Logo
আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম
রাফাহতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২২ ফিলিস্তিনি নিহত আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো কোচ মারা গেছেন ইন্দোনেশিয়া ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল টানা ৭২ ঘণ্টা ১৫০ উপজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে আসবে: সংসদে অর্থ প্রতিমন্ত্রী জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন মধুপুরে কৃষকের মাঝে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মে‌শিন বিতরণ ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক উপজেলা নির্বাচনে সৎ যোগ্য প্রার্থীদের জনগন বেছে নেবে: সাকিব আল হাসান এমপি মাগুরায় তীব্র তাপদাহে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি ১শ' কোটি টাকার ক্ষতির আশংকা কৃষকদের

মধুপুরে প্রথম শহীদ মিনার তৈরি করেন জীবন কুমার চৌধুরী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৪৭জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃশহীদ মিনার বাঙালির জাতীয় চেতনা, ভাষা ও সংস্কৃতির চিরন্তন প্রতীক। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে বাংলা ভাষা আন্দোলনে শহীদদের সম্মানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে নির্মিত হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ১৯৬৭ সালে মধুপুর রানী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে মধুপুরের প্রথম শহীদ মিনার তৈরি হয়েছিল মধুপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তি সর্বজন শ্রদ্ধেয় জীবন চৌধুরী সাহেবের সরাসরি তত্ত্বাবধানে। আজ তাঁর স্মৃতি বিজড়িত মধুপুরের প্রথম শহীদ মিনার তৈরির ইতিহাস নিয়ে তাঁর লেখা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।

গৌরব দীপ্ত ইতিহাস মোদের,বাংলা মোদের অহংকার।  বাঙ্গালী চেতনায় গড়েছি মোরা,বেদনার শহীদ মিনার।

১৯৬৫ সাল। আমি তখন রানী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। বাংলা, ইংরেজী সহ অন্যান্য বিষয় পড়ার সংগে তখন ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত ঊর্দূ পড়া আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল। ১৯৬৫ সালেই কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধে জড়িয়ে গেল। যুদ্ধের খবরাখবর জানার জন্য পত্রিকা পড়াই ছিল একমাত্র ভরসা।

আজকালের মত তখন পত্রিকা এত সহজ প্রাপ্য ছিল না। হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা ঢাকা থেকে আসতো তাও আবার একদিন পর- অর্থ্যাৎ ডাকযোগে কয়েকটি ‘‘ইত্তেফাক’’ পত্রিকা মধুপুর আসতো।

মধুপুর ক্লাবের সেক্রেটারীর নামে একটি পত্রিকা নিয়মিত আসতো। আমার প্রয়াত কাকা শ্রদ্ধেয় খগেন্দ্রনাথ চৌধুরী (বৈথুল বাবু) কাবের সেক্রেটারী হওয়ার সুবাদে প্রতিদিন সকালে আমি পোষ্ট অফিসে গিয়ে দীনেশদার (ডাক পিয়ন) কাছ থেকে উৎসাহ ও আগ্রহ ভরে আগে ভাগেই পত্রিকা নিয়ে এসে পড়তাম এবং স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের যুদ্ধের খবরাখবর সহ অন্যান্য সংবাদ জানাতাম।

মূলত তখন থেকেই পূর্ববাংলার তথা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীদের প্রতি পাকিস্তানী জান্তার চরম বৈষম্য মূলক আচরণের কাহিনী জানতে শুরু করলাম। ১৯৬৬ সাল আওয়ামী লীগের ৬ দফা আন্দোলন শুরু হলো। তখনই জানতে পারলাম কিভাবে আমাদের সোনালী আঁশ পাট, চা, চামড়া ইত্যাদি রপ্তানী করে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানের মরুভূমিকে সুজলা সুফলা করা হতো। আমাদের সম্পদ বিক্রি করে কিভাবে বড় বড় শিল্প কারখানা পাকিস্তানে গড়ে উঠেছিল।

কৃষি ও শিক্ষাখাতসহ সকল ক্ষেত্রে আমরা পূর্ব বাংলার বাংগালীরা ছিলাম চরম উপেক্ষিত ও বৈষম্যের শিকার। এইভাবে যখন আমাদের দেশাত্বরোধ ও বাঙালী চেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছিল ঠিক তখন লক্ষ করলাম আমাদের মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় স্থান করে দেয়ার আন্দোলনে যারা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী আত্মাহুতি দিয়ে ছিলেন সেই সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ আরও অনেকে যে গৌরবময় ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন সেই দিনটিকেও আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে পারছিনা।

পাকিস্তানের শাসকরা বাংলা ভাষার অস্তিত্ব মুছে ফেলার নানা ষড়যন্ত্র করছিল। পাকিস্তানী ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে কিভাবে এই গৌরবময় ২১ ফেব্রুয়ারীকে স্মরণীয় ও বরণীয় করা যায় সেই চিন্তা তখন থেকেই শুরু হলো।

১৯৬৭ সাল জানুয়ারী মাস। ৯ম শ্রেণী থেকে প্রমোশন পেয়ে নিউ টেন (১০ম শ্রেণী) এর ছাত্র। স্কুলের মাঠে সহপাঠীরা মিলে ক্রিকেট খেলায় মেতে আছি। ময়মনসিংহ গামী একটি বাসের ছাদে কয়েকটি ছেলে স্লোগান দিয়া যাচ্ছে ‘‘জাগো জাগো বাঙ্গালী জাগো’’ ‘‘আইয়ুব মোনায়েম দুই ভাই, এক রশিতে ফাঁসি চাই।

রাজপথে গুলি কেন? আয়ুব শাহী জবাব চাই’’। খবর নিয়ে জানলাম, ৬ দফা আন্দোলনের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিছিলে পাকিস্তানী পুলিশ বাহিনী গুলি চালিয়ে বহু হতাহত করেছে। ঢাকায় কারফিউ জারী হয়েছে। খেলা শেষে বিজ্ঞান বিভাগের কতিপয় ছাত্রদের নিয়ে মাঠে মিটিং করলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম এবাবের ২১শে ফেব্রুয়ারীকে (শহীদ দিবস) ভিন্ন আংগিকে স্মরণ করে দেশ ও মাতৃভাষার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে, শ্রদ্ধা জানাতে হবে বীর শহীদদের।

শুধু ছাত্র সমাজ নয় আপামর সাধারণ মানুষদের কেউ এই দিনটির তাৎপর্য্য বোঝাতে হবে এবং তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাই স্কুল চত্বরে অতি অবশ্যই একটি শহীদ মিনার গড়তে হবে- যেখানে এসে মানুষ শ্রদ্ধাভরে শহীদদের স্মরণ করতে পারবে।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাকরাইদ কৃষি ফার্ম (বর্তমান বিএডিসি ফার্ম) থেকে ইট সংগ্রহ করে আনা হল, নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করা হলো। স্কুল গৃহের মাধবী লতা ফুল গাছের পাশের স্থানটি শহীদ মিনার তৈরীর জন্য নির্বাচন করা হলো।

কিন্তু মিনারের ডিজাইন বা স্থাপত্য কৌশল আমাদের কারও জানা ছিল না। তৎকালীন সময়ে থানা পর্যায়ে কোন হাইস্কুলে তখনও শহীদ মিনার গড়ে উঠে নাই, তাই ডিজাইন সংগ্রহ করতে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইল।

আমাদের সহপাঠী আঃ হালিম (বর্তমানে শহীদ স্মৃতি স্কুলের বিজ্ঞানের শিক্ষক) জানালেন তার মামা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তাই আঃ হালিমের সংগে আরও কয়েকজনকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়ে শহীদ মিনারের মডেল আঁকিয়ে আনিয়ে সেই আদলে তৈরি করা হলো মধুপুর রানী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনারটি।

১৯৬৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ভোর বেলায় প্রভাত ফেরী শেষে নব নির্মিত শহীদ মিনারে নগ্নপদে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো হলো। তখন থেকে আজ অবধি ভাষা আন্দোলনের শহীদ স্মরণে আমজনতা এখানেই সমবেত হয়ে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে।

আমার জানামতে তৎসময়ে ময়মনসিংহ জেলার, টাংগাইল মহকুমার মধুপুর থানার রানী ভবানী স্কুলে নির্মিত শহীদ মিনারটিই স্কুল লেভেলে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার।

স্বৈরাচার আইয়ুব-মোনায়েম খার শাসন আমলে স্কুল ছাত্রদের দ্বারা শহীদ মিনার নির্মাণ এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে ভাষা দিবস পালনকে তখনকার স্থানীয় প্রশাসন ভাল ভাবে দেখেননি। প্রশাসন থেকে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হলে রানী ভবানী স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবু মহেন্দ্র লাল বর্ম্মন অত্যন্ত সাহসের সাথে বিচক্ষনতার পরিচয় দিয়ে কৌশলী ভূমিকা অবলম্বন করে তৎকালীন সার্কেল অফিসার জনাব আবু তাহের সরকার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব আলম সাহেবকে বুঝিয়ে বিষয়টি মোকাবেলা করেছিলেন।

অর্ধ শতাব্দীর পুরানো শহীদ মিনারটির বর্তমান অবস্থা দেখলে অনেক কষ্ট হয়।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে নজর রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন,মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্থার দিকে দৃষ্টি রাখতে ও সংকট দীর্ঘমেয়াদী হলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তার প্রস্তুতি নিতে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) প্রধাননমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় সম্ভাব্য রি-অ্যাকশন কী হতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এখন থেকে সে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কনফ্লিক্ট যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় সেটি কীভাবে আমরা মোকাবিলা করব, সেগুলো মোকাবিলার জন্য আমরা কী করতে পারি সেগুলোর প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‌উত্তেজনা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট (প্রভাব) পড়তে পারে সেটি যেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ এবং তা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে বলেছেন যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়। ক্রাইসিস তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, তখন কী করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে বলেছেন।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বা কেন বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, তা মন্ত্রিসভাকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই আইনের আওতায় একটা আলাদা কর্তৃপক্ষ হবে।

একটি ১৭ সদস্যের গভর্নিং বোর্ড থাকবে, সেখানে চেয়াপারসন থাকবেন প্রধানমন্ত্রী। মূল কাজ হবে মাস্টারপ্ল্যান করা। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাজার উন্নত করা। এর আওতায় জমির পরিমাণ ৫৫ হাজার ৯৬৮ একর জমি। ঐ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ করে করা হবে। যার প্রধান কার্যালয় হবে কক্সবাজার।

অন্যদিকে আগের মতোই সুপ্রিম কোর্টের প্রাধান ও অন্য বিচারপতিরা যেভাবে বেতন-ভাতা ও সুযোগ সুবিধা পান সিইসি ও ইসিরা তাই পাবেন- এমন বিধান রেখে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৪’ এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।


আরও খবর



সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা আমাদের নাবিকদের ওপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেনি। কিন্তু বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘী চত্বরে ‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

‘দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হয়ত মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নেই। ওনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নেই বলছেন। মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে। দেখুন, এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে এবং হচ্ছে। মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদযাপন করছে।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যু কর্তৃক হাইজ্যাক হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে। খুব সহসা আপনারা সুখবর শুনতে পাবেন। আমি শুধু এটুকুই বলি, নাবিকরা খুব সহসাই মুক্তি লাভ করবে ইনশাআল্লাহ। আমরা জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ইতোমধ্যেই সাধিত হয়েছে।

এর আগে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন এবং আমরাও বলি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আজকে ঈদ উৎসবকে উপলক্ষ করে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই সামিল হয়েছে। অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব যে সবার সেটি আসলে বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে এই উৎসবের মাধ্যমে।

এ সময় চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি জহরলাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ ও কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে,বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সুপ্রীম কোর্ট জাজেজ লাউঞ্জে পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এই রাবি অধ্যাপক।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে সুপ্রীম কোর্টের বিচারক, পিএসসির চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দসহ রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পাঁচ বছরের জন্য অধ্যাপক প্রদীপ কুমারকে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে পিএসসির সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন বলে গত ১৯ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

এতে বলা হয়, সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ার মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত তিনি পিএসসির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০১৫-২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ১৯৮৯ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৯১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও ১৯৯৫ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে তিনি প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

এরপর ২০০৩ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। অধ্যাপক প্রদীপ পাণ্ডে ২০০৬ সালে নরওয়ে সরকারের বৃত্তির আওতায় অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ে সামার কোর্সে অংশ নেন।

২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্নালিজম স্টাডিজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি রাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি), ইউনিসেফ, ইউএনডিপি, এশিয়া ফাউন্ডেশন, আর্টিকেল নাইনটিনের রিসোর্স পারসন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন জার্নালে তার অর্ধশতাধিক প্রকাশনা রয়েছে।


আরও খবর



১৭ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের উপজেলা ভোট নিয়ে ইসির বৈঠক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আগামী ১৭ এপ্রিল ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী বুধবার (১৭ এপ্রিল) কমিশনের ৩১তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করবেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় কমিশন সভাটি অনুষ্ঠিত হবে।

সভার আলোচ্য সূচিতে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের তফসিলের বিষয়টি রাখা হয়েছে। বৈঠকে কমিশন যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

এর আগে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করে ইসি।


আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ  রিপোর্টার:বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির মিলাদ মাহফিল ছিল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল)। এদিন বিকেল ৫টায় মিলাদ-মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সাংবাদিক  নিশ্চিত করেছেন।

মিলাদ-মাহফিলটির আয়োজক ছিলেন মিশা-ডিপজল প্যানেল। কে বা কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন মিশা সওদাগর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত।

উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন খল অভিনেতা শিবা শানু। জানা গেছে, দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিথুন আল মামুন শিল্পী সমিতির অফিসে নির্বাচনে বিজয়ী শিল্পীদের সাক্ষাৎকার নিতে যান। সেখানে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান খল অভিনেতা শিবা শানু। এক পর্যায়ে মিথুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন তিনি।

সাংবাদিকরা আরও জানান, পরবর্তীতে উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে আলেকজান্ডার বো ও জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে ফাইটাররা সকল সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন। তাদের আতর্কিত হামলায় আহত হয়ে খবরের কাগজের ক্যামেরাপার্সন বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া চ্যানেল২৪, নিউজ হান্ট, বাংলাভিশনসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমের ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।

আরও খবর