। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। মৌলিক অধিকার হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সংবিধানের ধারার ৩৯(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে এবং ৩৯ (২) সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক, জনতার কন্ঠস্বর, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ইত্যাদি নানা নামে গণমাধ্যমকে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেই জাতির বিবেকের উপর চলে নানা জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর করা হয় নির্যাতন, এমনকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু খুনি ও নির্যাতনকারীরা আইনের আওতায় আসছে না, তাদের শাস্তি হচ্ছে না। এই বিষয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার জন্যে রাজনৈতিক বিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠে সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের পেশাগত ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলা যায় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জানানো হয় যে, তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমের সহায়তায় জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, গণমাধ্যম শিল্পের মানোন্নয়ন, সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন, বিকাশ ও সংরক্ষণ এবং গণমাধ্যমকর্মীর পেশাগত দক্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় হামলা ও নানা রকম হুমকীতে শিকার হতে হয়। গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার। নিহতদ্বয় স্বামী-স্ত্রী। ছয় বছর বয়সী একমাত্র শিশু পুত্র মাহির সরোয়ার মেঘের সম্মুখে এই সাংবাদিক দম্পত্তি খুন হয়েছেন। কিন্তু আজো খুনীদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরতে পারেনি, কিংবা চিহ্নিত করতে পারেনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি পল্টনের নিজ বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন। বিগত খালেদা-নিজামীর আমলে খুন হন সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট’ গঠনসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে কতিপয় প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটিতে আইনটি যাচাই-বাচাইয়ের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জারি করেন নিউজপেপার এমপ্লয়ীজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অডিন্যান্স জারি করেন। এই আইনের অধীনে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বোর্ড কর্মচারীদের  ওয়েজ বোর্ড  হয়ে আসছিল। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওয়েজ বোর্ড গঠনের সময় ধরা পড়লো বিএনপি সরকার কোনো অংশীজনের সাথে আলোচনা না করে এই আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সনের আইনটি সাংবাদিকতা পেশাকে কয়েকটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এই আইনে সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মচারীদের অধিকার ও বিরোধ নিস্পত্তির বিষয়গুলো শ্রম আইনের মধ্যে রেখেও কিছু বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিল। এই গুলো হচ্ছেঃ সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়েজ বোর্ড গঠন, পেশার সংজ্ঞায়ন,  বিশেষায়িত বলে কতপিয় বিশেষ সুবিধা  নিশ্চিতকরণ। প্রক্রিয়াধীন  নতুন আইন ১৯৭৪ সালের আইনের মূল চেতনা ধারণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন আইনে বিশেষ অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করবে, প্রচলিত শ্রম ও সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে বিশেষায়িত বিষয়গুলো সমন্বয় করবে, যেগুলো বিধিতে আনা সম্ভব সেগুলো বিধির জন্য পাঠাবে, যেগুলো ওয়েজ  বোর্ড নির্ধারিত হবে সেগুলো পৃথক করবে, ‘যা বাহুল্য তা’ বাতিল করবে। এভাবেই নতুন আইনটি সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন,  বেসরকারি বেতার মাধ্যমে সাংবাদিক, আলোকচিত্র সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমের সকল কর্মচারীদের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এই নতুন আইনটি দ্রুত প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বর্তমানে বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর



গাংনীতে ইসস্তকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুর প্রতিনিধি:প্রচন্ড তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে ও বৃষ্টি চেয়ে ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করেছেন মেহেরপুরের গাংনীর মুসল্লীরা। আজ শুক্রবার সকাল দশটায় গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের ফুটবল মাঠে বিভিন্ন বয়সী মুসল্লিগন দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। শেষে খুতবা পাঠ করে গুনাহ মাফের জন্য তওবা পড়ানো হয় মুসল্লিদের। এর পরে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন মুসল্লিরা। আল্লাহর কাছে স্বস্তির পানি চেয়ে চোখের পানি ফেলেন অনেকে। এসময় কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে রহমতের বষর্ণ এবং সকল মুসলিম উম্মার জন্য শান্তি কামনা করা হয়।

নামাজে ইমামতি করেন পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা গোলাম কিবরিয়া। নামাজ শেষে তিনি মহান আল্লাহুর কাছে ক্ষমা চান। চলমান তাপদাহকে গজব উল্লেখ করে তিনি আল্লাহর কাছে তওবা করে ফরিয়াদ করার আহবান জানান।


আরও খবর



ফকিরহাটে কৃষকের ঘরে তৈরি হচ্ছে জৈবসার সহায়তা পেলে গড়ে উঠবে বৃহৎপরিষরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

ফটিক ব্যানার্জী ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে টেকসই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় তৈরি হচ্ছে জৈবসার। কৃষকের উৎপাদিত ভার্মিকম্পোস্ট বা কেঁচোসারের গুনগত মান আনেক ভালো বলে দ্বাবী করেন স্থানিয় চষিরা।

টাউন নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক অঞ্জন ব্যানার্জী বলেন, এসএসিপি প্রকল্পে দেওয়া ট্রেনিং ও জৈবসার উৎপাদনের সরঞ্চাম নিয়ে কোঁচো সার উৎপাদন করা হয়। চলতি মৌশুমে ধান ক্ষেতে জৈব সার ব্যবহার করে ফলন হয়েছে তুলনামুল অনেক ভালো। এছাড়াও বিভিন্ন খামারিদের কাছ থেকে প্রায় ২শ মন জৈবসার সংগ্রহ করে প্রক্রিয়া জাতকরনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বাড়ি থেকে অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন। চাহিদা থাকার পরেও সরকারি ভাবে অনুমতি ও সহায়তা অভাবে তিনি এটি বৃহৎ পরিষরে করতে পারছেন না বলে জানা।

পান চাষি নিজাম মোড়ল বলেন, আগে পান চাষে রাষায়নিক সার ব্যবহার করে লাভের মুখ দেখতে পাইনি। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পানের লতা ও পাতা নষ্ট হয়ে যেত। কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে অঞ্জন ব্যানার্জীর তৈরি কৃত জৈবসার ব্যবহার করে অভাবনিয় লাভ হয়েছে। সবজি ও মৎস্য চাষি আনোয়ার মোড়ল বলেন, সবজি ও মাছ চাষে এ সার ব্যবহার করে আমিসহ অনেকেই লাভবান হয়েছি।

আরোব আলী, সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ জৈবসার উৎপাদন কারি একাধিক ব্যক্তি বলেন, কৃষি বিভাগের দেওয়া জৈবসার উৎপাদনের সরঞ্চাম ও ট্রেনিং আমাদের চাষাবাদে অভাবনিয় পরিবর্তন এনে দিয়েছে।

কৃষি মন্ত্রনালয়ের এআইপি সম্মাননা প্রাপ্ত ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জৈবসার মাটির প্রাণ সঞ্চার করছে। জলবায়ু পরিবর্তনে মারত্মক প্রভাব ফেলে কৃত্রিম সার। এবিষয়নি মাথায় রেখে আমরা জৈবসার উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করেছি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রায় দুই দশক আগের থেকে। যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনুকরনিয় উদাহরন ও পারস্পরিক শিখনের মাধ্যমে উপস্থাপন করছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারে প্রশিক্ষন ও উদ্ভুদ্ধ করনে আমরা কাজ করছি। জৈবসার উৎপাদন তার মধ্যে একটি। যার ব্যবহারে ফসল উৎপাদনে অভাবনিয় সফলতা পাচ্ছেন কৃষক। 


আরও খবর



৬৯ হাজার রোহিঙ্গার পাসপোর্ট নবায়নে রাজি বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে সত্তরের দশকে সৌদি আরবে যাওয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করতে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সৌদি আরব জানিয়েছে, এই সংখ্যাটি ৬৯ হাজার।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩-৭৪ সালে বাংলাদেশ থেকে কিছু রোহিঙ্গা সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। এর সংখ্যা কত আমাদের জানা নেই। তারা (সৌদি কর্তৃপক্ষ) আমাদের জানিয়েছেন, ৬৯ হাজার।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্ট না থাকলে তাদের ফেরত পাঠায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে তাদের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি মোতাবেক, তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবেন না। তবে তাদের (রোহিঙ্গা) পাসপোর্ট রিনিউ (নবায়ন) করে দিতে হবে— এমন শর্ত ছিল চুক্তিতে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এই বিষয়ে আমরা ধীরে এগোচ্ছি কেন? কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কি না সেটা দেখার জন্য তাঁরা এসেছিলেন। এ ছাড়া সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের উভয় দেশের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

৬৯ হাজার রোহিঙ্গার দায়িত্ব কোন রাষ্ট্র নেবে বাংলাদেশ নাকি সৌদি আরব? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আবর কিন্তু ফেরত পাঠাবে না কাউকে। আবার সৌদি সরকার রোহিঙ্গাদের ওই দেশের নাগরিকত্ব দেবে না। তাহলে কীভাবে থাকবে? সে জন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সে জন্য তারা আমাদের অনুরোধ করেছিলেন। আমরা গত বছর সেটি (চুক্তি) সই করেছিলাম। সেখানে আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না সে বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে তারা এসেছিলেন।

সৌদিতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা কি বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা তো বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়েই গিয়েছিলেন। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দেব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে তেমনি থাকবে।

বৈঠকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া বাড়ানোর উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সৌদি আরব।


আরও খবর



১৩৯ উপজেলায় ভোট আজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। 

এর মধ্যে ২২টি উপজেলায় ইভিএম এবং বাকি উপজেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসি সূত্রে জানায়, এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ মোট ২৮জন প্রার্থী ইতিমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

নির্বাচনে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে ও উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।

এদিকে ভোটগ্রহণ উপলক্ষে বুধবার সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১টি উপজেলা পরিষদের (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৮ মে (বুধবার) সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হল।

এছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট ১৪১ উপজেলায় মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসি। ৭ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এদিকে ৬ মে দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ৯ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

আইন অনুযায়ী ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ করতে হয়। সে অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে ১৪১ উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো মন্ত্রী-এমপি প্রভাব বিস্তার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর