Logo
আজঃ বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মোটর সাইকেলই তাদের জীবিকার একমাত্র উৎস

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৯১জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান,  নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভাটি অঞ্চল নামে খ্যাত গোয়ালনগর ইউনিয়ন। মাছমা ভিটাডুবি রামপুর,নোয়াগাও,কদমতলী,লালুয়ারটুক,সীমের কান্দি ও কদমতলী এ বেশ কয়েকটি গ্রাম নিয়ে গঠিত গোয়াল নগর ইউনিয়ন।


এ ইউনিয়নের লোকজন বর্ষা ছয় মাস নৌকা আর শুকনো মৌসুমে ছয় মাস মোটর সাইকেলে যাতায়াত করে থাকে।সেখানে ভিটাডুবি থেকে রামপুর আর লালুয়ারটুক যাতায়াতের একটি মাত্র কাঁচা রাস্তা রয়েছে।বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যাবার কারনে রাস্তাটি ভগ্নদশা আর খানাকন্দে পরিণত হয়েছে।রাস্তার উপরে তিনটি ব্রীজ থাকলেও সেগুলো এখন অনেক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।


শুকনো মৌসুমে রাস্তাটিতে বিভিন্ন গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোটর সাইকেল।সেই জন্য উক্ত রাস্তাটিতে প্রায় পঞ্চাশ জনেরও অধিক লোক মোটর সাইকেলে যাত্রী বহন করে চলায় তাদের সংসার।মোটর সাইকেল চালকরা জানান,রাস্তাটি ভগ্নদশার কারণে যাত্রীরা দুর্ঘটনার ভয়ে মোটর সাইকেলে যাতায়াত করতে চাচ্ছে না।তাছাড়াও বিভিন্ন জিনিস পত্রের দাম বেড়ে গেছে।যার পলে অনেকেই এখন সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।ভিটাডুবি থেকে থেকে আশানগর পর্যন্ত রাস্তাটি কোন এক সময় হাওড় অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প হিলিপের মাধ্যমে পাঁকা করন করা হলেও বর্তমানে রাস্তাটি দুরাবস্থায় পতিত হয়েছে।


গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক জানান, গোয়ালনগর ইউনিয়নে প্রায় চল্লিশ হাজার লোকের বসবাস।তিনি বলেন শুনেছি এম পি সাহেব বাজার পর্যন্ত আরো প্রায় দুই কিঃমিঃ রাস্তা পাকা করনের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন বলে শুনেছি।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কোন সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে,নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান,প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



সরকারের সংলাপে আপত্তি নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করার বিষয়ে সরকারের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে কার সঙ্গে সংলাপ হবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংলাপে আপত্তি নেই। আমরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই না। গণতন্ত্র সমুন্নত করতে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। সেখানে যদি সংলাপের প্রয়োজন হয়, আমরা সেটা করব। কিন্তু কার সঙ্গে করব, সেটা বিবেচনার বিষয় আছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।


আরও খবর



সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছরঃ ২৪২ কোটি টাকার বাঁধে ভাঙ্গন, চিন্তিত উপকূলবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছরেও আতঙ্ক কাটেনি বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জবাসীর। নির্মানাধীন টেকসই বেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় হতাশা বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বেড়ীবাঁধের একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। প্রায় ৭‘শ মিটার বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হচ্ছে বলেশ্বর নদীতে। 

ঝুকির মধ্যে রয়েছে অন্তত ২০ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ, হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা হওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী। নদী শাসন না করে এবং মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহারে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দাবি এলাকাবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে নদী শাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলা। সরকারি হিসেবে এই দিনে প্রায় ৯‘শ ৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিডরের আঘাতে। আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কয়েকশ কোটি টাকার। স্বজন হারানো বেদনা ও আর্থিক ক্ষতি ভুলে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়ীবাঁধ। 

গণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার ২০১৫ সালে ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি-কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট) নামে একটি প্রকল্পের অধীনে মোরেলগঞ্জ থেকে শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মান শুরু হয়। বেড়ীবাঁধের ৯৫ শতাংশ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে সম্প্রতি ১৮ অক্টোবর বলেশ্বরের ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ বেড়ীবাঁধের গাবতলা নামক স্থানে মূল বাধের নিচে ১০০ফুট এলাকার বেশকিছু সিসি ব্লকও নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এছাড়া শরণখোলা উপজেলার বগী, ও মোরেলগঞ্জের আমতলা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হচ্ছে নদীতে। বাঁধের ব্যাপক এলাকা জুড়ে বিশাল ফাটল ধরেছে। এছাড়াও বেশকয়েকটি স্থান ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা হওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী।

শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক বলেন, বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনে আমার ও পরিবারের প্রায় ১৫০ বিঘা জমি হারিয়েছি। সিডরে স্বজন হারিয়েছি, বাঁধ নির্মান শুরু হলে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। ভাঙ্গন ও দূর্যোগ থেকে মুক্তি পাব। সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রুপ নিয়েছে। টেকসই বেরিবাঁধেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের ভাঙ্গন শুরু হবে। এখন মনে হচ্ছে বিপুল টাকার এই বাঁধ আমাদের কোন কাজে আসবে না।

গাবতলা এলকার আব্দুর রশীদ বলেন, বাঁধ নির্মানের শুরুতেই আমরা নদী শাসনের দাবি করেছিলাম। এজন্য সভা, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিলাম। তারপরও নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মান করেছে সিইআইপি প্রকল্প। এখন বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, ফসলি জমি, গাছপালা, বসত ঘর ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের জামাল জমাদ্দার বাঁধ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ করে বলেন, বেরিবাঁধের দুই পাশে মাটি দিয়ে মাঝখানে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় বালু দেওয়া হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ব্লক সরে গেলে, সব বালু নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তখন কোটি টাকার এই বাঁধ কোন কাজেই আসবে না।

মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নের ফসিয়াতলা এলাকার দেলোয়ার তালুকদার বলেন, প্রতিনিয়তই ভাঙ্গনে ধ্বসে পড়ছে টেকসই বাঁধের ব্লকগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন বন্ধের চেষ্টা করলেও, কোন কাজে আসছে না। নদীতে পানির গভীরতা ৫০ থেকে ৬০ হাতের উপরে। সরকারের কোটি কোটি টাকা জলেই যাচ্ছে।

এদিকে ভাঙ্গনরোধে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে কোন কাজে আসছেনা বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারের প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গেল ১৫ দিনে গাবতলায় ভাঙ্গনরোধে ২০০ মিটার জায়গায় ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তারপরেও ভাঙ্গন রোধ হচ্ছে না। এখানে কংক্রিটের ব্লক ফেলানো জরুরী বলে জানান তিনি।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, সিডরের পরে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড সিআইপি প্রকল্পের দূরদর্শিতার অভাবে নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মানের ফলে আজ বাঁধটি হুমকির মধ্যে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। আমাদের আবারও দাবি খুব শীঘ্রই নদী শাসন করে বাঁধটি টেকসই করতে হবে।

সিইআইপি প্রকল্পের মাঠ প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বেরিবাঁধ নির্মানের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ হস্তান্ত করা হবে। তবে বলেশ্বর নদীর স্রোত তীব্র হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠে থেকে পর্যবেক্ষন করে কাজ করছি। তবে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী শাসন জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ৬২ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের ২০ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ। নদীর গভীরতা ও স্রোত বেশি থাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় নদী শাসনের একটি প্রকল্প প্রস্তাব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে ভাঙ্গনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 


আরও খবর



জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে ড. জান্নাত আরা হেনরীর আয়োজনে দোয়া মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৮জন দেখেছেন

Image
রাকিবুল ইসলাম রাকিব সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা হেনরীর আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার বাদ আসর ড. জান্নাত আরা হেননীর আয়োজনে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, সিরাজগঞ্জ চৌরাস্তা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান দুদু, সিরাজগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন, সাবেক সেচ্ছাসেবক লীগের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক লিটন হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার বিষায়ক সম্পাদক জুয়েল রানা বিজয়, ঢাকা উওর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক আলহাস সরকার, মোতাহার হোসেন যুব পরিষদ এর সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুল, সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষায়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রকি, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের যুগ্ম-সাধারন সাধারন সম্পাদক জিম আহামেদ আকাশ, প্রমূখ, এছাড়াও নেতৃবৃন্দসহ হাজারও মুসল্লীণ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



সারাদেশে টহল দিচ্ছে র‍্যাবের ৪২৮টি দল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক;চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল রক্ষায় র‍্যাবের ৪২৮টি টহল দল মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঢাকাতেই মোতায়েন করা হয়েছে ১৪২টি টহল দল।

বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র‍্যাব ফোর্সের্সের ১৪২টি টহল দলসহ সারাদেশে ৪২৮টি টইল দল মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে র‍্যাবের গোয়েন্দারা ছদ্মবেশে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা দিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট দিয়ে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিচ্ছে র‍্যাব।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১৮৫টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৮টি বাস, ২৬টি ট্রাক, ১৩টি কাভার্ডভ্যান, আটটি মোটরসাইকেল, দুটি প্রাইভেটকার, তিনটি মাইক্রোবাস, তিনটি পিকআপ, তিনটি সিএনজি, দুটি ট্রেন, তিনটি লেগুনা, নছিমন, একটি ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি, একটি পুলিশের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ১৫টি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। স্থাপনার মধ্যে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পাঁচটি, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় একটি, পুলিশ বক্স একটি, কাউন্সিলর অফিস একটি, বিদ্যুৎ অফিস দুটি, বাস কাউন্টার একটি, শোরুম দুটিসহ আরও দুটি স্থাপনা দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়েছে।


আরও খবর



"যুক্তরাষ্ট্রকে সাংবাদিকরা আমাদের ডোমেস্টিক ইস্যুতে ইনভলভ করে"

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রবাসী ও বাঙালি সাংবাদিকরা যুক্তরাষ্ট্রকে জোর করে টেনে আমাদের ডোমেস্টিক ইস্যুতে ইনভলভ করার চেষ্টা করে।শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার’-এ গিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে প্রত্যেকদিনই আমেরিকার একটা বক্তব্য থাকে। এর মূল কারণটা হলো আমাদের প্রবাসী বাঙালিরা। তারা (প্রবাসী সাংবাদিক) তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) ত্যক্ত করে। তারা তাদের জোর করে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইনভলভ করার প্রচেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, ‘তারাই (যুক্তরাষ্ট্র) বলেছে আপনারা টেনে টেনে আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে টেনে নিয়ে যান, আমরা কোনো দলের না। আমরা কোন দলকে সাপোর্ট দেই না, সব দলই আমাদের কাছে সমান।

যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্ধৃত করে ড. মোমেন বলেন, ‘তারপরও এই বাঙালি সাংবাদিকরা জোর করে টেনে আমাদের ডোমেস্টিক ইস্যুতে ইনভলভ করার চেষ্টা করে। এইজন্যে এইটা। এটা দুঃখজনক, এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের লোকের এই আমাদের দেশের ধ্বংস করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার অপজিশন অন্যান্যদের জিজ্ঞেস করি যে দেশটা আমাদের আপনাদের সবার, আজকে আওয়ামী লীগ সরকারে আছে কালকে নাও থাকতে পারে। কিন্তু দেশ তো আপনার।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন বিএনপির উদ্দেশ্যই ছিল জ্বালাও-পোড়াও। তারা হাসপাতালেও আক্রমণ করেছে। সাধারণ মানুষের জানমাল নষ্ট করেছে।

সময় বিএনপিকে উপনিবেশিক আচরণ বাদ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা কমছে, সহিংসতা বন্ধে সব দলকে ইচ্ছা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। আমরা কাউকে নির্বাচনে বাধা দিতে দেব না। সহিংসতা বন্ধে সব দলের ইচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো সংলাপে পিছপা হয়নি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনমুখী দল। আমরা নির্বাচন চাই। আর এই নির্বাচনে যদি কোনো বন্ধু রাষ্ট্র সহায়কের ভূমিকা পালন করে, তাহলে তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাব।


আরও খবর