বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:প্রায় ৫ মাস আগে দিনদুপুরে চুরি যাওয়া গর্ভবতী কালো রঙের একটি গরু রাতের আঁধারে বাছুরসহ ফেরত দিয়ে গেছে চোর। এমন অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের মহন গ্রামে। গরুর মালিক ওই গ্রামের মৃত মসলিম উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান আলী। তিনি নরসিংদী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে চাকরি করেন।
রোববার (১২ মার্চ) ভোরে বাড়ির পেছনে একটি গাছে কালো রঙের ওই গাভী ও তার দুই মাস বয়সি বাছুর বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন চোরের মনে সুমতি আসায় বা রহস্যজনক কোনো কারণে চোর গরু ও বাছুর ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ মাস আগে শুক্রবার জুমা নামাজের আগে অথবা পরে বাড়ির পাশে বেঁধে রাখা ক্রস জাতের মোটাতাজা গরুটি চুরি হয়ে যায়। চুরি হওয়ার সময় গাভীটি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিল। প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ওই গরু হারিয়ে পরিবারটি বেশ বেকায়দায় ও চিন্তিত হয়ে পড়ে।
স্বজনরা মিলে বাজার ও গ্রামে গ্রামে খোঁজ করেন। অনেক দিন খোঁজ করে এবং অর্থ ব্যয় করে চেষ্টা বন্ধ করা হয়। ৫ মাস পর গরু ফিরে পাওয়ার এমন অলৌকিক ঘটনায় ওই পরিবার এবং আশপাশের লোকজন অবাক। আশে পাশের উৎসক লোকজন গাভী ও বাছুর দেখতে আসছেন। তবে গরুটির স্বাস্থ আগের মত নেই। যত্নের অভাবে অনেকটা শুকিয়ে গেছে। গরু ফিরে পাওয়ার এ খবর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরো একটি মেগা প্রকল্প শিবপুর রাধিকা সড়কের দুইটি অংশের মধ্যে রাধিকা অংশের পিচ ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোঃ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি রিপন মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র নাসির উদ্দিন, ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি এডভোকেট সুজিত কুমার দেব ও কাজী ইয়াবের হাসান জামিল।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, আওয়ামী লীগ নেতা নিয়াজুল হক কাজল, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক কবির আহমেদ, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান, উপপ্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, ইউপি চেয়ারম্যান আল ইমরান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সাঈদ, যুগ্ন আহবায়ক নাছির উল্লাহ্ সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের আরো বহু নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফরের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সফল সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা
রাষ্ট্রপতি তার লেখা বই ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জাহাজ দুর্ঘটনায় টাইটানিক নামের যে বিলাসবহুল জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে গিয়েছিল এই প্রথম তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া গেছে। এসব ছবি আটলান্টিকের তিন হাজার ৮০০ মিটার (১২ হাজার ৫০০ ফুট) নিচে ডুবে থাকা জাহাজটির ধ্বংসাবশেষের প্রথম ডিজিটাল স্ক্যান যা ‘গভীর সমুদ্র ম্যাপিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
এর ফলে পুরো টাইটানিকের ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি অর্থাৎ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা! এই তিন মাত্রার দৃশ্য পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আটলান্টিক থেকে সব পানি সরিয়ে যেন সমুদ্রের তলদেশে পরিত্যক্ত বিশাল আকারের এই জাহাজটির দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে।
ছবিতে টাইটানিকের খুঁটিনাটি জিনিসও দেখা যাচ্ছে
আশা করা হচ্ছে, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিতে কী ঘটেছিল এসব দৃশ্য থেকে সে সম্পর্কে নতুন কিছু জানা যাবে। জাহাজটি তার উদ্বোধনী যাত্রায় সমুদ্রে ভাসমান বিশালাকৃতির বরফ বা আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর ডুবে গিয়েছিল। এ দুর্ঘটনায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। টাইটানিক যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যাচ্ছিল।
টাইটানিক বিশেষজ্ঞ পার্কস স্টিফেনসন বলেন, ‘জাহাজটির বিষয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আছে, মৌলিক কিছু প্রশ্ন। যেসবের উত্তর জানা প্রয়োজন। টাইটানিকের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনার ওপর ভিত্তি করে কোনো গবেষণা নয়, বরং তথ্যপ্রমাণ ভিত্তিক গবেষণাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই মডেল বড় ধরনের প্রথম কোনো পদক্ষেপ।’
শতাধিক বছর ধরে পানির নিচে পড়ে থাকার পরেও টাইটানিকের সামনের অংশ দেখলেই চেনা যায়
সমুদ্রের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের প্রথম সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে। এরপর থেকে জাহাজটি নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। কিন্তু এটি এতো বিশাল ও সমুদ্রের গভীরে এতো অন্ধকার যে ক্যামেরা দিয়ে এতদিন এর যেসব ছবি তোলা হয়েছে সেগুলোর সবই ছিল এই ক্ষয়িষ্ণু জাহাজের কিছু অংশের ছবি বা স্ন্যাপশট। তবে কখনোই ডুবে যাওয়া পুরো জাহাজের ছবি পাওয়া যায়নি। এখন এই নতুন অনুসন্ধানে সমগ্র টাইটানিকের ছবি পাওয়া গেল।
সমুদ্রের তলায় যেভাবে পড়ে আছে
দেখা যাচ্ছে, সমুদ্রের তলায় জাহাজটি দুটো অংশে ভাগ হয়ে পড়ে আছে। জাহাজের অগ্রভাগ যেখান থেকে বাঁকা হতে শুরু করে ওই অংশ এবং জাহাজের পশ্চাদভাগ। এই দুটো অংশের মধ্যে দূরত্ব ৮০০ মিটার (দুই হাজার ৬০০ ফুট)। ভেঙে যাওয়া জাহাজটির আশপাশে প্রচুর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।
২০২২ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাগেলান লিমিটেড নামে একটি ডিপ-সি ম্যাপিং কোম্পানি এবং আটলান্টিক প্রোডাকশন্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান যারা এ বিষয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করছে তারা যৌথভাবে এসব ছবি তুলেছে।
নিমজ্জনযোগ্য একটি বিশেষ জাহাজে করে একদল কর্মী এই জরিপ পরিচালনা করেছে যা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ মিলিয়ে পুরো টাইটানিকে ছবি তুলতে তারা ২০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যয় করেছে।
নিমজ্জিত জাহাজের প্রত্যেকটি কোণ থেকে তারা সাত লাখেরও বেশি ছবি তুলেছে যেগুলোর সাহায্যে পুরো টাইটানিকের একটি ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি তৈরি করা হয়েছে।
জাহাজের পেছনের অংশ
এই অভিযানের পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাগেলান লিমিটেডের গেরহার্ড সেফার্ট। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত পানির নিচে ছবি তোলার যতো প্রকল্প তিনি পরিচালনা করেছেন তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়।
তিনি আরও বলেন, ‘গভীরতা প্রায় চার হাজার মিটার। আমাদের সামনে ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। একইসঙ্গে সেখানে পানির স্রোতও আছে। আমাদের কোনো কিছু স্পর্শ করার অনুমতি ছিল না, যাতে জাহাজের ধ্বংসাবশেষের আরও ক্ষতি না হয়। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আপনাকে প্রত্যেক বর্গসেন্টিমিটারের ম্যাপিং করতে হবে। এমনকি জাহাজের যেসব অংশ আগ্রহ-উদ্দীপক নয় সেগুলোরও। যেমন যেখানে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেখানকার মাটির ছবি। কারণ জাহাজের বিভিন্ন অংশকে জোড়া দেওয়ার জন্য এগুলোও ছবি প্রয়োজন।
টাইটানিকের যা কিছু দেখা যাচ্ছে
ছবিতে টাইটানিকের বিশালত্বের পাশাপাশি এই জাহাজের একটি প্রপেলারের সিরিয়াল নম্বরের মতো ছোটখাটো বিষয়ও ধরা পড়েছে। জাহাজটির সম্মুখভাগে মরিচা ধরে ঢাকা পড়ে গেছে। তার পরেও শতাধিক বছর আগে ডুবে যাওয়া এই জাহাজটিকে চেনা যায়। এর ওপরেই রয়েছে জাহাজের ডেক যেখানে একটি গর্ত রয়েছে। সেখান থেকে একটা শূন্যতা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে একসময় ছিল জাহাজের বিশাল সিঁড়ি।
আর জাহাজের পশ্চাদভাগে বিভিন্ন ধাতব পদার্থের জঞ্জাল। জাহাজের এই অংশটি সমুদ্রের তলদেশে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে। টাইটানিকের আশপাশে বিভিন্ন জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এসবের মধ্যে রয়েছে জাহাজ থেকে খসে পড়া অলঙ্কৃত ধাতব বস্তু, মূর্তি এবং মুখ খোলা হয়নি এরকম শ্যাম্পেনের বোতল। সেখানে ব্যক্তিগত জিনিসপত্রও রয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সমুদ্রের তলানির ওপর অসংখ্য জুতা পড়ে আছে।
পার্কস স্টিফেনসন, যিনি বহুবছর ধরে টাইটানিকের ওপর গবেষণা করছেন। তিনি বলছেন, ‘এসব ছবি প্রথমবার দেখে তিনি ‘বিস্মিত’ হয়েছিলেন। আপনি জাহাজের এমন ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাচ্ছেন যা কখনও দেখা সম্ভব হয়নি। এবং আপনি ডুবন্ত পুরো জাহাজটিকে দেখতে পাচ্ছেন। আশপাশের পরিবেশসহ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি এটাকে দেখতে পাচ্ছেন। আপনি যা দেখতে পাচ্ছেন এটাই এখন এই জাহাজের সত্যিকারের অবস্থা।
তিনি বলেন, ‘এসব ছবি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলে ১৯১২ সালের ওই ভয়াবহ রাত্রিতে টাইটানিকের ক্ষেত্রে মূলতই কী ঘটেছিল ওই বিষয়ে নতুন কিছু ধারণা পাওয়া যেতে পারে। আইসবার্গের সঙ্গে কেমন করে সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বিষয়ে মূলত আমাদের ধারণা নেই। আমরা এও জানি না, সিনেমাতে যেমন দেখানো হয়েছে সেরকম করে জাহাজের সামনের একপাশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল কী না। জাহাজের পেছনের অংশ গবেষণা করলে টাইটানিক কিভাবে সমুদ্রের তলদেশে আঘাত হেনেছিল সে বিষয়েও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।’
সমুদ্রের তলায় পড়ে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, পেছনের অংশ
সমুদ্রের পানিতে ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে। পানিতে থাকা অণুজীব বা জীবাণু ক্রমশই এটিকে খেয়ে ফেলছে। এ ছাড়া এর বিভিন্ন অংশ ক্রমশই আলাদা হয়ে খসে পড়ছে।
সমুদ্রে এ রকম একটি দুর্ঘটনার কারণ বুঝতে সময় যে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে ইতিহাসবিদরা এ বিষয়েও সচেতন। কিন্তু এখন যেসব ছবি পাওয়া গেল, সেখান থেকে জাহাজের খুঁটিনাটি বিষয়ও বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। আশা করা হচ্ছে যে এখন হয়তো টাইটানিকের আরও অনেক গোপন বিষয় বের হয়ে আসবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি: ফুলবাড়ী পৌর শাখা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় সম্মতিক্রমে পৌর কাউন্সিলর হারান দত্ত সভাপতি ও উজ্জ্বল গুপ্ত সাধারণ সম্পাদক পাপ সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছেন। রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ীতে শ্রী শ্রী শিব মন্দির চত্বরে আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক আনন্দ কুমার গুপ্ত।সাংবাদিক প্লাবন শুভ’র সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য সহকারী অধ্যাপক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অনিল চন্দ্র সরকার, সহকারী অধ্যাপক ধীরেন চন্দ্র সরকার, পৌর কাউন্সিলর হারান দত্ত ও শিক্ষক ব্রজেন্দ্র নাথ রায়। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জিতেন্দ্র নাথ বর্মন, উজ্জ্বল কুমার গুপ্ত, পলাশ মহন্ত, সুরজিত সরকার, কৌশিক গোস্মামী, মিঠু চন্দ্র সরকার, রাজেশ গুপ্ত, বিবেক প্রসাদ স্বর্ণকার, অন্তর কুমার প্রমুখ শেষে সর্বসম্মতিক্রমে পৌর কাউন্সিলর হারান দত্তকে সভাপতি, উজ্জ্বল কুমার গুপ্তকে সাধারণ সম্পাদক, পাপন সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও পলাশ সরকারকে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফুলবাড়ী পৌর শাখা কমিটি গঠন করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম রতন গাইবান্ধা সংবাদদাতা:গাইবান্ধায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে নেপিয়ার (পাকচং-১) জাতের ঘাস। কৃষকরা ধানের খড়ের বিকল্প হিসেবে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিকর গো-খাদ্য হিসেবে এ ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়েছে। অনেকে আবার বাণিজ্যিক ভাবে এ ঘাস চাষে সফল হয়েছেন।জেলা প্রাণিসম্পদক বিভাগ থেকে চাষিদেরকে এ ঘাস চাষে উদ্বৃদ্ধ করতে প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হচ্ছে বলে জানাযায়।সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,এ উপজেলায় গরু-ছাগলের খাদ্য হিসেবে দেশী ঘাস ও ধানের খর গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যাবহার করা হতো।
বর্তমানে প্রত্যেক কৃষকের বাড়িতে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য গবাদিপশু ব্যাপকভাবে পালন করা হচ্ছে।গরুর খাদ্য হিসেবে ভুষি খুদ, ভুট্টা ও দানাদার খাদ্যের দাম ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা নেপিয়ার ঘাষ চাষের উপর ঝুকে পরেছে।অনেক কৃষক জমিতে ধান চাষের পরিবর্তে ঘাস চাষ করছেন।খামারী পৌর শহরের উদয়সাগর গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে সাহারুল ইসলাম জানান তিনি ১ একর জমিতে এই ঘাস চাষ করেছেন তেল, সার,বীজ ও মজুরী দিয়ে ধান চাষ করে লোকসান গুনতে হয়।একই জমিতে ধানের পরিবর্তে ঘাস চাষ করে সে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সুলতানপুর পাড়া গ্রামের কেরামত মুন্সি ছেলে নুরুল ইসলাম বলেন এই ঘাস চাস করে তিনি এক দিকে যেমন পশু খাদ্যের চাহিদা মেটাচ্ছেন অন্যদিকে বানিজ্যিক ভাবে তিনি লাভবান হচ্ছেন।বরিশাল ইউনিয়নের নয়া বাজার এলাকার কৃষক স্বপন চন্দ্র বলেন এই ঘাস চাষ অত্যান্ত লাভজনক হওয়ায় অনেকেই এই ঘাস চাষে ঝুকে পরেছেন।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকার ডেইরী ফার্ম চাষিদেরকে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ নেপিয়ার ঘাস (পাকচং-১) চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে ও খামারীরা জানান।এতে কৃষকরা বেশি পরিমাণে এ ঘাস চাষ করছেন। কাটিংয়ের মাধ্যমে এ ঘাস জমিতে লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ঘাস কাটা শুরু হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. আলতাফ হোসেন বলেন দানাদার খাদ্যের তুলনায় এই ঘাসের দাম কম হওয়ায় খামারীরা এই ঘাস চাষ করছেন।এই ঘাস শুধু পলাশবাড়ী উপজেলায় নয় গোটা গাইবান্ধা জেলায় বানিজ্যিক ভাবে সরবরাহ করছে উপজেলার খামারি ও কৃষকরা।গবাদিপশু প্রজননের ক্ষেত্রে কাচা ঘাসের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ঘাস চাষের জন্য স্বল্প পরিমান সার ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডা: মাসুদার রহমান বলেন গোটা গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাষ চাষ হচ্ছে পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর উপজেলায়।গবাদী পশুর অন্যান্য খাদ্যের তুলনায় কাচা ঘাষ স্বাস্থ্য সম্মত।খামারী ও কৃষকরা নিজেদের পশু খাদ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এই ঘাষ বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ করছেন।