Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মেহেরপুরে সবজির চাহিদা মিটাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২১৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে অধিকাংশ পরিবারের সবজির চাহিদা মিটাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।কৃষি বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা এই পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সুফল পাচ্ছে কৃষাণ কৃষাণীরা। কৃষকের বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গায় নির্মিত পুষ্টি বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে শীত ও গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন শাক সবজিতে। বাগানগুলোর বিষমুক্ত টাটকা সবজি দিয়ে উদ্যোক্তরা তাদের পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি প্রতিবেশিদের মাঝে বিতরণ করাসহ বিক্রি করে অনান্য হাট বাজার সারছেন অনেকে।

মেহেরপুর জেলার মাটি সবজি উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগি। সবজি উৎপাদনের জন্য যে ধরনের মাটি ও আবহাওয়া দরকার তার সবই আছে মেহেরপুরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা “দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবেনা” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা বাস্তবায়নে ও পারিবারিক পুষ্টির চাহীদা মেটাতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনার পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গায় জেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৮টি ইউনিয়নের ৮৭৬টি পরিবারে গড়ে উঠে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।

প্রথমদিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও এখন সরবরাহ করা হচ্ছে সব ধরনের বীজ সহ অনান্য সরঞ্জামাদি। ফলে বাড়ির আঙ্গিনায় পড়ে থাকা পরিত্যাক্ত জায়গায় নির্মিত পুষ্টি বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে বিভিন্ন সবজিতে। কিষাণ-কিষানীরা এখন তাদের বাগানের সবজি দিয়ে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটিনোসহ প্রতিবেশিদের মাঝে বিতরণ ও বিক্রি করতে পেরে খুশি। বর্তমান বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পারিবারিক এই পুষ্টি বাগানই মিটাচ্ছে তাদের সবজির চাহিদা। ফলে দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।

সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের পুষ্টি বাগান চাষী করিম জানান, কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির পাশে পরিত্যাক্ত যায়গায় কীটনাশক মুক্ত সবজি চাষ করেছেন। এই সবজি নিজেরা খান ও প্রতিবেশিদেরও দিয়ে থাকেন। বাজার থেকে আর সবজি কিনতে হয়না। আবার অনেক সময় বাজারে বিক্রিও করেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না”। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই প্রকল্পে কৃষকরা সারা বছর ধরে নানা ধরনের সবজি পাবে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে। পরিত্যাক্ত প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা যাতে এই পুষ্টি বাগান গড়ে উঠে তার জন্য কৃষি বিভাগ বিভিন্ন সহযোগীতার পাশপাশি পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।


আরও খবর



ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বিদ্যুত বন্ধ গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএমনিতেই গেল ১০ দিন যাবত প্রচন্ড তাপদাহ আর গরম অপরদিকে পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের অজুহাতে বিদ্যুত বন্ধ। এতে রোগিদের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌছেছে। জ্বর ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের পাশাপাশি অন্যান্য রোগি সেবা নিতে আসা রোগিদের অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে একটি জেনারেটর থাকলেও সেটি দীর্ঘ দিন অচল। ফলে কোন ক্রমেই সংকট কাটছে না। রোগিদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও নার্সগণ। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ কোন স্বদুত্তর দিতে পারেনি।

মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মেহেরপুরের ৪১.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বৃহষ্পতিবার বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ ৪২.২ ডিগ্রী,শুক্রবার ৪২.৭ ডিগ্রী ও আজ শনিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৩ ডিগ্রী। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেছে আবহাওয়া অফিস। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই। রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত।

বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। শিশুদের কান্নায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। প্রতিদিন আড়াই শতাধিক রোগী আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর যে রোগির অবস্থা একটু সংকটাপন্ন তাকে ভর্তি রাখা হচ্ছে।

আজ রোব্বার সকালে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৫ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ২৮ জন। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দ্বিগুন রোগি ভর্তি থাকলেও প্রচন্ড রোগ ও ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুতের কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। এমনিতেই গরম আর দাবদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের নামে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুত বন্ধ। ফলে রোগিদের অবস্থা ত্রাহি মধুসুদন। অসুস্থ রোগিরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু রায়হানের মা রাশিদা জানান, তার ছেলে ডাইরিয়া রোগ নিয়ে আজ ৪ দিন ভর্তি।

প্রচন্ড গরমে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে হচ্ছে। বিদ্যুত বন্ধ হলে সিঁিড়তে আশ্রয় নিতে হয়। হাসপাতালের কোন জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। একই কথা জানালেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু শাহানাজের মা জামিলা খাতুন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ৫দির ভর্তি রয়েছেন। গরমে তাদের ভরসা একমাত্র তালের পাখা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কয়েকজন জানান, এখানে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। প্রতি মাসে তেলেরও পর্যাপ্ত বরাদ্দ অথচ সেটি চলেনা। বছর খানেক হলো জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। মেরামত  করার কোন উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীই নয় রোগী সাধারনের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তবুও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।

গাংনী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম জানান, প্রচন্ত তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরম হলেও বাধ্য হয়ে বিদ্যুত বন্ধ রাখা  হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতের মেইনটেনেন্সের কারনে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুতের জন্য সাময়িকভাবে এটি করতে হচ্ছে। এতে রোগি ও সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে কিন্ত কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, জেনারেটরটি অকেজো হবার দুবার মেকানিক্স এনে ঠিক করার চেষ্টা করা হয় কিন্ত সেটি আর ভাল করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে এবং বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী বাজেটে ছাড়া কোন বরাদ্দ পাওয়া যাবে না। এখানে অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া কিছুই নেই।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নে যে বারাদ্দ পাওয়া যায় সেখানে সেটি ব্যায় করতে হয়। তাছাড়া এ বিষয়টি নিয়ে কোন প্রস্তাব উত্থাপন করেননি স্বাস্থ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর জানান,তিনি বিষয়টি জানেন এবং জেনারেটরসহ অন্যান্য বিষয়গুলো যাতে সমাধান হয় তা দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।



আরও খবর



একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন নাসিরনগরের মা ও মেয়ে৷

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য (মেম্বার) ৪৪ বছর বয়সে পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাশ করেছেন। এমন খবর জেনে খোঁজ নিতে গিয়ে ফোন করতেই বেশ খুশি নিয়ে বললেন আমার মেয়েও পাশ করেছেন। মা ও মেয়ের একসঙ্গে পাশ করার ঘটনা এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। সবাই ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার নুরুন্নাহার বেগমের প্রশংসা করছেন। নুরুন্নাহারের পরিবারেও বইছে আনন্দের বন্যা। স্বজনরা ছুটে আসছেন তাঁর বাড়িতে।

নুরুন্নাহার বেগম জানান, তিনি আরো পড়তে চান। অনেক বিপত্তি পেরিয়ে তার এই এগিয়ে চলা। নিজের দুইসন্তান কেও পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। পড়া শুনার কোনো বয়স নেই বলে তিনি মনে করেন। মানুরুন্নাহার বেগমও মেয়ে নাসরিন আক্তার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়া ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন।

মা কারিগরি বিভাগ থেকে ও মেয়ে স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। নুরুন্নাহার বেগম জিপিএ ৪.৫৪ ও মেয়ে নাসরিন জিপিএ ২.৬৭ পেয়েছেন। নুরুন্নাহার বেগমের বয়স ৪৪ বছর ও নাসরিনের বয়স ১৮ বছর। কথা হলে নুরুন্নাহার বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায়। শশুর বাড়ির লোক জন ছিলেন রক্ষণশীল। এ অবস্থায় পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারিনি। এক পর্যায়ে মেম্বার নির্বাচিতহই। এ নিয়ে দুইবার মেম্বার। সবার অনুমতি নিয়ে আবার পড়াশুনা করি। কেননা, লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই বলে মনেকরি।

নুরুন্নাহারের ছোট ভাই স্বপন আহমেদ এ বিষয়ে অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন। বোনের পাস করার খবরে কি যে খুশি হয়েছিতা বলে বুঝানো যাবেনা। একই সঙ্গে ভাগ্নি পাস করলেও তার খবরটি নাদিয়ে ফেসবুকে বোনের রেজাল্টের স্ট্যাটাস দিয়েছি।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সোমবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামীকাল (সোমবার) দেশজুড়ে চলমান তাপদাহের কারণে পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, যশোর ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

জানা যায়, দেশজুড়ে চলমান তাপদাহের কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে নতুন করে ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট (তাপপ্রবাহ) জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ মে সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল থেকে তিন দফা ৭২ ঘণ্টা করে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর থেকে বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া বাকি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



তানোরে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে বিয়ের পরই শিক্ষিকাকে ডিভোর্স, প্রতারক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ৬৩জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে বিয়ের ৫দিন পরই শিক্ষিকাকে ডিভোর্স দেয়া প্রতাকরকে গ্রেপ্তার করেছে তানোর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার প্রতারকের নাম নাজির হোসেন (৩৭)। সে  উপজেলার কলমা ইউপির কলমা গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র। এঘটনায়  থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে,  উপজেলার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জৈনকা সহকারী শিক্ষিকা (স্বামী পরিত্যক্তা)'র সাথে ১ বছর আগে ফেসবুক পরিচয়ের সুত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে পর্যায়ক্রমে ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক প্রেমিক নাজির হোসেন। 

গত ৩রা মার্চ ২০২৪ইং তারিখ বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে তানোর ভূমি অফিসের সামনের রাস্তায় এক সাথে ৮লাখ ৬০ হাজার টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক প্রেমিক নাজির। গত ২০ এপ্রিল (প্রেমিকা) সহকারী শিক্ষিকাকে তানোর পৌর সভার কাজী আব্দুল মতিন কাজীর কাছে নিয়ে রেজিস্ট্রী করে বিয়ে করে প্রেমিকাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় প্রেমিক নাজির হোসেন। 

বিয়ের ৫দিন পর গত ২৫ শে এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে ডিভোর্স দিয়ে ডাকযোগে ডিভোর্স লেটার প্রেমিকার বাবার বাড়ি ও স্কুলের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয় প্রেমিক। গত ১১ই মে শনিবার প্রতারক প্রেমিক তার বাড়ি কলমা গ্রামে আসলে উভয় পরিবারের সদস্য তাকে আটক রেখে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হন উভয় পক্ষ ও স্থানীয়রা। 

পরে গত রোববার দুপুরে  থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ প্রতারক প্রেমিক নাজির হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এঘটনায় (স্বামী পরিত্যক্তা) সহকারী শিক্ষিকা প্রেমিকা বাদি হয়ে  থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এঘটনায়  থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক প্রেমিককে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।  সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তিনি বলেন, প্রতারক প্রেমিক এর আগেও ২ টি বিয়ে করেছে।

আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




বাংলাদেশ ২ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ রানের জয় পেয়েছে । টাইগাররা এর মধ্য দিয়ে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে। তাওহীদ হৃদয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন এবং ৩ উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের দাপটে পাত্তাই পায়নি সিকান্দার রাজার দল। শেষ দিকে জয়ের আশা জাগালেও ৯ রানে হারে তারা।

রান তাড়ায় মাঠে নেমে ধারাবাহিক বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ৪ উইকেটে ৬৫ রান। মোটামুটি কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকা সফরকারীরা তখন অনেকটাই চাপে।

এক পর্যায়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাড়ায় ৮ উইকেটে ৯১ রান। এরপর আকরাম ও মাসাকাদজা টানা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন লিটন দাস ও তানজিদ তামিম। চতুর্থ ওভারে বাজেভাবে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন। পরের ওভারেই সিকান্দারের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন তানজিদ তামিম। তিনিও বিদায় নেন ২১ রানের ইনিংস খেলে। এরপর জাকের আলী ও হৃদয়ের ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

হৃদয় বোল্ড হন ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। একই ওভারে মুজারাবানি শিকার করেন ৪৪ রান করা জাকেরকেও। শেষ দিকে মাহমুদউল্লা রিয়াদ ও রিশাদের ব্যাটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ গড়ে টাইগার শিবির।


আরও খবর