Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মধুপুরের বহুল আলোচিত অটোচালক হত্যার ৫ আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২৬৩জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের মধুপুরে গোলাবাড়ি ব্রিজের পাশে রাস্তার নিচে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস অটোচালককে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই এর ঘটনার রহস্য উন্মোচনসহ অটোরিকশা উদ্ধার পূর্বক ০৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।

গত (২২ এপ্রিল)২০২৩ ঈদের পরের দিন সকালে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের গোলাবাড়ি ব্রীজের পাশে বেগুন ক্ষেতে জনৈক কিশোরের মৃত দেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।  পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিকটিমের বড় ভাই রবিন ভিকটিমের ছবি দেখে মধুপুর থানায় গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করে।

পরবর্তীতে, ভিকটিমের পিতা মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪১), সাং- রুদ্র বয়রা , পোঃ পোগলদিয়া, থানাঃ সরিষাবাড়ী, জেলা- জামালপুর বাদী হয়ে মধুপুর থানার মামলা নং-২৪, তারিখঃ  ২৩/০৪/২০২৩ ইং, ধারা- ৩০২/৩৯৪/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ দায়ের করেন।

উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির পর থেকে র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ উক্ত ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে  হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিনায়ক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন এর উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল ১৬/০৫/২০২৩ ইং তারিখ ভোর অনুমান পনে ৬টার দিকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানাধীন বয়রা এলাকা থেকে উক্ত মামলার  আসামী ১। মোঃ রকিবুল ইসলাম (১৯), ২। মোঃ আঃ রহিম (২২), ৩। মোঃ ফারুক হোসেন (৩৭), ৪। শফিকুল ইসলাম (৩২), ৫। ফরমান আলী (৪০)’দেরকে গ্রেফতার করে।

 গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ঘটনার দিন গত ২২ এপ্রিল ২০২৩ খ্রি. তারিখ ঈদের দিন বিকাল ৩ টার দিকে আসামী মোঃ রকিবুল ইসলাম সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিয়া থেকে ভিকটিম মনি‘কে জামালপুর সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করে। পথিমধ্যে, আসামী রকিবুল শফিকুল‘কে অটেরিক্সায় উঠায় এবং তারা দুইজন ঘোরাঘুরির জন্য টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর দিকে রওনা করে। পথিমধ্যে চা পান করার বাহানায় উক্ত আসামীদ্বয় আসামী রহিম ও ফারুকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। ইতোমধ্যে উক্ত আসামী রকিবুল ও শফিকুল সময় ক্ষেপন করার জন্য ভিকটিমকে মধুপুরের উদ্দেশ্য যেতে বলে। ইতোমধ্যে আসামী রহিম ও ফারুক মোটরসাইকেল যোগে অটেরিক্সার কাছাকাছি চলে আসে।

পরবর্তীতে, আসামী রকিবুল ভিকটিম ও আসামী শফিকুলকে নামিয়ে দিয়ে অন্য একজন লোককে ওঠানোর জন্য অটোরিক্সা নিয়ে একাই চলে যায়। রকিবুল আসতে দেরি হলে ভিকটিম মনি আসামী শফিকুলকে চাপ দিতে থাকে। ইতোমধ্যে আসামী রহিম ও ফারুক বাইক নিয়ে চলে আসে এবং ভিকটিম মনি আসামী রহিমকে চিনতে পারে এবং ভয় পেয়ে আসামী শফিকুল, রহিম ও ফারুক প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মুখে আঘাত করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর পৌরসভার কাইতকাই এলাকার টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের গোলাবাড়ি ব্রীজের পাশে বেগুন ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে, আসামী রকিবুল ভিকটিমের অটোরিক্সাটি নিয়ে ফরমান সর্দারের নিকট ৪৫,০০০/- হাজার টাকায় বিক্রি করে নিজে ১৮,০০০/- হাজার টাকা রেখে বাকি তিন আসামীকে জনপ্রতি ৭০০০/- টাকা করে দেয় এবং বাকি টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ দেখায়।উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনার না ঘটে সে প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে। 

গ্রেফতারকৃত আসামীকে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে বলে জানা যায়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জীবন সংসার নিয়ে ফিরছেন শামীম হাসান ও তাসনুভা তিশা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৩৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢালিউডে জনপ্রিয় এক সিনেমার ‌নাম ‌‘জীবন সংসার’। জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। এতে অভিনয় করেছেন অমর নায়ক সালমান শাহ। তার সঙ্গে জুটি হয়ে দর্শকের মনে দোলা দিয়েছিলেন ঢালিউড কুইন শাবনূর। ছবিতে আরও আছেন ফারুক-ববিতা জুটি। মিষ্টি প্রেমের গল্প ও গান সমৃদ্ধ সিনেমাটির আবেদন আজও ফুরায়নি।

সেই জীবন সংসার নতুন করে ফিরে এলো নাটকে। একই নামে নাটক নির্মাণ করেছেন জিয়াউদ্দিন আলম। আসছে ঈদের জন্য এই ফিকশনটি বানিয়েছেন তিনি। নামটুকু ছাড়া অবশ্য আর কোনো কিছুতেই মিল নেই দুই জীবন সংসারের মধ্যে। আলমের নাটকের সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সুস্ময় সুমন। এতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন শামীম হাসান সরকার, তাসনুভা তিশা। তাদের সন্তান আয়াজ চরিত্রে অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী তাওহিদুল ইসলাম তাইফ।

জীবন সংসার নাটকে দুইটি গান ব্যাবহার করার হয়েছে, গান দুইটি গেয়েছেন রেজোয়ান শেখ ও ইয়াসমিন লাবন্য , গান দুটি লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রেজোয়ান শেখ।

সুলতান মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নাটকটির প্রযোজনা করেছেন তানভির মাহমুদ। নাটকটি নিয়ে জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, ‘প্রথমে নাটকটির নাম ছিল বৃত্তের ভেতর। কিন্তু একটা সময় মনে হলো এর গল্পটা জীবন সংসার নামের সঙ্গেই বেশি মানাবে। সেজন্য নামটি বদলে ফেলা। এটা খুবই আনন্দের বিষয় যে, সালমান-শাবনূর অভিনীত সিনেমার প্রসঙ্গটি ফিরে এসেছে আমাদের নাটকের মধ্য দিয়ে। আমি

জীবন সংসার সিনেমাটি কয়েকবার হলে গিয়ে দেখেছি। সিনেমার গানগুলোও ছিল দারুণ রোমান্টিক। জাকির হোসেন রাজু ভাইয়ের অনবদ্য একটা সৃষ্টি আমি মনে করি এই সিনেমা।নিজের নাটকের গল্প সম্পর্কে আলম জানান, নাটকের গল্পে দেখা যাবে আসিফ আর মিলির সংসার।

তাদের সন্তান আয়াজ স্কুলে পড়ে। সমস্যা হলো আসিফ ও মিলি তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে এত ব্যস্ত যে, সংসার ও সন্তানকে তারা সময় দিতে পারে না। এসব দায়িত্ব নিয়ে প্রায়ই দুজনের ঝগড়া চলতে থাকে।

মিলি প্রমোশনের আশায় বসের সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়িয়ে পড়ে। সে নিয়ে কলহ চলতে থাকে আসিফের সঙ্গে। হঠাৎ তাদের সন্তান আয়াজ অসুস্থ হওয়ায় সবকিছু বদলে যেতে থাকে। এমনই এক পারিবারিক গল্প নিয়ে জীবন সংসারে হাজির হবেন শামীম ও তিশা।


আরও খবর



মেহেরপুরে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টিতে কৃষি খাতে বিপর্যয়ের অশনি সংকেত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে প্রখর রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠ। অনাবৃষ্টি ও খরার হাত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকের সেচ সুবিধা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাপদাহে ফসলের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। তবে ফলন বিপর্যয় ঠেকাতে কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

মেহেরপুর মূলতঃ কৃষি ভিত্তিক এলাকা। এখানকার মাঠে ধানসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল ও সব্জীর আবাদ রয়েছে। কিন্তু তীব্র গরম সহ রোদের তাপে পুড়ছে বিস্তীর্ণ মাঠের নানা ধরণের ফসল। খরার কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় সেচকাজে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়। অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ কাজে বেড়েছে ব্যয়। স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী সেচ লাগছে জমিতে। কৃষি কাজে শ্রমিকও লাগছে বেশী। গরমের কারণে মাঠে ঠিকভাবে কাজও করতে পারছেন না কৃষকরা। কয়েক দিনের মধ্যে ঘরে উঠবে বোর ধান। এছাড়াও প্রচন্ড দাবদাহে শুকিয়ে ঝরে যাচ্ছে আম ও লিচুর গুটি।

জেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৯ হাজার ৯৭ হেক্টর ধান, ৫ হাজার ৪৪১ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২ হাজার ৩৩৬ হেক্টর আম, ৭১৫ হেক্টর লিচু, ১৬৫ হেক্টর কাঁঠাল ও ৬ হেক্টর জাম বাগান রয়েছে। অপরদিকে পাটসহ অন্যান্য ফসল বপন করা হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে ক্ষেতের ধান শুকিয়ে যাচ্ছে। সেচ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

গাংনীর মানিকদিয়া মাঠের ধানচাষি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রচন্ড গরমে মাঠে কাজ করতে পারছেনা। সকাল ১১ টার পর রোদের তাপ বেড়ে যাচ্ছে। বেশি শ্রমিক লাগছে। ৫ জনের কাজ ১০ জন শ্রমিক দিয়ে করাতে হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পানির লেয়ার। যে ক্ষেতে এক ঘন্টায় সেচ করাজ শেষ হয় ওই জমিতে লাগছে অন্ততঃ তিন ঘন্টা।

এমন তাপদাহ অব্যাহত থাকলে সব ধরনের ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধানচাষি সহড়াবাড়িয়ার শামসুল ইসলাম জানান, তিনি খামারের মাঠে ৬ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আবাদ করছেন। বর্তমানে মাঠে রয়েছে বোরো ধান। প্রতিটি জমিতেই ধানে ফুল রয়েছে। কিছু ধান দুগ্ধ আর কিছু ক্ষীর অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় ক্ষেতে হিটস্ট্রোক দেখা দিতে পারে। বোরো ধান পর্যাপ্ত পানি না পেলে চিটা হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার চার বিঘা জমিতে আম ও লিচু বাগান রয়েছে। আম ও লিচুসহ অন্য ফলে গুটি রয়েছে। তা ঝরে পড়ছে। ফলনেও বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সবজি চাষি সাহারবাটির আকরামুল জানান, বর্তমানে মাঠে বিভিন্ন ধরনের সবজি রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এ সবজিতে এমনিতেই সেচের পানি দিতে হয়। খরচও বেশি।

কিন্তু চলমান তাপদাহে জমিতে সেচ দেয়ার পরও কোন পানি থাকছে না। রাতে সেচ দিলে সকালে পানি শুকিয়ে যায়। আবারো সেচ না দিলে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে সবজি তুলে আড়ত পর্যন্ত নিতে সবজি শুকিয়ে কমে যায়। শ্রমিকও লাগছে বেশি।আম বাগান মালিক কাষ্টদহ গ্রামের শরিফুল জানান, গেল বছর গরমে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবছর সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয়েছিল। কিন্তু দেরিতে মুকুল আসে। এখন আমের গুটি রয়েছে। অনাবৃষ্টি আর গরমে গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে। তার হিসেবে বাগানের ৩০/৩৫ ভাগ গাছের গুটি ঝরে পড়েছে। গুটি ঝরা ঠেকাতে সেচ দিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। এবার অনেক বেশি লোকসান গুনতে হবে।

আম ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম জানান, গেল বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগে আম নষ্ট হয়েছিল। ঝরে পড়ে ছাড়াও পোকার আক্রমণ ছিল। গেল বছরের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে এবার কেনা বাগান বেশি পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু দেরীতে মুকুল আসে। সেগুলো ঠিক রাখতে সেচসহ বিভিন্ন পরিচর্যা করা হয়। কিন্তু চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারনে গাছের সিংহভাগ গুটি ঝরে পড়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে গাছে আর আম থাকবে না। মোটা অংকের লোকসান গুনতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, গেল ৫ দিন ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। আজ ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি, ২১ এপ্রিল দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়াও ২০ এপ্রিল ৪২.৪ ডিগ্রি, ১৯ এপ্রিল ৪১.৫ ডিগ্রি, ১৮ এপ্রিল ৪০.৪ ডিগ্রি, ১৭ এপ্রিল ৪০.৮ ডিগ্রি ও ১৬ এপ্রিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। প্রচ- গরমের সাথে চলছে গরম বাতাস। যা গেল বছরের তুলনায় বেশি। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় হিট অ্যালার্ট জারী করে সাবধানে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় জমিতে পর্যাপ্ত পানি ধরে রাখতে হবে। ধানের শিষে দানা শক্ত না হওয়া পর্যন্ত জমিতে অবশ্যই দুই থেকে তিন ইঞ্চি দাঁড়ানো পানি রাখতে হবে। আমগাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে গাছের শাখা-প্রশাখায় পানি স্প্রে করা যেতে পারে। সবজির জমিতে আগামী এক সপ্তাহে মাটির ধরন বুঝে প্রয়োজন অনুযায়ী দুই থেকে তিনটি সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।


আরও খবর



৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে দেশের ৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য বলা হয়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



নাসিরনগরে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ৩০ মার্চ ২০২৪ রোজ শনিবা বিকেল পাঁচটায় এ ঘটনা ঘটে।নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত আপন বেগম (৩৫) বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর (হাজী বাড়ির) মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে হঠাৎ করে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি শুরুর কিছুক্ষণ পর থেকে  এলাকায় বজ্রপাত সহ বৃষ্টি শুরু হয়।বৃষ্টির মধ্যেই আপন বেগম বাড়ির পাশে ফসলি জমির মাঠ থেকে গরু আনতে যান। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন।স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক আপন বেগমকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত  চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১জন দেখেছেন

Image

ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে । বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এই জামাত শুরু হয়ে শেষ হয়েছে ৭টা ১১ মিনিটে।

ঈদের প্রথম জামাতে ইমাম ছিলেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

এদিন ফজরের নামাজের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


আরও খবর