Logo
আজঃ শনিবার ১০ জুন ২০২৩
শিরোনাম

মায়ের নাম অভিভাবক হিসেবে গ্রহণযোগ্য: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১৫৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষাসহ প্রয়োজনীয় যে কোনো ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকের আসনে বাবা, মা অথবা আইনগত অভিভাবককে রাখার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতদিন অভিভাবকের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র বাবার নাম দেওয়ার সুযোগ ছিল। এ রায়ের ফলে বাবার অনুপস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে অভিভাবকের আসনে মায়ের নাম গ্রহণযোগ্য হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মায়ের নামে ফরম পূরণ করে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ চেয়ে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার লিপি ও অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

পরে অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার বলেন, আজকের রায়ের ফলে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ, পাসপোর্টের ফরম পূরণসহ সব ফরম পূরণে বাবা অথবা মা অথবা আইনগত অভিভাবকের নাম লেখা যাবে। এই রায়ের ফলে বাবা-মায়ের উভয়ের নাম লেখার বাধ্যবাধকতা থাকল না। শুধু মায়ের নাম লিখেও ফরম পূরণ করা যাবে।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মা স্বীকৃতি পাবেন কি না- এ বিষয়ে শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

রিটের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে শিক্ষার্থী তথ্য ফরমে অত্যাবশ্যকীয়ভাবে বাবার নাম পূরণ করতে না পারার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ঠাকুরগাঁওয়ের এক তরুণীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রবেশপত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়। উল্লেখ্য, মা ও সন্তানকে কোনোরূপ স্বীকৃতি না দিয়ে বাবার চলে যাওয়ার পর ওই তরুণী তার মায়ের একার আদর স্নেহে বড় হয়েছিলেন।

পরে এ ঘটনার যথাযথ অনুসন্ধানের ওপর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এবং সন্তানের অভিভাবক হিসেবে মায়ের স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২০০৯ সালের ২ আগস্ট তিনটি মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং নারীপক্ষ যৌথভাবে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৩ আগস্ট বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ এবং বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মানবাধিকার, সমতার পরিপন্থি ও বিশেষভাবে শিক্ষার অধিকারে প্রবেশগম্যতার বাধাস্বরূপ বিদ্যমান বৈষম্যমূলক এ বিধানকে কেন আইনের পরিপন্থি এবং অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল জারি করেন।

একই সঙ্গে বর্তমানে কোন কোন শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উভয়ের নাম সম্পর্কিত তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হয় তার একটি তালিকা এবং যেসব যোগ্য শিক্ষার্থী তাদের বাবার পরিচয় উল্লেখ করতে অপারগ তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে ২০২১ সালের ৬ জুন ব্লাস্ট আবেদনকারীদের পক্ষে একটি সম্পূরক হলফনামা আদালতে দাখিল করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় ঘোষণার জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।


আরও খবর



উত্তর কোরিয়া কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে ব্যর্থ

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৬৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আজ বুধবার সকালে তারা মহাকাশের উদ্দেশ্যে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করে। তবে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যে রকেটে করে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হচ্ছিল সেটির দ্বিতীয় ধাপে সমস্যা দেখা দেয়। এতে রকেটটি ধ্বংস হয়ে সাগরে পড়ে যায়। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।

কেসিএনএ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার তৈরি ‘চল্লিমা-১’ নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ প্রচেষ্টা রকেটের ইঞ্জিন ও জ্বালানি সিস্টেমে সমস্যার কারণে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৬ সালে দেশটির প্রথমবার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রচেষ্টা চালায়। এতে সফল হলে এটাই হতো দেশটির প্রথম গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ।

এদিকে বিবিসি জানায়, ৩১ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। দেশটির রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের বাসিন্দাদের সতর্ক করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া রকেট মাঝ আকাশে ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি উৎক্ষেপণের পরপরই রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান রি পিয়ং চোল কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এটা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বেপরোয়া সামরিক কর্মকাণ্ডের জবাব।

তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া আগ্রাসনের জন্য তাদের বেপরোয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রকাশ্যে প্রকাশ করছে।


আরও খবর



ড্রোন হামলা মস্কোতে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সেখানকার বেশকিছু ভবন সামন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হামলায় কোনো গুরুতর হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া মস্কোর দিকে আসা আরও কিছু ড্রোন রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর নাগাদ রাশিয়ার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে বলেছেন, ঘটনাস্থলে শহরের সকল ধরনের জরুরি পরিষেবা হাজির হয়েছে।

এ ছাড়া মস্কো অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রেই ভোরোবিয়োভ টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, মস্কোর দিকে আসা বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

ক্রেমলিন 

তবে কারা এইসব ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে- তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। রাশিয়ার বেশ কয়েকটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছে, মস্কোর উপকণ্ঠে এবং তার নিকটবর্তী অঞ্চলে ১০টি মধ্যে চারটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

সোবিয়ানিন বলেছেন, বেশ কিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা আরআইএ জানিয়েছেম মস্কোর প্রফসোইজনাইয়া স্ট্রিটে ভবনের বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হচ্ছে।


আরও খবর



বিশ্বকাপ জয় হবে ভারতকে চড় মারা: আফ্রিদি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ইস্যু নিয়ে ফের তোলপাড় চলছে। যেখানে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে ভারত না আসতে চাওয়ায়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ বর্জনের হুমকি দিয়েছে। তবে বোর্ডের এমন হুঁশিয়ারিতে খুশি নন দেশটির সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। তার মতে ছেলেরা ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ জিতলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) চড় মারা হবে। খবর ক্রিকেট পাকিস্তানের।

আফ্রিদি জানান, ম্যানেজমেন্টের উচিত ক্রিকেটারদের ভারতে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার দিকে নজর দেওয়া এবং বিশ্বকাপ জয় করে ট্রফি উদ্ধার করা। আর এটিকেই তিনি ইতিবাচক ও কৌশলদীপ্ত পথ মনে করেন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে বসার কথা এশিয়া কাপের আসর। তবে রাজনৈতিক উত্তেজনায় পাকিস্তানে যেতে রাজি নয় ভারত। সেক্ষেত্রে ভারতের ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ও বাকি সব ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজনের পরিকল্পনা দিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। যেটি হাইব্রিড মডেল নামে পরিচিত।

আফ্রিদি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, তারা (পিসিবি) কেন এত অনমনীয় হয়ে আছে আর বলে যাচ্ছে যে আমরা ভারতে খেলতে যাব না। বিষয়টি তাদের সরলভাবে দেখা উচিত এবং বুঝতে হবে যে এটা একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে খেলতে যাওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেদের ট্রফিটা জিততে বলুন। পুরো জাতি তোমাদের পাশে আছে। এটা আমাদের জন্য শুধু বড় এক জয়ই হবে না, বিসিসিআইকে কষে একটি চড় মারাও হবে।

‘ভারতে যাও, ভালো ক্রিকেট খেল এবং ট্রফি জেত। এটাই সব, আমাদের জন্য এটাই বিকল্প। আমাদের সেখানে যেতে হবে, ফিরতে হবে ট্রফি নিয়ে। তাদের (বিসিসিআই) পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দাও যে আমরা যেকোনো জায়গায় গিয়ে জিততে পারি।’–যোগ করেন আফ্রিদি। 


আরও খবর



এসএসসির স্থগিত পরীক্ষা নিয়ে যা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে সব বোর্ডের চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সব লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেই স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলোর তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর সরকারি টিচার্স কলেজে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, সব লিখিত পরীক্ষা যেদিন শেষ হবে অর্থাৎ ২৩ মে। এরপর যে পরীক্ষাগুলো স্থগিত আছে সেগুলোর সময় তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে চলমান এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৩-এর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, যশোর শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন আগামী ১৫ মে ২০২৩ তারিখ সোমবার অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু ১৫ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার সব বোর্ডের প্রশ্ন অভিন্ন হওয়ায় উক্ত তারিখের সব বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে কাগজে-কলমে পাঠাগার দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি  ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:দেখে বাড়ির বেলকুনি মনে হলেও এটি একটি সরকারি নিবন্ধিত পাঠাগার। আশেপাশে নেই কোন সাইনবোর্ড কিংবা আলাদাভাবে চেনার উপায়। কাছে গিয়ে দেখা মিলে- বেলকুনির চারপাশে শুকাতে দেওয়া আছে ভেজা কাপড়। তার পাশে অনুদান পাওয়া দুটি বুকসেলফে কিছু বই, দুটি চেয়ার, একটি টেবিল। এ ছাড়া আর পাঠাগারের কোন অস্তিত্ব নেই৷ 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের পূর্ব নারগুনে একটি বাড়ির বেলকুনিতে অবস্থিত গ্রামীণ পাঠাগারটি। অনুমোদনের নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য সাত বছর বয়স হওয়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে গড়ে দুই শতাধিক পাঠক হওয়ার কথা থাকলেও পাঠাগারটির নাম জানেন না এলাকাবাসী। এমনকি পাঠাগারের পরিচালকেরাও নাম বলতে হোচট খেয়েছেন কয়েক দফায়। অথচ নামে মাত্র এসব পাঠাগারগুলো কাগজে কলমে সচল পাঠাগার দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন সরকারি তহবিল থেকে লাখ লাখ টাকা।
জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় নিবন্ধিত পাঠাগারের সংখ্যা ১২ টি৷ যার মধ্যে অধিকাংশ পাঠাগার এখন শুধু নাম সর্বস্ব। কারো ঘরের বেলকুনি, কারো বেড রুম কিংবা কারো নেই কোন অস্তিত্ব। তবে নামে মাত্র হয়েও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৪ টি পাঠাগার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬ টি পাঠাগার অনুদান পেয়েছেন কয়েক লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ টি পাঠাগার পাচ্ছেন পাঁচ লাখ সাতান্ন হাজার টাকা অনুদান৷ তার মধ্যে ২ টি 'গ' শ্রেণির পাঠাগার পাচ্ছেন ৫৫,০০০ টাকা করে, আর "খ" শ্রেণির ৬ টি পাঠাগার পাচ্ছেন ৪৭,৫০০ টাকা। 
অনুদানের সব টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন কাগজে কলমে থাকা পাঠাগারের সভাপতি ও সম্পাদক। নিয়ম মেনে তদারকি করে অনুদান প্রদানের সাথে অর্থ আত্মসাৎ কারীদের বিচারের দাবি জানান সচেতন মহল। 

স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কখনো গ্রামীণ পাঠাগার নামে কোন পাঠাগারের নাম শোনেননি৷ তাদের এলাকায় পাঠাগার হলে তারা সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারতেন৷ 

গ্রামীণ পাঠাগারের সভাপতি মোহাম্মদ নুরুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী বলেন, কাগজে কলমে আমাদের পাঠাগারটি ২০১৬ সালে দেখানো হয়েছে৷ আমরা সব ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পাই৷ বিগত দুই অর্থ বছরে আমরা সরকারি অনুদান পেয়েছি৷ এবারেও আমরা সরকারি অনুদান পাব৷ বর্তমানে তেমন কোন কার্যক্রম নেই। আমরা সামনে একটি ঘর তৈরি করে পাঠাগারটি চালু করব। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৬ নং নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নে গ্রামীণ পাঠাগার রয়েছে এটি আজ জানতে পারলাম। কখনো এর কোন কার্যক্রম আমার চোখে পড়েনি। যারা পাঠাগারের নামে টাকা আত্মসাৎ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। 

অফিসে কর্মকর্তা সংকট হওয়ায় এমন অবস্থা জানিয়ে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আম্বিয়া বেগম বলেন, পাঠাগারগুলোতে দুবছর আগে পরিদর্শনে যাওয়া হয়েছিল। পরে আর যাওয়া হয়ে উঠে না। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তারা সরকারি অনুদান পেয়ে থাকেন৷ পরবর্তীতে আমরা তদারকি বাড়াব। 

নামে সর্বস্ব পাঠাগারগুলো আর অনুদান পাবে না বলে সাফ জানিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, পাঠাগার সমাজের আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে। একটি সমাজকে জ্ঞান ও শিক্ষায় সমৃদ্ধ করে। তবে পাঠাগারের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা সরকারি সম্পদ হাতিয়ে নেন তাদের সে সুযোগ আর দেওয়া হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনি কাজ শুরু করব। কার্যক্রমহীন পাঠাগারগুলো আর কোন ধরনের সরকারি অনুদান পাবেন না। 

আরও খবর