
বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মধুপুরে পবিত্র মাহে রমজানকে পুঁজি করে বিভিন্ন হাটবাজারে মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজি সহ প্রায় সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের দাম লাগামহীন ভাবে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে।বিভিন্ন মুসলিম দেশে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়।
যাতে খুব সহজেই সব শ্রেণীর মানুষ নামমাত্র মুল্যে ক্রয় করে রোজা রাখতে পারে। অন্যদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পবিত্র রমজানকে পুঁজি করে প্রায় সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পবিত্র মাহে রমজানের আগে ১কেজি দেশী পুটিমাছের দাম ছিলো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বর্তমানে সেই পুটিমাছ বিক্রি হচ্ছে ৪শো থেকে ৫শো টাকা পর্ষন্ত।
সব ধরনের সবজির দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। মাহে রমজানের আগে প্রতি কেজি পিঁয়াজের মুল্য ছিলো-২৫ টাকা, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা।এ ভাবে প্রতিনিয়ত সব ধরনের পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে।
রমজানের আগে ১সের গরুর দুধের দাম ছিলো ৮০টাকা বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকা।বাজার থেকে গরুর দুধ কিনে নেওয়ার পর অনেকেই অভিযোগ করেছেন, গরুর দুধের সাথে পানি মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
কুড়ালিয়া গ্রামের ৮০বছরের বৃদ্ধা মজিবর রহমান বলেন, ৯০ দশকের দিকে মাসে ২/৩ বার গরুর দুধে পানি মেশানো হয়েছে কিনা তা পরিক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজন ইন্সপেক্টর এসে দুধে পানি আছে কিনা তা পরিক্ষা করতেন এবং দুধে পানি মিশানো পাওয়া গেলে তা মাটিতে ফেলে দিতেন।
বর্তমান সময়ে সেই দৃশ্য এখন আর চোখে পড়েনা, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু দুধ বিক্রেতা ২ কেজি দুধে আধা কেজি পানি মিশিয়ে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন।
আবার কিছু কিছু বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একই খাদ্যদ্রব্য বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হচ্ছে, যে যাঁর মতো মুল্য হাঁকিয়ে নিচ্ছেন। মধুপুর দৈনিক ও সাপ্তাহিক বাজার ঘুরে কোন দোকানে মুল্য তালিকা চোখে পড়েনি।
মুল্য বৃদ্ধির কারণে দিনমজুর ও সাধারণ মানুষের শত ইচ্ছে থাকা সত্বেও ইফতার ও সেহরির সময় ভালো কোনো খাবার সপরিবারে খেতে পাচ্ছেনা।বিশিষ্টজনেরা বলছেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিটি বাজারে অভিযান চালিয়ে বাজার মুল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে তা-না হলে পুরো রমজান মাস জুড়ে সাধারণ মানুষের হাহাকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যাবে।
-খবর প্রতিদিন/ সি.বা