Logo
আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মধুপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)  সকাল ১১ টার দিকে  উপজেলা পরিষদ হলরুমে টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. শরফুদ্দিন ।  

এসময উপস্হিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন, মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা শিরিন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনি সংকর রায় প্রমুখ।

উক্ত মতবিনিময় সভায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাগণদের সুষ্ঠু অবাদ ও  নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য দিক নির্দেশনা মুলক পরামর্শ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি  সঞ্চালনা করেন উপজেলা শিক্ষা একাডেমিক অফিসার মহি উদ্দিন আলমগীর। 

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোপ গ্রহন চলছে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

মুক্তার হোসেন,গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোপ গ্রহন চলছে।তবে ভোটারদেও উপস্থিতি কম। উপজেলার মহিশালবাড়ী.সারাংপুর মাটিকাটাসহ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুওে দেখা যায় ভোটাররা কেন্দ্র আসছে ধীরগতিতে। কয়েকজন প্রার্থী অটো বাইকে ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্র নিয়ে আসছে।সকাল সাড়ে ৮টার িিদকে পৌরসভার আয়েশা সাবের মাদ্রাসায় ভোট কেন্দ্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম(কাপ পিরিচ) ও রবিউল আলম(আনারস) প্রতীকে প্রদান করেন।উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রতিদ্বতা করছে।



আরও খবর



ফকিরহাটে বোর ধানের বাম্পার ফলন কৃষক ঘরে তুলছে সোনালী ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৫৯জন দেখেছেন

Image

ফকিরহাট(বাগেরহাট)সংবাদদাতা:বাগেরহাটের ফকিরহাটে চলতি বোর মৌশুমে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষে করে বাম্পার ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি চাষি। অতিমাত্রায় দাবদাহ উপক্ষা করে মাঠ থেকে ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। দৈনিক ৮শ’ থেকে ১হাজার টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছে কৃষাণ। শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে কৃষককে সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ মৌশুমে ৮হাজার ৪শ’৭১হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি প্রায় ৭টন ধান উৎপাদন হয়েছে। ইতমধ্যে ৭৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

অঞ্জন ব্যানার্জী, ফিরুজা বেগম, রাজ্জাক শেখসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৈরি আবহাওয়ায় হিটইনজুরিসহ ব্লাষ্ট, মাজরা ও কারেন্ট পোঁকার আক্রমন প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের পরার্মশ্যে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। সময় মত ব্যবস্থা নেওয়ায় ধানে চিটা হয়েছে অনেক কম তাই ফলন হয়েছে অনেক ভালো।

বেতাগার উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা প্রদিপ জানান, শ্রমিকের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ইউনিয়নের প্রায় ৮০ভাগ জমির ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাটা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈরি আবহাওয়া মোকাবেলায় আমাদের পরার্মশ্য ও কৃষকের প্ররিশ্রম সার্থক হয়েছে। কোন ধরনের ক্ষয় ক্ষতি ছাড়াই বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের ধান ঘরে তুলতে উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান কাটতে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পৃথক পৃথক গ্রুপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের সকল ধান কাটা হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ছাত‌কে জমেছে ভোটের লড়াই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ১০জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:ছাত‌কে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে মাঠের লড়াই জমজমাট হয়ে উঠছে। এ উপজেলা পরিষদের সিংহাসনে বসতে ৫ প্রার্থী মাঠে থাকলেও ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন ৪ জন। উপজেলার ভোটারা বলছেন, এবারের নির্বাচন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করাটা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে উপজেলায় ত্রিমুখী লড়াই হবে। এখানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। যে যার মতো নির্বাচনী মাঠ নিজের দখলে রাখার চেষ্টা করছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের ৫ নেতার ম‌ধ্যে প্রবাসী ৪ জন। আওয়ামী লীগের মধ্যে ৫ জন প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মী সহ ভোটাররা দ্বিধা-দ্বন্দে পড়েছেন। অপরদিকে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা সরাসরি মাঠে না নামলেও তলে তলে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে গোপ‌নে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশ একাট্টা হয়ে মাঠে সরব রয়েছেন। তাদের টার্গেট ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যান এবং ভোট দেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি এখন আওয়ামীলীগ। আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা প্রবাসী আওলাদ আলীর পক্ষে প্রকাশ্যেই মাঠে কাজ করছেন। তার পক্ষে জোয়ার উঠেছে, তিনি অনেক ভোটে বিজয়ী হবেন ব‌লে ভোটারদের অ‌ভিমত। জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা নিরুত্তাপ থাকলেও বর্তমানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় নির্বাচনী উত্তাপ বইছে। জাপা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা চায়ের দোকানে, বাজারে বসে সময় পার করছেন এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। ভোটারদের নিরুৎসাহ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে তারা উপজেলা সদরে লিফলেট বিতরণ করছেন। শ্রমিক শাহজাহান নামে একজন জানান, ছাত‌কে উপজেলায় বিএনপি ভোট ব্যাংক হিসাবে দ‌ক্ষিন ছাতক পরিচিত। উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৫ প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির ভোটারা কেন্দ্রে গেলে বিএনপি সমর্থন আওলাদ আলী রেজা (আনারস মাকা) বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।  আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়া ও উপ‌জেলা যুবলীগ ‌নেতা সায়াদুর রহমান ছা‌য়েদ জানান, এবার নির্বাচনে নেতার জনপ্রিয়তা যাচাই করে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন ভোটাররা। তিনি বলেন, সবার প্রিয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা (আনারস) এগিয়ে আছেন, তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে। গো‌বিন্দগঞ্জ এলাকার একজন ব‌্যবসা‌য়ি  মুস‌লিম মিয়া জানান তার ব্যক্তি ইমেজ ছিল, তিনি এম‌পি গ্রু‌পের নেতা ছিলেন তার দল বদল করে মেয়র আব্দুল কালাম চৌধুরীর গ্রু‌পের যোগদান ক‌রেন।  ভোটের মাঠে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তিনি যদি জাপা ও বিএনপি অংশের ভোটার টানতে পারেন তাহলে বিজয়ী নি‌শ্চিত  হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল দুই যুগ ধ‌রে চ‌লছে। পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী  ও মুহিবুর রহমান মা‌নিক এম‌পি গ্রুপ না‌মে দু‌টি গ্রুপ র‌য়ে‌ছে ছাত‌কে। এ দু‌টি গ্রু‌পের বেশী ভাগ নেতা কমীরা রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা্র প‌ক্ষে

প্রচার প্রচারনা চা‌লি‌য়ে যা‌চ্ছেন উপ‌জেলা আওয়ামীলী‌গের নেতাকমীরা। কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী ও বতমান ভাইন্স‌চেয়ারম‌্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লা‌হিন। ২৯ মে নিবাচন অনু‌ষ্টিত হ‌বে। ভোটার সংখ‌্যা পুরুষ এক লাখ ৬০হাজার ৪৪জন,এবং ম‌হিলা একলাখ ৫১হাজার ৯শত ৩জন মোট ভোটার সংখ‌্যা ৩ লাখ ১১হাজার ৯শত৫৭ জন,কেন্দ্র সংখ‌্যা ১০৩ বুথ সংখ‌্যা ৬শত ৭১জন।


আরও খবর



কালিয়াকৈরে বেপরোয়া মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কা,অল্পের জন্য রক্ষা ঘুমন্ত দোকানদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৩৬জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির মাটিবাহী ট্রাকের ধাক্কায় একটি চা দোকান, বেশ কয়েকটি গাছ ও একটি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে পড়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ঘুমন্ত চা দোকানের মালিক। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ট্রাকের চালক।

এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাটি খেকোরা। দিনে-রাতে সমান তালে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক গুলো। ভেঙ্গেচুরে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সড়কগুলো। প্রায়  প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এর ধারাবাহিকতায় রোববার ভোর পৌণে ৪টার দিকে বেপরোয়া গতির একটি ড্রাম ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৭৩৪৫) ধাক্কায় উপজেলার কুটামনি বড় পুকুরপাড় এলাকায় নুর ইসলামের চা-দোকানের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। এসময় ওই ট্রাকের ধাক্কায় ভেঙ্গে যায় ইউপি প্রদত্ত পাশের সফিপুর- পাইকপাড়া সড়কের সড়ক বাতির সৌর শোলার, লাইটসহ কিছু গাছপালা। এরপর ওই ট্রাকটি সরাসরি সজোরে ধাক্কা দেয় পল্লী বিদ্যুতের ৩৩কেভি ভোল্টেজের লাইনের একটি বৈদ্যুতিক খুটিও।বিকট শব্দে ঘুম থেকে আতকে জেগে উঠেন ঘুমন্ত চা-দোকানদার নুর ইসলাম। কিন্তু গুরুতর আহত হন ওই ট্রাকের চালক আবুল হোসেন।

ততক্ষণে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক থেকে বেড়িয়ে দৌড়ে একজন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। এলাকাবাসী ওই চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ও মাটি খেকোরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচলে বিঘœ ঘটে। পরে খবর পেয়ে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ বৈদ্যুতিক খুটি পরিবর্তন করে। অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া দোকানদার নুর ইসলাম জানান, পুরো দোকানের ওপর ট্রাক উঠে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় আমি মারা যেতাম। কিন্তু গাছপালা, দোকান ভেঙ্গে প্রায় ২০হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দোকানের পাশের সৌরশক্তি, সড়ক বাতি ও বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এসব বিষয়ে জানতে একাধিক মাটি ব্যবসায়ীকে ফোন দিলে তারা রিসিভ করেননি। তবে ওই ট্রাকের মালিক রবিন সরকার জানান, আমি তো ট্রাক চালাই না, মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাক চালায়। এসব ড্রাম ট্রাক আঞ্চলিক সড়কে চলাচলে নিয়মকানুনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দেশে ড্রাম ট্রাক চলে। তবে ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

ফুলবাড়িয়া সাব জোনাল অফিসের ইনচার্জ (এজিএম) হোসেন মোহাম্মদ রায়হান জানান, আমাদের ক্ষতিগ্রস্থ খুটি পরিবর্তন করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক সংশ্লিষ্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ খুটি ও মেরামত বাবদ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে টাকা পরিশোধ না করলে এ ঘটনায় মামলা করা হবে।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহম্মেদ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



ধরা ছোঁয়ার বাইরে চোরচক্র আক্কেলপুরে একই রাতে ৮টি মিটার চুরি

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | ৭৫জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক রাতে চিরকুটে ফোন নাম্বার ও সিরিয়াল লিখে পাশাপাশি দুইটি ফসলী মাঠের ৮টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ও সোনামুখী ইউনিয়নের পাশাপাশি কাদোয়া ও গণিপুর জাফরপুর মাঠে ঘটে। একই কায়দায় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নে ৬টি মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ফোন নাম্বর থাকা সত্বেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে চোরেরা।

রোববার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে নলকুপ মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের কাদোয়া গ্রামের শহীদুল ইসলামের গভীর নলকুপের দুইটি, মাসুদ রানার একটি, সোনামুখী ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের একটি, এনামুল হকের একটি, আবু সালেকের একটি, আব্দুর রহমানের একটি ও রামশালা গ্রামের সিরাজ মৃধার একটিসহ মোট আটটি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। সকল মিটার তালাবদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে নিয়ে যায় তারা। সকল মিটার গুলো চুরির পর সেখানে কাগজের চিরকুটে ০১৯৭৪-১৪৫১০৯ নম্বর লিখে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। প্রতিটি মিটারে তারা আলাদা একটি সিরিয়াল নম্বরও লিখে রাখে। পরে নলকূপ মালিকরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশ অথবা নগদ একাউন্টে ৮ হাজার টাকা দাবি করে তারা। অন্যথায় আবারও মিটার চুরি করা হবে বলে হুমকি দেয় চোরেরা। ওই দুটি মাঠে প্রায় ৭০ হেক্টর ইরি বোরো ধানের ক্ষেত রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার শঙ্কায় দিন পার করছেন ওই মাঠের কৃষকরা।

আরও জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর উপজেলার রায়কালী ইউনিয়ন থেকে এক রাতে ছয়টি গভীর নলকুপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছিল সিরিয়াল ও ফোন নাম্বার । ফোন নাম্বার থাকা সত্তে¦ও চোর ধরতে না পারায় সেচ পাম্প মালিক ও জনসাধারণের মনে জন্ম নিয়েছে নানা প্রশ্ন।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক সংযোগের মিটার নিতে প্রায় ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ওই অফিসে তিন ফেইজ মিটার মজুদ নেই। এছাড়াও  প্রতিটি বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে চোর শনাক্ত ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি আক্কেলপুর জোনাল অফিসে। কিছু গ্রাহক টাকার বিনিময়ে চোরের কাছ থেকে ফেরৎ নিয়েছে মিটার। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ওই দুইটি ইউনিয়নের আটটি গভীর নলকুপের সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হচ্ছে ইরি বোরো ধান। মিটার চুরির ঘটনায় এই সব জমিতে সেচ বন্ধ থাকায় ধান উৎপাদন ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষি দপ্তর ও কৃষকরা।

জয়পুরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহা. আব্দুর রহমান বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে গভীর নলকুপের মালিকরা জানিয়েছেন। থানায় মামলা দায়ের করা হবে। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া কোন মিটার উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  গভীর নলকূপের সংযোগ তিন ফেইজের হয়। মামলার পাশাপাশি চুরি রোধে গ্রাহকদের স্থায়ীভাবে ট্রান্সফরমার এবং মিটার পাহারা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং গ্রাহক সচেতনতায় এলাকায় মাইকিংও করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই চুরি রোধ হচ্ছে না।

তিলকপুর ইউনিয়নের কয়া গোপীনাথপুর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক মাসুদ রানা বলেন, গভীর রাতে বৈদ্যুতিক মিটারের তালা বদ্ধ লোহার খাঁচা ভেঙে মিটার চুরি করে সেখানে একটি চিরকুটে বিকাশ মোবাইল নম্বর লিখে রেখে যায়। ওই নম্বরে ফোন করলে চোরেরা বলে ৮ হাজার টাকা দিতে হবে, না হলে আবারও মিটার চুরি করা হবে। 

কৃষক আতিয়ার রহমান বলেন, প্রচন্ড গরমের মধ্যে এমনিতেই ধানের জমিতে পানি শুকিয়ে যায়। এ সময় ধানে দানা ধরতে শুরু করেছে। এখনি পর্যাপ্ত সেচ না দিলে ধান চিটা হয়ে নষ্ট হবে। আমরা উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দিন পার করছি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এই সময় ধানের জন্য পানি অতীব জরুরী। সাত দিনের মধ্যে জমিতে পানি সেচ না দিতে পারলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হবে। এছাড়া তীব্র তাপদাহের কারণে জমিতে তিন ইঞ্চি পরিমান পানি রাখতে পরামর্শ দিচ্ছি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন হোসেন বলেন, মিটার চুরির বিষয়ে খবর পেয়েছি। চোর চক্রদের ধরতে আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের শনাক্ত করতে দ্রুত আমরা সক্ষম হবো।
মিটার চোরদের এখনো ধরতে না পারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি নতুন এসেছি। তাদের বিষয়ে বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

আরও খবর