Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

মেহেরপুরে প্রণোদনার পেঁয়াজ বীজে চাষীদের সর্বনাশ

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৯০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মেহেরপুরঃমেহেরপুরে সরকারি প্রণোদনার পেঁয়াজ আবাদ করে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা।পেঁয়াজ চাষের যাবতীয় খরচ করে পেঁয়াজের গুটির বদলে মিলছে শুধুই শেকড়। পেঁয়াজের ঘাটতির বছরে যা দেশের জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ। অমৌসূমের বীজ জেনেও অদৃশ্য কারণে চাষীদেরকে দিয়ে আবাদ করানো হলো সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যার খেশারত দিতে দিচ্ছে ৫২০ জন চাষীকে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি প্রণোদনার আওতায় পেঁয়াজ আবাদ বৃদ্ধির জন্য চলতি মৌসূমে মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় প্রান্তিক চাষীকে বীজ ও সার সহায়তা দেয় কৃষি অফিস। প্রত্যেক চাষী এক বিঘা করে জমি পেঁয়াজ আবাদ করেন। সরকারি বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি ভারত থেকে আমদানি করে নাসিক রেড এন ৫৩ জাতের পেঁয়াজ বীজ। যা প্রণোদন হিসেবে বিনামূল্যে এইসব প্রান্তিক চাষীর মাঝে বিতরণ করে কৃষি অফিস।

চাষীরা জানান, সরকারি এ বীজে ভরসা করে চাষীরা কেউ বীজ বপণ করেন আবার কেউ চারা তৈরী করে পেঁয়াজ চারা রোপণ করেছিলেন। নভেম্বর মাসে ক্ষেতে পেঁয়াজ চারা রোপণ করলেও আজ পর্যন্ত মিলছে না পেঁয়াজের গুটি। ক্ষেতগুলোতে পুষ্ট পেঁয়াজ গাছ থাকলেও তার গোড়ায় কোন পেঁয়াজ পাচ্ছেন না চাষীরা। গুটি বাঁধবে এ আশায় চাষীরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশকে ব্যয় করে যাচ্ছেন। কিন্তু গাছ তুললে গোড়াতে শুধু শেকড় ছাড়া কোন গুটির দেখা মিলছে না। কৃষি অফিসের কাছ থেকে কোন সদুত্তোর না পেয়ে পেঁয়াজের আশা ছেড়ে দিয়েছেন অনেক কৃষক।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় নাসিক রেড এন ৫৩ পেঁয়াজ বীজ দিয়ে মূলত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদ করা হয়।

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বেশ ভাল ফলন ও দাম পেয়েছেন চাষীরা। গ্রীষ্মকালীন এ জাতটি শীতকালে আবাদ করলে পেঁয়াজের গুটি হবে না এটা জানতেন কৃষি কর্মকর্তারা। কিন্তু উপর মহলের চাপে তারা শীতকালে এ বীজ বিতরণ করেছেন। কোন অদৃশ্য কারণে বড় কর্তারা এ জাতের বীজ আবাদে কৃষকদের বাধ্য করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি কারও কাছ থেকে। ক্ষতিগ্রস্থ চাষী সাহারবাটি গ্রামের তোহিদুল ইসলাম জানান, এক বিঘা পেঁয়াজ আবাদের তার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকার উপরে। পেঁয়াজ তোলার সময় পেরিয়ে গেলেও পেঁয়াজের গুটি বাঁধেনি। এখন ক্ষেত পরিস্কার করতে আরও ‍কিছু টাকা খরচ হবে। কৃষি অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও কোন নির্দেশনা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী চাষীরা। চাষি জুরাইস ইসলামসহ কয়েকজন পেঁয়াজ চাষী, সরকারি বীজ তাই ভাল ফলনের আশায় পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের জানা ছিল না গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ শীতকালে আবাদ করলে তাতে গুটি হবে না। ফলে পুরো আবাদের লোকসানে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছন এসব চাষীরা।

পেঁয়াজ আবাদের সর্বনিম্ন আর্থিক ক্ষতি হিসেবে করলে দেখা যায়, প্রতি বিঘায় যদি ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ হলে ৫২০ জন চাষীর খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা। চলতি মৌসূমে পেঁয়াজের বড় সংকটের বছরে একদিকে যেমনি পেঁয়াজ উৎপাদন কমে গেছে অন্যদিকে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন চাষীরা। যে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে কৃষি অফিসে ভুক্তভোগী চাষীরা বার বার ধর্ণা দিলেও মিলছে কোন কোন আশ্বাস কিংবা প্রতিকার।

কেন অমৌসূমের বীজ জেনেও চাষীদের মাঝে তা বিতরণ করা হল? এমন প্রশ্ন রাখা হয় মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে। তবে তিনি সদুত্তোর না দিয়ে জানান, এ জাতের পেঁয়াজ বীজ দিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ভাল ফলন হয়েছে।


আরও খবর



পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image
ডিএম রাশেদ পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:নওগাঁর পোরশায় ৯০ পিস ভারতীয় ট্যাপেন্টাল ট্যাবলেট ও ৪ লিটার বাংলা চোলাই মদসহ ৫ মাদক সেবনকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটককৃতরা হলেন, পোরশা হাড়িপাড়া গ্রামের মুগোলের ছেলে তাপস প্রামানিক (২৯), দিঘিপাড়া গ্রামের মৃত গোলাফ্ফরের ছেলে মুসা শাহ্(৩০), পোরশা সদরের আহম্মেদ আলীর ছেলে আবু মুসা (৩৫), মহাদেবপুর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত নারায়ন চন্দ্রের ছেলে সাধন চন্দ্র (৩০) ও নিতপুর বড়বাগান এলাকার নাসিরুলের ছেলে রাশিদুল ইসলাম(৩২)।জানা গেছে,  গত শুক্রবার দিবাগত রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১৬ বিজিবি'র নিতপুর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল কুদ্দুস এর নেতৃত্বে একটি টহল দল বিওপি হতে আনুমানিক ৪ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ কোনে এবং সীমান্ত মেইন পিলার ২২৯ থেকে ৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সোহাতি মোড়ে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জন ও গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার শীতলী এলাকা হতে  অপর এক মাদক সেবনকারীকে আটক করেন।নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ১৬ বিজিবি'র নিতপুর ক্যাম্পের সুবেদার মনসেদ আলী জানান, এ ব্যাপারে পোরশা থানায় মামলা হয়েছে এবং আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর



তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল পাচাঁরের খরব পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ২লাখ টাকা মূল্যের ফুছকা, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে ১৫টি অটোরিক্সা বোঝাই করে নিয়েগেছে চোরাকারবারী বুটকুন মিয়া, জাহেদ আলী ও জাহাঙ্গীর মিয়াগং।

অন্যদিকে এই সীমান্তের কড়ইগড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া পৃথক ভাবে ৫টি গরু, ২টি ঘোড়া, ১৫০বস্তা চিনি, ২৭৫ বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করে।

এছাড়াও নয়াছড়া, গারো ছড়া ও রজনী লাইন এলাকা দিয়ে চোরাকারবারী নজরুল মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন, রুসমত আলী, মিলন মিয়া, জম্মত আলীগং প্রায় ২শ মেঃ টন কয়লা পাচাঁর করে অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলে পরিবহন করে পাশে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া শুল্কস্টেশনের কাঠের ব্রিজ ও তার আশে পাশে নিয়ে মজুত করে। একই ভাবে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী, মহিবুর মিয়া ও রুবেল মিয়াগং ঠেলাগাড়ি দিয়ে প্রায় ৫০ মেঃটন চুনাপাথর ও ১শ মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে একই স্থানে মজুত করেছে। অন্যদিকে পাশের লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, শাহিদাবাদ, পুরান লাউড় ও দশঘর এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী

বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং অবাধে কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পাচাঁর করলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একই ভাবে চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ১শ টন কয়লা, ৮০ বস্তা চিনি ও ১২০ বস্তা পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া, নবু মিয়া ও নজির মিয়াগং প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বিভিন্ন বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে একাধিক মামলার আসামী সোর্স ইয়াবা কালাম, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া ও মনির মিয়াগং প্রায় ৪হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে দুধের আউটা, বানিয়াগাঁও, তেলিগাঁও, লাকমা ও জামালপুর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িঘরে মজুত করে রেখেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে চাঁনপুর সীমান্তের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- চোরাকারবারীরা সীমান্তের বারেকটিলার আনন্দপুর এলাকা দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ২০লাখ টাকার ফুছকা পাচাঁর করে অটোরিক্সা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকা লোক নিয়ে আটক করে, চাঁনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিতকে বারবার ফোন করার পরও রিসিভ করেনি। পরে চোরাকারবারীরা জোর করে মালামাল নিয়ে চলে যায়। এরপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারছি ৫০হাজার টাকা দিয়ে বিজিবিকে ম্যানেজ করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। সুনামগঞ্জ জেলার সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন-রাতে চোরাচালানের খবর পেয়ে লাউড়গড় ও চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বারবার জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত বলেন- রাতে আমি ক্যাম্পে ছিলাম, বাহিরে টহল ছিল। চোরাই পথে অবৈধ ভাবে কোন মালামাল পাচাঁরের খবর পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




নাসিরনগরে প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন রোমা আক্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১২৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ-

৮ মে ২০২৪ রোজ বুধবার প্রথম ধাপের ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়।এই নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে প্রথম নারী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রোমা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগনেতা রোমা আক্তার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৮ মে বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।


নাসিরনগরে প্রথমবারের মতো কোনো নারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বাবাও বীর মুক্তিযোদ্ধা লেঃ অবঃ গোলাম নুর ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার (ঘোড়া) প্রতীকে ৩৩ হাজার ৯০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।তিনি কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়ার স্ত্রী।


তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) টানা তিনবারের চেয়ারম্যান বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ওমরাও খান (আনারস) প্রতিকে  পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট। তিনি উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৬৬ জন; ভোট পড়েছে ৩৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



সড়কের শৃংখলা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২১৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসান:সড়কের শৃংখলা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশ।

শুক্রবার ১৭ মে সকালে এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়ারী ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম।

এসময় তিনি ৬৮৪টি লেগুনা গাড়ীতে লুকিং গ্লাস লাগাতে উদ্বুদ্ধ করেন। 

ওয়ারী বিভাগের অধীনে কাপ্তান বাজার, দয়াগঞ্জ, জুরাইন, পোস্তগোলা, লাল মসজিদ, ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি, মুন্সিখোলা, যাত্রাবাড়ী, কাজলা, স্টাফ কোয়াটার, কুতুবখালী এবং দনিয়া এলাকায় লেগুনা স্ট্যান্ড রয়েছে। এই এলাকার চালকদের তিনি সড়কের শৃঙ্খলা বিষয়ে সড়কের সকল আইন তুলে ধরেন। 

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মেগা সিটি ঢাকার যানজটকে সহনীয় পর্যায়ে রেখে এবং নগরবাসীর সড়কে চলাচলকে নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে সকল ট্রাফিক বিভাগ। যানজটকে নিয়ন্ত্রণের জন্য সৃজনশীলতা ও বিভিন্ন কল্যাণমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। 

তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগে জনসংখ্যার ঘনত্ব অধিক হওয়ায় এবং অধিক সংখ্যক যানবাহনের তুলনায় রাস্তাঘাট অপ্রতুল হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে পরিবহনের চালক, হেলপার, যাত্রী এবং সড়কের পথচারীবৃন্দ। 

এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা এবং লেগুনার চলাচল। দুর্ঘটনার কারণ যাচাই করে দেখা যায়, লেগুনার লুকিং গ্লাস না থাকা, অপরিপক্ক চালক দিয়ে লেগুনা চালানো এবং যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা।

এসময় তিনি ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের লেগুনা গুলোকে সড়কে যান চলাচলের উপযোগী করার লক্ষ্যে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের পক্ষ থেকে সকল লেগুনার মালিককে তিন দিন বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়। 

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের সহ উপ পুলিশ কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান, এসি (ট্রাফিক ওয়ারী) জোন কপিল দেব গাইন, এসি (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী) জোন তানজিল আহমেদ এবং এসি (ট্রাফিক ডেমরা) জোন মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস।

     -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সিন্ডিকেটে কমছে ধানের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬২জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অতিরিক্ত টোল বা খাজনা আদায়ের কারনে প্রতি ঘন্টায় কমছে ধানের দাম বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। এক মন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারাদার মাসুদ ও তার লোকজন। পৌর এলাকার তালন্দ হাটে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।জানা গেছে, তানোর পৌরসভা থেকে প্রতি বছর হাটটি নিলাম হয়। এবার নিলামে রাজশাহীর গুড়িপাড়া এলাকার মাসুদ পেয়েছেন। পাওয়ার পর থেকেই সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত খাজনা বা টোল আদায় করে থাকেন। 

সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার তালন্দ হাট বার। হাটে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভ্যানে করে ধান বিক্রি করতে আসেন। প্রতি হাটে প্রচুর পরিমানে ধান কেনা বেচা হয়।মফিজ নামের এক কৃষক বলেন, তালন্দ হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছিলাম বাড়তি দাম পাওয়ার আসায়। কিন্তু গত হাটে একমন ধান প্রকার ভেদে ১২৭০ টাকা থেকে ১২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবারে কমে ১২৪০ টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একমন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনেই ধানের দাম কমে যাচ্ছে।

দুলাল নামের এক কৃষক বলেন এক মন ধান বিক্রি করার জন্য এসেছে। ধাম বেশি পাব বলে দুপুর থেকে প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে বসে ছিলাম। কিন্তু বাড়তি দাম নেই। যতই বেলা ঘনিয়ে আসছে ততই ধানের দাম সিন্ডিকেটের কারনে কমে যাচ্ছে। একমন ধান বিক্রি করেছি ১২৫০ টাকায়। ধানের দাম কমে গেলেও বাজারে নিত্যপন্যের দাম প্রচুর। একমন ধান বিক্রি করে প্রয়োজন মত বাজার করা যায় না। অবাক করার বিষয় সবকিছুর দাম বেশি হলেও ধানের দাম কম। আবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা একমন ধানে খাজনা দিতে হচ্ছে আট টাকা করে।সিদ্দিক নামের আরেক কৃষক জানান, ১২ মন ধান বিক্রি করেছি। একমন ধানের দাম লেগেছে ১১৮০ টাকা। আর কিছুক্ষণ পর এদামও পাওয়া যাবে না।আরেকজন জানান, একমন ধানে আট টাকা তো নিচ্ছেই আবার একটি হাঁসে ২০ টাকা করে খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা আদায় কারী উত্তম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৮ টাকা খাজনা অনেক কম নেয়া হচ্ছে। সরকারি রেটে খাজানা আদায় করলে আরো বেশি হবে। সরকারি তালিকা দেখতে চাইলে তিনি দেখতে পারেননি।

সুত্র জানায়, হাটে খাজনা বা টোল আদায়ের তালিকা সাটাতে হবে। সে অনুযায়ী খাজনা আদায় করতে হবে। কিন্তু কোন নিয়মই মানছেন ইজাদার ও পৌর কর্তৃপক্ষ। বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছে মত টোল বা খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যদি নিয়োমিত মনিটরিং ব্যবস্থা বা অভিযান দিলে এত বেপরোয়া ভাবে খাজনা আদায় করতে পারত না। সবকিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। 
মুল ইজারাদার মাসুদ জানান,  এক মনে আট টাকা খাজনা আদায় অনেক কম হয়েছে। প্রতি হাটে ২০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাহলে এত বেশি টাকায় হাট নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি হাটে নেই সাক্ষাতে কথা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 

পৌর মেয়র ইমরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টাকা আদায় না করলে বেতনভাতা দেয়া হবে কোথাই থেকে। সরকারি তো বেতন দেয় না। পৌরসভার রাজস্ব থেকেই বেতন দিতে হয়। আর সরকারি নিয়মে আদায় হলে বেতন ভাতা হবে না।

আরও খবর